বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশ্বের ফুসফুস আমাজন

আমাজন একটি রহস্যময় জঙ্গল, সেখানকার জীববৈচিত্র্য ব্যাপক ও বৈচিত্র্যময়। জঙ্গলে রয়েছে ১২৯৪ প্রজাতির পাখি, ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৩৭৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪২৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ২.৫ মিলিয়ন প্রজাতির পোকামাকড় ও ২ হাজার ২০০ প্রজাতির মাছ। এ ছাড়াও প্রায় ৪০ হাজার প্রজাতির গাছপালা রয়েছে। হরেক জীববৈচিত্র্য এবং হাজার-হাজার প্রজাতির প্রায় ৩৯০ বিলিয়ন গাছপালার সমাহারের কারণে আমাজানকে বলা হয় ‘মহাবন’। আবার ‘বিশ্বের ফুসফুস’ নামেও আখ্যায়িত করা হয়েছে আমাজনকে। অথচ সেই আমাজন আমাদের চোখের সামনেই নানা দুর্যোগের কবলে পড়ছে।

আমাজনে দফায় দফায় আগুন লাগানো হচ্ছে, দাবানলেও পুড়ছে। ফলে বছরে ২২৮ মেগা টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড বায়ুমন্ডল নির্গত হচ্ছে। অর্থাৎ একদিকে বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে ওজোনস্তর রক্ষা করছে আমাজন, অন্যদিকে কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে আগুন লাগানোর কারণে। যার জন্য প্রকৃতি দায়ী নয়, অধিকাংশই দায়ী হচ্ছে স্থানীয় লোকজন। বিশেষ করে আমাজনে আগুন লাগানোর জন্য বেশির ভাগই দায়ী হচ্ছে ব্রাজিল। আমাজন জঙ্গলের ৫৫ লাখ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মধ্যে ৬০ শতাংশ পড়েছে ব্রাজিল সীমানায়, যা সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি। সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, ব্রাজিলের এনজিও সংস্থার লোকেরা এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, যেখানে দেশটির সরকারের স্বার্থও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ব্রাজিল সরকার তাই সবসময় বিষয়টির ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে দাবানলের কারণেই জঙ্গল পুড়ছে। আবার বলা হচ্ছে, কৃষকরা আগুন লাগিয়েছে চাষাবাদ করার জন্য। তারা এনজিওদের বিষয়টি সম্পূর্ণ চেপে যাচ্ছে। তবে বিশ্ব গণমাধ্যম সোচ্চার থাকায় ব্রাজিলের সেই অপচেষ্টা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বারবার।

সর্বশেষ বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ২০২০ সালে আগস্ট মাসে। পরিবেশবাদীসংস্থা ‘গ্রিনপিস’ জানিয়েছে, ওই সময় প্রথম ১০ দিনে ১০ হাজার ১৩৬টি জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ২০১৯ সালের তুলনায় এই অগ্নিকাণ্ড ১৭ শতাংশ বেশি ছিল। এ ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে প্রতিদিনই কমবেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে আমাজন জঙ্গলে, যা অনেক সময় জরিপে আসে না অথবা গণমাধ্যমে প্রচার হয় না। তবে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা যতগুলো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমাজনে ঘটেছে, তার সবগুলোর নেপথ্যের কারণ অস্বীকার করছে ব্রাজিল সরকার। ২০১৯ সালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে ব্রাজিল সরকারের মিথ্যাচারের চিত্রও তুলে ধরেছিল গণমাধ্যমসস্থা বিবিসি।

বিশ্বের অন্যান্য গণমাধ্যমের পাশাপাশি বিবিসি বাংলা ২৭ আগস্ট, ২০১৯ সালের এক গবেষণার উদ্ধৃত দিয়েছে, ‘বন উজাড় করা আর দাবানলের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করলে ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের খরা থেকে আগুনের সূত্রপাতের তত্ত্বটিকে আবার ভুল হিসেবে ধরে নিতে হবে।’

গবেষণাটিতে আরও উঠে এসেছে যে, শুষ্ক মৌসুমে এরকম ব্যাপকভাবে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার সাথে খরার সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা সামান্যই, যেখানে অন্যান্যবারের চেয়ে এবার খরার তীব্রতা কমও। গবেষণায় আরও উদ্ধৃত করা হয়ছে, ‘সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আগুনের ঘটনা যে দশটি মিউনিসিপ্যালিটিতে হয়েছে, সেখানেই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় বন উজাড় করা হয়েছে। ২০১৯ সালের আগুনের ৩৭% ঘটেছে এই দশটি স্থান থেকে, আর ওই বছরের জুলাই পর্যন্ত মোট উজাড় করা বনের ৪৩% ঘটেছে এ সব এলাকাতে। নতুন করে বৃক্ষহীন হওয়া ও কিছুটা খরায় ভুগতে থাকা এলাকায় দাবানলের ব্যাপকতা আগুনের চরিত্রের একটি বিষয়ের দিকেই ইঙ্গিত করে। সেটা হল কোন এলাকা বৃক্ষহীন করে ফেললে সেটা নতুন ওই এলাকাকে জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি করে।’ গবেষকরা তিনটি আলাদা সূত্র থেকে তথ্য নিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন।

২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের বন উজাড় করার তথ্য এবং বছরের শুরু থেকে আগস্টের ১৪ তারিখ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া দাবানলগুলোর তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে গবেষণাটিতে।

গবেষণাতে দাবি করা হয়, ‘২০১৯ সালে আমাজনে যে পরিমাণ আগুনের ঘটনা ঘটেছে তা শুধু শুষ্ক মৌসুমের কারণে নয়। অধিকাংশ রাজ্যেই আগুনের ঘটনা গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ঘটেছে। আগস্টের ১৪ তারিখ পর্যন্ত আগুনের ঘটনা ঘটেছে ৩২ হাজার ৭২৮টি, যা একই সময়ে গত তিন বছরের গড়ের চেয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি।’

মূলত যারা বা যে দেশ এ ধরনের নাশকতা ঘটাচ্ছে, তারা জঙ্গলে আগুন লাগানোর ক্ষয়-ক্ষতির বিষয় নিয়ে মোটেও ভাবেননি। ভাবেননি এতে মানবজাতির কতটা সর্বনাশ করছেন তারা সে সবও! কতটা চরম হুমকির মুখে ফেলছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যকে সেটাও মাথায় নেননি। মাথায় নেননি বন্যপ্রাণীরা আবাসস্থল হারাচ্ছে, আর বিভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপ, পোকামাকড়, অণুজীব পুড়ে ছারখার হচ্ছে, সে সবও মাথায় নেননি।

বিষয়গুলো নিয়ে ভাবলে বোধকরি তারা সজ্ঞানে আগুন লাগিয়ে এমন ধ্বংসাত্মক কাণ্ড ঘটানোর সাহস পেতেন না। অবাককরা তথ্য হচ্ছে, আমাজন বনের গাছপালা থেকেই সমগ্র বিশ্বের ২০ শতাংশ অক্সিজেনের চাহিদা মিটছে! অথচ উক্ত অঞ্চলের লোকজন তার কদর করছেন না, বরং পুড়িয়ে ছারখার করছেন। কতটা নির্দয় হলে মানুষ এমন জঘন্য কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারেন তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।

প্রসঙ্গক্রমে আরেকটি কথা বলতে হচ্ছে, আগুন শুধু প্রাকৃতিক জঙ্গলে লাগানো হচ্ছে না— অনেকে নিজস্ব মালিকানাধীন জঙ্গলে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে থাকেন, যা বাংলাদেশেও ঘটছে। বাংলাদেশে সাধারণত তিনটি কারণে আগুন লাগানো হচ্ছে। প্রথমত: নাশকতা। দ্বিতীয়: আর্থিক সাশ্রয় ও সময়ের তাগিদ। তৃতীয়: দুর্গম দুর্ভেদ্যতার কারণ। বিশেষ করে বাংলাদেশের জুম চাষিরা এ কাজ বেশি করছেন। মাঝে মধ্যে দুর্বৃত্তরাও ঝোপ-জঙ্গলে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।

যারা নিজের মালিকানাধীন জঙ্গলে আগুন লাগাচ্ছেন তাদের ধারণা এতে অন্যের ক্ষতির কারণ কোথায়! আসলে যে ওই ব্যক্তি নিজেই নিজের সর্বনাশ ডেকে আনছেন জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে, তা তিনি অবগত নন বিধায় এ সব ভাবছেন। সেই বিষয়টিও আসলে অনেকের অজানা, তাই আমাদের উচিত এ ব্যাপারে সবাইকে বিশদভাবে জানানো। জানানো উচিত, এটি একটি অনুচিত ও গর্হিত কাজ। বিষয়টি লোকের দ্বারে দ্বারে গিয়ে জানানো সম্ভব নয় বিধায় প্রয়োজন ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার। বিশেষ করে বাংলাদেশের জুমচাষিদের আগুন লাগানোর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে স্পষ্ট করে জানাতে হবে, যাতে বন-পাহাড়ে আগুন লাগানো থেকে বিরত থাকেন তারা। তাতে যেমন সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে, তেমনি রক্ষা পাবে জীববৈচিত্র্যও। সর্বোপরি পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর কাছে আমাদের দাবি এ ব্যাপারে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার। যাতে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে সরকার তথা প্রশাসনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট

আরএ/

Header Ad
Header Ad

হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি

দিলজিৎ দোসাঞ্জ ও হানিয়া আমির। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের সঙ্গে এক সিনেমায় কাজ করায় চরম বিতর্কের মুখে পড়েছেন জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক ও অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ। তাকে ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কাস অ্যাসোসিয়েশন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পাঁচ দফা নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, ওই চিঠিতে দিলজিতের বিরুদ্ধে যে দাবিগুলো তোলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে— দেশজুড়ে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি বন্ধ, ইউটিউব ও স্পটিফাইসহ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে গান ও চলচ্চিত্র সরানো, লাইভ কনসার্টে নিষেধাজ্ঞা, সরকারি কোনো ইভেন্টে অংশ নিতে না দেওয়া এবং তার সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সর্দারজি ৩’-এর অর্থায়নের উৎস তদন্ত করা।

এই বিতর্কের সূত্রপাত ‘সর্দারজি ৩’ সিনেমার ট্রেলার প্রকাশের পর, যেখানে দিলজিতের বিপরীতে দেখা গেছে হানিয়া আমিরকে। এর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে একাধিক ট্রেন্ড তৈরি হয় এবং বিতর্ক চরমে ওঠে। এমনকি দিলজিতের পাসপোর্ট বাতিলের দাবিও উঠেছে।

উল্লেখ্য, দিলজিৎ এর আগে মাদকসংক্রান্ত ইঙ্গিতপূর্ণ গানের কারণে সমালোচিত হলেও, ভক্তদের মাঝে তার জনপ্রিয়তা অটুট ছিল। তবে এবার সরাসরি পাকিস্তানি শিল্পীর সঙ্গে কাজ করায় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।

তবে দিলজিৎ নিজের অবস্থানে অনড়। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, একজন শিল্পী হিসেবে তিনি সৃষ্টিশীল স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং সহশিল্পী হানিয়া আমিরের পাশে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় ‘অমর সিং চামকিলা’ সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান দিলজিৎ। একই বছরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সর্ববৃহৎ পাঞ্জাবি কনসার্ট আয়োজন এবং মেট গালায় উপস্থিতির মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। তবে এবার ভিন্ন এক বিতর্কে তার নাম উঠে এসেছে শিরোনামে।

Header Ad
Header Ad

আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী

বক্তব্য রাখছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন- শেখ হাসিনার পতন ন্যায়ের কাছে অন্যায়ের পতন। শেখ হাসিনার পতনে রাজনৈতিক দলের শ্রম ও ঘাম আছে। শেখ হাসিনার পতনে যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছেন তাদের ভূমিকা আছে। আল্লাহর রহমতে দেশের জনগণের দ্বারা শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও গুরুতর পতন হবে। অন্য কেউ যদি করেন তারও হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধুকে কেউ ভাঙতে ও মুছতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধকে ভাঙতে ও মুছতে পারবে না। স্বাধীনতাকেও ভাঙতে ও মুছতে পারবে না। তাই স্বাধীনতা অক্ষয় ও অমর। বঙ্গবন্ধুও তেমন অক্ষয় ও অমর।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি কিন্তু আওয়ামী লীগদের দাওয়াত করতে বলেছিলাম। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে। মানুষের অন্তরে তো বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ না। মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ তো নিষিদ্ধ না। নিষিদ্ধ আইনের ধারা হতে পারে। মানুষের অন্তরের ধারা না।

তিনি আরও বলেন- স্বাধীনতা আমাদের, স্বাধীনতা বাংলাদেশের। স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ-বিএনপির না। অধ্যাপক ইউনুস ও এনসিপিদের না। স্বাধীনতা এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা। সে জন্য এই স্বাধীনতার প্রতি যারাই হস্তক্ষেপ করবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অন্যকে শিকার করতে হবে। বিরোধীকে সম্মান দিতে হবে। চোর ও ডাকাতকে ইচ্ছে হলেই মেরে ফেললাম এটা চলবে না। তাকেও আইনের আশ্রয় দিতে হবে।

এ সময় সখীপুর উপজেলা শাখার কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি আব্দুস সবুর খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি ছিলেন- কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ হাবীব, কালিহাতী উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, সখীপুর উপজেলা শাখার কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ বলেছেন, ‘আমরা কোনো জোট গঠন করছি না।’ সম্প্রতি চীনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি জোট গঠন হয়েছে বলে খবরের প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে বাংলাদেশ চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গঠন করছে কি না— জানতে চাওয়া হয় উপদেষ্টার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো জোট গঠন করছি না। মূলত, উদ্যোগটি চীনের এবং এটি একেবারেই অফিসিয়াল পর্যায়ে, রাজনৈতিক কোনো পর্যায়ে না।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ওখানে একটা প্রদর্শনী হচ্ছিল, সেখানে সাইডলাইনে তিন দেশের পররাষ্ট্রসচিব বসে আলাপ-আলোচনা করেছি। আলাপ-আলোচনা পুরোপুরি ছিল কানেক্টিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি; এগুলো নিয়ে। আপনারা জোট গঠনের যে কথা বলছেন, এ ধরনের কোনো কিছু ছিল না। এটা নিতান্তই একটি প্র্যাকটিক্যাল সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির ব্যাপার। আমরা মনে হয় না, এটা নিয়ে আর কোনো কিছু হতে দেওয়া উচিত।

কুনমিংয়ের ওই বৈঠকে তিন পক্ষের সহযোগিতা বাস্তবায়নে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) গঠনের কথা এসেছে চীন ও পাকিস্তানের দিক থেকে। বৈঠকটি নিয়ে তিন দেশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও মিল ছিল না। তাহলে বাংলাদেশ জোট গঠনের কথা ডিনাই করছে কি না—

এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, কোনোটিই ডিনাই করার প্রয়োজন নেই। আমরা আমাদের যেটুকু উল্লেখ করেছি, এটাতে বোঝা যায় এটাতে স্ট্রাকচারাল বড়সড় কোনো ব্যাপার ছিল না। প্রত্যেকটা দেশ নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখেছে। আমরাও তাই করেছি। যদি ভবিষ্যতে কোনো অগ্রগতি হয় তখন আপনারা জানতে পারবেন।

ত্রিপক্ষীয় যে জোট গঠনের কথা আসছে এটা তৃতীয় কোনো দেশকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে কি না— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই নয়। এটা আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি। টার্গেট করার বিষয় এখানে নেই। এরকম আরও কোনো দেশ যদি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করতে চায় আমি তো কোনো সমস্যা দেখি না। সেটাও আমি করতে রাজি।

তিনি বলেন, ধরুন ভারত যদি করতে চায় কানেক্টিভিটি নিয়ে, নেপাল বা অন্য কোনো দেশকে নিয়ে, আমরা রাজি আছি। এটা হলে আমি কালকেই করতে রাজি। যেহেতু চীন ও পাকিস্তান ছিল যার কারণে হয়তো আপনারা মনে করছেন হঠাৎ করে কেন হলো। এটাকে খুব বেশি স্পেকুলেট করার সুযোগ নেই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে (ভিডিও)
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন অভ্যর্থনা
ভেঙেই গেল জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরির সংসার!
সব সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
জেলার সব প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের ঘোষণা দিলেন ডিসি
রংপুরে চিকিৎসা অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতালকে ২ লাখ জরিমানা
টাঙ্গুয়ার হাওরে গাঁজা সেবন দায়ে ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড
৮৩ লাখ মাদকাসক্ত দেশে, গাঁজা সেবনকারী সবচেয়ে বেশি