শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জলের তলে মন্ত্রিসভা

১৭ অক্টোবর ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ। ছোট্ট একটি ঘটনা বিশ্ব বিবেকের টনক নাড়িয়ে দিয়েছিল। যদিও ঘটনাটি অনেকেই হাসির ছলে নিয়েছেন। তথাপিও সেই ঘটনাটি বিশ্ব ইতিহাসের অলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে ধরা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটিয়েছেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ। তিনি জলবায়ু মোকাবিলার লক্ষ্যে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এক অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তার মন্ত্রিসভার ডজন খানেক সদস্য নিয়ে সমুদ্রের ২০ ফুট নিচে জলবায়ু ও পরিবেশ দূষণসংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে মালদ্বীপের একমাত্র নারী সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।

এই সময় প্রত্যেকেই স্কু বা ডাইভিং পোশাকে আবৃত ছিলেন। এর জন্য অবশ্য তারা পূর্বে বিশেষ প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন, অবশ্য প্রেসিডেন্ট নিজে প্রশিক্ষিত ডুবুরি ছিলেন, বিধায় তার জন্য কাজটা কিছুটা সহজ হয়েছে। তথাপিও প্রত্যেকের পাশেই একজন করে প্রশিক্ষিত ডুবুরি ছিলেন। কোনো সমস্যা হলে যেন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারেন। এ সময় তারা ইশারায় তথ্য আদান-প্রদান করেছেন।

টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেছে, সমুদ্রের জলের নিচে প্রবাল রাজ্যে চেয়ার টেবিলে বসে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে, বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে, জনমত গড়ার লক্ষ্যে এক প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন তিনি। যাতে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন-এ জলবায়ু সম্মেলনে বিষয়টি প্রাধান্য পায়। প্রায় আধ ঘণ্টার মতো ‘জলের তলে মন্ত্রিসভা’র বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট উপরে এসে গণমাধ্যমকে জানালেন, ‘বৈঠকে কথা কম হলেও কাজ হয়েছে বেশি।’

মূলত তিনি এক প্রতীকী আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে বার্তা দিয়েছেন যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে শতাব্দীর শেষ নাগাদ মালদ্বীপসহ এশীয় অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তখন দ্বীপবাসী তথা ভুক্তভোগী মানুষজনকে টিকে থাকতে হলে সমুদ্রের জলের তলের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই হতে হবে। অক্সিজেন সিলিন্ডার কাঁধে নিয়ে সমুদ্রের হিংস্রপ্রাণীদের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার নিম্ন অঞ্চলের মানবজাতিকে বসবাস করতে হবে।

এই বিষয়টি প্রথমে ভালোভাবে নেয়নি অনেকেই; ঠাট্টা বিদ্রুপও করেছেন, পাগলামি বলেও মন্তব্য করেছিলেন কেউ কেউ। দিন, মাস বছর অতিবাহিত হতেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা, ভাবছেন সাধারণ মানুষও। বিশ্ববাসী এখন অনুধাবন করছেন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন যেমন বেড়েছে, তেমনি পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে অতিদ্রুত। অবিরত হিমালয় ও অ্যান্টার্টিকার বরফের চাঁই গলে নিম্ন এলাকাগুলো ধীরে ধীরে প্লাবিত হচ্ছে; সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ বন্যারও। অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের ফলে ওজোনস্তর পাতলা হয়ে পৃথিবীকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। যার ফলে প্রবল বেগে ঢুকে পড়ছে সূর্যের অতিবেগুনি তেজস্ক্রিয় রশ্মি। এতে করে বছরান্তেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার সঙ্গে নয়া রোগব্যাধিরও আবির্ভাব ঘটছে পৃথিবীতে। আবার নয়া পরিবেশে টিকে থাকার মতো কীট-পতঙ্গও জন্ম নিচ্ছে।

অপরদিকে ওই পরিবেশে বা তাপমাত্রায় টিকে থাকার লড়াইয়ে হেরে যাওয়া প্রাণিকুলকে বিদায় নিতে হচ্ছে পৃথিবী থেকে। যাকে বলা হয় বিবর্তন বা প্রকৃতির ধারাবাহিক পরিবর্তন। যার জন্য অনেকেই প্রতিনিয়ত প্রকৃতিকে দোষারোপও করে যাচ্ছেন। আসলে কিন্তু বিষয়টা তা নয়, এর জন্য মোটেও দায়ী নয় প্রকৃতি; দায়ী হচ্ছে মানবজাতি দ্বারা অতিমাত্রার কার্বন নিঃসরণ এবং পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করণ। বিশেষ করে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বাড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্য নায়ক ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলো।

বড় বড় শিল্পকারখানা, পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ, নির্বিচারে বন উজাড়, নদী শাসন ইত্যাদির ফলে দারুণভাবে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সমগ্র বিশ্বে। শিল্পোন্নত দেশগুলোর খামখেয়ালিপনার কারণে সিএফসি গ্যাস, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের নির্গমন বেড়ে গেছে। যে গ্যাস নিঃসরণের কারণে পৃথিবীর ফিল্টার নামে খ্যাত ওজোনস্তর পাতলা হয়ে ভূপৃষ্ট তপ্ত হচ্ছে ক্রমান্বয়ে। অর্থাৎ সূর্যের প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে ছেঁকে বিশুদ্ধ করে পৃথিবীর উপযোগী তাপমাত্রা পাঠাতে ব্যর্থ হচ্ছে ওজোনস্তর।

উল্লেখ্য, পৃথিবীর জন্য সুষম তাপমাত্রা হচ্ছে ১০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (কমবেশি হতে পারে)। অথচ সেই সুষম তাপমাত্রা এখন আর বিরাজ করছে না, বরং উল্টোটি ঘটছে। ধীরে ধীরে বরফ যুগের সমাপ্তি ঘটিয়ে পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৮ জুন, ২০১৯ সালে কুয়েতের তাপমাত্রা বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল পর্যন্ত। কুয়েতেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল। ওই তাপে গাড়ির চাকার টায়ারও গলে গেছে। অবাককরা বিষয় হচ্ছে, ছায়াযুক্ত স্থানেও ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। যেই তাপমাত্রায় একজন মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিনতর হয়ে পড়ে।

উদাহরণ হচ্ছে, তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে গেলেই ডিম সিদ্ধ হতে থাকে, সেক্ষেত্রে ৬৩-৭০ ডিগ্রি অতি নিকটেই। কাজেই আমরা বলতে পারি, এটি বিশ্বের জন্য অতি ভয়ানক একটি অশনি সংকেত। উন্নতদেশে এই তাপমাত্রায় মানিয়ে নেওয়ার সুব্যবস্থা থাকলেও দরিদ্র দেশের ক্ষেত্রে কেবলই প্রকৃতির উপরে নির্ভর করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। উল্লেখ্য, এর আগে ১৯২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর, লিবিয়ার আল-আজিজিয়ায় ৫৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

দেখা যাচ্ছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও শৈত্যপ্রবাহের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই কোনো না কোনো ধরনের দুর্যোগ সংঘটিত হচ্ছে। সেটি হতে পারে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, খরা, বন্যা, সাইক্লোন, টর্নেডো, ভূমিকম্প ও নদীভাঙন। তার মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলছে পৃথিবীকে। যদিও প্রকৃতির প্রতিটি দুর্যোগই ভয়াবহ, তথাপিও তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে অন্যসব দুর্যোগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আবার এল-নিনো অথবা লা-নিনার বিষয়টিও এর সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। এল-নিনো ও লা-নিনা হচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার সমুদ্রপৃষ্ঠের অত্যাধিক উষ্ণপ্রবাহ, যা সাধারণত একটানা তিন মৌসুম জুড়ে থাকে। যার আগমন ঘটে প্রতি ২-৭ বছর পরপর। এল-নিনোর সঙ্গে একটি বিশেষ ক্রিয়ার যোগ ঘটে বায়ুমণ্ডলীয় ক্রিয়ার ফলে। যাতে ইন্দোনেশিয়া ও পেরু অঞ্চলের কাছে একটি করে দুটি চাপবলয় সৃষ্টি হয়। সেই দুই চাপবলয়ের মধ্যে তীব্রগতিতে তাপ প্রবাহের আদান-প্রদান চলতে থাকে। তাতে ইন্দোনেশিয়া-পেরু পর্যন্ত সমুদ্রভাগে দক্ষিণমুখী উষ্ণতম স্রোতের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এই অঞ্চলের বায়ুমণ্ডল ও সমুদ্র উষ্ণতর হয়ে অনাবৃষ্টির সৃষ্টি হয়। যে কারণে মাছ কিংবা ক্ষুদ্র প্রাণিকুলের মৃত্যু ঘটে অস্বাভাবিকভাবে। বিশেষ করে সমুদ্রের এককোষী জীব প্লাঙ্কটনের মৃত্যু ঘটে বেশি। পরিণামে সমুদ্রের পানিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বাড়তে থাকায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সেক্ষেত্রে সামুদ্রিক প্রাণিকুল অস্তিত্ব সংকটে পড়ে।

আর লা-নিনার প্রভাব হচ্ছে এল-নিনোর সম্পূর্ণ বিপরীত। অর্থাৎ তাপমাত্রা কমে শীতল হয়ে পড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ। তাতে অতিবৃষ্টির সৃষ্টি হয়ে বন্যায় প্লাবিত হয় উপকূলীয় অঞ্চল, দেখা দেয় তীব্র নদীভাঙন।

উপরোক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বেঁচে থাকার প্রয়োজনে বলতে হয়, আসুন আমরা সতর্ক হই এখনই। যদিও আমাদের হাতে সময় খুব বেশি নেই, তথাপিও চেষ্টা করি বেঁচে থাকার লড়াইয়ে জিততে। আসুন, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করে প্রচুর বনায়ন সৃষ্টি করি। খনিজ ও জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনে জলবায়ুর পরিবর্তন রোধ করি। নিজের অবস্থানে থেকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করি।

কাজটি আমাদের পক্ষে করা সম্ভবও; খুব জটিল কিছু নয়। যে যেখানে যেভাবেই আছি, ইচ্ছে করলে সেই জায়গায় থেকেই সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াসে কাজ করতে পারি। তবে ইচ্ছে শক্তির ঘাটতি হলে তা সম্ভব হবে না। বন্যপ্রাণী নিধন, বৃক্ষ নিধনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই সার্কেলটির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে আমাদের বেঁচে থাকার সম্পর্ক। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে জলবায়ু পরিবর্তন রোধের বিষয়টিও। সুতরাং আমরা সচেষ্ট হই, পরিবেশ আন্দোলনে যোগ দিয়ে পরিবেশ বাঁচাই, দেশ বাঁচাই, বিশ্ব বাঁচাই; সর্বোপরি নিজেরাও বাঁচি। ভবিষ্যত প্রজন্মকে জলের তলে যেন বসবাস করতে না হয় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেই এখনই।

আলম শাইন: কথাসাহিত্যিক ও জলবায়ুবিষয়ক কলামিস্ট

এসএন

 

Header Ad
Header Ad

এবার অপেক্ষা তারেক রহমানের ফেরার, চলছে জোরালো প্রস্তুতি

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার পর এবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন নেতাকর্মীরা। এরইমধ্যে তার রাজনৈতিক কার্যালয় গোছানো ও নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

নানা প্রতিকূলতার পর লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ আর পরিবারের সান্নিধ্যে চার মাস কাটিয়ে গত মঙ্গলবার (৬ মে) দেশে ফিরেছেন বেগম খালেদা জিয়া। হেঁটে ঢুকেছেন গুলশানের বাসা ফিরোজায়। সঙ্গে ফিরেছেন দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমানও। এবার অপেক্ষা শুধু তারেক রহমানের দেশে ফেরার।

বিএনপি নেতারা বলছেন, আপসহীন চরিত্রে গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম জিয়া। যথাসময়ে উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ার আক্ষেপ তাদের। তবে শারীরিক জটিলতায় মাঠের রাজনীতিতে পুরোদমে সক্রিয় না হতে পারলেও চেয়ারপারসনের উপস্থিতি নেতাকর্মীদের উদ্যম বাড়াবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, খালেদা জিয়া জীবনে কোনোদিন রাজনীতিতে আপস করেননি। তাকে হেঁটে জেলে যেতে হয়েছে, হুইলচেয়ারে বের হতে হয়েছে শেখ হাসিনার নির্যাতনে। কিন্তু সেসময় তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারতেন। উনাকে কোনোদিনই বাংলাদেশ দূরে রাখতে পারেননি।’

দীর্ঘদিন নির্বাসিত তারেক রহমানও দেশে ফেরার জন্য প্রস্তুত জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তার ফেরার পরে এখানকার অবস্থান, রাজনৈতিক কার্যালয় এবং নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, এর আয়োজন আমরা শুরু করে দিয়েছি। আমরা আশা করি তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন।’

তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানকে ঘিরে কর্মীদের মাঝে বাড়তি উন্মাদনা দেখা গেলেও নেতারা জানান, এখনই রাজনীতিতে অংশ নিতে আগ্রহী নন তিনি।

Header Ad
Header Ad

পদ্মার এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা

ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা নদী থেকে ধরা প্রায় দুই কেজি ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে সাড়ে আট হাজার টাকায়। আজ শুক্রবার সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাজারে ইলিশটি নিলামে বিক্রি হলে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী আট হাজার টাকায় কেনেন। পরে তিনিও যোগাযোগ করে এক প্রবাসীর কাছে সাড়ে আট হাজার টাকায় বিক্রি করেন। আজ সকালে পদ্মা নদীর মোহনায় ফরিদপুরের কবিরপুর চরে জেলেদের জালে ইলিশটি ধরা পড়ে।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, বর্তমানে পদ্মা নদীতে ইলিশের আকাল চলছে। জেলেদের জালে বিভিন্ন প্রকারের মাছ ধরা পড়লেও ইলিশের তেমন দেখা মিলছে না। আজ ভোরে পদ্মা নদীর মোহনায় রাজবাড়ীর সীমান্তবর্তী এবং ফরিদপুর জেলার শুরু কবিরপুর চরে জেলে ইসমাইল হালদারের জালে একটি বড় ইলিশ ধরা পড়ে। মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ঘাট বাজারের হালিম সরদারের আড়ত ঘরে তোলা হয়। এ সময় ওজন দিয়ে দেখা যায়, ইলিশটি প্রায় ১ কেজি ৯৬০ গ্রামের। পরে নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ কিনে নেন।

মো. শাহজাহান শেখ বলেন, মাঝেমধ্যে কাতলা, রুই, পাঙাশের দেখা মিললেও ইলিশের দেখা মিলে না বললেই চলে। হঠাৎ মাঝেমধ্যে দু–একটি ইলিশ পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশি হওয়ায় ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। এ সময় শৌখিন টাকাওয়ালা মানুষেরা এসব মাছ কিনে নেন। এ ছাড়া এ বছর এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়েছে। তবে প্রায় দুই কেজি ওজনের এত বড় ইলিশ এই প্রথম ধরা পড়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

Header Ad
Header Ad

৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর বিরুদ্ধে দুটি থানায় পাঁচটি মামলা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) ভোর সাড়ে তিনটার দিকে শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকা কুটির থেকে আইভীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তবে তিনি দিনের আলো দেখা যাবার পর পুলিশের সঙ্গে যাবেন ঘোষণা দিয়ে সকাল সাড়ে ৫টায় পুলিশের গাড়িতে করে থানার উদ্দেশ্যে বাড়ি ত্যাগ করেন আইভী।

বাড়ি থেকে বের হবার আগে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলায় যদি আমার শাস্তি হয় তাহলে আমি তা মাথা পেত নেব। আমি তো কোনো অন্যায় করিনি, চাঁদাবাজি করিনি, হত্যা করিনি। যখন নারায়ণগঞ্জের একটা মানুষও কথা বলত না প্রতিবাদ করত না তখন ত্বকী হত্যার প্রতিবাদসহ সকল প্রতিবাদ আমি করেছি। আমি আপনাদের সেবা দিয়েছি।

তিনি বলেন, আপনারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, নতুন সরকার এসেছে। আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। তাহলে কেন আমাকে গ্রেফতার জানতে চাই সরকারের কাছে। আমার ভাইকে আমরা হারিয়েছি এক মাস হয়নি, তিনটা ছেলে-মেয়ে। এমন অবস্থায় আমি তো বাড়িতেই ছিলাম, পালাইনি, তবে কেন গ্রেফতার?

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে পুলিশের একটি দল শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত আইভীর বাড়ি চুনকা কুটিরে প্রবেশ করেন। এ সময় আইভীর গ্রেফতারের খবরে স্থানীয় বাসিন্দারা ও তার নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে আসলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় আইভীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চারটি রাস্তায় বাশ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইভীর সমর্থকেরা। আশেপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সকলকে আইভীর বাড়ির দিকে রওয়ানা দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদি জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আইভীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় চারটি ও ফতুল্লা থানায় একটি মামলা আছে। তাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলায় গ্রেফতার করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এবার অপেক্ষা তারেক রহমানের ফেরার, চলছে জোরালো প্রস্তুতি
পদ্মার এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে
জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর
প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট
একের পর এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ভারত, সীমান্তজুড়ে ব্ল্যাকআউট
নিষিদ্ধ হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ
অবশেষে গ্রেফতার আইভী
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে পিএসএলের বিদেশি ক্রিকেটারদের দেশত্যাগ শুরু
সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল দুই মাস
মাহফুজ-আসিফ আ’লীগ নিষিদ্ধ চায়, কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কারা: হাসনাত
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও পদ ছাড়লেন স্নিগ্ধ
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
টাঙ্গাইলে ট্রাক-পিকআপের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
ভারতীয় অর্ধশত সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
নওগাঁর পতিসরে বিশ্বকবির কাছারি বাড়িতে জন্মবার্ষিকী ঘিরে উৎসবের আমেজ
অভিমানে ঘর ছাড়লেন শামীমের স্ত্রী
পাকিস্তানের পাল্টা হামলার ভয়ে ভারতের ব্ল্যাকআউট ঘোষণা
গরমকালে আম টাটকা রাখার উপায়
দুবাইয়ে বেনজীরের মেয়ে তাহসিনের ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ