বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল - কেন প্রয়োজন?

আমাদের জীবনে অনেক কিছুর প্রয়োজন আছে কিন্তু কিছু কিছু জিনিস না হলে জীবন চলে না। সেসব দ্রব্য উৎপাদন, সরবরাহ, ভোগ যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় তা দেখা সরকারের কাজ। এই সব পরিষেবাকে বলা হয় অত্যাবশ্যক পরিষেবা। ফলে অত্যাবশ্যক পরিষেবাসংক্রান্ত আইন হলে কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু যে কথা বলা হয়, আইন যে উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয় এবং যেভাবে তার প্রয়োগ করা হয় তার মধ্যে ফারাক দেখতে দেখতে জনগণ এখন সরকারের ঘোষণা শুনলে সন্দেহ করে।

৬ এপ্রিল ২০২৩ সালে সংসদে তেমনি একটি বিল উত্থাপন করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। শ্রম প্রতিমন্ত্রী কোনো বিল উত্থাপন করলে শ্রমিকদের আনন্দিত হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি যে বিল উত্থাপন করেছেন তাতে শ্রমিকরা আতঙ্কিত এবং বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, সংসদে উত্থাপিত অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার এই বিল তাদের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের ফলে অর্জিত গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার পদক্ষেপ। তারা বলেছেন, ধর্মঘটের অধিকার একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। সাধারণত শ্রমিকরা বা তাদের সংগঠনসমূহ পাওনা আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে বাধ্য হয়। আলাপ আলোচনার সমস্ত দরজা বন্ধ হলেই কেবলমাত্র তারা ধর্মঘট আহ্বান করে থাকে। প্রতিবাদের এই সর্বশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়ার অর্থ হলো শ্রমিকদের উপর বিনা বাধায় নিপীড়নের অধিকার সম্প্রসারিত হওয়া। আর অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতের কথা যদি বলতে হয় তাহলে শ্রমিকরা কাজ করে এমন কোনো খাত আছে যা অত্যাবশ্যকীয় নয়? ফলে তাদের আশঙ্কা যে, ভবিষ্যতে এই আইনের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের আন্দোলন এবং সংবিধান ও শ্রম আইন স্বীকৃত অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।

একথা মানতে হবে যে জরুরি সেবা যেমন গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিকের অধিকারও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায্য মজুরি, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা ও রক্ষা করার জন্য এখনো শ্রমিকদের আন্দোলন করতে হয়। আশংকা করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, এই বিল আইনে পরিণত হলে তা শুধু
ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার সংকুচিত হবে তাই নয়, শ্রমিকদের আইনসংগত আন্দোলনের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। যা ভবিষ্যতে নৈরাজ্যের জন্ম দেবে এবং দমন পীড়নের পথ আরও প্রশস্ত করবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে ১৯৫২ সালের এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (মেইনটেন্স) অ্যাক্ট এবং ১৯৫৮ সালের এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (সেকেন্ড) অর্ডিন্যান্স রহিত করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে। মূলত এই দুটি আইন এখন ইংরেজিতে থাকার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার আলোকে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে ইংরেজি ভাষায় প্রণীত আইনগুলো বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করা আবশ্যক। সেহেতু, অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল, ২০২৩ মহান জাতীয় সংসদের সদয় বিবেচনার জন্য উত্থাপন করা হলো।’

এখানে উল্লেখ করার মত বিষয় এই যে ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী সরকার এ ধরনের আইন প্রণয়ন করেছিল, তারপর ১৯৫২ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ এবং ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের ইস্কান্দার মীর্জার সময়কালে প্রণীত এই আইন বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আবার শ্রমিকদের উপর প্রয়োগ করা হবে।

সংসদ যেভাবে চলে বা যেভাবে আইন প্রণয়ন হয় সে কথা বিবেচনা করলে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে সংসদে তেমন বিতর্ক হবে না, দুয়েক জন সাংসদ মৃদু কণ্ঠে আপত্তি করতে পারেন কিন্তু তা দ্বারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। ফলে সরকারের অভিপ্রায় অনুযায়ী বিলটি আইনে পরিণত হবে। এটি মালিকদের সুরক্ষা কিংবা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কাজে প্রয়োগ করা করা হবে। বিলে যেসব বিধিবিধানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে সরকার জনস্বার্থে দরকার মনে করলে কোনো জরুরি বা অত্যাবশ্যক পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে পারবে।

বিলে উল্লেখিত শাস্তির ব্যাপারটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ । যেমন, সরকার ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার পরও যদি কোনো ব্যক্তি ধর্মঘট শুরু করেন বা অব্যাহত রাখেন তাহলে তিনি এক বৎসর কারাদণ্ড, বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কেউ যদি কোন ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করে বা ধর্মঘট চলমান রাখার জন্য উৎসাহিত করে তাহলে ৬ মাস কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আবার কেউ যদি ধর্মঘট চলমান রাখার জন্য বা সমর্থন করার জন্য চাঁদা প্রদান করে তাহলে ১ বৎসর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বিলে বলা হয়েছে, “জননিরাপত্তা বা জনগণের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হওয়ার আশঙ্কা থাকে, এ ধরনের কোনো পরিষেবাও আইনের আওতাভুক্ত থাকবে। জনগণের জন্য অসহনীয় কষ্টের কারণ হচ্ছে বা হওয়ার শঙ্কা আছে এমন পরিষেবা এবং দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারা দেশ বা দেশের কোনো অংশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আবশ্যকীয় কোনো বিষয়ও অত্যাবশ্যক পরিষেবার আওতাভুক্ত হবে। তাহলে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার বাইরে আর কোন খাত অবশিষ্ট রইল? যা বাকি আছে তা সরকার চাইলে বা সরকারের কাছে অত্যাবশ্যকীয় বলে মনে হলে সেকল খাত এই আইনের আওতায় চলে আসবে।

দেখা যায় শ্রমিকের যত অসন্তোষ তার অধিকাংশই ঘটে জীবিকা এবং জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে। অন্যায়ভাবে ছাঁটাই, আকস্মিক কারখানা বন্ধ, প্রাপ্য না দেওয়া, চুক্তি করে তা বাস্তবায়ন না করার মতো পরিস্থিতি যখন তৈরি হয় তখন শ্রমিকদের শেষ হাতিয়ার ধর্মঘট। সে কারণেই ধর্মঘটের অধিকার শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের রক্ষাকবচ। ১৯৫২ সালে আইএলও’র দ্বিতীয় সভায় সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা বিষয়ক কমিটি (কমিটি অন ফ্রিডম অব অ্যাসোসিয়েশন) ঘোষণা করে যে ধর্মঘট করা একটি অধিকার হিসেবে বিবেচিত হবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইনে পরিষ্কারভাবে উল্লেখিত আছে, এই আইনের অন্যত্র ভিন্নরূপ কিছু নির্ধারিত না থাকিলে, এই আইন সমগ্র বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হইবে। ‘ শ্রম আইনের চতুর্দশ অধ্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত ধারাসমূহ আছে। ২০৯ ধারায় শিল্প বিরোধ উত্থাপন, ২১০ ধারায় শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান যেমন আছে তেমনি ২২৫ ধারায় শ্রম আদালত কর্তৃক ধর্মঘটের নোটিশ জারির উপর বিধি নিষেধ, ২২৬ ধারায় শ্রম আদালত কর্তৃক ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা, ২২৭ ধারায় কখন ধর্মঘট বেআইনি হবে সেসব বিষয় উল্লেখিত আছে। আবার ২৯৪ ধারায় বেআইনি ধর্মঘটের দণ্ড, ২৯৫ ধারায় বেআইনি ধর্মঘটে প্ররোচিত করার দণ্ড, ২৯৬ ধারায় ঢিমে তালে কাজে অংশগ্রহণ বা প্ররোচনার দণ্ড সন্নিবেশিত আছে। শ্রম আইনে ধর্মঘট আহ্বান করা এবং ধর্মঘট নিষিদ্ধ করা এই দুই বিষয়ই উল্লেখিত আছে, তাহলে নতুন করে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিলের উদ্দেশ্য কী?

বাংলাদেশ বিবেচিত হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সস্তা শ্রমিকের দেশ হিসেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে ধনী হওয়ারও দেশ। শ্রমিকের কম মজুরি মালিকের বেশি মুনাফার অন্যতম প্রধান শর্ত। শ্রমিকের মজুরি কম দেওয়ার জন্যই আইনের নানা বাধা তুলে তাদের সংগঠিত হতে দেওয়া হয় না আর সস্তা শ্রমিকের কথা বলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা আইন কি তাহলে দেশি-বিদেশি শোষণকে সহায়তা করবে?

প্রস্তাবিত বিলে ধর্মঘট সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা কি ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার, শ্রম আইনের অধিকার আর আইএলও কনভেনশনের বিরুদ্ধে যাচ্ছে না? গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উচিত ন্যায্য মজুরি, জীবনের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য অধিকারকে অত্যাবশ্যক ঘোষণা করা। কোটি কোটি শ্রমজীবীর স্বার্থে তাই আইন হওয়া উচিত যে শ্রমিকের অত্যাবশ্যক অধিকার কোনোভাবেই লঙ্ঘন করা যাবে না।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এসএন

Header Ad
Header Ad

রিজার্ভ ছাড়ালো ২৭ বিলিয়ন ডলার, রেমিট্যান্স প্রবাহে ফিরে এলো ইতিবাচক ধারা

ছবি: সংগৃহীত

দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ফিরেছে স্থিতিশীলতা ও ইতিবাচক ধারা। চলতি এপ্রিল মাসের শেষে এসে দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার, যা সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে ২২ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার। এই দুটি হিসাবের পার্থক্যের পেছনে রয়েছে কিছু অপ্রচলিত সম্পদের অন্তর্ভুক্তি ও প্রাসঙ্গিক সীমাবদ্ধতা।

রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিক প্রবাহ। চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ২৯ দিনেই ২৬০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আর মার্চ মাসে প্রবাসীরা ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছেন।

অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি মাসেই দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। জুলাইয়ে আসে ১৯১ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি এবং মার্চে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলার। এই ধারাবাহিকতা বৈদেশিক রিজার্ভ শক্তিশালী করার পাশাপাশি অর্থনীতিতেও স্বস্তি ফিরিয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে যে ইতিবাচক ধারা তৈরি হয়েছে, তা রিজার্ভকে পুনরুজ্জীবিত করতে বড় ভূমিকা রেখেছে। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের বৈদেশিক খাতে স্থিতিশীলতা আরও সুদৃঢ় হবে এবং অর্থনীতিতে আস্থা ফিরে আসবে।

Header Ad
Header Ad

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স ইন পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএমপিজি) প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ৯ জন উত্তীর্ণদের মধ্যে তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন তিনি।

গত ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় সরাসরি অংশ নেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তাঁর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা তৈরি হয়। অনেকেই একজন শীর্ষ পর্যায়ের উপদেষ্টার উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আগ্রহকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি) পরিচালিত এই ইএমপিজি প্রোগ্রামটি স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের অধীনে পরিচালিত হয়। এটি এক বছর মেয়াদি একটি স্নাতকোত্তর কর্মসূচি যেখানে নীতিনির্ধারণ, প্রশাসন ও শাসনব্যবস্থা নিয়ে সমসাময়িক পাঠদান করানো হয়। এ প্রোগ্রামে শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী ও নীতিনির্ধারকদের অংশগ্রহণে যুগোপযোগী পাঠ্যসূচি অনুসরণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, আসিফ মাহমুদ সামার সেশন (২০২৫) থেকে প্রোগ্রামটিতে অধ্যয়ন শুরু করবেন এবং খুব শিগগিরই তাঁর ভর্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।

উল্লেখ্য, আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তিনি স্থান পান।

Header Ad
Header Ad

প্রেমিকের ফোনে অন্য নারীর বার্তা, ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে হত্যা তরুণীর

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ও রোমহর্ষক ঘটনা। প্রেমিকের ফোনে অন্য নারীর মেসেজ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৩ বছর বয়সী ম্যাডিসন রুকার্ট তাঁর প্রেমিককে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে হত্যা করেন। আদালত তাঁকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন, যা দুই দফায় কার্যকর হবে—২৫ বছর হত্যার দায়ে এবং ১০ বছর সশস্ত্র অপরাধের জন্য।

ঘটনাটি ঘটেছে ২০২২ সালের ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে। প্রেমিক জোনাথন মিলারের (২৪) ফোনে অন্য নারীদের মেসেজ দেখে হত্যার পরিকল্পনা করেন ম্যাডিসন। আদালতের নথি অনুযায়ী, মিলার যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন মাথায় গুলি করে তাঁকে হত্যা করেন রুকার্ট। হত্যার পর তিনি গাড়ি চালিয়ে ডালাস কাউন্টিতে যান এবং রাত কাটান জঙ্গলে। পরে এক অপরিচিত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে পুলিশ ডাকার অনুরোধ করেন এবং আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর গাড়িতে একটি হ্যান্ডগান পাওয়া যায়।

জোনাথনের মা অ্যামি কপ ছেলের মৃত্যুর খবরে চরমভাবে হতবাক হন। তিনি জানান, তাঁর ছেলে প্রেমিকার সঙ্গে প্রতারণা করেননি এবং ফোনে পাওয়া মেসেজগুলো যৌনতাপূর্ণ ছিল বলেও তাঁর মনে হয়নি। “সে (মিলার) আমাদের ছেলে, সে ম্যাডিসনের সঙ্গে খুব সুখী ছিল। আমরা তাঁকে পছন্দ করতাম,”—বলেন কপ।

ম্যাডিসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে দীর্ঘমেয়াদি সাজা দেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘পিপলস ম্যাগাজিন’-এর তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় আমেরিকান সমাজে সম্পর্ক ও সহনশীলতার বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে প্রেমিককে হত্যার দায়ে এক নারী দোষী সাব্যস্ত হন। ফেব্রুয়ারিতে অ্যাশলে হোয়াইট নামের ওই নারী প্রেমিকের এক মন্তব্যে অপমানিত বোধ করে তাঁকে হত্যা করেন। প্রেমিক তাঁর চাকরি পাওয়া নিয়ে মজা করেছিলেন, যা সহ্য করতে না পেরে সে এমন ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নেয়।

এই ধরনের ঘটনা সমাজে সহিংস সম্পর্কের পরিণতি এবং মানসিক ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্বের বিষয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্পর্কের টানাপোড়েন বা সন্দেহের বিষয়ে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রিজার্ভ ছাড়ালো ২৭ বিলিয়ন ডলার, রেমিট্যান্স প্রবাহে ফিরে এলো ইতিবাচক ধারা
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
প্রেমিকের ফোনে অন্য নারীর বার্তা, ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে হত্যা তরুণীর
অশালীন আচরণের অভিযোগে টাঙ্গাইলে প্রধান শিক্ষককে ‘জুতাপেটা’
টানা তিন দিনের ছুটিতে ঢাকায় তিন দলের সমাবেশ
অপরিবর্তিত থাকার পর এবার দেশে কমলো জ্বালানি তেলের দাম
বিএনপি ক্ষমতাসীন হলে খেটে খাওয়া মানুষের কল্যাণের প্রত্যয় তারেক রহমানের
মিরাজের নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে জয় বাংলাদেশের
ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে যা জানা গেল
আদানির বিদ্যুৎ আমদানিতে ৪০ কোটি ডলার কর ফাঁকি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
অভিনেতা সিদ্দিকের ৭ দিনের রিমান্ড 
ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত করল চেম্বার আদালত
সিসিডিবির তিনমাসব্যাপী ক্লাইমেট চেঞ্জ ফ্ল্যাগশিপ ট্রেনিংয়ের সমাপনী অনুষ্ঠিত
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের হাইকোর্টে জামিন
অভিনয়ে প্রথমবারের মতো জুটি হচ্ছেন প্রীতম-জেফার
পুতিন ইউক্রেনে শান্তি চান বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
নেত্রকোণায় পুলিশ ডেকে বন্ধুকে ফাঁসিয়ে হবু স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
একটু আদরে আমাকে রাখো: মাহি
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে মন্দিরের প্রাচীর ধসে ৮ জন নিহত, তদন্তে কমিটি গঠন