
এক-দেড় মাসের মধ্যে আমাকেও কারাগারে যাওয়া লাগতে পারে: ফখরুল
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:০২ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৮ এএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে আমাকেও কারাগারে যাওয়া লাগতে পারে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 'নব্বইয়ে'র গণঅভ্যুত্থানও কিছু কথা' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে- এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এখানে নব্বইয়ে'র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
ফখরুল বলেন, 'নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পরে নতুন একটি কনসেপ্ট এসেছে, যেটা আজকের দিনের জন্য সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক—একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেদিন সাহাবুদ্দীনের (সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ) অধীনে নির্বাচন হয়েছিল এবং সাহাবুদ্দীন যে উপদেষ্টামণ্ডলীদের নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করেছিলেন সেটা ছিল বাংলাদেশের রাজনীতি একটি নতুন ধারণা। এর আগে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে, প্রথমবারের মতো এখানে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ এবং অসামরিক-বেসামরিক নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে সরকারের পরিচালনায় নির্বাচন হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'সে কারণেই দেখা যায়, সবচেয়ে ভালো নির্বাচন যদি হয়ে থাকে সেটা ছিল একানব্বইয়ের নির্বাচন। ওই ধারণা থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা উঠে এসেছে। সেই ধারণা থেকেই আজকে এ দেশের মানুষ ওই একই জিনিস চায়। আজকে প্রায় ৩০ বছর পরে ওই একই কথা আমাদের বলতে হচ্ছে। নির্বাচন তো আমরা চাই, কারণ নির্বাচন ছাড়া তো পরিবর্তনের কোনো উপায় নেই! এটা তো আমরা বিশ্বাস করি; যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।'
আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখছি, যদি সেটা দলীয় সরকারের অধীনে হয় তাহলে সেটা কখনোই নিরপেক্ষ হয় না। বিশেষ করে সরকারে যদি আওয়ামী লীগ থাকে, তাহলে কখনোই নিরপেক্ষ হতে পারে না,' বলেন বিএনপি মহাসচিব।
রাজনৈতিকভাবে এই জাতির অস্তিত্ব গণতান্ত্রিক জাতি হিসেবে টিকে থাকবে কি থাকবে না সেই প্রশ্নের সামনে এসেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, 'দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে যখন আমরা দেখতে পাই গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। নির্বাসিত হয়ে গেছে। গণতন্ত্রকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমানুল্লাহ আমানকে আগামী ১০ তারিখ আত্মসমর্পণ করতে হবে, কারাগারে চলে যেতে হবে—মিথ্যা মামলায়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দি হয়ে আছেন। তারেক রহমান সাহেব নির্বাসিত হয়েছেন। প্রতিদিনের দৃশ্য, হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী কোর্টের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করছেন। বিভিন্ন আদালতে ঢুকছেন। এ দৃশ্য কোনো গণতান্ত্রিক দেশের দৃশ্য হতে পারে না।'
'আজকে অনেক বুদ্ধিজীবী টেলিভিশন টক-শোতে অনেক কথা বলেন। তথাকথিত অত্যন্ত উচ্চ শিক্ষিত ভদ্রলোকেরা গণতন্ত্রের কথা বলেন। তারা প্রমাণ করতে চান, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় দল এবং আওয়ামী লীগ একমাত্র দল যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে। আমি তাদের অনুরোধ করব, দয়া করে ঢাকার নিম্ন আদালতে যান। গিয়ে দেখুন, সেখানে একেবারে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে এ দেশের মুক্তিযোদ্ধা এবং যারা দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য কাজ করেছে অতীতে তাদের সবাইকে এক কাতারে দাঁড়িয়ে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে,' যোগ করেন তিনি।
ফখরুল আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, 'গত কয়েক দিন আগে আমার মামলার বিচার শুরু হয়েছে। আমার ধারণা এক-দেড় মাসের মধ্যেই আমানের মতো আমাকেও চলে যেতে হবে ভেতরে। অর্থাৎ, তাদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কার। যারা এই সরকারের বিরোধিতা করছে, যারা এই সরকারের পক্ষে নয়, যারা এই সরকারকে বলছে তুমি অনেক খারাপ কাজ করেছো—সরে যাও, তাদের সবাইকে তারা কারাগারে ঢুকিয়ে দিচ্ছে।'
দেশের বুদ্ধিজীবী ও সম্পাদকদের কোর্টের বারান্দায় গিয়ে দেখার আহ্বান করে মির্জা ফখরুল বলেন, গিয়ে দেখুন কিভাবে নেতাকর্মীরা হাজিরা দেয়। কত সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা যাচ্ছে। বলেন তো গণতন্ত্র আছে! এমন বিচার ব্যবস্থা, যদি হাইকোর্টে জামিন দেয়, সেটা এ আবার নিম্ন কোর্টে আটকে দেয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটা ইতিহাস তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এটা বললে তাদের গা জ্বালা করে। তারা কি অস্বীকার করতে পারবে তারা এ কাজটি করেনি। ১৯৭৫ সালে তো তার বাকশাল কায়েম করেছিল গণতন্ত্রকে হত্যা করে।

এবার কন্যাসন্তানের বাবা হতে চান লিওনেল মেসি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৭ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১০ পিএম

ফুটবল ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন লিওনেল মেসি। যে শিরোপা নিয়ে তার সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ ছিল সেটাও গত বছর কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে পূর্ণ করেছেন। তাই ফুটবল থেকে আর চাওয়ার কিছু নেই রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকার। বিশ্বকাপ জয়ের পর এমন কথা বেশ কয়েকবার বলেছেন তিনি। এবার নিজের এক সুপ্ত বাসনার কথা প্রকাশ করেছেন এলএমটেন।
সম্প্রতি আর্জেন্টাইনভিত্তিক ‘ওলগা’ নামক এক ইউটিউব চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মেসি। সেখানে কন্যাসন্তানের বাবা হওয়ার মনোবাসনার কথা জানিয়েছেন ইন্টার মায়ামি তারকা। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির খেলাধুলাবিষয়ক গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।
স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে মেসির সম্পর্কের শুরু বাল্যকালেই। দীর্ঘদিন ধরেই সংসার করলেও ২০১৭ সালে বিয়ের পিড়িতে বসেন তারা। লিওনেল মেসি ও স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর তিন পুত্র- থিয়াগো, মাতেও এবং চিরো। এবার চতুর্থ সন্তান নেয়ার পরিকল্পনা করছেন মেসি ও আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো দম্পতি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি এবার কন্যা সন্তানের প্রত্যাশা করছে।
ইএসপিএনের সংবাদকর্মী ও বিখ্যাত স্ট্রিমার মিগু গ্রানাদোসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা আরেকটি বাচ্চা নিতে চাই। আমরা সে চেষ্টাটা এখনো শুরু করিনি। তবে আশায় আছি, সেটি কন্যা সন্তান হবে।’
১৯৮৭ সালের ২৪শে জুন হোর্হে মেসি এবং সেলিয়া মারিয়া দম্পতির ঘর আলোকিত করে জন্ম নেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার জানালেন, শৈশবে মা-বাবার থেকে প্রাপ্ত মূল্যবোধ নিজের সন্তানদের ওপরও প্রয়োগ করেন তিনি।
মেসি বলেন, ‘ছোটবেলায় আমাকে যা যা শেখানো হয়েছে, সেসব মূল্যবোধ আমি নিজের সন্তানদের মধ্যে প্রয়োগ করার চেষ্টা করি। আমি একজন ভালো বাবা। কারণ আমার মা-বাবা ভালো ছিলেন। আর আামি কোথায় বেড়ে উঠেছি, সেখানকার মূল্যবোধগুলোও গুরুত্বপূর্ণ।’
স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর প্রশংসা করে মেসি বলেন, ‘সে দুর্দান্ত। মোটামুটি ২৪ ঘণ্টাই সন্তানদের সঙ্গে কাটায়। মাঝেমধ্যেই দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইরে থাকতে হয়- সফর, ম্যাচ, প্রাক্-মৌসুম, জাতীয় দল। কখনো কখনো মাসের পর মাস বাইরে থাকতে হয়। তখন সে সারাদিনই সন্তানদের সামলায়।’
নিজের তিন ছেলেদের নিয়ে মেসি বলেন, ‘থিয়াগো কথা বলতে পছন্দ করে। আন্তোনেল্লাকেই (রোকুজ্জো) সে সব বলে। মাতেও সবকিছু বলে দেবে। বকবক করতেই থাকে। কিন্তু চিরো সে তুলনায় একটু চুপচাপ। ওরা টোস্ট ও চকলেটমিশ্রিত দুধই বেশি খায়।’
গত জুলাইয়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন লিওনেল মেসি। পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস শুরু করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। মার্কিন মুলুকে নিজের ‘ডেইলি রুটিন’ জানিয়ে মেসি বলেন, ‘আমরা সকাল ৭টার দিকে ঘুম থেকে উঠে নাশতা করি। তখন ছেলেরাও উঠে পড়ে। কখনো কখনো আমি তাদের স্কুলে নিয়ে যাই। কখনো আবার নিয়ে যেতে পারি না।অনুশীলন থেকে বেলা ১টা নাগাদ ফিরে কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাদের (স্কুল থেকে) নিয়ে এসে আবারও অনুশীলনে যাই।’

দুবাইয়ে বিশ্বের প্রথম সাগরতলে মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৫ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১০ পিএম

পর্যটনশিল্পে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন দেশটির শাসকেরা। এবার ধর্মীয় পর্যটনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সাগরতলে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ৫ কোটি ৫০ লাখ আমিরাতি দিরহাম ব্যয়ে দুবাইয়ের সমুদ্র উপকূলে এ মসজিদ নির্মিত হবে, যা বাংলাদেশি টাকায় ১৬৪ কোটির বেশি।
পানির তলদেশে বিশ্বের প্রথম ভাসমান মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে দুবাই। তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটির পানির ওপরে দুই তলায় থাকবে বসার জায়গা ও একটি কফিশপ আর পানির নিচে থাকবে নামাজের ব্যবস্থা।
ধর্মীয় পর্যটন প্রকল্প সম্পর্কে এক ব্রিফিংয়ে এ মসজিদ নির্মাণ পরিকল্পনার ঘোষণা দেয় দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ। সংস্থাটির কর্মকর্তা আহমেদ আল মনসুরি খালিজ টাইমসকে বলেছেন, শিগগিরই এ মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
মসজিদটির ঠিক কোথায় নির্মাণ করা হবে, তা এখনো জানানো হয়নি। তবে আহমেদ আল মনসুরি বলেন, এটি সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার কাছাকাছি নির্মাণ করা হবে। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সেতুর মাধ্যমে সেখানে মুসল্লিরা যেতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, সব ধর্মের মানুষই এই মসজিদ পরিদর্শন করতে পারবে। তবে তাদের অবশ্যই শালিন ও ইসলামি রীতিনীতি মেনে চলতে হবে।
২০২৪ সালের মধ্যেই মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এটি হবে তিন তলা বিশিষ্ট। প্রথম তলা থাকতে পানির মধ্যে। এটি নামাজের জন্য নির্ধারিত থাকবে। দ্বিতীয় তলা হবে হলের জন্য নির্ধারিত এবং তৃতীয় তলা ইসলামিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ৫০ থেকে ৭৫ জন ধর্মীয় ব্যক্তি এখানে একসঙ্গে থাকতে পারবেন। এমন সুবিধাও রাখা হচ্ছে।
মসজিদটিতে কুরআনিক এক্সিবিশনের আয়োজন করা হবে। শেখ মাখতুম বিন রশিদ আর মাখতুম থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের বিতরণকৃত কুরআনগুলো এখানে সজ্জিত থাকবে।
সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ল্যান্ডমার্ক প্রজেক্টের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময়ে এখানে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স এন্ড চ্যারিটেবল বিভাগের পরিচালক ড. হামাদ আল শেখ আহমেদ আল সাইবানি। এছাড়া অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এবার যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হতে পারে সিগারেট
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৪ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১০ পিএম

দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধূমপানমুক্ত রাখতে নিউজিল্যান্ডের মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সরকরের এমন পদক্ষেপের ফলে পরবর্তী প্রজন্মের আর কেউ সিগারেট কিনতে পারবে না। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
গত বছরের ডিসেম্বরে ধূমপানমুক্ত দেশ গড়ার মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন আইন প্রণয়নের ঘোষণা দেয় নিউজিল্যান্ড সরকার। এ আইন প্রণীত হলে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্মগ্রহণকারী কেউ সিগারেট কিনতে পারবে না। ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে সে দেশে আর ধূমপায়ী থাকবে না।
ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ধূমপান মুক্ত দেশ হতে চাই। এ জন্য আমরা আরও বেশি লোককে উত্সাহিত করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে বিনামূল্যে ভ্যাপ কিট দেওয়া হবে। এ ছাড়া গর্ভবতী নারীদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে ভাউচার স্কিম দেওয়া সহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আগামী বছর যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোক্তাকেন্দ্রিক নীতিমালার অংশ হিসেবে এসব পদক্ষেপের কথা ভাবছে সুনাক সরকার।
যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে এতদিন শিশুদের বিনামূল্যে ভ্যাপের নমুনা দিয়ে আসছিল খুচরা বিক্রেতারা। তবে গত মে মাসে ই-সিগারেটের ব্যবহার বন্ধে এসব ফাঁকফোকর বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার।
এছাড়া গত জুলাই মাসে পরিবেশগত ও স্বাস্থ্য উভয় ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে একক-ব্যবহারযোগ্য ভ্যাপ বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারেরর প্রতি আহ্বান জানায় ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের কাউন্সিলগুলো।