৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল আজ সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে প্রকাশ করা হবে। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ফলাফলটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। এ বিসিএসে মোট ১,৭১০টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে।

এদিকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৪০০ অতিরিক্ত ক্যাডার পদ বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও, উপদেষ্টা পরিষদ সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অতিরিক্ত পদ যুক্ত করার প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো পরবর্তী বিসিএসে যুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ৪৯তম বিসিএস বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে।

৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর। এতে সবচেয়ে বেশি পদ শিক্ষা ক্যাডারে (৭৭৬টি) রাখা হয়েছিল। এছাড়া প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশে ৫০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০ জন, আনসারে ১৪ জন, নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারে ৩০ জন, এবং পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে ২৭ জন কর্মকর্তা নিয়োগের সুপারিশ করা হবে বলে জানা গেছে।

চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চূড়ান্ত নিয়োগপত্র প্রদান করা হবে।

প্রযুক্তি অঙ্গনে নতুন এক ইতিহাস রচনা করলো চীন। শনিবার (২৮ জুন) বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ এআই-নিয়ন্ত্রিত হিউম্যানয়েড রোবট ফুটবল ম্যাচ। এই ব্যতিক্রমী আয়োজনটি ছিল ২০২৬ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব হিউম্যানয়েড রোবট গেমসের প্রস্তুতির অংশ।

খেলায় অংশ নেয় দুটি বিশ্ববিদ্যালয়: সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেইজিং ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিটি দলের হয়ে তিনজন করে রোবট মাঠে নামে। কালো এবং বেগুনি জার্সি পরিহিত এই রোবটরা খেলেছে দুই পর্বে বিভক্ত ১০ মিনিটের ম্যাচ।

রোবটদের সব কার্যক্রম—গতি, কৌশল, বলের দখল, এমনকি গোল উদযাপন—সম্পূর্ণভাবে পরিচালিত হয়েছে অভ্যন্তরীণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) অ্যালগরিদমের মাধ্যমে। খেলার উদ্দেশ্য ছিল গতি নয়, বরং ভারসাম্য রক্ষা, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এবং বাস্তব সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা প্রদর্শন।

একটি বিশেষ মুহূর্তে, গোল করার পর রোবটদের মুষ্টি উঁচিয়ে উদযাপন করা দর্শকদের বেশ আকৃষ্ট করে। উন্নত ভিজ্যুয়াল সেন্সরের মাধ্যমে রোবটরা বলের অবস্থান শনাক্ত করে দ্রুতগতিতে মাঠে চলাফেরা করেছে। যদিও কয়েকটি রোবট পড়ে গেলে মাঠকর্মীদের সহায়তায় সরিয়ে নেওয়া হয়, অনেক রোবটই নিজে থেকে উঠে দাঁড়াতে সক্ষম ছিল, যা ম্যাচটিকে আরও জীবন্ত করে তোলে।

ম্যাচের বিজয়ী ছিল সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভ্যালকান’ নামের রোবট দল। ম্যাচের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলো সম্প্রচার করেছে বেইজিং ইভেনিং নিউজ। রোবটগুলো সরবরাহ করেছে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘বুস্টার রোবোটিক্স’।

প্রতিষ্ঠানটির সিইও চেং হাও বলেন, “ক্রীড়া প্রতিযোগিতা মানবাকৃতির রোবটের জন্য একটি চমৎকার পরীক্ষার ক্ষেত্র। এখানে অ্যালগরিদম, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বিত উন্নয়ন সম্ভব।”

আয়োজকদের ভাষ্য মতে, এই ম্যাচ ছিল না শুধুই একটি প্রদর্শনী; বরং এটি একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়, যা ভবিষ্যতের স্বায়ত্তশাসিত রোবট ক্রীড়া এবং রোবোটিক গবেষণার সম্ভাবনার দিক নির্দেশ করে।

দীর্ঘ দশ মাস আত্মগোপনে থাকার পর প্রথমবারের মতো ভিডিওবার্তায় চেহারা দেখালেন ভারতের পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঠেকানোর হুমকি দিয়েছেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জুলাই গণহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এর আগে দুটি অডিওবার্তায় নিজেকে বাথরুমে লুকিয়ে থাকার দাবি করলেও তখন তিনি ক্যামেরার সামনে আসেননি। এটাই তার প্রথম প্রকাশ্যে চেহারা দেখানো বক্তব্য।

ভিডিওবার্তায় কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো বিশ্বাসযোগ্য, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। এমনকি তারা নিজেরাই নির্বাচন দেবে কিনা, আমরা যথেষ্ট সন্দিহান।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “নির্বাচনের নামে আজকে যে অশুভ জোট হয়েছে, তারা সংস্কারের নামে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। বিচারের নামে প্রহসনের ক্যাঙ্গারু কোর্ট বসানো হয়েছে। এই ধারা আমরা গুঁড়িয়ে দেবো। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ চলবে।”

কাদের দাবি করেন, বাংলাদেশে অর্ধেকের বেশি ভোটার এখনো আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং শেখ হাসিনার প্রতি জনসমর্থন দিন দিন বাড়ছে। সেই দলকে বাদ দিয়ে অংশগ্রহণমূলক কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়, আমরাও তা হতে দেব না—এমন হুমকি দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, চলমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দেশে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা, বিশেষ করে জুলাই গণহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তরা, আত্মগোপনে রয়েছেন। ওবায়দুল কাদের তাদের মধ্যে অন্যতম। তার এই হুমকিকে পর্যবেক্ষকরা সংস্কার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে একটি উসকানিমূলক অবস্থান হিসেবে দেখছেন।