মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

নারীদের জন্য উৎসর্গ করা একটি দিন

চিরায়ত আগল ভেঙে বহ্নিশিখার মতো জ্বলে উঠুক নারী। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে অঙ্গীকারে দীপ্র হোক। আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। প্রতি বছর ৮ মার্চ দিবসটি পালিত হয়। আজ নারীদের জন্য উৎসর্গ করা একটি দিন।

এ বছরের নারী দিবসে জাতিসংঘের স্লোগান ‘নারীর সমতা সকলের’। নারীর প্রতি সব রকম বৈষম্য ও অন্যায়-অবিচারের অবসান ঘটিয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব গড়ার কাজে পুরুষের সমান অবদান রাখার প্রত্যয় নিয়ে নারীর এগিয়ে চলা আরও বেগবান হোক। এ দিবসটি এক শতাব্দী-প্রাচীন আন্তর্জাতিক দিবস।

বিশ্বে সেবারই প্রথম নারী আন্দোলনের সূচনা ঘটে। ১৯০৮ সালে প্রথমবারের মতো নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নিউ ইয়র্কের রাস্তায় নেমে আসে প্রায় ১৫ হাজার নারী। নারীরা নিজেদের অধিকার আদায়ে রাস্তায় নেমে মিছিল করেন। আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ছিল নারীর মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো।

বলছি, ১৬৪ বছর আগের কথা। ১৮৫৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের রাস্তায় মিছিলে চলে সরকারের লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজন করে হয় নারী সমাবেশ। সেখানে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো।

ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ। জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন। এরপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এই সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বছর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয় ১৯১১ সাল থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা।

১৯১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে শুরু করে। এরপর জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে হয়। এমনকি দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে পুরো পৃথিবী জুড়েই নারীর সমঅধিকার আদায়ের দাবিতে পালিত হচ্ছে দিনটি। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই নারীর প্রতি সম্মান জানাতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি ছুটির দিন পালন করা হয়।

এর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, বুরকিনা ফাসো, কিউবা, জর্জিয়া, গিনি-বিসাউ, ইরিত্রিয়া, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উগান্ডা, ইউক্রেন, উজবেকিস্তান, কিরগিজিস্তান, তাজিকিস্তান, ভিয়েতনাম কম্বোডিয়া, লাওস, মলদোভা, মঙ্গোলিয়া, মন্টেনিগ্রো, রাশিয়া এবং জাম্বিয়া। এছাড়াও চীন, মেসিডোনিয়া, মাদাগাস্কার, নেপালে শুধুমাত্র নারীরাই সরকারী ছুটির দিন উপভোগ করে থাকেন।

নারী দিবসের প্রথম প্রতিপাদ্য ছিল অতীত উদযাপন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। যেটি ছিল ১৯৯৬ সাল। এরপর থেকে প্রতি বছর একেকটি প্রতিপাদ্য নিয়ে পালন করা হয় নারী দিবস। প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপাদ্য নিয়ে নারী দিবস পালিত হলেও বিশ্বজুড়ে নারীর অবস্থানে খুব একটা তারতম্য চোখে পড়েনা। আর প্রতিবছরই নারী দিবস নারীদের হাজার বছর ধরে বঞ্চনার ইতিহাস সামনে নিয়ে আসে।

একদিকে বৈপ্লবিক রূপান্তর ছাড়া নারী প্রশ্নের সমাধান সম্ভব নয়, অন্যদিকে নারী প্রশ্নকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা ছাড়া সমাজের বৈপ্লবিক রূপান্তর, এমনকি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কার্যকর বিকাশও সম্ভব নয়। (আনু মুহাম্মদ; নারী, পুরুষ ও সমাজ; পৃষ্ঠা: ১৫০)। সুতরাং সমাজ কাঠামোর বৈপ্লবিক পরিবর্তনের বিপরীতে আমরা যতই স্লোগান তুলি না কেন, তার দ্বারা নারীমুক্তির বিষয়টি অধরাই থেকে যাবে।

এ অবস্থায় একটি প্রাসঙ্গিক উপসংহার সামনে চলে আসে। অনেকেই মনে করেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে ঘিরেই যেহেতু নারী-পুরুষ বৈষম্যের সৃষ্টি, সেহেতু ব্যক্তিগত সম্পত্তির বিলোপ ঘটালেই নারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে যাবেন। এ ধারণাটি অমূলক না হলেও অসম্পূর্ণ। কেননা নারীর প্রতি ভোগবাদী এবং করুণার দৃষ্টিভঙ্গি অতি প্রাচীন এবং তা সমাজের অস্থিমজ্জায় মিশে আছে। এটি একদিনেই মিলিয়ে যাওয়ার মতো নয়। এর জন্য চাই দীর্ঘ সময় ধরে একটি সাংস্কৃতিক প্রক্রিয়া, যা সমাজ থেকে নারীর প্রতি অপদৃষ্টি দূর করতে সক্ষম হবে। এর বাইরে প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় নারীর প্রকৃত অধিকার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব।

বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের ৮ মার্চ প্রথম পালিত হয় নারী দিবস। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তজার্তিক স্বীকৃতি পায় নারী দিবস। এরপর থেকেই এ দিনটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।

জগত সংসারে নারীকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। নিজের সন্তানকে জন্ম ধারণ এবং জন্ম দিয়ে পৃথিবীর আলো দেখানোর মাধ্যমে একজন মা নারী হিসেবে জীবনের সার্থকতা লাভ করে। যখন একটি শিশুর জন্ম হয় তখন একটি মায়েরও জন্ম হয়। এ ছাড়া স্ত্রী, বোন, কন্যাসহ মর্যাদাপূর্ণ সব সম্পর্কের বাঁধনে নারীরা সমাজের সঙ্গে আবদ্ধ। তারা সমাজের অর্ধেক অংশ। তাদের প্রতিভা এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতা বিকাশের সুযোগ নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের জন্য অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য। আন্তর্জাতিক নারী দিবস যেন একটি দিনের জন্য না হয়; বরং প্রতিদিন হোক নারীর জন্য, নারীর অধিকার আর উপযুক্ত সম্মানের জন্য।

ফিরোজ কবির: প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, উত্তরা ব্রাঞ্চ, ঢাকা

এসএ/

Header Ad
Header Ad

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বলিউড ইনফ্লুয়েন্সার ওরি আটক

বলিউড ইনফ্লুয়েন্সার ওরি। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অন্দরে সব তারতার সঙ্গে দেখা যায় জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েনসার ওরিকে। এমনকী আম্বানি পরিবারের সঙ্গেও রয়েছে তার দারুণ সখ্য। জনপ্রিয় এই বলি ইনফ্লুয়েনসারকে আটক করা হয়েছে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে।

বৈষ্ণোদেবী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মদ্যপান করায় তাকে আটক করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। জানা গেছে, জায়গাটিকে হিন্দু ধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে মান্যতা দেওয়ায় সেখানে আমিষ খাবার ও মদ্যপানের ব্যাপারে নিষেধ রয়েছে। সেই নিয়মই লঙ্ঘন করেন ওরি।

কাটরা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ওরি-সহ তার সাত বন্ধু দর্শন সিং, পার্থ রায়না, ঋত্বিক সিং, রাশি দত্ত, রক্ষিতা ভোগল, শাগুন কোহলি এবং রুশ নাগরিক আরজামাস্কিনাকে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ লঙ্ঘন এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বলিউড ইনফ্লুয়েন্সার ওরি। ছবি: সংগৃহীত

রিয়াসি পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, ‘ধর্মীয় স্থানে মদ্যপান বা মাদক সেবনের মতো কার্যকলাপে কেউ লিপ্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, ওরির জীবনযাত্রা নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই নেটাপাড়ার বাসিন্দাদের। মাত্র তিন-চার বছরের মধ্যে নেটপ্রভাবী হয়ে উঠেছেন ওরি। আম্বানিদের বাড়ির বিয়ে হোক, কিংবা বলি নায়িকার সাধের অনুষ্ঠান, বলিউডের যে কোনো উদযাপনে তার উপস্থিতি অবধারিত।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার, আলোচনায় থাকছে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৩টা থেকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠকটি হবে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও আলোচনার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। ঈদের আগে ২৪ মার্চ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলবে। সম্ভাব্যতার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহে আরও দুটি দলের সঙ্গে আলোচনা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫টি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত জমা দিয়েছে। এদিন জাতীয় গণফ্রন্ট ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) তাদের মতামত জমা দেয়। এছাড়া বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল তাদের পূর্ণাঙ্গ মতামত আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জমা দেবে বলে কমিশন জানিয়েছে।

মতামত জমা দেওয়া বাকি ১৩টি দল হলো—লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), আমজনতার দল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং নাগরিক ঐক্য।

গত বছর সরকার সংবিধান, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি, পুলিশ এবং নির্বাচন সংস্কার বিষয়ে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। ফেব্রুয়ারি মাসে পাঁচটি কমিশন তাদের পূর্ণাঙ্গ মতামত জমা দেয়। এরপর সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সংগ্রহের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।

পুলিশ সংস্কার বাদে বাকি পাঁচটি কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত সংগ্রহের জন্য ১৬৬টি প্রশ্ন স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এই মতামত জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল ১৩ মার্চ।

সংলাপের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও প্রস্তাবনাগুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।

Header Ad
Header Ad

গ্রামের মানুষকে নিজ হাতে ঈদ উপহার দিলেন হামজা

গ্রামের মানুষকে নিজ হাতে ঈদ উপহার দিলেন হামজা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নতুন সদস্য হামজা চৌধুরী। যার এখনও লাল-সবুজের জার্সিতে এখনও অভিষেক হয়নি, কিন্তু তার আগেই ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে তিনি তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্বানঘাটে পৌঁছালে সেখানে এক বিশাল উৎসবের আয়োজন হয়।

হামজার আগমনকে ঘিরে গ্রামের বাড়ি হয়ে ওঠে আনন্দের কেন্দ্রবিন্দু। গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ তার বাড়িতে আসতে শুরু করেন। অনেকটা যেন বিয়ে বাড়ির মতো পরিবেশ তৈরি হয়। সেখানে হামজা চৌধুরী ব্যক্তিগতভাবে ঈদ উপহার বিতরণ করেন, বিশেষত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে। হলুদ খামে ভরা ঈদ উপহার নিজ হাতে তুলে দেন তিনি।

এদিন সকালে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান হামজা। তাকে বরণ করে নিতে সকাল থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় উপচেপড়া ভিড় ছিল। পরে বিকালে তিনি হবিগঞ্জ জেলার স্নানঘাটে পৌঁছালে হাজার হাজার মানুষ ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন।

হামজার আগমনে তার বাড়ি সাজানো হয়েছে বেশ বর্ণিলভাবে, এবং পুরো এলাকায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বাড়ির প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে তোরণ নির্মাণ করা হয়, যেন তিনি যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছেন, সেটি প্রতিফলিত হয়। হামজার বাড়ির পাশেই একটি ছোট মঞ্চ তৈরি করা হয়, যেখানে তিনি অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন।

এ বিষয়ে হামজার চাচা দেওয়ান মাসুদ জানান, ২০১৪ সালে হামজা সর্বশেষ দেশে এসেছিলেন। ২০২২ সালে তার বিয়ে হলেও এরপর আর দেশে আসেননি। তবে এই সফরে তাদের আগমন ঘিরে পুরো জেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

হামজার বাবা দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ বলেন, অনেকেই তাকে সংবর্ধনা দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তা বারণ করেছেন। রমজান মাসে দীর্ঘ সফর শেষে পরিবারের সদস্যদের জন্য ছোট একটি ইফতার আয়োজন করেছেন। এছাড়া তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসায় সকলের সম্মানে এই আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ২৫ মার্চ ভারতের শিলংয়ে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে খেলবে। এই ম্যাচ দিয়েই হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক ঘটাবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বলিউড ইনফ্লুয়েন্সার ওরি আটক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার, আলোচনায় থাকছে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাব
গ্রামের মানুষকে নিজ হাতে ঈদ উপহার দিলেন হামজা
ছাত্রদের নতুন দলের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই: মাসুদ সাঈদী
সাদ্দাম-ইনানসহ ঢাবির বহিষ্কৃত ১২৮ ছাত্রলীগ নেতার নাম-পরিচয় প্রকাশ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এক রাতে নিহত ৪০০ ছাড়াল, আহতের সংখ্যা ৬৬০
১৫ দিনের মধ্যে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি গণঅধিকার পরিষদের
পাকিস্তানের কল সেন্টারে জনতার তাণ্ডব, শত শত ল্যাপটপসহ ইলেকট্রনিক পণ্য লুট!
নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে দাঁড়িয়েই ট্রাফিক পুলিশদের ইফতারি (ভিডিও)
যমুনা রেলসেতুতে দুর্নীতি হলে খতিয়ে দেখা হবে: রেলপথ সচিব
এবার খলনায়ক হয়ে ফিরছেন শাহরুখ খান, থাকছেন আল্লু অর্জুন!
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর নতুন প্রধান মহিউল ইসলাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ৬
আপনি কি পরিবারের বড় সন্তান? আপনাকে অভিনন্দন!
টিসিবির জন্য রাইস ব্রান তেল ও মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত সরকারের
ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
শেখ হাসিনা ও রেহানার পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা জব্দ
ফেসবুক স্টোরি থেকেও আয়ের সুযোগ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীনে একাধিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান