
পাঠকের কথা
মুচি

বাজারসহ আশেপাশের এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। ঢাকা থেকে করোনা রুগী এসেছে। পরিস্থিতি বুজেই সম্পদ মুচি তার জিনিসপত্র বাড়ীতে নিয়ে এসেছে। তিন পুরুষ ধরে মুচির কাজ করে সম্পদ। সৎ এবং দক্ষ মুচি হিসেবে বাজারে সম্পদের সুনাম রয়েছে। সম্পদের বাবা বয়সের ভারে এখন আর কাজ করতে পারে না।
একমাস পেরিয়ে গেল লকডাউন!! সম্পদের বাড়িতে কালেভদ্রে দু-একজন জুতা-স্যান্ডেলের কাজ নিয়ে আসে। সম্পদ সাগ্রহে সেই কাজ করে দেয়। তারপরেও কথা থেকে যায়....................... ! সম্পদ ভাবছে সে চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করবে।
একদিন দেখা হয়ে গেল চেয়ারম্যানের সাথে। সুযোগ পেয়ে সম্পদ কথা বলা শুরু করে দিল।
: কাকা কুনোদিন তো আপনের কাছে আসিনি। আইজ বড় বিপদ চেয়ারম্যান কাকা।
: ক্যা কি হইছে ক।
: মাস পার হয়ে গেল কাকা বাজারে দোকান খুলতে পারিনি।
: ক্যা তুই না বাড়িতে কাজ করিস?
: কাকা বাড়িত আর কয় জন আসে? আর লোক তো বাড়িত থেইকা বাইর হয় না। বাইর না হইলে স্যান্ডেল ছিঁড়ে না, আর স্যান্ডেল না ছিঁড়লে আমার কাছে আইসপো ক্যান?
: হ।
: কাকা কুনো দিন মানসের কাছ হাত পাতিনি। সারাদিন যা পাইছি তাই দিয়াই সংসার চালাইছি। একোন যে কি বিপদে পারছি কাকা!!
: বুঝি তো সবই রে,
: কাকা কি করি, একটা বুদ্ধি-শুদ্ধি দেন তো। আমরা তো কাকা ত্রাণের লাইনে দাড়াইবার পারি না।
চেয়ারম্যান সম্পদের কথা শুনলো কি না বোঝা গেলনা। তবে অন্যদিকে যাবার আগে বলে গেলেন, তুই বেশি করে ভগবানের নাম জপ কর।
ডিএসএস/
পাঠকের কথা নিয়ে আরও পড়ুন