বিদ্যালয়ের মাঠ না কি বিল!

ভোলা সদর উপজেলার ১ নম্বর চরবেদুরিয়া ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ যেন বর্ষার ভরা যৌবনা বিল। শিশুদের খেলাধুলা আর কলকাকলিতে যে মাঠ মুখরিতে থাকার কথা, তা এখন হাঁস ও মাছের রাজ্য! মাঠ ভরা থৈ থৈ পানি।
১৯৭৭ সালে ভোলার ১ নম্বর চরবেদুরিয়া ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। টিনের চালার ঘর থেকে পরে পাকা ভবন নির্মাণ হয়েছে বিদ্যালয়ের। কিন্তু স্থায়ীভাবে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটির কোনো সংস্কার হয়নি। বছরে ৩/৪ মাস পানির নিচেই ডুবে থাকে এ বিদ্যালয়ের মাঠ। বিদ্যালয়ের মাঠ নিচু হওয়ায় ও বর্ষার অতিরিক্ত পানি খালে প্রবাহিত হওয়ার সুযোগ না থাকায় ডুবে থাকে বিদ্যালয়ের মাঠ। খেলাধুলা করতে না পারলে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটে না।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমরান, আরিফ, তামিম জানায়, তাদের খেলার মাঠটি বছরের ৩-৪ মাস পানির নিচে ডুবে থাকে। তারা খেলাধুলা করতে পারে না। জলাবদ্ধতার কারণে বিদ্যালয়ের মাঠ হাঁসের বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলে, বিদ্যালয়ের চারপাশসহ খেলার মাঠে কোমর পর্যন্ত পানি জমে থাকায় আমরা খেলাধুলা করতে পারছি না। আমাদের খেলার মাঠ ভরাট করে দেওয়ার জন্য আমরা দাবি জানায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুন বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠটি ভরাটের জন্য আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বরাদ্দ দিলে মাঠ ভরাটের ব্যবস্থা করা হবে।
ভোলা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, বিদ্যালয়টির মাঠ দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছে। এটা আমার জানা নেই। কারণ আমি নতুন এসেছি। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাও এলাকা পরিদর্শন করবেন। বরাদ্দ মিললে মাঠে জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসনে বালু ভরাটের ব্যবস্থা করা হবে।
এসএন
