'বিএনপি দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে ফিরে যেতেই মরিয়া'

১৮ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৯ পিএম | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৪৯ পিএম


'বিএনপি দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে ফিরে যেতেই মরিয়া'

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, বিএনপি ২০০১-২০০৬ সালের শাসনামল ভুলে গেলেও দেশবাসী ভুলে নাই। যতই বিএনপি ভালো কথা বলুক, দুর্নীতির সেই পুরাতন স্বর্গরাজ্যে ফিরে যেতেই তারা মরিয়া। এ জন্য তারা ক্রমাগত সংকট সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারা যদি এবার নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, তাহলে দেশবাসী গত ২০১৩-১৪ সালের মত তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করবে।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকাল ৩টায় বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্তরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, তেলসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ ও বিএনপি জামাতের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ উন্নয়ন দেখে যখন বলে জয় বাংলা, লুটেরার দল তখন বলে এনজয় বাংলা, বঙ্গবন্ধুর সেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রার শুরুতে এদের নাম দিয়েছিলেন চাটার দল।

এখন এরা আর চাটেনা, গিলে খায়, ব্যাংক ফোকলা করে ফেলে। হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ বিদেশে পাচার করে। আর সাধারণ মানুষ উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে দেখলেও টিসিবির পণ্যের জন্য লাইন ছাড়া সংসার চালানোর কোনো উপায় খুঁজে পায়না। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা মুখ থুবছে পড়বে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল জেলা সভাপতি নজরুল হক নীলুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, পলিটব্যুরো সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ মুস্তফা লুৎফুল্লহ এমপি, কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ, কেন্দ্রীয় নেতা টিএম শাজাহান, বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শেখ টিপু সুলতান, পিরোজপুর জেলা কমিটির সভাপতি খান মো. রুস্তুম আলী, পটুয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি অনিমেশ হালদার প্রমুখ।

এদিকে সমাবেশ শুরুর আগে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা লাল পতাকা নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন। তবে সমাবেশ স্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
এএজেড


মেঘের মাঝেও পাওয়া গেল প্লাস্টিক কণা

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০২ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ পিএম


মেঘের মাঝেও পাওয়া গেল প্লাস্টিক কণা

মেঘের মধ্যে প্লাস্টিকের অনু বা কণার (মাইক্রোপ্লাস্টিকস) সন্ধান পেয়েছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। এতে জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বলে ধারণা করছেন তারা। তবে সে সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি।

জাপানি বিজ্ঞানীদের একটি দল মাউন্ট ফুজি ও মাউন্ট ওয়ামা পর্বতে আরোহণ করেছিল। পরে পর্বতের শিখরগুলো কুয়াশার মতো আবৃত করে রাখা মেঘের নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা এবং এসব নমুনার ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলো নির্ধারণের জন্য উন্নত ইমেজিং কৌশল প্রয়োগ করেন।

বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান, যখন দেখেন ওই মেঘের নমুনায় ৯ ধরনের পলিমার ও এক ধরনের রাবারের উপস্থিতি রয়েছে। বায়ুবাহিত এসব প্লাস্টিক কণার আকার ছিল ৭ দশমিক ১ থেকে ৯৪ দশমিক ৬ মাইক্রোমিটার।

এ ছাড়া নমুনাগুলোতে ‘হাইড্রোফিলিক’ বা পানি-আকৃষ্ট পলিমার প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এতে ধারণা করা হয়, প্লাস্টিক কণাগুলো মেঘ গঠনে এবং জলবায়ু ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলছে।

এতে বলা হয়, মেঘের পানির প্রতি এক লিটারে ৬.৭ থেকে ১৩.৯ পিস পর্যন্ত প্লাস্টিক পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

গত বুধবার গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক ও ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হিরোশি ওকোচি বলেন, ‘বায়ুবাহিত প্লাস্টিকের দূষণ যদি সক্রিয়ভাবে সমাধান করা না হয়, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত ঝুঁকি বাস্তবে পরিণত হবে। বিষয়টি ভবিষ্যতে অপরিবর্তনীয় এবং গুরুতর পরিবেশগত ক্ষতির কারণ হতে পারে।’

ওকোচি জানান, বায়ুবাহিত মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলো বায়ুমণ্ডলের ওপরের অংশে পৌঁছালে এগুলো সূর্যালোক থেকে অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসে এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস সৃষ্টিতেও এগুলো ভূমিকা রাখে। কিন্তু বায়ুবাহিত মাইক্রোপ্লাস্টিকের এই বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা এখনো সীমিত পর্যায়ে রয়েছে।


সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতিতে আহত ৬ অভিনয়শিল্পী হাসপাতালে

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১২ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ পিএম


সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতিতে আহত ৬ অভিনয়শিল্পী হাসপাতালে
মারধরে আহত অভিনয়শিল্পী শিশির সরদার (বামে), চিত্রনায়িকা রাজ রিপা (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলমান সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে খেলতে নেমে দুই দলের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে। সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় ৬ জন শিল্পী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপঙ্কর দীপনের টিম। খেলা চলাকালীন মাঠের বাইরে থাকা দুই দলের সতীর্থদের মধ্যে উত্তেজনা ছাড়িয়ে পড়ে, যা মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

তবে ম্যাচ শেষে রাত সাড়ে ১১টার পর আবারও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। সেখানে নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ ও অভিনেতা শরিফুল রাজ গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ করেছেন নায়িকা রাজ রিপা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

দীপনের দলের খেলোয়াড়দের একজন অভিনেতা মনির হোসেন শিমুল অভিযোগ করে বলেন, তারা বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে আমাদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এটা কোন ধরনের সিসিএল খেলা? এখানে তো ক্রিকেট খেলছে না তারা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে।

একই দলের আরেক খেলোয়াড় চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী বলেন, রাজ ভাইয়ের টিম থেকে আমাদের দলের ওপর আক্রমণ শুরু করে। তারা বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসেছে। আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে একজনকে তুলে নিয়ে মারধর করতে শুরু করে। এর মধ্যে মৌসুমী হামিদ আহত হন।

ঘটনার বিষয়ে দীপঙ্কর দীপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অফিসিয়ালি বক্তব্য দেব। এখানে গোপন করার কিছু নেই। আমি মনে করি, ঢালাওভাবে শিল্পী সমাজের ওপর এর দায় চাপানো খুবই ভুল হবে। আমরা সবাই ব্যাপারটা নিয়ে খুবই মর্মাহত। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, শিল্পী নাম ধরে কিছু অশিল্পী মানুষ আমাদের মধ্যে ঢুকে গেছে, যারা আসলে পুরো অরাজকতা তৈরি করেছিল।

তবে এ ঘটনার পরপরই দল নিয়ে মাঠ থেকে বেড়িয়ে যান মোস্তফা কামাল রাজ। ফলে তার কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এই সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগে (সিসিএল) মোট আটটি দলে ভাগ হয়ে লড়ছেন শোবিজের তারকারাসহ কলাকুশলীরা। প্রতি দলে নারী-পুরুষ তারকারা অংশ নিচ্ছেন। এসব দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, দীপংকর দীপন, সকাল আহমেদ, মোস্তফা কামাল রাজ ও রায়হান রাফী।


জাতীয় স্কুল ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ পিএম


জাতীয় স্কুল ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়

'যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে,হবেই হবে দেখা দেখা হবে বিজয়ে'-গানটির এ লাইন আবারো প্রমান করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিটি ম্যাচে একের পর এক দুর্দান্ত জয় দিয়ে অবশেষে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।

আজ (রোজ শনিবার) সকাল ৯ ঘটিকায় সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অঘোষিত ফাইনাল খেলায় চাপা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ ছিল
গোলাপ অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়। এ ম্যাচে পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়কে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। একটি করে গোল করে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিমন, শাওন ও শাকিল।

৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয় লীগ ভিত্তিক। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগে থেকেই লীগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল পর্যায়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আজকের ম্যাচে কমপক্ষে ড্র বা ১ পয়েন্ট দরকার ছিল।

অঘোষিত ফাইনাল খেলায় শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ দলের উপর একের পর এক আক্রমণে কুপোকাত করে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা। এর ফলও তারা পায় ম্যাচের মাত্র ৩৬ মিনিট। গৌরব কর্মকার লিমনের অসাধারণ গোলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড পায় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় খেলোয়াড়েরা। এবার জ্বলে ওঠে গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা স্ট্রাইকার শাওন। দুর্দান্ত এক গোল করে শাওন। ম্যাচের ঠিক শেষ দিকে আর একটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে শাকিল। আর সেই সাথে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয়।

ম্যাচে শেষের বাঁশি বাজার সাথে সাথেই মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও শিক্ষকরা আবেগে আপ্পলুত হয়ে পরে।

মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই অর্জন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় তথা পুরো গাইবান্ধা জেলার। তিনি আরও বলেন, তার স্কুলের ছেলেরা একদিন জাতীয়দলে খেলবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

 

 

অনুসরণ করুন