সৌদিতে নির্যাতন, দেশে ফিরতে রুজিনার আকুতি
গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি আরবে গিয়ে নির্যাতনেব শিকার হচ্ছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার উছমানপুর গ্রামের রুজিনা আক্তার (২৭)। পরিবারের কাছে পাঠানো একটি ভিডিওতে তার ওপর নির্যাতন হচ্ছে জানিয়ে দেশে ফেরার জন্য আকুতি জানিয়েছেন।
এরপর থেকে তার পরিবার ও স্বজনরা উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন। ওই ভিডিওতে রুজিনা আক্তার তার ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে জানান। সেই সাথে সে তার উপ বর্বরোচিত নির্যাতনের বর্ননা দেয়।
নির্যাতনের বিষয়ে রুজিনা আক্তার ওই ভিডিওতে জানান, তার সমস্ত শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। হাত-পায়ে গরম পানি ঢেলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে এখন পর্যন্ত কোন চিকিৎসা দেয়া হয়নি।
এদিকে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রুজিনা আক্তারের বাবা উপজেলার দক্ষিণ উছমানপুর গ্রামের সুন্দর আলী মেয়েকে দেশে ফেরাতে দালাল দুলাল মিয়া ও রিক্রুটিং এজেন্সি মডেল এভিয়েশন সার্ভিসের স্বত্ত্বাধিকারী মো. আজাদকে আসামী করে হবিগঞ্জের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে তিনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগও দিয়েছেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন।
রুজিনার বাবা সুন্দর আলী জানান, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর দালাল দুলাল মিয়া ঢাকার মডেল এভিয়েশন সার্ভিসের মাধ্যমে রুজিনাকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে পাঠান। উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে সেখানের একটি বাসায় কাজ করতে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নির্যাতনে রুজিনা অসুস্থ হয়ে গেলেও তাকে চিকিৎসা না দেয়ায় দিনদিন শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। যে কারণে সৌদি আরব থেকে দ্রুত দেশে ফিরে আসার জন্য আকুতি জানিয়েছেন রুজিনা আক্তার।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, রুজিনা আক্তার খুবই গরীব ঘরের মেয়ে। নিজের পরিবারের অস্বচ্ছলতা দূর করতে দালালের মাধ্যমে সৌদি আরব যান। কিন্তু নির্যাতনের কথা জানিয়ে রুজিনার ভিডিও দেখে দুঃখ পেয়েছি। তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা দরকার।
এএজেড