চৈত্রের খরতাপে দুর্বিষহ নওগাঁর জনজীবন

১১ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৫৯ পিএম | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৪ পিএম


চৈত্রের খরতাপে দুর্বিষহ নওগাঁর জনজীবন

নওগাঁয় চৈত্রের তীব্র তাপদাহে জনজীবন ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। প্রাণ ও প্রকৃতি রুষ্ট হয়ে উঠেছে। মানুষজন ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না। অতি প্রয়োজনে বের হলেও দুর্বিষহ গরমে নাকাল হয়ে পড়ছেন। অপরদিকে দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় চলতি রোপা আবাদের কাঙ্ক্ষিত ফলন বিপর্যয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি কামনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে শহরের মুক্তির মোড় এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কয়েকদিন ধরে খুব রোদ ও গরম। সড়কের পিচগুলো থেকে গরমের তাপ বের হচ্ছে। তাপে হাত, পা, মুখ পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এভাবে আমাদের রিকশা চালাতে খুব কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।

শ্রী গোপাল রবিদাস নামের স্থানীয় এক দিনমজুর বলেন, গত ৭ দিন নওগাঁয় প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কাজ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি একটু বৃষ্টি হতো, তবে প্রশান্তি পাওয়া যেত। এত গরম ও রোদ আর সহ্য করা যাচ্ছে না।

জেলার বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. হামিদুল হক জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয় ৩৭ শতাংশ।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আরও বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে অতি নিকটে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা এবং আবহাওয়ার তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

এ বিষয়ে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষের সর্দি, কাশি, জ্বর ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বৃদ্ধ এবং শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই গরমে হিটস্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই তিনি সাধারণ মানুষকে অতি প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বের না হতে আহ্বান জানিয়েছেন এবং বেশি করে তরল খাবার খেতে পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠ-ঘাট সব শুকিয়ে খাঁ খাঁ করছে। মাঠে মাঠে এখন বোরো মৌসুমে ধানের শীষ বের হওয়ার সময় অতিবাহিত করছে। এসময় ধানের জমিতে পানির বিশেষ প্রয়োজন। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের কাঙ্ক্ষিত ফলন বিপর্যয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জেলার সাপাহার উপজলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।

এসজি


সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ জুলাইয়ে, অংশ নেবে ৮ দল

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০০ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:১০ পিএম


সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ জুলাইয়ে, অংশ নেবে ৮ দল
সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের দাবি ছিল দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চল- সাফের দেশগুলোর সেরা সেরা ক্লাব নিয়ে একটি চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করার। এই দাবি বাস্তবায়ন করা হবে বলে দীর্ঘ সময় পার করে ফেলেছে সাফ নির্বাহী কমিটি। অবশেষে সেই ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। আগামী জুলাইয়ে প্রথম সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সাফ নির্বাহী কমিটির সূত্রে জানা গেছে, বহুল প্রতিক্ষিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ক্লাব নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের যাত্রা শুরু হবে আগামী জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে। আজ সাফের কম্পিটিশন কমিটির সভায় এই অঞ্চলের নতুন এই টুর্নামেন্টের ফরম্যাট ও বাইলজ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সভা শেষে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা আজকের সভায় সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের ফরম্যাট ও বাইলজ অনুমোদন করেছি। সাত দেশের মোট আটটি ক্লাব নিয়ে হবে প্রথম এই টুর্নামেন্ট। দুটি দল খেলবে ভারত থেকে। কারণ, তারা এই অঞ্চলে ফিফা র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ দেশ। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ মোট ১৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।’

আনোয়ারুল হক হেলাল টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য তারিখও জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খেলা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জুলাই। ওইদিন দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।’

সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে এএফসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টের সূচির কোনো সংঘর্ষ হবে কি না? জানতে চাইলে আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে এএফসি কাপ ও এএফসি ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের উইন্ডোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। যে কারণে, এই অঞ্চলের যে ক্লাবগুলো এএফসির টুর্নামেন্টে খেলছে, তারা সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বা তৃতীয় দল নতুন এই টুর্নামেন্টে খেলবে। কারা খেলবে সেটা ওই দেশের ফেডারেশন আমাদেরকে নাম পাঠাবে।’


বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের বড় দুঃসংবাদ দিলো যুক্তরাজ্য

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫২ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম


বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের বড় দুঃসংবাদ দিলো যুক্তরাজ্য
ছবি সংগৃহিত

বিদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মী প্রবেশ সীমিত করতে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যে কাজের ভিসা পেতে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ন্যূনতম বেতনের সীমা বৃদ্ধি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবার নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সীমিত করার সিদ্ধান্ত।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অভিবাসী প্রবেশ ব্যাপক হারে বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে দেশটিতে নতুন অভিবাসীর সংখ্যা ছিল রেকর্ড ৭ লাখ ৪৫ হাজার। এটি যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতেও বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে।

চাপের মুখে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, অভিবাসী অনেক বেশি। এটিকে নামিয়ে আনার জন্য আজ আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। অভিবাসন যেন যুক্তরাজ্যের জন্য সবসময় উপকারী হয়, তা নিশ্চিত করবে এই পদক্ষেপগুলো।

ব্রিটিশ সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, কেবল স্নাতকোত্তর গবেষণা ডিগ্রিতে পড়া বিদেশি শিক্ষার্থীরাই পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিতে পারবেন। এর বাইরে কোনো শিক্ষার্থী পরিবারের সদস্যদের নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।

এছাড়া, দক্ষ কর্মী ভিসার জন্য বিদেশিদের বেতন ন্যূনতম বেতনের সীমাও বাড়াতে চলেছে যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ভিসা পেতে হলে ন্যূনতম ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড আয় করতে হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৫৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। বর্তমানে এই আয়ের সীমা হচ্ছে ২৬ হাজার পাউন্ড (৩৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা প্রায়)।

এসব সিদ্ধান্ত আগামী বছরের শুরুর দিকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ক্লেভারলি।

কী কী রয়েছে যুক্তরাজ্যের নতুন পরিকল্পনায়:

১. বিদেশি সেবা কর্মীদের পরিবারের সদস্য নিয়ে আসা বন্ধ করা এবং ভিসা স্পন্সর করার জন্য ইংল্যান্ডের কেয়ার ফার্মগুলোকে কেয়ার কোয়ালিটি কমিশনে নিবন্ধিত হওয়া। নতুন নিয়মের কারণে ২০২৪-২৫ সাল নাগাদ এই পদ্ধতিতে আগমন ২০ শতাংশেরও বেশি কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২. দক্ষ কর্মী ভিসায় যাওয়া ব্যক্তিদের ন্যূনতম বার্ষিক আয় এক-তৃতীয়াংশ বাড়িয়ে ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড করা।

৩. ঘাটতি থাকা পেশাগুলোর জন্য ২০ শতাংশ বেতন ছাড়ের অবসান ঘটানো এবং ঘাটতি পেশার তালিকা সংস্কার করে বিদেশ থেকে কম খরচে কর্মী গ্রহণ বাতিল করা।

৪. পারিবারিক ভিসার জন্য দক্ষ কর্মীদের ন্যূনতম আয়ের (৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড) দ্বিগুণ আয় থাকা।

৫. শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম কঠোর করা। এর জন্য স্নাতক রুট পর্যালোচনা করবে একটি উপদেষ্টা কমিটি।

 


সেনাবাহিনীও নির্বাচনের মাঠে থাকবে: ইসি আলমগীর

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩০ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৯ পিএম


সেনাবাহিনীও নির্বাচনের মাঠে থাকবে: ইসি আলমগীর
মতবিনিময় সভা। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনকে প্রতিহত করতে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংস ঘটনা ঘটলেও তা ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেছেন, ভোটারদের ভালো উপস্থিতি থাকবে। নির্বাচনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে থাকবে সেনাবাহিনীও।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোহাম্মদ আলমগীর।

ইসি আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর বিদেশিদের চাপ একেবারেই নেই। তারা এসে আমাদের কাছে যেটা জানতে চান সেটা হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কী কী কাজ করেছি। আমাদের প্রস্তুতি ও নির্বাচনের পরিবেশ দেখে এখন পর্যন্ত বিদেশিরা সন্তুষ্ট। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সাজেশন দেওয়া হয়নি, চাপ তো নয়ই। বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনই সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছে।

নির্বাচনকে ঘিরে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নেই উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, যে কোনো কাজ করতে গেলেই চ্যালেঞ্জ থাকে। ছোটখাটো চ্যালেঞ্জ তো আছেই। তবে কর্মকর্তারা এমন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি যেটা আমাদের কাছে বড় ইস্যু হিসেবে দেখা দিয়েছে।

প্রশাসনে রদবদলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচনে অতীতেও জেলা প্রশাসন পর্যায়ে কখনো কখনো পরিবর্তন করা হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসার শর্ত হিসেবে যে দাবিগুলো তুলেছিল, এর মধ্যে একটা দাবি ছিল প্রশাসনের রদবদল করতে হবে। তার একটা অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।

অনুসরণ করুন