মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মাদকসেবীদের আখড়া, কাজে আসছে না যাত্রী ছাউনি

ঠাকুরগাঁওয়ের আঞ্চলিক সড়কগুলোর পাশে নির্মিত অধিকাংশ যাত্রী ছাউনি এখন কোনো কাজেই আসছে না। প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয় করা হলেও মুখ থুবরে পড়ে আছে নির্মিত এসব যাত্রী ছাউনি। তবে মাদকসেবীদের আড্ডা ছাড়া কোনো কাজে আসছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় সরকার ও জেলা পরিষদ জানিয়েছে, আন্তঃ জেলায় প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের আওতায় ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৪৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকায় ২৯টি ও জেলা পরিষদের আওতায় ২০০০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সাড়ে চৌদ্দ লাখ টাকায় ১৮টি সর্বমোট ৪৭টি যাত্রী ছাউনি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

জানা যায়, সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ঠাকুরগাঁও জেলার অভ্যন্তরীণ প্রতিটি সড়কের পাশে প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ যাত্রী ছাউনি নির্মাণ বাস্তবায়ন করেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তিন চাকার যানবাহনের দাপটে গড়েয়া, রুহিয়া, লাহিড়ী, ভাউলারহাট, বালিয়াডাঙ্গীসহ বেশকিছু আঞ্চলিক সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপরও এসব সড়কের পাশে প্রতি বছর গড়ে তোলা হচ্ছে যাত্রী ছাউনি। যা এখন আর কোনো কাজেই আসছে না। সুবিধামত স্থান থেকেই তিন চাকার যানবাহন ইজিবাইক, পাগলু, অটোরিকশাযোগে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন সাধারণ যাত্রীরা। ফলে রোদ, বৃস্টি এবং দুর্যোগ সহনীয় নির্মিত এসব যাত্রী ছাউনি মুখ থুবরে পড়ে আছে। সরকারের এসব স্থাপনা দেখভালের অভাবে নস্টও হচ্ছে। পরিণত হয়েছে নেশাখোরদের আড্ডা খানায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে জেলার বেশির ভাগ যাত্রী ছাউনি। ঠাকুরগাঁওয়ে ৪৭টি যাত্রী ছাউনি থাকলেও বেশির ভাগই ব্যবহার করার পর্যায়ে নেই। মাদকসেবী, ভিক্ষুক ও ভবঘুরেদের দখলে রয়েছে অনেক যাত্রী ছাউনি। অন্যগুলোর মেঝেও ভাঙা। কোনোটির বসার জায়গা ধুলাবালিতে একাকার হয়ে আছে। কিছু যাত্রী ছাউনি দেখে বোঝার উপায় নেই যে সেখানে কখনো বসার ব্যবস্থা ছিল। যাত্রীদের জন্য বর্ষায় বৃষ্টি আর রোদ থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় সরকার ও জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকা যাত্রী ছাউনিগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অনেক আগেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আন্তঃ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যাত্রী ছাউনি সদরের আকচা ইউনিয়নে, যা কোনো কাজে আসছে না। প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বেশ কিছু অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার সুব্রত কুমার বর্মন। সরকারের লাখ লাখ টাকায় নির্মিত যাত্রী ছাউনিগুলো ব্যবহার হচ্ছে না। এ ছাড়াও অন্যান্য আন্তঃ সড়কেও নির্মিত ছাউনিগুলো অবস্থা একই। অপরিকল্পিতভাবে যাত্রী ছাউনি গড়ে তোলার কারণে সরকারের অর্থ অপচয় হচ্ছে বলে জানান তারা।

রুবেল ইসলাম নামে এক গাড়ি চালক জানান, সড়কগুলোতে নির্দিষ্ট স্টপেজ করা থাকলেও যাত্রীরা তাদের সুবিধামত স্থানে উঠতে-নামতে চায়। ফলে যাত্রীরা যেখানে বলে সেখানে গাড়ি থামে। সব যাত্রী নির্দিষ্ট স্টপেজে অপেক্ষা করলে চালকরা বাধ্য হয়ে ওই জায়গায় গাড়ি থামাবে।

তিনি স্বীকার করেন, মহাসড়কের ওপর যাত্রী উঠা-নামা করাতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনাও ঘটছে ।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়, স্থানীয় সরকারের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর শফিকুল আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, সাধারণ যাত্রীদের সুবিধার্থে সংশ্লিস্ট জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার কারণেই এসব যাত্রী ছাউনি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এখানে কাজ যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় সেই বিষয়ে তদারকি করার দায়িত্ব আমাদের।

এসআইএইচ

 

কাতারের আমিরের নামে ঢাকায় সড়ক ও পার্কের নামকরণ

ছবি: ফোকাস বাংলা

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীতে একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ নামকরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিমের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। ওই সময় মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসড়ক পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে সড়কটির নামকরণ করা হয়।

এর আগে সকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে কাতারের আমির শেখ তামিম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

পাঁচ চুক্তির মধ্যে আছে—উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দু’দেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

পাঁচ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে আছে—কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

ইসলাম গ্রহণ করেছেন বিখ্যাত ডাচ অভিনেতা ডনি রোয়েলভিঙ্ক

ডনি রোয়েলভিঙ্ক। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় ডাচ অভিনেতা ও মডেল ডনি রোয়েলভিঙ্ক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। গত ১৯ এপ্রিল স্থানীয় এক মসজিদে জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের সামনে কালিমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি।

নেদারল্যান্ডসের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, স্থানীয় এক মসজিদে জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের সামনে কালিমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি।

ডনি রোয়েলভিঙ্ক। ছবি: সংগৃহীত

তার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে নিজেই প্রকাশ করেছেন অভিনেতা। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি জানি আপনারা আমাকে অনুসরণ করেন। আপনারা অনেকই হয়তো জানেন, গতকাল আমার জীবনের একটি বিশেষ দিন ছিল।’

ডনি রোয়েলভিঙ্কের ইসলামের প্রতি আগ্রহী হওয়ার বিষয়ে দ্য টেলিগ্রাফ লিখেছে, ২০২২ সালে বন্ধুদের সঙ্গে একটি ফিটনেস ভিডিও শুট করার সময় তিনি আহত হয়েছিলেন। সে দুর্ঘটনায় তাঁর পাঁচটি পাঁজর ভেঙে যাওয়ায় কয়েক সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

একই বছর অভিনেতার অণ্ডকোষ ক্যানসার ধরা পড়ে। ওই দুটি ঘটনায় তিনি একেবারে ভেঙে পড়েন। হৃদয়ে প্রশান্তি খুঁজতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ইসলাম ধর্মে শান্তি খুঁজে পান এ অভিনেতা। এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ ধরে ডনি রোয়েলভিঙ্ক মসজিদে যান। রমজানে রোজাও পালন করেন। অল্প অল্প করে কোরআন তিলাওয়াত শিখতে থাকেন। এই সবকিছুই তার মনে পরিবর্তন আনতে থাকে। ভালোলাগা ও প্রশান্তি অনুভব করেন তিনি। আর সে জন্যই তিনি ইসলামের ছায়াতলে চলে আসেন।

আপাতত বিয়ের প্ল্যান নেই, এনজয় করছি : জয়া আহসান

অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

দেশের শোবিজ অঙ্গনে দুই দশকের বেশি সময় ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দুই বাংলার দর্শকনন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। মডেলিং ও নাটক দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও চলচ্চিত্রে ভিন্ন মাত্রার চরিত্রে অভিনয় করে জায়গা করে নিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীদের মনে।

১৯৯৮ সালের ১৪ মে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মডেল ও অভিনেতা ফয়সাল আহসানকে। তবে শেষ অবদি টেকেনি তাদের সেই সংসার। ২০১১ সালে ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন জয়া-ফয়সাল। এরপর থেকে একাই জীবন পার করছেন এই দুই তারকা। সম্প্রতি বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন জয়া।

দেশের এক গণমাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন জয়া। এ সময় তিনি জানান, কখনও যদি অভিনেত্রীর মনে হয়, জীবনে কাউকে প্রয়োজন তবেই নতুনভাবে বিয়ের চিন্তা-ভাবনা করবেন। তবে আপাতত বিয়ের কোনো প্ল্যান নেই জয়ার।

জয়া বলেন, আমার বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারাও আছেন। আমার পোষ্যরাও আছে। তাদেরকে সবাইকে নিয়ে খুবই ভালো আছি।

তিনি আরও বলেন, আমি তো কোনো কিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হব। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, বর্তমানে আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি।

অভিনেত্রী ভাষ্য, তরুণ কীভাবে আছি জানি না, তবে সময়টাকে উপভোগ করাটাই মনে হয় সবচেয়ে বড় বিষয়।

পরবর্তী কাজ প্রসঙ্গে জয়া বলেন, বাংলাদেশে এখন পরিচালক আশফাক নিপুণের সঙ্গে একটি ওয়েব সিরিজ। যেটা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ হবে। আর ভারতেও অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর একটি কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।

সর্বশেষ সংবাদ

কাতারের আমিরের নামে ঢাকায় সড়ক ও পার্কের নামকরণ
ইসলাম গ্রহণ করেছেন বিখ্যাত ডাচ অভিনেতা ডনি রোয়েলভিঙ্ক
আপাতত বিয়ের প্ল্যান নেই, এনজয় করছি : জয়া আহসান
চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
ছুটিতে বাড়ি গিয়ে হিটস্ট্রোকে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে ‘পদ্মশ্রী’ নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার
বুড়িচং সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
বোরকা পরে বালিকা মাদরাসায় ফাহিম, ধরা পড়ে খেলেন গণপিটুনি
তাইওয়ানে কয়েক ঘন্টায় ৮০ বার ভূমিকম্প অনুভূত
এবার ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা
ঢাকায় পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ
ঢাকাসহ ৪ অঞ্চলে ধেয়ে আসছে ঝড়
যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া !
কাতারের আমিরের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আজ
‘বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব’ গঠন করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
নওগাঁয় গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস পেলেন বনি আমিন ও সবুজ মাহমুদ সহ ১৫ সাংবাদিক
রাজধানীতে হিট স্ট্রোকে রিকশা চালকের মৃত্যু