শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫ | ১৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

রমজান সামনে রেখে ছোলার বাজারে উত্তাপ

রমজানকে সামনে রেখে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ছোলার বাজার। রমজানের সবচেয়ে মুখরোচক এই খাবারের চাহিদা সারাবছর জুড়ে যতো না তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি থাকে রমজান মাসে। আর এই সুযোগেই অসাধু ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে ছোলার দাম বাড়াতে শুরু করেছেন। ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজির ছোলা এখনই বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। যদিও রমজানের চাহিদা মাথায় রেখে ইতোমধ্যে ছোলা আমদানিও শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতে খুব একটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে ছোলার চাহিদা দেড় লাখ টন। রমজানে ইফতারির অন্যতম উপকরণ হিসেবে ছোলার চাহিদা বাড়ে। রমজান মাসের চাহিদা বিবেচনা করে গত চার মাসে অতিরিক্ত প্রায় দেড় লাখ টন ছোলা আমদানি করতে এলসি খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো দেশে চলেও এসেছে।

রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং টিসিবি, ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এফবিসিসিআই সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দেশে ছোলার চাহিদা বছরে দেড় লাখ টন। রমজান মাসে এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত দরকার হয় এক লাখ টন। অন্যান্য মাসে দশমিক ৫ টন প্রয়োজন হয়। আর দেশে উৎপাদন হয় দশমিক ৬ টন। তারপরও আমদানি হয়েছে ২ লাখ টনের মতো। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ছোলার দর হচ্ছে ৬৯ টাকা ৬৫ পয়সা। এক মাস আগে ছিল ৬৮ টাকা ৯২ পয়সা। আর এক বছর আগে ছিল ৭৪ টাকা ৭৫ পয়সা।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অন্যান্য পণ্যের মতো রমজানকে সামনে রেখে ছোলার আমদানি গত চার মাসে অনেক বেড়েছে। তাদের তথ্যমতে, গত অক্টোবরে এলসি খোলা হয়েছে ৮ হাজার ৬১০ টন, নভেম্বরে প্রায় ১৭ হাজার টন, ডিসেম্বরে প্রায় ৫০ হাজার টন। আর গত জানুয়ারি মাসে এলসি খোলা হয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার টন। এভাবে চার মাসে এলসি খোলা হয়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার টন।

ইতোমধ্যে এলসি খোলা ছোলার একটা বড় অংশ দেশে চলে এসেছে। গত জুলাই থেকে ডিসেম্বরে এলসি নিষ্পত্তি (দেশে এসেছে) হয়েছে সাড়ে ৫৩ হাজার টন। জানুয়ারিতে এসেছে ২১ হাজার টন। সাত মাসে দেশে ছোলা এসেছে ৭৪ হাজার ৫০০ টন। আর চাহিদা ৩ টনেরও কম। পর্যাপ্ত ছোলা থাকার পরও হঠাৎ করেই রমজানের আগে আগে ছোলার দাম বাড়ছে কোনো কারণ ছাড়াই।

টিসিবির সূত্র বলছে, বর্তমানে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। অথচ এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। আর ঠিক একমাস আগে খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি করেছেন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। এক বছর আগে ছিল ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা।

এদিকে ভোক্তারা বলছেন, এত আমদানির পরও রমজান মাসকে সামনে রেখে ছোলার দাম কেন বাড়ছে এটা তাদের মাথায় যাচ্ছে না। মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে কথা হয় ক্রেতা নুরুল হুদার সঙ্গে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আসলে দেশে হচ্ছে কী? সরকার বলছে, চাহিদার চেয়ে বেশি আছে। দামও কম। কিন্তু বাজারে এসে দেখি কোনো মিল নেই। কয়েক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।

টাউনহলের মনির জেনারেল স্টোরের মনির ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা কী করব? ৮৪ টাকা কেজি কিনে ৯০ টাকায় বিক্রি করছি। যা কয়েক মাস আগেও ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। আমরা পাইকারদের কাছ থেকে কিনে থাকি। গোড়াতেই দাম বাড়াচ্ছে। তাদের ধরলেই বাজার স্থির থাকবে। আমদানিকারকদের সিন্ডিকেটেই দাম বাড়াচ্ছে।

শুধু টাউনহলই নয়, বাড়তি দামে ছোলা বিক্রি হচ্ছে কারওয়ান বাজারসহ সব বাজার এবং পাড়া-মহল্লার দোকানেও।

কারওয়ান বাজারের আল্লাহর দান স্টোরের শাহ আলম বলেন, আমরা সামান্য লাভে বিক্রি করি। মূল্য তালিকা ঝুলানো আছে। এর বেশি দামে বিক্রি করি না। এ সময় আলী হোসেন নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখনো রমজান আসতে একমাস বাকি। তারপরও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গেছে। দেখার কি কেউ নেই?

মোহাম্মদপুরের ফিউচার মডেল টাইন হাউজিংয়ের আল আমিন এন্টারপ্রাইজের আনোয়ার হোসেনও বলেন, বেশি দামে কেনা। আমরা অল্প লাভে বিক্রি করি।

এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মজুদ, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন, কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে কেউ যাতে বাজার অস্থিতিশীল না করে। সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন থাকতে হবে।

সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেছেন, সারাবিশ্বে যেখানে উৎসব এলে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম কমিয়ে দেন, সেখানে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। উৎসবে পণ্যের দাম বাড়ানোর সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পের কারণে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। এর উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের পাশের দেশ মিয়ানমারের মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন

ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নতুনভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠিত হয়েছে, যা ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। এই তথ্য দিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

মীর স্নিগ্ধ জানান, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থান নিয়ে একটি অধিদপ্তর করা হয়েছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি সেই অধিদপ্তরের নাম ‘জুলাই অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’। সেই অধিদপ্তরটি ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। এ অধিদপ্তরের কাজ হলো সরকারিভাবে জুলাই এবং আগস্ট যারা শহীদ হয়েছে এবং আহত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসনসহ পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করা।

সিগ্ধ আরও জানান, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হয় সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে। আজকে পর্যন্ত ৭৪৫ জন শহীদ পরিবারকে ৩৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা সহায়তা করতে পেরেছি। গেজেটভুক্ত শহীদ পরিবারের মধ্যে ৮৭.১৩ শতাংশ পরিবারের কাছে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি। আহতদের মধ্যে ৫ হাজার ৫৯৬ জনকে ৫৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা সহায়তা করতে পেরেছি। তালিকাভুক্ত মোট আহতের ৩৮.৩৯ শতাংশের কাছে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৬ হাজার ৩৪১ জনকে ৯৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

‘ইদ’ থেকে ‘ঈদ’ বানানে ফিরছে বাংলা একাডেমি: আসিফ মাহমুদ

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় আট বছর আগে ‘ঈদ’ থেকে ‘ইদ’ বানান নির্ধারণ করেছিল বাংলা একাডেমি। এবার শব্দটির সেই আগের বানানেই ফিরছে দেশের ভাষানিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টার পোস্টে লেখা হয়েছে, বাংলা ভাষার শুদ্ধতা ও ঐতিহ্য রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলা একাডেমি–‘ইদ’ থেকে ‘ঈদ’ বানানে ফেরার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।

বাংলা একাডেমি ফেসবুক পেজে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখা একটি কার্ডেও ‘ইদ’ ব্যবহার করা হয়েছে। একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম এতে সই করেছেন।

ড. মোহাম্মদ আজম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ঈদ’ বানানের মতো বিতর্কিত কিছু শব্দের পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে বাংলা একাডেমি। কমিটির সুপারিশে বাংলা একাডেমির অভিধানে নতুন সংস্করণে এই পরিবর্তন আনা হবে।

২০১৭ সালের দিকে বাংলা একাডেমি ‘ঈদ’ শব্দের বানান ‘ইদ’ লেখার প্রস্তাব করলে তখন ব্যাপক সমালোচনা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন
‘ইদ’ থেকে ‘ঈদ’ বানানে ফিরছে বাংলা একাডেমি: আসিফ মাহমুদ
গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পিকআপের ধাক্কা, নিহত ২
কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ৪ ভারতীয় পুলিশ সদস্য নিহত
সফল বৈঠক, ড. ইউনূসকে দৃঢ় সমর্থন চীনা প্রেসিডেন্টের
আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা: রমজানের শেষ জুমার তাৎপর্য
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার যানবাহন পারাপার, কমছে টোল আদায়ের হার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ঝরল আরও ৪০ প্রাণ, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
সন্‌জীদা খাতুনের শেষ ইচ্ছা: চিকিৎসা গবেষণার জন্য দেহ দান
গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকিরুল গ্রেফতার
কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরি হারানোর অভিযোগ এক নারী পোশাককর্মীর
লাইলাতুল কদরের সন্ধানে ইবাদতে মশগুল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা
৫ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়লো
চুয়াডাঙ্গায় যুবকের কোমরে মিলল ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার স্বর্ণ
জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে: বিষ্ণোইয়ের হুমকি প্রসঙ্গে সালমান খান
গুলশানে কয়েদির বেশে দেখা মিলল আফরান নিশোর
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এখন থেকে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ এভিনিউ’