মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সাকার মাছ খাওয়া ও চাষ নিষেধ

‘সাকার মাউথ ক্যাট ফিশ’। বৈজ্ঞানিক নাম ‘ইপসতোমুস প্লেকসতোমুস’। সংক্ষেপে ‘সাকার মাছ’ বা ‘সাকার ফিশ’। মূলত অ্যাকুয়ারিয়ামের। খুব দ্রূত বংশবিস্তার করে। প্রধান খাবার জলজ পোকামাকড় ও জলজ শ্যাওলা। বাগে পেলে ছোট মাছ ও পোনা খাওয়ায় জুড়ি নেই। মাছটির পাখনা খুব ধারালো। শরীর শক্ত। ফলে আঘাত করে অন্য মাছগুলোকে ক্ষত করে ফেলে ও তার বিষে পচন ধরে এবং মাছগুলো মরে। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক ও তাদের ছাত্রছাত্রীদের সাকার মাছ নিয়ে গবেষণা নিয়ে আরো লিখেছেন তাদের ছাত্র রবিউল ইসলাম রাকিব

বাংলাদেশেও অ্যাকুয়ারিয়ামে শোভা বাড়ানোর জন্য চেয়েও সেখানের ময়লা খেয়ে পরিস্কার এবং শৈবাল খেয়ে পরিচ্ছন্ন ও পানির অক্সিজেন প্রবাহ তৈরির জন্য সাকার ফিশ নিয়ে আসা হয়েছে। তবে অ্যাকুয়ারিয়াম থেকে এখন ছড়িয়েছে ডোবা, নালাসহ নানা ধরণের জলাশয়ে। ফলে জলজ বাস্তুসংস্থানের অন্যান্য উপাদান নানা জাতের মাছের পোনা খেয়ে অ্যাকুয়ারিয়ামে গড়ে মোটে ১.৬৬ ফিটের রাক্ষুসে মাছটি আমাদের জলাভূমির সম্পদ উজাড় করে চলেছে ও বড় হচ্ছে। ফলে আমাদের মাছের জাতগুলো বাঁচাতে সাকার ফিশ নিয়ে গবেষণা করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক ছাত্র, ছাত্রীরা। এই দলের প্রধান ফিশারিজ, বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকসের অধ্যাপক ও বিভাগী প্রধান ড. কাজী আহসান হাবীব। সহ-প্রধান ফিশিং অ্যান্ড পোস্ট-হার্ভেস্ট টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহাস্মদ মাসুদ রানা।

প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব বলেছেন, ‘সাকার মাউথ ক্যাটফিশ সহজেই নতুন পরিবেশে অভিযোজিত হয়। ফলে দ্রুত বংশবিস্তার করে। মাছটি যেকোনো ধরণের জলাশয়ে একবার ঢুকলে তাই এর বিস্তার রোধ করা খুব কঠিন। চাষের পুকুরেও মাছটি ঢুকলে অন্য জাতের মাছেগুলোর সঙ্গে খাবার ও বাসস্থানের প্রতিযোগিতায় নামে। এই মাছ পোনা ও ছোট মাছ খেয়ে ফেলে বলে বাইরের পর্যাপ্ত খাবার প্রদান করলেও উৎপাদন কাংখিত হতে পারে না। চাষযোগ্য মাছগুলো বিভিন্ন জলাশয়ের মতো সাকার ফিশের সঙ্গে খাবার এবং বাসস্থানের লড়াইয়ে টিকতে পারে না। মাছ চাষীরাও অন্যান্য জলাশয়ের মতো লোকসানে পড়েন।’

‘সাকার ফিশের ক্ষতিকর প্রভাবে ভারত, মায়ানমারসহ অনেক দেশের মৎস্যচাষী এবং জলাশয়গুলো ক্ষতিগ্রন্থ হয়েছে-আমরা জানি।’

অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব আরো বলেছেন, ‘আমাদের বাংলাদেশে শোভা বাড়ানো এবং কাঁচ, টিনের গায়ে এবং নীচে জন্মানো শ্যাওলা ও আবর্জনা খেয়ে পরিস্কারের জন্য সাকার ফিশের বর্ণিল ধরণ ও বিশেষ কালো জাত আমদানী করে আনা হয়েছে।’

‘তবে মানুষের ভুলে ও ভবিষ্যত না ভেবে ছড়িয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশের ডোবা, নালাসহ নানা ধরণের জলাশয়ে হামেশা মাছটি পাওয়া যাচ্ছে। অথচ এই মাছটি বাংলাদেশের জলজ বাস্তুসংস্থানের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে আমরা আগেই জানিয়েছি। আমাদের দেশী জাতের মাছের অস্তিত্বই তারা ধ্বংস করে ফেলবে।’

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান এই গবেষক বলেছেন, ‘সাকার মাছ প্রচুর খাবার খেয়ে চলে। ঢাকার নদী বুড়িগঙ্গাসহ অনেক বড় জলাশয়েও পাওয়া যাচ্ছে। তাই দেশীয় মাছগুলোর খাদ্যের জোগানে তারা তীব্র প্রতিযোগিতা তৈরি করছে। অন্য কোনো জলাশয়ে এই মাছটি যেন কোনোভাবেই ছাড়া না হয়, এই বিষয়ে সবাইকে আগ্রহী হতে হবে।’

‘আমাদের গবেষণায় আরো জানা গিয়েছে, অচেনা সাকার মাছের সঙ্গে আমাদের দেশের মাছের জাতগুলোর খাদ্য ও বাস্তুসংস্থানের প্রতিযোগিতাটিতে বাংলাদেশের মাছের জাতগুলো মারা পড়ছে। উন্মুক্ত জলাশয়গুলোতে দেশী মাছ ও পুকুরের চাষের মাছগুলো উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।’

‘সাকার মাছ প্রজাতিগতভাবে প্রাকৃতিকভাবে জলাশয়ের খাদ্যশৃংখল নষ্ট করে দেয়। তারা জলজ বাস্তুসংস্থান ধ্বংস করে। জলাশয়ে মাছের গায়ে ক্ষত তৈরি করে এবং মেরে উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। নোংরা জলাশয়কে পরিস্কারের বিরল গুণ আছে এই মাছের। আবার নোংরা পরিবেশে দ্রুততম বংশবৃদ্ধি করে। তবে এই সাকার মাছ ভালো জলাশয়ে ছড়িয়ে জলাশয়গুলোর দেশী মাছের ডিম এবং রেণুও খেয়ে ফেলে। তারা জলের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসসহ নানা ধরণের ক্ষতি করে বলে আমাদের আশংকা আছে।’

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বাংলাদেশে পাওয়া গিয়েছে সাকার মাছগুলোর এমন প্রজাতিগুলো আমরা গবেষণা করে জেনেছি, এরা ১৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি বা প্রায় দেড় ফিট পর্যন্ত হচ্ছে। তবে আরো আশংকার কথা বলো, এই মাছের বেঁচে থাকার শক্তি এত বেশি যে তারা প্রায় একটি দিন বা ২৪ ঘন্টা বাঁচে। ফলে কোথায় এই মাছ যাচ্ছে সেই বিষয়ে খুব নজর রাখতে হবে।’

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাকার মাছ নিয়ে গবেষক দলের সহ-প্রধান ফিশিং অ্যান্ড পোস্ট-হার্ভেস্ট টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মোহাস্মদ মাসুদ রানা জানিয়েছেন, ‘আমাদের মৎস্য অধিদপ্তর সাকার মাছকে কোনোভাবেই উন্মুক্ত এবং বদ্ধ কোনো ধরণের জলাশয়েই যাতে ছাড়া না হয় ও যেতে না পারে সেই নির্দেশ প্রদান করেছেন। মৎস্যখাতের সবাইকে এই দেখভাল করতে জানানো হয়েছে। এছাড়াও কোথাও কোনো সাকার মাছ পেলে সেটিকে মেরে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মাছ খাওয়া নিষিদ্ধ।’

কীভাবে সাকার মাছকে আমাদের জলাশয়গুলো থেকে কমানো সম্ভব হবে-এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব বলেছেন, ‘এই মাছটি নতুন, ছোট ও দেখতে ভিন্ন ধরণের কালো বলে এই মাছের বিষয়ে আমাদের দেশের মানুষের কোনো আগ্রহ নেই। আমাদের গবেষণাতেও সাকারের গায়ে কোনো বিষের গ্রন্থি নেই। তবে এই মাছের চাষ ও আবাদ না করলে এবং মাছটিকে মনের খুশিতে বা অন্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য না ছাড়লে হলো।’

‘এই মাছ সাগরেও পাওয়া যায়।’

আপনাদের গবেষণায় মাছ হিসেবে এই সাকার মাছ কী ধরণের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে বলতে পারি-সাকার মাছের গায়ে মোটে ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ আমিষ থাকে। তবে সাধারণ মানুষ মাছটি খেতে পারবেন কী না বা খেলে ক্ষতিকর স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যায় পড়বেন কী না সেটি আরো গবেষণার বিষয়। এই গবেষণা শেষ না হলে না খাওয়া ভালো। খেতে আমি মানা করবো। তবে আমরা জেনেছি, সাকার মাছটি খাওয়ার যোগ্য হলেও সঠিক প্রচারণা ও বাজারজাতকরণের প্রয়োজন আছে। তার আগে আমাদের দেশের মাছগুলো প্রচারণা ও বাজার তৈরি করা প্রয়োজন। তবে এই সাকার মাছের চামড়া ও পাখনা বেশ ধারালো বলে আমাদের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে রান্না ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সতর্ক থাকতে হবে। দেশী মাছগুলোতে এই সমস্যাগুলো নেই। আমাদের বাংলাদেশের গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য হিসেবে গণ্য করা হলে মাছের মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণ করার দিকে এগুনো যেতে পারে।’

‘যেহেতু বুড়িগঙ্গার মতো দূষিত নদীতে বেঁচে থাকতে পারে, ফলে এই সাকার মাছের আরো গবেষণা প্রয়োজন। আমরা এই গবেষণায় আছি। তার আগে খাবার বিষয়ে যাওয়া যাবে না। আমরা মানা করছি। আমরা আরো বলছি, বাংলাদেশে সকার ও এই ধরণের কোনো বাণিজ্যিক, শোভা বাড়ানো ও ক্ষতিকর হতে পারে, আমাদের অর্থনীতিতে ক্ষতিগ্রস্থ করে এমন কোনো মাছ ও মাছের জাত আমদানী করার কোনো দরকার নেই। আমাদের দেশের মাছগুলোই তো বাঁচতে পারছে না। বিদেশের মাছের কী দরকার? স্বাদও ভালো নয়, সাধ্যে কুলায় না প্রায় সবার।’

‘আমি বলবো, এই সাকার মাছের যেন আমাদের দেশে কোনো ধরণের কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়।’

‘বিদেশ থেকে মাছ আমদানী ও অ্যাকুয়ারিয়ামে লালনের মাছের নীতিমালা ও কার্যকর পক্ষক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দেশ, জলাশয়গুলোর জন্য ক্ষতিকর ও দেশী মাছের জাতগুলোকে হুমকিতে ফেলতে পারে, এমন যেকোনো ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণের হাত থেকে বাঁচতে ও বাঁচাতে হবে। দেশী গবেষকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ও সবার কাছে জানিয়ে মাছ যেকোনো ধরণের কাজের জন্য আমদানী করতে হবে।’

বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ মাসুদ রানা সবশেষে সাকার মাছের ক্ষতি নিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের দেশের জলাশয়গুলোর মাছগুলোকে মেরে ও খেয়ে ফেলা সাকার মাছ থেকে বাঁচতে সাকারকে শুটকি তৈরি করে পোল্ট্রি বা মৎস্য চাষের পুকুরে মাছের খাদ্যের আমিষের যোগানের ও খাবারের জন্য প্রদান করতে পারবেন। ফিশ মিলের ফিড হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করা দরকার। ফলে জলাশয়ের মাছগুলো অথনৈতিক উপযোগিতা তৈরি হবে। আমাদের মাছগুলো বাঁচবে। কমসংস্থান হবে।’

ওএস।

Header Ad
Header Ad

ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি প্লেনের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি টের পেয়ে পাইলট প্লেনটি জরুরি অবতরণ করেন। প্লেনটিতে ২৯০ জন যাত্রী ছিলেন।

মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ৭টায় এ ঘটনা ঘটে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, তার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে৭১৩ ফ্লাইটটি (এয়ারবাস এ৩৩০-৩০৩) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ৭টার দিকে ২৯০ জন যাত্রী নিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওনা দেয়। উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মাথায় পাইলট এর একটি ইঞ্জিনে (দুটি ইঞ্জিন থাকে) স্পার্ক দেখতে পান। পাইলট প্লেনটি দ্রুত অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ অবস্থায় প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে চক্কর দিয়ে তেল পুড়িয়ে সোয়া ৮টায় জরুরি অবতরণ করেন।

গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বলেন, উড্ডয়নের পরপরই পাইলট একটি ইঞ্জিনে কিছুটা স্পার্ক দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে, বার্ড হিটের ঘটনা ঘটতে পারে। তখন পাইলট তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বিমানবন্দরে ফিরে আসেন। যাত্রীরা নিরাপদ আছেন।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রীদের প্লেন থেকে অফলোড করা হয়েছে। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের হোটেলে নিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের চাকা (বাম পাশের ল্যান্ডিং গিয়ার) খুলে নিচে পড়ে যায়। তবে ফ্লাইটটি পাইলটের দক্ষতায় নিরাপদে অবতরণে সক্ষম হয়। ফ্লাইটে শিশুসহ মোট ৭‌১ জন যাত্রী ছিল।

Header Ad
Header Ad

হংকং, জিম্বাবুয়ে, আমিরাতের সাথেও পারেনা টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

হংকং, জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ম্যাচ হেরে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২০৫ রানও যথেষ্ট হলো না শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের বোলারদের পিটিয়ে এই রানও তুলে ফেললো আরব আমিরাত! ১ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটের ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলো স্বাগতিকরা!

শেষ ২ ওভারে আরব আমিরাতের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। টেলএন্ডার ব্যাটাররা কি এই রান আর তুলতে পারবে? এমন একটি ভাব ছিল বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে। যার ফলে ভুলটা করলেন শরিফুল ইসলাম। ১৯তম ওভারে তিনি দিলেন ১৭ রান। ওভারের শেষ বলে গিয়ে ওভার থ্রোতে বাউন্ডারি খেয়ে বসলেন। অহেতুক ৫টি রান হজম করে হারতে হলো টাইগারদের।

১ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটের ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলো স্বাগতিকরা। ছবি: সংগৃহীত

তবুও, শেষ ওভারে আমিরাতের প্রয়োজন ১২ রান। তানজিম হাসান সাকিব প্রথমেই দিলেন ওয়াইড। পরের বলে ১ রান। এরপর খেলেন ছক্কা। ৪ বলে ৪ রান প্রয়োজন। তৃতীয় বলটিতে দারুণ ডেলিভারি দিলেন, বোল্ড হলো ব্যাটার। ম্যাচ তখন জমে উঠলো।

তিন বলে চার রান দরকার। মাতিউল্লাহ ১ রান নিলেন। চাপের মুখে চতুর্থ বলটিকে নো করে বসলেন তানজিম। এসময় রান আউটেরও দারুণ সুযোগ ছিল। কিন্তু উইকেটরক্ষক জাকের আলির দুর্বল থ্রো এবং তানজিম সাকিবের তৎপরতার অভাবে রানআউট হলো না। পরের বলে ২ রান নিলেন হায়দার আলি। রান আউটের এবারও দারুণ সুযোগ। কিন্তু তাওহিদ হৃদয় বলটা প্রথমে থ্রো করেননি। কিন্তু যখন থ্রো করলেন তখন দেরি হয়ে গেছে। প্রথমে থ্রো করলেও রান আউট হতো নিশ্চিত।

ছোট ছোট এসব ভুলের কারণে ২০৫ রান করেও শেষ পর্যন্ত হারতে হলো বাংলাদেশকে।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম রান প্রসবিনী, আরও একবার প্রমাণ হলো। যে কারণে দুই দল মিলে টি-টুয়েন্টিতে তুলতে পারলো ৪১১ রান। এমন ম্যাচে হারতে হলো বাংলাদেশকে।

অথচ, সিরিজ জয় আজই নিশ্চিত করে ফেলার দারুণ সম্ভাবনা ছিল। আগের ম্যাচে ১৯১ রান করেও ২৭ রানে জয় পেয়েছিল লিটন দাসের দল। আজ ২০৫ রান করার পর জয় কেন নয়! এমনটাই ছিল সমর্থকদের চাওয়া।

কিন্তু ২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাতের দুই ওপেনার মুহাম্মদ জোহাইব ও মোহাম্মদ ওয়াসিম মিলে ১০৭ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়েই বাংলাদেশকে পেছনের পায়ে ঠেলে দেন। ১০.১ ওভারে তানভির ইসলাম যখন জুটি ভাঙেন তখন আরব আমিরাতের ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে।

দুই ওপেনার জোহাইব ও ওয়াসিম মিলে অনবদ্য এক জুটি গড়েই বাংলাদেশকে পেছনের পায়ে ঠেলে দেন। ছবি: সংগৃহীত

৩৪ বলে ৩৮ রান করে আউট হন মুহাম্মদ জোহাইব। এরপর রাহুল চোপড়াকে রিশাদ হোসেন দ্রুত (২ রানে) ফিরিয়ে দিলে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। দলীয় ১৪৮ রানের মাথায় বিপজ্জনক হয়ে ওঠা মোহাম্মদ ওয়াসিমের উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু ততক্ষণে জয়ের কাজ করে দিয়ে গেছেন তিনি। ৪২ বলে খেলে গেছেন ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

এরপর নিয়মিত বিরতিতেই আরব আমিরাতের উইকেট নিতে থাকে বাংলাদেশের বোলাররা। আসিফ খান ১২ বলে ১৯ এবং আলিশান শরাফু ৯ বলে ১৩ রান করে কিছুটা চড়াও হতে চাইলেও নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম তাদেরকে বেশি এগুতে দেননি। এরপর আরিয়ানস শর্মা ৭ রানে আউট হলে বাংলাদেশ জয়ের কাছাকাছি চলে আসে।

কিন্তু ধ্রুব পারাসার ১১ রান করে এবং হায়দার আলি ৬ বলে ১৫ রান করে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচটা কেড়ে নেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্য বাংলাদেশের ফিল্ডারদেরও দায় কম নয়। অভিজ্ঞতায় স্রেয়তর দল হিসেবে এসব ভুলগুলো না করলে ম্যাচ বাংলাদেশেরই থাকতো।

টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং লিটন দাস মিলে ৯০ রানের বিশাল জুটি গড়েই বড় স্কোরের ইঙ্গিত দেন। এরপর শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

ওপেনার তানজিদ তামিম ৩৩ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান করে আউট হন। তাওহিদ হৃদয় ২৪ বলে করেন ৪৫ রান এবং লিটন দাস করেন ৪০ রান। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ২৭ রান।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৮

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলিদের হামলা। চলমান এই হামলায় মধ্যরাত থেকে কমপক্ষে আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদিকে হামলার জেরে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫৩ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে।

এছাড়া গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৩৩৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) পৃথকভাবে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

আল জাজিরা বলছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর মধ্যরাত থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে এবং আরও ৩৮ জনকে হত্যা করেছে।

এদিকে কানাডা, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা গাজায় নতুন করে আক্রমণ বন্ধ না করলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে “জোরালো পদক্ষেপ” নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অন্যদিকে ২২টি দেশ অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ১৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ হাজার ৪৮৬ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ৩৬৪ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২১ হাজার ৩৯৮ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন
হংকং, জিম্বাবুয়ে, আমিরাতের সাথেও পারেনা টাইগাররা
গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৮
ভারতে বাড়ছে করোনা শনাক্ত, পুরোনো আতঙ্কে শঙ্কায় চিকিৎসকরা
চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ
নির্বাচন না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: আমীর খসরু
ইশরাক-তাবিথদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছাত্রনেতাদের বাসা ভাড়া দিয়েছি: নুরুল হক
হঠাৎ জাপান ছাড়ার হিড়িক, জাপান সফর বাতিল করেছেন অনেকেই
অভিনেতা চঞ্চলের সঙ্গে ছবি, ক্ষমা চাইলেন ইশরাক হোসেন
গোটা গাজা দখলের ঘোষণা নেতানিয়াহুর, ব্যাপক স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
ক্ষমা চাইতে হাসনাতকে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম কুমিল্লা জেলা বিএনপির
সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
দাবি আদায় করবো, না-হয় মাটির নিচে শায়িত হবো: ইশরাক
১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে সরকার: প্রেস সচিব
বিরামপুরে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
যমুনায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ!
একযোগে ১৭ পুলিশ সুপারকে বদলি, ১০ জন পেলেন অতিরিক্ত ডিআইজির দায়িত্ব
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা এনসিপির প্রধান কর্তব্য: নাহিদ ইসলাম
আদমদীঘিতে চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে বাবাকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ছেলের (ভিডিও)
ভারতের আম নিল না আমেরিকা, বিমানবন্দরে পচছে কোটি কোটি টাকার আম!