১৩ ও ১৪ পৌষ (২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর) বৃহস্পতি ও শুক্রবার ছায়ানট মিলনায়তনের সংস্কৃতি-ভবনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী শুদ্ধসঙ্গীত-উৎসব ১৪৩০। ছায়ানটের এবারের শুদ্ধসংগীত উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে সঙ্গীতগুণী নীরদ বরণ বড়ুয়া নামে।
প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে ১৩ পৌষ ১৪৩০, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ৬.০০ থেকে রাত ১০.৩০ পর্যন্ত।
দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে ১৪ পৌষ ১৪৩০, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, সকাল ৯.০০ থেকে দুপুর ১২.০০ পর্যন্ত।
তৃতীয় অধিবেশন চলবে ১৪ পৌষ ১৪৩০, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, সন্ধ্যা ৬.০০ থেকে রাতব্যাপী।
প্রথম অধিবেশনের দিন যন্ত্র ও কণ্ঠসংগীত পরিবেশন করবেন ঢাকার বিভিন্ন শিল্পীবৃন্দ। থাকবে ছায়ানটের পরিবেশনাও।
দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ব্যাপী শুদ্ধসংগীতের আয়োজনে থাকবেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শিল্পীবৃন্দ।
দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান শ্রোতারা উপভোগ করতে পারবেন রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানটের মিলনায়তনে।অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও কিছুটা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সবচেয়ে ভালোমানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম (প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম) ৬৩০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা।
শনিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা এ দাম কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে ভালোমানের সোনা প্রতি ভরি (২২ ক্যারেট) বিক্রি হবে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকায়। ১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে এক লাখ ৮ হাজার ২৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯২ হাজার ৪০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভরি দুই হাজার ১০০ টাকা।
এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভরিতে ভরি স্বর্ণের দাম ৬৩০ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬০ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস । এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮ হাজার ৪০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ৯১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ৮০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
চলতি বছর এ নিয়ে ১৪ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস।
৪২.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। আজও বিকেল ৩ টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, দুপুর ৩ টা পর্যন্ত সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও জানান, বাতাসের আদ্রর্তা বেশি অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। এখন এ জেলায় অতি তাপদাহ চলছে। আরো ৪/৫ দিন এ অবস্থা থাকতে পারে। এরপর মে মাসের কালবৈশাখি ঝড় ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। দু’দিন পর আবারও এ জেলায় তাপমাত্রার তীব্রতা বেড়ে গেছে। দু’দিনে এ জেলায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে।
এরআগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় মওসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র থেকে এ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ। তীব্র রোদ আর রোদে আগুনের ফুলকির মতো তেজ যেন মরুভূমির তাপমাত্রা। অতি তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণীকুল।
তীব্র রোদের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অনাহারে দিন পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ড পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এদিকে অতি তীব্র তাপদাহে রবিবার থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এ জেলার অভিভাবকরা। যেখানে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ চলতি তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুদের অতি উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে। সেখানে স্কুলগুলো চলমান তাপপ্রবাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য সরকারের অনুরোধ জানিয়েছে এ জেলার অভিভাবকরা।
মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের সিনেমা নির্বাণ। ছবি: সংগৃহীত
মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘নির্বাণ’।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) উৎসবের শেষ দিন মস্কোতে সিনেমাটির নির্মাতা আসিফ ইসলাম এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
আগেই জানা গেছে, বিশ্বের মর্যাদাসম্পন্ন এই উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘নির্বাণ’। উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে অংশ নিতে এবং প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকতে মস্কো চলে গিয়েছিলেন পরিচালক আসিফ ইসলাম ও অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি। পরবর্তীতে উৎসবের শেষের দুইদিন আগেই দেশে ফিরে আসেন অভিনেত্রী। তবে শেষ অবধি সব আয়োজনেই হাজির ছিলেন আসিফ।
মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আসরের এই অর্জন নিয়ে গণমাধ্যমকে আসিফ ইসলাম বলেন, এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার সিনেমার মধ্যে অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নিয়েছে মাত্র ১১টি সিনেমা। সেই সিনেমার মধ্যে আমাদের সিনেমাটি স্পেশাল জুরি পুরস্কার জিতেছে। আমাদের সিনেমার নাম ঘোষণার পর আমি চমকে উঠি। পুরস্কার হাতে নেওয়ার পরও একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। স্বপ্নের মতো লাগছে।
মস্কোর আসরে ‘নির্বাণ’ সিনেমাটির দুইটি শো হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে নির্মাতা জানান, শুরু থেকেই উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে থাকা সিনেমাগুলো নিয়ে মস্কোর দর্শক ও সমালোচকদের অন্যরকম আগ্রহ লক্ষ্য করেছি। আমার দুটি শো ছিলো হাউজফুল। সিনেমাটি দেখার পর সাধারণ দর্শক থেকে বোদ্ধা শ্রেণির এতো এতো প্রশংসা পেয়েছি, সেই অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
এদিকে মস্কোতে নির্বাণের পুরস্কার পাওয়ার খবরে সিনেমাটির অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি বলেন, আমি ভীষণ আনন্দিত। নির্বাণের পেছনে আমরা যে শ্রম দিয়েছে সেটা সার্থক হলো। মস্কো উৎসবের প্রথম দিনেই লাল গালিচায় হেঁটেছেন নজর কেড়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৪১তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘শনিবার বিকাল’ ছবিটি। সেবার দুটি ইনডিপেনডেন্ট জুরি পুরস্কার পেয়েছে ‘শনিবার বিকাল’ ছবিটি; রাশান ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস জুরি পুরস্কার আর অন্যটি কমেরসান্ত পুরস্কার।