শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রচেষ্টার এক বছর

ভয়ংকর এক বৈরী পরিবেশে; অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই শুরু করেছিলাম। তখনো কভিড-১৯ বা করোনা মহামারির তাণ্ডব বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে ক্ষতবিক্ষত করছিল। প্রতিটা মুহূর্ত অনিশ্চয়তার মধ্যদিয়ে কাটছিল। কী হবে? কতদিন থাকবে? সামনের দিনগুলি কি আরও ভয়াবহ হবে? কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে তা কেউ জানে না। সবার সামনেই অন্ধকারাচ্ছন্ন বন্ধুর পথ! বিশ্বের প্রতিটি দেশই করোনার ধকল সামলাতে কঠিন লড়াইয়ে ব্যস্ত। করোনার ছোবলে অনেক প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। কোটি কোটি মানুষ চাকরি হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা। অসংখ্য পরিবার ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে আরো অনেক পরিবার। অনেক স্বপ্ন, অগণিত নতুন উদ্যোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে নতুন উদ্যোগ! সবার কাছেই যেন একটা বিস্ময়ের ব্যাপার ছিল!

অনেকেই আমাকে তখন ‘পাগল’ বলে মন্তব্য করেছেন। কাছের মানুষদের অনেকে নিরুৎসাহিত করেছিলেন। বন্ধুরা বলেছেন, অনেক তো হলো! আর কত? সাংবাদিকতা পেশায় ত্রিশ বছর কম সময় নয়। রিপোর্টার থেকে একটি বড় পত্রিকার সম্পাদক হয়েছ। এবার লেখালেখি করো। সেটাই বোধহয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

সে সময় বেশ কয়েকটি বড় গ্রুপের ‘অফার’ ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। দুটি গ্রুপের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠকের পরও কী মনে করে যেন যোগদানে অনীহা প্রকাশ করলাম।

করোনায় বাসার বাইরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা বহাল। আমি বাসায় বসে পড়ছি, লিখছি; সিনেমা দেখছি। স্ত্রী ছেলেমেয়েকে সময় দিচ্ছি। সাংবাদিকতা ও লেখালেখির কারণে পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে পারিনি। সেই অপরাধবোধও নিজেকে তাড়িত করে। সে সময় অনেক বেকার সাংবাদিক প্রায়ই ফোন করে বলতেন, ভাই আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই। আপনি পত্রিকা করলে আমাকে রাখবেন। কেউ কেউ চাকরি হারিয়েই আমাকে ফোন করে বলতেন, ভাই বেকার হয়ে গেলাম। যদি সুযোগ থাকে আমাকে নেবেন।
বাসায় বসে ভাবি, কি করা যায়? পত্রিকা করার জন্য মোটেই সঠিক সময় নয়। অনলাইন মাল্টিমিডিয়া করা যেতে পারে। তা নিয়েও নানা দুশ্চিন্তা। যেভাবে ঘরে ঘরে ব্যাঙের ছাতার মতো অনলাইন গজিয়ে উঠেছে তাতে এসব করে কী হবে? সাংবাদিকতার নামে যা চলছে সেটাও কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। মনপীড়ায় ভুগছিলাম প্রতিনিয়ত। ত্রিশ বছর সাংবাদিকতা করেও মানুষের কাছে পরিচয় দিতে পারি না। মোটকথা, পুরো পরিস্থিতিই বৈরি। তারপরও কাছের মানুষদের সঙ্গে বসলাম। কি করা যায় তা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ঠিক করলাম; কিছু একটা করতে হবে। কিছু মানুষেরও যদি কর্মসংস্থান করা যায়; ক্ষতি কী!

কয়েকজন কাছের মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়ালেন। সাহস দিলেন। সেই সাহসের ওপর ভর করেই শুরু করলাম ঢাকাপ্রকাশ, ঢাকাপ্রকাশ২৪ডটকম। এর একটি ইতিহাস আছে। ঢাকাপ্রকাশ ১৮৬১ সালের ৭ মার্চ ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলাভাষার পত্রিকা। ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই মূলত ঢাকাপ্রকাশ নিয়ে পথ চলতে শুরু করলাম। শুরুতেই নানামুখি ষড়যন্ত্র হচ্ছিল। প্রধান অতিথি যাতে আমাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না আসেন সেজন্য কানপড়া দেওয়া হয়েছিল। সকল বাধাবিপত্তি উপড়ে ফেলে এগোতে লাগলাম। আমাদের স্লোগান, সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি। স্লােগানটি সবাই খুব পছন্দ করল। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারসহ অনেক গুণীজন আমাদের পাশে দাঁড়ালেন। আমাদেরকে উৎসাহ দিলেন। ধীরে ধীরে আমাদের অবস্থান শক্ত হতে লাগল। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন বিশাল পাঠকগোষ্ঠী। তাদের ব্যাপক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা আমাদের চলার পথকে অনেকটাই মসৃণ করেছে।

আমরা এরমধ্যেই দেশ-বিদেশে বিপুল মানুষের সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছি। আমাদের সাইটে প্রতিনিয়ত নতুন ভিজিটর আসছেন। নতুন ও পুরোনো প্রায় ত্রিশ লাখ পাঠক আমার সাইট ভিজিট করছেন। আমাদের ফেসবুকে ফ্যান-ফলোয়ারের সংখ্যাও আট লাখের বেশি। গুগল, ইউটিউবেও আমরা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সাইটে দেশের বিশিষ্টজনেরা নিয়মিত লিখছেন। আমাদের স্লোগানই আমাদের বড় শক্তি। আমরা সব রাজনৈতিক দল, মত ও পথের মানুষের কথাই প্রকাশ করি। কিন্তু কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি করি না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে পথ চলি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিই। স্বাধীনতাবিরোধী, উগ্রপন্থীদের সঙ্গে কোনো আপস করি না। আমরা সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলি। আমরা কোনো রক্ত চক্ষুকে ভয় পাই না। কারণ, আমরা ভুল খবর প্রকাশ করি না। মিথ্যার ব্যাসাতি করি না। বিগত এক বছরে কোনো সংবাদ আমাদেরকে প্রত্যাহার করতে হয়নি। অনেকের অনেক ধরনের হুমকি ধমকিও আমরা সহ্য করেছি।

আরও একটি বিষয় না বললেই নয়, আগে দেখতাম, কোনো সংবাদ প্রকাশিত হলে সেটা কারও বিরুদ্ধে গেলে কিংবা মনপূত না হলে প্রতিবাদ পাঠাতেন। আমরা প্রতিবাদ প্রকাশ করতাম। এখন উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। উকিল দিয়ে মামলার হুমকি দেওয়া হয়। অন্যায়কারীরা অন্যায় করেই যাবে, আর মিডিয়ার লোকদের তা মুখবুজে সহ্য করতে হবে! আমরা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে বৈরী পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করছি। আমরা জানি, আমরা সফল হব; আমরাই জিতব।

আমি শুরুতেই বলেছি, বৈরী পরিবেশে আমি যে লড়াই শুরু করেছি সেটা এগিয়ে নেওয়া খুব সহজ কাজ নয়। অনেকেই হয়তো সঙ্গে থাকবে না। থাকতে পারবে না। সবাই প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে করতে পারে না। আর সমাজে সুযোগ সন্ধানী লোকের অভাব নেই। থাকে বর্ণচোরাও। ভেতরে ঢুকেও কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। নিজের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। আবার কেউ কেউ আমার বিনয়কে দুর্বলতা ভেবে কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সফল হয়নি। কুচক্রীরা কখনো সফল হয় না। এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।

আমি প্রতিজ্ঞা করেছি; পাঁচজনও যদি আমার সঙ্গে থাকে তাদের নিয়েই আমি লড়াই চালিয়ে যাব। আমি বিশ্বাস করি, প্রচেষ্টার মৃত্যু নেই। প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমাদের স্লোগান হচ্ছে, ‘এগিয়ে চলার প্রত্যয়, সততা ও সুসাংবাদিকতায়’। গত এক বছর ধরে যারা আমাদের সঙ্গে থেকে উৎসাহ জুগিয়েছেন, নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে আমাদের চলার পথকে সহজতর করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই প্রিয় পাঠক, শুভাকাক্ষী, শুভানুধ্যায়ী ও বিজ্ঞাপনদাতাসহ সবাইকে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে থাকুন।

লেখক: প্রধান সম্পাদক ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক

 

Header Ad
Header Ad

গোলাপ জলে গোসল করে রাজনীতি ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা

ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের চূড়াইন গ্রামে এক ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী হলো এলাকাবাসী। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেন মৃধা (৪৮) গোলাপ জলে গোসল করে জনসমক্ষে ঘোষণা দিলেন— তিনি রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিচ্ছেন।

শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে নিজ বাড়ির উঠানে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এই ঘোষণা দেন তিনি। এই ঘোষণার মাধ্যমে একদিকে যেমন রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন, অন্যদিকে নিজ গ্রামে নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

আলী হোসেন মৃধা ছিলেন বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এর আগে তিনি ওই ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। চূড়াইন গ্রামের প্রয়াত আব্দুল খালেক মৃধার সন্তান আলী হোসেন মূলত পেশায় একজন ডেকোরেটিং ব্যবসায়ী।

তিনি জানান, ২০১৬ সালে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং তখনই আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।

গোলাপ জলে গোসল করে রাজনৈতিক জীবনের ইতি টেনে আলী হোসেন মৃধা বলেন, “আমি মূলত ব্যবসায়ী মানুষ। রাজনীতি আমাকে কখনো খুব টানেনি। তবে এলাকার মানুষের অনুরোধে ও সময়ের প্রেক্ষাপটে আমি যুক্ত হয়েছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতনের পর আমার ভেতরে একটি পরিবর্তন আসে। আমার মনে হয়েছে, রাজনীতি আমার পথ নয়। অনেকেই পালিয়ে গেছেন, কিন্তু আমি এলাকায় থেকে গেছি। আমি কখনো দুর্নীতি বা অনিয়মে জড়াইনি।”

আলী হোসেন মৃধার ভাষায়, এটি ছিল তাঁর ‘বোধোদয়’—একটি আত্মচিন্তার ফল। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “আমি আর রাজনীতি করবো না। আওয়ামী লীগও করবো না। এখন থেকে শুধু ব্যবসা নিয়েই থাকতে চাই।”

স্থানীয়ভাবে এই ঘোষণা বেশ আলোড়ন তুলেছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি হয়তো রাজনৈতিক কৌশল, আবার কেউ বলছেন এটি একজন সাধারণ কর্মীর বিবেকের জাগরণ।

অনেকেই মনে করছেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যক্তি পর্যায়ে এমন অবস্থান নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে। গোলাপ জলে গোসল করে রাজনীতি ছাড়ার ঘটনা হয়তো বিরল, কিন্তু তা কেবল এক ব্যক্তির সিদ্ধান্ত নয়—বরং এটি একটি সময়ের প্রতিচ্ছবি, যেখানে রাজনীতি নিয়ে মানুষের দ্বিধা, আস্থা ও প্রত্যাশার জায়গাগুলো স্পষ্টভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সাগরতীরে বিলাসবহুল রিসোর্ট উদ্বোধন করলেন কিম জং উন

ছবি: সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন ছয় বছর বিলম্বে উদ্বোধন করলেন দেশের অন্যতম বৃহৎ পর্যটন প্রকল্প— ওনসান কালমা সমুদ্র সৈকত রিসোর্ট। পূর্ব উপকূলে অবস্থিত এই বিলাসবহুল রিসোর্টটি আগামী জুলাই মাস থেকে দেশীয় পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ। তবে বিদেশি পর্যটকদের জন্য এটি কবে উন্মুক্ত হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

গত ২৪ জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিম জং উনের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী রি সল জু এবং কন্যা কিম জু এ। ২০২৪ সালের শুরু থেকে এটি ছিল রি সল জুর প্রথম প্রকাশ্য উপস্থিতি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যাটসেগোরাসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও, যা উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক বার্তাও বহন করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এক সময় ওনসান শহরটি পরিচিত ছিল উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘাঁটি হিসেবে। কিন্তু কিম জং উন এখন সেই শহরকেই রূপ দিচ্ছেন পর্যটন নগরীতে। নিজের শৈশব কাটানো এলাকা ওনসানে অভিজাতদের ব্যক্তিগত বাড়ি থাকলেও এবার সাধারণ পর্যটকদের জন্যও খুলে দেওয়া হলো সমুদ্রতীরবর্তী বিলাসবহুল রিসোর্টটি।

কেসিএনএর দাবি অনুযায়ী, রিসোর্টটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৪ কিলোমিটার এবং এতে প্রতিদিন ২০ হাজার পর্যটক অবস্থান করতে পারবেন। এতে থাকছে হোটেল, রেস্তোরাঁ, ওয়াটার পার্ক, শপিং মলসহ নানা বিনোদন সুবিধা। তবে এই তথ্যগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ওনসান রিসোর্টের উদ্বোধন কিম সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন কৌশলের অংশ হতে পারে। যদিও উত্তর কোরিয়ায় পর্যটন নিয়ন্ত্রণের কড়াকড়ি রয়েছে, তবুও বিদেশি পর্যটক বিশেষ করে চীন ও রাশিয়া থেকে আসা পর্যটকদের নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে বিবেচনা করছে দেশটি।

২০২০ সালে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে পিয়ংইয়ং। প্রায় তিন বছর পর, ২০২৩ সালে কিছুটা শিথিলতা আসে এবং ২০২৪ সালে রাশিয়ার পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খোলা হয়। তবে ইউরোপীয় ও অস্ট্রেলিয়ান পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খোলার ঘোষণা এলেও কিছু সপ্তাহ পরেই সেটি আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা উত্তর কোরিয়ার পর্যটন নীতির অনিশ্চয়তা ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত দেয়।

কেসিএনএ জানিয়েছে, ওনসান রিসোর্ট উদ্বোধন “সমগ্র দেশের জন্য একটি মহান ও শুভ ঘটনা” এবং এটি উত্তর কোরিয়ার পর্যটনে “একটি নতুন যুগের সূচনা”।

প্রথমে ২০১৯ সালের অক্টোবরে এই রিসোর্ট খোলার কথা থাকলেও, নির্মাণে বিলম্ব ও কোভিডের অভিঘাতের কারণে তা সম্ভব হয়নি।

ওনসান কালমা রিসোর্টের উদ্বোধন কেবল পর্যটকদের জন্যই নয়, বরং আন্তর্জাতিক সমাজের দৃষ্টিতে উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত অর্থনৈতিক মনোযোগেরও প্রতিফলন। বিদেশি পর্যটকদের জন্য এটি কতটা সহজলভ্য হবে এবং আদৌ কি তা বৈদেশিক রাজস্বে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে— তা সময়ই বলে দেবে। তবে রিসোর্টের ছায়ায় লুকিয়ে থাকা রাষ্ট্রীয় ‘নিয়ন্ত্রণ’ ও ‘গোপনতা’ এখনো উত্তর কোরিয়ার পর্যটনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়ে গেছে।

সূত্র: ইনসাইডার, কেসিএনএ

Header Ad
Header Ad

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২

ছবি: সংগৃহীত

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ২৬২ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া একজন পুরুষ। আর আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২১৪ জনই ঢাকার বাইরের।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৪১ জন, যাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী।

এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ৪৮৪ জন, যার মধ্যে পাঁচ হাজার ৫৮৩ জন পুরুষ ও তিন হাজার ৯০১ জন নারী।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোলাপ জলে গোসল করে রাজনীতি ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা
সাগরতীরে বিলাসবহুল রিসোর্ট উদ্বোধন করলেন কিম জং উন
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২
কূটনৈতিক অস্ত্র পানি নিয়ে ভারতের কঠোর অবস্থান, শঙ্কায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান
পশ্চিমবঙ্গে পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে তোলপাড়
দুধ আমদানি করা লজ্জার বিষয়: উপদেষ্টা ফরিদা
পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ সেনা নিহত
ছায়ানটের সভাপতি হলেন ডা. সারওয়ার আলী, কার্যনির্বাহী কমিটিতে নতুন মুখ
জুলাই যোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা দিতে চাই: রিজভী
৮ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে হেগে পাকিস্তানের আইনি জয়, রায় প্রত্যাখ্যান করল ভারত
আগস্টে ঢাকার ৩ এলাকায় চালু হবে ই-রিকশা
বিনিয়োগকারীদের জন্য বিডার নতুন ওয়েবসাইট চালু
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১২টি ঘর পুড়ে ছাই
আবাসিক হোটেল থেকে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের খুশির খবর দিল সৌদি আরব
চীন সফর অত্যন্ত ‘সফল’ ও ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে: মির্জা ফখরুল
ইরানে আবারও বোমা হামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্প
ইনিংস ব্যবধানে হারের পরই টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত
৩ হাজারের বেশি কবর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মারা গেছেন (ভিডিও)