রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নতুন বছরে নতুন চ্যালেঞ্জ

টানটান উত্তেজনাপূর্ণ একটি বছর পার করল বিশ্ব। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে গেল বছর বেশ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও ছড়িয়েছিল। নতুন বছর কেমন যাবে তা হয়তো জ্যোতির্বিদরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে। খাদ্য সংকট যে ভয়াবহ রূপ নেবে সে কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। কারণ, খাদ্য উৎপাদনকারী দুটি বড় দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। যুদ্ধ এখনো চলছে। করোনা অতিমারির কারণে সারাবিশ্ব যখন অর্থনৈতিক সংকটে হিমশিম খাচ্ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে বিশ্বের উপর একটি যুদ্ধ চাপিয়ে দিল রাশিয়া। এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নানামুখি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সারা বিশ্বে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। আমদানি-রপ্তানি খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ, কর্মসংস্থানের বড় ধরনের আঘাত এসেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অনুন্নত-উন্নয়নশীল দেশই নয়, উন্নত দেশগুলোকেও আগামী বছরের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগাবে খাদ্য সংকট ইস্যুটি।

বিশ্বের অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ ইউক্রেন রাশিয়া গেল বছর খাদ্য উৎপাদন করতে পারেনি। বাংলাদেশ ইউক্রেন থেকে বিপুল পরিমাণ গম আমদানি করত। রাশিয়া থেকেও আমদানি করা হতো। চাল আমদানি করে ভারত, ভিয়েতনাম থেকে। এ বছর উৎপাদন কম হওয়ায় এসব দেশ থেকে আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে কী পরিমাণ চাল আমদানি করতে পারবে তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। আবার বিকল্প বাজারও খোঁজা হচ্ছে।

নতুন বছরের শুরু থেকে বাংলাদেশকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এরমধ্যে খাদ্যদ্রব্য আমদানির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। একইসঙ্গে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার কাজটিও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করতে হবে। এক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। বাজারের লাগামটা ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে না দিয়ে সরকারের হাতে রাখতে হবে। উন্নত দেশগুলো কোনো পণ্যের দাম বাড়াতে হলে ক্রেতাসাধারণকে আগেভাগেই জানানো হয়। শুধু তাই নয়, দাম কেন বাড়ানো হচ্ছে তার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়। আমাদের দেশে বিনা নোটিশে যখন তখন দাম বাড়ানো হয়। ভোক্তার অধিকার তারা থোরাই কেয়ার করেন।

বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার সাম্প্রতিক সময়ে তাদের প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। এই কোম্পানি সারা বিশ্বেই তাদের পণ্য বিক্রি করছে। উন্নত দেশে তারা কোনো পণ্যের দাম বাড়ালে ক্রেতাদের আগাম নোটিশ করে। আর বাংলাদেশে এর উল্টোচিত্র। এ নিয়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট করলে মামলার ভয় দেখায়। আসলে ক্রেতারা বেনিয়া গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি। তারা কথায় কথায় ক্রেতাদের পকেট কাটবে। কিন্তু কোনো জবাবদিহি করবে না।

আমাদের দেশীয় কোম্পানিগুলিও মওকা খোঁজে। সুযোগ পেলেই এরা দাম বাড়িয়ে দেয়। কখনো কখনো সরকারকেও জিম্মি করে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। এ অবস্থা থেকে কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারকে সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অবশ্য প্রতিযোগিতা কমিশন ইতিমধ্যেই বড় কয়েকটি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই মামলা যেন শুধু লোক দেখানো না হয়!
অব্যাহত অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার কারণে দেশে রিজার্ভের পরিমাণ দ্রুত কমে গেছে। রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে হবে।

গত বছর বিপুল সংখ্যক জনশক্তি বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় দেড়গুণ বেশি। নতুন বছরে নিশ্চয়ই একটা ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে। ব্যাংকে তারল্য সংকট কিংবা ডলার সংকট ব্যবসায়ীরাই সৃষ্টি করেন। দেশের বাজারও নিয়ন্ত্রণ করেন তারা। তারা যদি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে অগ্রসর না হয় তাহলে সংকট থেকে উত্তরণের পথ নেই। বিষয়টা সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পারলে অন্য সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা দুরহ হবে না।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি সরকারকে রাজনৈতিক উত্তাপ প্রশমনের উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারকে অনেক বেশি কৌশলী হতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন বছর রাজনৈতিক অঙ্গণ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। গেল বছরের রাজনৈতিক সংঘাতের উত্তাপ নতুন বছরে আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে। দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে। নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা হিসাবনিকাশ চলছে। জোট গঠন নিয়েও প্রধান প্রধান দলগুলো সলাপরামর্শ করছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে।

এই নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরেই শেষ করতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সবচয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনা। সেই সঙ্গে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা। কোনো কারণে অন্যতম প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচনে না এলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। সরকার নিশ্চয়ই আগামী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইবে না।

নতুন বছরে গণমাধ্যমকেও অনেক বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সেই চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সত্যনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের চ্যালেঞ্জ। সুসাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ। গেল বছরের সাংবাদিকতা আগের বছরগুলোর মতোই নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। সত্যনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল। সাংবাদিকতার নামে হলুদ সাংবাদিকতা, এজেন্ডা সাংবাদিকতা, তোষামোদী সাংবাদিকতা বেশিমাত্রায় হয়েছে। এতে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা কখনো কখনো মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমরা এ অবস্থার অবসান চাই।

গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু এই স্তম্ভ নড়বড়ে হয়ে গেলে পুরো রাষ্ট্রীয় কাঠামোই নড়বড়ে হয়ে যায়। দেশের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে গণমাধ্যমকে স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার দিতে হবে।

দ্বিধাহীন চিত্তে একটি কথা বলতে চাই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কিন্তু এখনো চলছে। আমরা এখনো একটি যুদ্ধের মধ্যেই আছি। এখনো প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি সক্রিয়। এখনো পাকিস্তানপন্থীরা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে চলেছে। উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিতে কুঠারাঘাত করতে চায়। এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব মানুষের ঐক্য দরকার। এই ঐক্য সৃষ্টিতে গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ‚ ভুমিকা রাখতে পারে। আমরা নিশ্চয়ই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে প্রস্তুত।
ঢাকাপ্রকাশ-এর পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে থাকুন।

মোস্তফা কামাল: প্রধান সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও কথাসাহিত্যিক। 

 

Header Ad

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও দেশে গাছ কাটা অব্যাহত থাকায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। আগামীকাল সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রোববার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।

আবেদনে পাঁচটি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এগুলো হল-

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের সমন্বয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি দেবেন।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবে, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগে পর্যন্ত সকল বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না-সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট আবেদনকারীরা হলেন-অ্যাডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ বিভাগ মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শককে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‌‘সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এ কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর ৩টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল। অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ৩৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ না করে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলে ঘোষিত হয়। মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নুর হোসেন মাসুদ ও মো. মনির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৬মে থেকে ৮মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামে এখন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেছেন, ‘সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়?’

আজ রবিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক আরও বলেন, এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। এর মধ্যে দুটি সমস্যা গুরুতর। একটি হলো বিদ্যুৎ, আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা।

জাপা মহাসচিব বলেন, এখন গ্রামে-গঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আমার এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলছে, ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আছে। তাহলে সেই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?
এ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যদের কেউ কেউ আপত্তি করলে চুন্নু বলেন, লোডশেডিং হয় না গ্রামে? চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার এলাকার মানুষ আমাকে বলেছে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে, আমার এলাকায় একটা দিন থাকতে, লোডশেডিং হয় কি না তা দেখার জন্য।

তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন আরেক জায়গায়। ভাড়ায় যেসব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আছে, তাদের ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরও বসে আছে। ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থাকার পরও ভাড়া বাবদ তাদের ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

চুন্নু বলেন, এর আগে সংসদে বলেছিলাম, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজ চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই, তিনি সশরীরে আমার এলাকায় যাবেন দুই-চার দিনের মধ্যে। দেখে আসবেন কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

তিনি বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১৫ জন মারা গেছেন ঈদের আগে ও পরে। প্রতিদিন এখন ১৪ জন মারা যান। বছরে পাঁচ হাজারের মতো লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এটি সরকারের সংস্থার হিসাব। ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠিতে সিমেন্টবাহী ট্রাকের চাপায় ১৪ জন মারা যান। সেই ট্রাকের চালকের ভারি যানবাহন চালানোর কোনো লাইসেন্সই ছিল না।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২২ এপ্রিল যে বাসের ধাক্কায় একজন শিক্ষার্থী মারা যান, সেটির ফিটনেসই ছিল না। ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি। এ গাড়ি তো দুর্ঘটনা ঘটাবেই। সড়কে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয় পুরোনো, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, আপনি একটু শক্ত হোন। এসব গাড়ি-অটো যদি রাস্তায় চলাচল না করে, তাহলে এভাবে মানুষ মারা যাবে না। দয়া করে আপনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন।

সর্বশেষ সংবাদ

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন