বুধবার, ৮ মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অর্থনৈতিক মন্দা নিরসনে গঠনমূলক চিন্তাভাবনা থাকতে হবে

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ দিন দিন কমছে। আই এম এফের প্রথম কিস্তি পাওয়া গেছে তার মানে রিজার্ভ কিছুটা উন্নতি হবে। এদিকে ডলারের দাম ৪ টাকা করে বাড়ছে। কাজেই মূল্যস্ফীতি খুব কমবে না। আমাদের যেটি করতে হবে, মূল্যস্ফীতির কারণে যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সেগুলো সুষ্ঠু বিতরণ নিশ্চিত করা লাগবে। মূল্যস্ফীতির কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের যে আইন আছে, সেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা থাকতে হবে। কেউ মজুদদারি করছে কি না, অযথা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে কি না- বিষয়গুলো আমলে নিতে হবে। প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। তা ছাড়া সরকার প্রায় এক কোটি মানুষকে নিরাপত্তা বলয়ে নিয়ে আসার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, সেটি সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, সাধারণ প্রান্তিক মানুষ এর বাইরে থেকে যাচ্ছে কি না, অসাধু ব্যবসায়ীরা অর্থ উপার্জন করছে কি না- সেগুলো দেখা উচিত।

এখন যেটি চিন্তার বিষয়, তা হলো দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেশে উৎপাদন বাড়াতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। দেশ-বিদেশের অনেক তরুণ করোনার সময় কাজ হারিয়েছে। তাদের পুনরায় কর্মসংস্থানের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববাজারে মূল্যস্ফীতির কারণে, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে, সাপ্লাই রিডাকশনের কারণে, আমাদের আমদানিখাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেদিকে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি মন্দা অবস্থায় আছে বলব না। তবে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আমাদের যে লক্ষ্য ছিল, জিডিপির ৭.৫ শতাংশ সেটি তো আর দিতে হবে না। তবে এখনো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে যে পূর্বাভাস আসে সেগুলো ৫ থেকে ৬ শতাংশ আছে। সেটি সাম্প্রতিককালের ইতিহাসের তুলনায় একটু কম। তবে সেটি শঙ্কাজনক পরিস্থিতি সেটি বলা যাবে না। সেজন্য আমাদের এখন থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে করে ভবিষ্যতে আর কোনো বড় কোনো শঙ্কার সৃষ্টি না হয়।

আমার প্রথম কথা হচ্ছে যে, একদিনে কিন্তু অর্থনীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন আসে না। আমাদের যে চ্যালেঞ্জগুলো আগে এসেছে, সেই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার চেষ্টা আগে করতে হবে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় তহবিল অনেক কমে গেছে। দেশে আয় বৈষম্য ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। সেটি ক্রমান্বয়ে কমানোর জন্য চেষ্টা করা লাগবে। কোভিড ১৯এর অতিমারির কারণে দারিদ্র্যসীমার নিচে লোকের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। সেজন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো হবে এবং সুষ্ঠু বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমদানি শিল্পের প্রসারকে উৎসাহিত করার এখনো প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে দ্রুত বদলে যাওয়া বিশ্ববাণিজ্যের এই সংকটকালে কথাটি আরও বেশি প্রযোজ্য এবং সেটি আমাদের আমলে নিতে হবে। এজন্যে এনবিআর বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। বিনিময় হার কীভাবে অনুকূলে নিয়ে আসা যায় সেজন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আমাদের রেমিট্যান্স বাড়ানোর প্রক্রিয়া আরও ফলপ্রসূ করার চেষ্টা করা লাগবে। বাজার বিচিত্রকরণ করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরও দক্ষ লোক নিয়োগের প্রয়োজন আছে। যাতে করে তারা দেশীয় উপার্জন বৃদ্ধি করতে পারে। মোট কথা অর্থনৈতিক মন্দা নিরসনে আমাদের আরও গঠনমূলক চিন্তাভাবনা করতে হবে।

এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা

এসএন

 

 

Header Ad

এক লাফে ডলারের দাম বাড়ল ৭ টাকা

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

এবার এক লাফে ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে ডলারের বিনিময় মূল্য। প্রতি এক মার্কিন ডলারের দাম ১১০ থেকে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (৮ মে) একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ দাম ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, চাপে পড়বে সাধারণ মানুষ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনাবেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, হঠাৎ করেই ডলার দাম খুব বেশি হলে এর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হবে। বিশেষ করে আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাবে অনেক। এতে পণ্যের দামও বাড়াতে বাধ্য হবেন আমদানিকারকরা।

তিনি বলেন, ডলারের বেশি দাম বাড়ার ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে, মানুষ কষ্ট পাবেন। তবুও আমাদের অর্থনীতিকে একটা জায়গাতে আনতে হবে। এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে দাম বাড়লে হয়তো কষ্ট কিছুটা কম হবে।

আজ বিশ্ব গাধা দিবস, পালন করা হয় যেভাবে...

ছবি: সংগৃহীত

ছোটবেলা থেকে যে প্রাণীটির নাম আমাদের প্রায়ই শুনতে হয় সেটি হলো গাধা। কোনো ভুল করলেই গাধার সঙ্গে তুলনা করা যেন একটি রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে! যদিও আমরা অনেকে গাধা দেখিনি। তবুও কারো কারো উপাধি হয়ে দাঁড়ায় গাধা! তাও আবার ব্যাঙ্গাত্মক হিসেবে। কিন্তু গাধা কি আসলেই বোকা? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা নেই।

আজ ৮ মে বিশ্ব গাধা দিবস। প্রাণীটির প্রিতি সচেতনতা ও ভালোবাসা তৈরির উদ্দেশ্যেই দিবসটির সূচনা করা হয়। বিজ্ঞানী এবং মরুভূমির প্রাণী বিশেষজ্ঞ আর্ক রাজিকের প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালে প্রথম বিশ্ব গাধা দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। তখন থেকে প্রতিবছর ৮ মে গাধা দিবস উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

তিনি বুঝতে পেরেছিলেন গাধারা মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ করে, সেই পরিমাণ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এ জন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন। তারপর সেখানে গাধা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য প্রচার করতে শুরু করেন।

তবে কিভাবে এই গাধা দিবস পালন করা হয়, তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।

দিবসটি পালনে কেউ কেউ গাধার ইতিহাস এবং আমাদের সমাজে এর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পারেন। এ নিয়ে গবেষণা করতে পারেন। আবার গাধা দিবস উদযাপনে গাধায় চড়ার সুযোগ আছে। গাধার তত্ত্বাবধানকারী দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করতে পারেন, যা এই বিস্ময়কর প্রাণীটির যত্নে সহায়তা করে। অনেক সংস্থা ও এনজিও গাধাকে খাদ্য প্রদান ও পরিচর্যা করে থাকে।

গাধা অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় বেশি সময় পরিশ্রম করতে পারে। তাদের চলার গতি ঘণ্টায় ৩১ মাইল পর্যন্ত হতে পারে। গাধার গড় আয়ু ৫০ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে হয়।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০-৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে আজ প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এ পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি সে অনুযায়ী নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। কিছু-কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। তবে সেগুলো খুবই সীমিত।

তিনি আরও বলেন, কিছু জায়গায় অনিয়ম হয়েছে। যে কারণে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিয়ে দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করেছি। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন এবং তারা দায়িত্ব নিয়ে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করেছেন। সে কারণেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালোই ছিল।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়েছে— জানতে চাইলে সিইসি বলেন, সঠিক পার্সেন্টেজে এই মুহূর্তে বলতে পারব না। তবে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মাঝামাঝি থাকতে পারে।

এর আগে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। জানা গেছে, প্রথম ধাপের এই নির্বাচনে ১৩৯ উপজেলার ২২টিতে ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্বাচনে এক হাজার ৬৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে আট, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ ২৮ জন ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

এবার স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে চার ধাপে। প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ করা হলো রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে।

সর্বশেষ সংবাদ

এক লাফে ডলারের দাম বাড়ল ৭ টাকা
আজ বিশ্ব গাধা দিবস, পালন করা হয় যেভাবে...
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০-৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসি
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাইকার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
বগুড়ায় ব্যালট পেপার বাইরে দেওয়ায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীর এজেন্ট আটক
জাতীয় দলে ফিরলেন সাকিব-মুস্তাফিজ-সৌম্য
ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল
মাদারীপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ, আহত ১০
দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে অনুসন্ধান চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভোট কারচুপির অভিযোগে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভোট বর্জন
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের মারামারি, আহত ৫০
নওগাঁর ভোট কেন্দ্রগুলোতে নেই ভোটার উপস্থিতি
বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে গেল ইউএনওর গাড়ি
ভোট দিতে পেরে খুশি তাহেরা খাতুন
বাজার থেকে করোনার টিকা তুলে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা
থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করলেন বাবা
পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসপাতালে নববধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী