সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টিশীলতার ভুবনে আকাশের মতো

তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী
আমি অবাক হয়ে শুনি।

রবীন্দ্রনাথের ১৬২তম জন্মবার্ষিকীতে তাকে গভীরভাবে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তিনি বাংলা সাহিত্যের একজন অসাধারণ লেখক ছিলেন। যিনি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে গেছেন নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে। সেই সময় থেকেই বাঙালি জাতির কাছে রবীন্দ্রনাথ একজন অসাধারণ লেখক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

শুধু নিজের লেখা হিসেবে নয়, একটি জাতির মাতৃভাষাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে অনন্য মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার কারণে বাংলা সাহিত্য আমাদের সামনে একটি বড় দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ১৯৯৯ সালে আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

আমরা মনে করি, ২১ ফেব্রুয়ারিতে আমাদের মাতৃভাষার সুরক্ষার জন্য যারা জীবন দিয়ে মাতৃভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, যা কি না বিশ্বের কাছে বড় দিগন্ত। বংলা ভাষা, বাঙালি জাতি, বাংলাদেশ সবকিছু মিলিয়ে আমরা যারা বেঁচে আছি, তাদের সবার কাছে একটি অবস্থান থেকে আমরা বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছি। বিশেষ করে ১৯১৩ সালে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার পেয়ে গেলেন,তার কবিতার জন্য, এটি বাংলার জন্য একটি বিশাল বড় জায়গা।

কাজেই আমি মনে করি, বাংলা ভাষা বাঙালি জাতির চেতনাকে বিশ্ব আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা যারা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্টের প্রতিষ্ঠা করেছি ,আমাদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি আমাদের স্বাধীনতার প্রবক্তা ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভাষা সাহিত্যের প্রকাশ করেছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।

আমাদের প্রজন্মকে ভাষা সম্পর্কে মর্যাদার জায়গা দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন। এসব কিছু মিলিয়ে আমরা যেন সেই ভাষাকে মঙ্গলের জায়গায় নিয়ে রাখতে পারি। বিশ্বের দরবারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেভাবে পৌঁছে ছিলেন, সেইভাবে পৌঁছানোরও প্রচেষ্টা করতে পারি। সবাই মিলে এগিয়ে যাওয়ার জায়গাকে ধারণ করা আর এভাবেই বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির এগিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সবচেয়ে বড় দিগন্ত বলে আমি মনে করি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলার নবজাগরণের অগ্রভাগে ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তার জীবনের প্রথম দিকে শিল্পের সংস্পর্শে আনা হয়েছিল। তিনি আট বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করেন এবং ১৬ বছর বয়সে তার প্রথম কাজ প্রকাশ পায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমস্ত অর্জনের মধ্যে একটি হলো শান্তিনিকেতন। নামে তার কবিতার সংকলনের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ লিখেছেন এবং শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত তার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের জন্য রেখে গিয়েছেন অমূল্য সব সম্পদ গুলি। তার কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, যা জীবনে চলার পথে প্রতিমুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন পড়ে। তার জন্ম দিবস উপলক্ষে ২৫ শে বৈশাখ তাকে শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব পালন করি আমরা। ফুলের মালা, ফুল, প্রদীপ, ধুপ এর মধ্যে দিয়ে তাকে স্মরণ করে থাকি। নানা ধরণের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তাকে স্মরণ করা হয় এবং এভাবেই রবীন্দ্রজন্মজয়ন্তীতে আমরা তাকে গভীর ভালবাসা ও গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।

সেলিনা হোসেন: কথাসাহিত্যিক এবং সভাপতি, বাংলা একাডেমি

 

 

Header Ad

কীটনাশক প্রয়োগেও মিলছে না প্রতিকার

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ঢেঁড়শ গাছের পাতায় সবুজ রঙের ছোট ছোট পোকা। এই পোকা ঢেঁড়শে আক্রমণ করে ফলন নষ্ট করছে। শুধু তাই নয়, আক্রমণের কারণে ঢেঁড়শ বড় না হয়ে ঢেঁড়শ বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন এমন অজ্ঞাত পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ঢেঁড়শ চাষি কৃষকরা। ফলে চাষিদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। এমন পরিস্থিতিতে চাষাবাদের খরচ তোলাই তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণে ভুক্তভোগী উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া পূর্বপাড়া গ্রামের ঢেঁড়শ চাষি মো. আব্দুল বাছেদ। তিনি তার প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে গত বছরের মতো এবারও উন্নত জাতের কমল নামে হাইব্রিড ঢেঁড়শ চাষ করেছেন। তার মতে- ফলন ভালো হয়েছে এবং ঢেঁড়শ ধরেছে প্রচুর পরিমাণ। কিন্তু অজ্ঞাত পোকার আক্রমণে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কৃষক আব্দুল বাছেদ বলেন- একদিন পরপর ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ঢেঁড়শ তোলা যেতো। কিন্তু পোকার আক্রমণে বর্তমানে ১ মণ ঢেঁড়শ উঠে না। তারমধ্যে ৫ থেকে ৭ কেজি ঢেঁড়শ ফেলে দিতে হচ্ছে। অপরদিকে ঢেঁড়শের গায়ে প্রচুর পরিমাণে দাগ হচ্ছে। এতে করে পাইকারি ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নেন। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেও পোকা দমনে কার্যকর কোনো সুফল পাচ্ছি না।

একই গ্রামের ঢেঁড়শ চাষি রহিম মিয়া মীর বক্স আলী বলেন, বাড়ির আঙিনায় ১০/১২ শতাংশ জমিতে ৩ হাজার ১’শ টাকা কেজি দরে উন্নত জাতের হাইব্রিড ঢেঁড়শের বীজ কিনে চাষ করেছি। গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঢেঁড়শ আসলেও পোকার আক্রমণে ঢেঁড়শগুলো পরিপক্ব হচ্ছে না। বড় হওয়ার আগেই পোকার আক্রমণে ঢেঁড়শ বাঁকা হয়ে যায়। এতে করে অনেক ঢেঁড়শ নষ্ট হয়। এবার খরচের টাকাও উঠবে না।

পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাওয়া ঢেঁড়স। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সরেজমিনে উপজেলার কয়েড়া, নিকরাইল, নলুয়া, সিরাজকান্দি, বরকতপুর, বিলচাপড়া, রুহুলী ও চর নিকলা গ্রামের বিভিন্ন ঢেঁড়শ ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়- তীব্র দাবদাহে ও খরায় ঢেঁড়শ ক্ষেতের মাটি সাদা হয়ে গেছে। সবুজ রঙের পোকাগুলো ঢেঁড়শ ছিদ্র করে ফেলছে। তাছাড়া গাছ থেকে ঢেঁড়শের ফুলসহ ঝড়ে যাচ্ছে অসংখ্য ঢেঁড়শ। এছাড়া বাঁকাও হয়ে যাচ্ছে। এগুলো তুলে ফেলা দিচ্ছেন কৃষকরা।

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এদিকে কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাছাড়া হাট-বাজারে সারের দোকানগুলোতে গেলে দোকানিরা পোকা দমনের যে-সব কীটনাশক দেয় সেগুলো দিয়ে পোকা দমন হচ্ছে না। এসব কীটনাশকের অতিরিক্ত দামও নেন তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে পোকা দমন করতে না পারলে ব্যাপক লোকসানে পড়তে হবে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন- প্রচণ্ড তাপমাত্রা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঢেঁড়শসহ অন্যান্য সবজিতে বিভিন্ন ধরনের পোকা-মাকড় বংশবিস্তার ছড়াচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে পোকার বংশবিস্তার রোধ হবে। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পোকা দমনে সকল ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

নারী আম্পায়ার নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ক্রিকেট অঙ্গণে নতুন এক ইস্যুতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। নারী আম্পায়ারের অধীনে খেলতে চান না ক্রিকেটাররা; এমন উড়ো খবরে দেশের ক্রিকেটে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মূলত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) গত ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। আর এই ম্যাচ শেষে হঠাৎ খবর আসে মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা খেলতে চাননি এই নারী আম্পয়ারের অধীনে।

তবে নারী আম্পায়ার নিয়ে সব বিতর্কের খোলাসা করেছেন জাতীয় দলে দুই ক্রিকেটার মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। নারী আম্পায়ারের অধীনে খেলতে চান না চাওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে মুশফিক বলেন, ‘আমি বা আমাদের কোনো খেলোয়াড় এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলিনি এবং কোনো আপত্তিও জানাইনি। আমি বরং এটা দেখে খুবই আনন্দিত হয়েছি যে একজন নারী আম্পায়ার এত দূর এসেছেন এবং আমাদের দেশ থেকে তিনি আইসিসির প্যানেল আম্পায়ার হয়েছেন। এ জন্য আমি তাকে অভিনন্দনও জানিয়েছি।’

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে এমন অভিযোগ নিয়ে বেশ হতাশ মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ শেষে আমি তো ওনাকে (সাথিরা জাকির) আরও অভিনন্দন জানালাম! সাধুবাদ জানিয়ে বলেছি, “খুব ভালো আম্পায়ারিং করেছেন।” আমি, মুশফিক, তামিম, আমরা এত বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি, সবাই নিশ্চয়ই বুঝবেন, আমরা এ রকম কিছু করার মানুষ নই। তারপরও কী চিন্তা করে এসব বলা হয়, বুঝি না। এটা ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তির জন্যও ক্ষতিকর।’

গত ২৫ এপ্রিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির। এর আগে প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানও একই দাবি করে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে। রোববার (২৮ এপ্রিল) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে প্রাইম ব্যাংক জানায়, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব প্রগতিতে বিশ্বাসী এবং সব লিঙ্গ-ধর্ম-বর্ণের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মাঝেমধ্যে ম্যাচ চলাকালে আম্পায়ারদের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে খেলোয়াড়েরা মাঠেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন, যা খেলারই অংশ। প্রকাশিত খবরে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট আম্পায়ারের অধীনে ম্যাচ খেলতে চায়নি বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন।’

নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। ছবি: সংগৃহীত

মূলত বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার আহমেদের একটি বক্তব্য থেকে দুই ক্লাব বা তাদের ক্রিকেটাররা নারী আম্পায়ারের পরিচালনায় খেলতে চান না এমন আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিসিবি মহিলা আম্পায়ার নিয়োগ করায় তারা (দুই ক্লাব) অসন্তুষ্ট হয়েছে। তারা (দুই ক্লাব) আমার কাছে অভিযোগ করেনি। তবে সিসিডিএমের কাছে অভিযোগ করেছে।’

তবে আম্পায়ার্স কমিটির প্রধানের এমন বক্তব্যের দায় নিচ্ছে না সিসিডিএম। সিসিডিএম প্রধান মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন চৌধুরী দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘সিসিডিএমের কাছে কোনো ক্লাব বা ক্রিকেটার কোনো অভিযোগ করেনি এবং সিসিডিএমও এমন কোনো অভিযোগের কথা আম্পায়ার্স কমিটির কাউকে জানায়নি।’

তাহলে এমন অভিযোগ কোথা থেকে জানলেন আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান? এমন প্রশ্নে ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘মাঠে যারা ছিলেন, তারাই আমাকে এটা জানিয়েছেন। সিসিডিএম থেকেও আমি শুনেছি। তবে কে বলেছে, তার নাম বলা যাবে না। ক্রিকেটারদের দিক থেকে কোনো সমস্যা ছিল না। ম্যাচ শেষে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, তামিমরা জেসিকে (সাথিরা জাকির) অভিনন্দন জানিয়ে বলেছে—ওয়েল ডান।’

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

দেশের সর্বোচচ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, আজ সোমবার বিকেল ৩ টায় এ মওসুমের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে  চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

দেশের সর্বোচচ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

তিনি আরও বলেন, 'এখন এ জেলায় অতি তাপদাহ চলছে। এ অবস্থা আগামী কয়েকদিন থাকতে পারে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। দু’দিন পর আবারও এ জেলায় তাপমাত্রার তীব্রতা বেড়ে গেছে। দু’দিনে এ জেলায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে। তীব্র রোদ আর গরমে রাস্তায় বের হতে পারছেন না মানুষজন। রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। এ যেন একেবারে মরুভূমির তাপমাত্রা।

গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছেন স্বল্প আয়ের মানুষজন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

তীব্র রোদের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অনাহারে দিন পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষজন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে  রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

এদিকে অতি তীব্র তাপদাহে সোমবার প্রাইমারি স্কুল খোলা থাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এ জেলার অভিভাবকরা। যেখানে জাতী সংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ চলতি তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুদের  অতি উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে। সেখানে স্কুলগুলো চলমান তাপপ্রবাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য সরকারের অনুরোধ জানিয়েছে এ জেলার অভিভাবকরা।

সর্বশেষ সংবাদ

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা
নারী আম্পায়ার নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
যুদ্ধ করতে চায় না ইসরায়েলি সেনারা, বিপাকে নেতানিয়াহু
এবার ঝিনাইদহ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
কারা বিক্রি করছে ফুটপাত, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
এখনো উদ্ধার হয়নি লেকে ডুবে যাওয়া সেই শিশু
রাত ১১ টার পর চা-বিড়ির দোকান বন্ধের নির্দেশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে
সোনাইমুড়ীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, আজ থেকে খনন
আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার
বিয়ের দাবি নিয়ে আসা তরুণীকে নিয়ে পালালেন ছাত্রলীগ নেতা
তীব্র গরমে ৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে আজ
হিটস্ট্রোকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু, নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা
ডাক্তার পাত্রীকে বিয়ে করছেন শাকিব খান !
পদত্যাগ করলেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গুদামে মিলল পুলিশের রেশনের ৩০০ বস্তা চাল, ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা
নওগাঁয় মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন