বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

চিকিৎসায় অবহেলার প্রমাণ মিলেছে, তদন্ত প্রতিবেদন জমা

ছবি: সংগৃহীত

ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে সুন্নাতে খতনা করানোর সময় রাজধানীর বাড্ডার সাতাকুল এলাকার হাসপাতালটির চিকিৎসকদের অবহেলার প্রমাণ মিলেছে।

এমনকি দুর্ঘটনা ঘটার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণে সময়ক্ষেপণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, তিনি এখনো প্রতিবেদনের কপি হাতে পাননি। ইউনাইটেড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় গত ৭ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে মারা যায় ৫ বছরের শিশু আয়ান।

পরদিন ৮ জানুয়ারি শিশুটির পরিবার গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন ৩১ ডিসেম্বর খতনার পর আয়ানের মৃত্যু হয়। এর পরও কর্তৃপক্ষ ঘটনা গোপন রেখে ছয় লাখ টাকার বিল দ্রুত পরিশোধের দাবি করে। হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করার পর এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা কীভাবে কোন কারণে ঘটেছে তা যথাযথ অনুসন্ধান করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের অবহেলা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও বলে হাইকোর্ট। তখন অধিদপ্তর সরেজমিন পরিদর্শন করে হাসপাতালটির নিবন্ধন নবায়ন না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মুগদা জেনারেল হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধানের নেতৃত্বে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির অন্য তিন সদস্যের মধ্যে একজন মুগদা হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ, আরেকজন মুগদা হাসপাতালেরই একজন সহকারী পরিচালক। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালকও ছিলেন কমিটিতে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় নির্ধারণ করা হয়। যার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার।

এদিন সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশীদ আলম যুগান্তরকে বলেন, ‘আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। প্রতিবেদনে কী উল্লেখ রয়েছে সেটা বলা যাবে না। এ বিষয়ে আমাদের বলার এখতিয়ার দেয়নি। না হলে অবশ্যই বলতাম। যেহেতু মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি, আগে তারা দেখবে। সেখান থেকেই সবাই জানতে পারবেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, অফিসিয়ালি জমা দেওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এখনো আমার হাতে আসেনি। অবশ্যই রিপোর্ট দেখব। আমি আগেও বলেছি, দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাছাড়া শিশুটির মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেটিও গণমাধ্যমে বলেছি।

এই প্রতিবেদক তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। কিন্তু কেউ নিজেদের নাম প্রকাশ করে কোনো তথ্য জানাতে রাজি হননি। তবে জানা যায়, শিশুটির মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের চিকিৎসা অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে কমিটি। দুর্ঘটনা ঘটার পর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সময় ক্ষেপণেরও প্রমাণ মিলেছে।

এর আগে গত রোববার (১০ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, হাসপাতালটিতে পরিদর্শনে গিয়ে ওই লাইসেন্সসহ জরুরি কাগজপত্র পাননি। এছাড়া দপ্তরের অনলাইন ডাটাবেজ পর্যালোচনা এবং পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামে কোনো প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিকট নিবন্ধন/লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য কখনোই অনলাইন আবেদন করেনি। প্রতিষ্ঠানটি কোনো প্রকার আইনানুগ নিবন্ধন অথবা লাইসেন্স ব্যতিরেকে চিকিৎসাসেবা নির্মাণাধীন ভবনে পরিচালনা করে আসছে, যা সরকারের প্রচলিত আইনের পরিপন্থি।

ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ নিয়ে তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি : এদিকে সাতারকুলের ইউনাইটেড হাসপাতালের পর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন ও তদন্ত করতে নতুন করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। বুধবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, ‘শিশু আয়ানের মৃত্যু : ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন/তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হলো।

তদন্ত কমিটির সভাপতি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ। সদস্য হিসাবে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আমীর হোসাইন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল কাদের, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সরকারি মেডিকেল কলেজ) ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা) ডা. সায়মা আখতার চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলমের অনুমোদন রয়েছে। পাশাপাশি আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে মহাপরিচালক স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মেডিকেল কলেজটি পরিদর্শনে করে।

অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে ইউনাটেড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফুল হক যুগান্তরকে বলেন, আমরাও অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদনের কপি অফিসিয়ালি হাতে পাইনি, ফলে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

Header Ad
Header Ad

আমরা ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরিফ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (বামে) এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পাল্টা হামলাকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, "পাকিস্তানি সেনারা মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতের আগ্রাসন রুখে দিয়ে প্রমাণ করেছে, পাকিস্তান আর ১৯৭১ সালের সেই দুর্বল রাষ্ট্র নয়। আমরা আমাদের ইতিহাসের প্রতিশোধ নিয়েছি।"

বুধবার (১৪ মে) শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে "অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস"-এ অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাতে এসব কথা বলেন শেহবাজ। তিনি এই সামরিক অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, “এই অপারেশন পাকিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সেনারা দুর্দান্ত সাহস ও দ্রুততায় শত্রুর জবাব দিয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে ভারত ও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানকে পরাজিত করে। এর আগে পাকিস্তান ভারতের বিমান ঘাঁটিতে ‘অপারেশন চেঙ্গিস খান’ চালায়, যার জবাবে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

শেহবাজ বলেন, “ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে—পাকিস্তানের সাহসী সেনারা কীভাবে ভারতের অপ্ররোচিত আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে। তারা শুধু বর্তমানের নয়, অতীতের অপমানেরও জবাব দিয়েছে।”

পাক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীকে কারা প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। আজও সেই একই শক্তি বেলুচ লিবারেশন আর্মি এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে। এর পেছনে আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

মোদির উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে শেহবাজ বলেন, “আপনার জ্বালাময়ী বক্তব্য নিজের কাছে রাখুন। পাকিস্তান শান্তি চায়, কিন্তু কেউ যেন আমাদের শান্তির আহ্বানকে দুর্বলতা না ভাবে। যদি আপনি আরেকবার আগ্রাসনের চেষ্টা করেন, তাহলে ফলাফল আপনার কল্পনার বাইরে হবে।”

সম্প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের পানি প্রবাহ বন্ধ করার হুমকির জবাবেও কড়া অবস্থান নেন শেহবাজ। তিনি বলেন, “পানি ও রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। এটি পাকিস্তানের লাল লাইন। এই সীমা লঙ্ঘন করা হলে চরম পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”

শেহবাজের সফরে তার সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান ও বিমানবাহিনী প্রধানসহ অন্যান্য শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা।

Header Ad
Header Ad

পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ নার্সিং শিক্ষার্থীরা, শাহবাগে যান চলাচল শুরু

পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ নার্সিং শিক্ষার্থীরা, শাহবাগে যান চলাচল শুরু। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন ডিপ্লোমা নার্সিং শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ মে) রাত ৯টার দিকে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন।

পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নার্সিং শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ মোড়ে পৌঁছান। শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিলেও শিক্ষার্থীরা তা অতিক্রম করে মোড়ে অবস্থান নেন, ফলে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষোভ চলাকালে রাত ৯টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরাতে লাঠিচার্জ শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীরা কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

আহত শিক্ষার্থী আভি শেখ বলেন, "আমরা পুলিশের কাছে মাত্র ১০ মিনিট সময় চেয়েছিলাম, যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক ছেড়ে যেতে পারি। কিন্তু সেই সময় না দিয়ে তারা সরাসরি লাঠিচার্জ করে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।" তিনি আরও জানান, "আমরা এখন শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছি এবং সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।"

লাঠিচার্জের পর শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় ছেড়ে যাওয়ায় সেখানে যান চলাচল আবারও স্বাভাবিক হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোড়ে অবস্থান নিয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ রিকশাচালককে দেড় লাখ টাকা অনুদান, পাবেন চাকরিও

ক্ষতিগ্রস্ত তিন রিকশাচালকের হাতে অনুদানের অর্থ তুলে দেন ডিএনসিসি প্রশাসক। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন রিকশাচালককে দেড় লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সেইসঙ্গে তাদের চাকরির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

বুধবার (১৪ মে) ডিএনসিসি ভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রশাসকের নিজ কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিন চালকের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকার চেক তুলে দেন তিনি।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, "মানবিক দিক বিবেচনায় আমরা এই সহায়তা দিয়েছি। তবে এটা এককালীন। ভবিষ্যতে মূল সড়কে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করলে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তিনি আরও জানান, চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে এরই মধ্যে ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) ডিএনসিসি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) যৌথভাবে আসাদগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল সড়কে চলাচলরত অবৈধ ব্যাটারিচালিত বেশ কিছু রিকশা জব্দ করে। কিছু রিকশা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন কয়েকজন চালক।

এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে ডিএনসিসি প্রশাসকের। পরে তিনি দ্রুত সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন।

ডিএনসিসি প্রশাসক আরও জানান, রাজধানীর প্রধান সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা অপসারণ করা হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অনুমোদিত মডেলে ব্যাটারিচালিত রিকশা উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে কয়েকটি কোম্পানিকে।

তিনি বলেন, "এসব রিকশাচালককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধ রিকশা পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হবে। ব্র্যাকের সহায়তায় প্রায় এক লাখ রিকশাচালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যা চলতি মাসেই শুরু হবে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমরা ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরিফ
পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ নার্সিং শিক্ষার্থীরা, শাহবাগে যান চলাচল শুরু
অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ রিকশাচালককে দেড় লাখ টাকা অনুদান, পাবেন চাকরিও
বিশ্বের ‘সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট’ হোসে মুজিকা মারা গেছেন
পিএসএলে দল পেলেন সাকিব আল হাসান!
বিজিবির অভিযানে মেহেরপুর সীমান্তে ৯৪ লাখ টাকার স্বর্ণসহ আটক ২
আ.লীগ সরকারের করা চুক্তিতে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো সম্ভব: দুদক
আইপিএলে ডাক পেলেন মোস্তাফিজ, বিসিবি জানে না কিছুই!
টাঙ্গাইলে জেমসের কনসার্টে মোবাইল চুরির হিড়িক, থানায় ১২৯ জিডি
ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৬ মে
আত্মপক্ষের সুযোগ হারালেন টিউলিপ সিদ্দিক
১ মাস না যেতেই পাল্টে গেল ডেসটিনির রফিকুলের দলের নাম
অশ্লীলতার অভিযোগে ৬ অভিনেত্রী ও ৩ নির্মাতার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল থেকে রেইড: আসিফ মাহমুদ
ইসরায়েলের বিমানবন্দরে হুথিদের মিসাইল হামলা (ভিডিও)
আইপিএলে ৬ কোটিতে মুস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস
টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতার কারখানায় ডাকাতি, গ্রেফতার ৯
সেলিব্রিটি ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন গিগাবাইট টাইটানস, উচ্ছ্বসিত সিয়াম-মেহজাবীনরা
এপ্রিলে আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার মিরাজ
সমাবর্তনে ড. ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি দিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়