শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বন্ধু নির্বাচনে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে

ছবি: সংগৃহীত

বন্ধুত্ব মানে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশেষ সম্পর্কের নাম, বন্ধুত্ব-আত্মার শক্তিশালী বন্ধন। বন্ধুত্ব হলো একে অন্যের সুখে-খুশিতে লাফিয়ে ওঠা কিংবা একে অন্যের দুঃখে পাশে দাঁড়ানো। বন্ধুত্ব হলো মন খুলে কথা বলা, হেসে গড়াগড়ি খাওয়া আর চূড়ান্ত পাগলামি করার একমাত্র আধার। বন্ধুত্ব কোনো বয়স মেনে হয় না, ছোট-বড় সবাই বন্ধু হতে পারে। তবে বন্ধুত্বের মধ্যে যে জিনিসটা অবশ্যই থাকা চাই তা হল ‘ভালোবাসা। আর এ জন্য আত্মার সঙ্গে আত্মার টান থাকতে হয়।

বই-পুস্তক, নাটক, সিনেমা থেকে শুরু করে বাস্তব জগৎ, জীবন সুন্দর করতে বন্ধুত্বের গুরুত্ব কতটা তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আবার একইভাবে বন্ধুত্বের কারণে জীবনে চরম বিপত্তিও ঘটতে পারে। তাই বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হওয়া জরুরি। ভালোভাবে জানতে হবে, যাকে আপনি বন্ধু বানাচ্ছেন; তিনি আপনার জন্য কতোটা নিরাপদ।

চলুন জেনে নিই বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী কী বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত :

মানুষটি সৎ কি-না তা অবশ্যই খেয়াল করতে হবে। যদি বুঝতে পারেন তিনি মিথ্যাচারে অভ্যস্ত, তাহলে তিনি কখনোই আপনার জন্য সঠিক নন। ঠিক তেমনই একজন সৎ মানুষ আপনার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কারণ, তিনি আপনার সঙ্গে কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। আপনার ভালো ছাড়া কখনোই খারাপ চাইবে না।

বন্ধু নির্বাচনের আগে অবশ্যই তার মানসিকতা কেমন যাচাই করুন। খারাপ মানসিকতার ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। এমন স্বভাবের মানুষ বন্ধু হিসেবে কখনোই ভালো হতে পারে না। তারা যেকোনো বিষয় নিয়ে বাজে মন্তব্য করে বসতে পারেন। সেটা অন্যের হোক বা আপনার ক্ষেত্রে।

বিশ্বাসের মাধ্যমেই বন্ধুত্বের ভিত্তি গড়ে ওঠে। আপনি কাকে বন্ধু হিসেবে নির্বাচন করছেন, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। তার ওপর আপনি ভরসা করতে পারেন কি-না, তা জানুন। কারণ, যেকোনো সম্পর্ক বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে। এমন কাউকে নির্বাচন করুন যিনি আপনার সবকিছু নিজের মধ্যে আগলে রাখবে। আর যদি বন্ধু বিশ্বাসযোগ্য না হয়, তাহলে তিনি যেকোনো সময় আপনার জন্য বিপদজ্জনক হতে পারে। তাই তাকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করুন। যাকে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন।

নিজেদের স্বার্থের জন্য অনেকেই আপনার বন্ধু হতে চাইবেন। জীবনে চলার পথে এমন অনেককে পাবেন। তারা নিজের স্বার্থে আপনার কাছে আসবেন। আবার প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে হঠাৎই গায়েব হয়ে যাবেন। এমন স্বার্থপর মানুষগুলো নিজের স্বার্থে আপনাকে পেছন থেকে ছুরি মারতেও দ্বিধাবোধ করবে না। এমন সম্পর্কগুলো আর যাই হোক বন্ধুত্বের হতে পারে না। তাই বুঝে নিন আপনার সঙ্গে থাকা মানুষটি নিঃস্বার্থভাবে আপনার পাশে আছে কি-না।

আপনার চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা সবসময় আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তারা আপনার জীবনের যাবতীয় ভালো-মন্দ সবকিছুর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তারা চায় আপনি তার কথাতেই চলেন। সে ভুল কিছু বললেও আপনার তাতে কিছু বলার সুযোগ বা অধিকার কোনোটাই নেই। কিন্তু এমনটা তো হতে দেওয়া যায় না। তাই এমন বন্ধু নির্বাচন করুন, যিনি বন্ধুত্বের সীমা পেরিয়ে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব বিস্তার করবেন না।

কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করার আগে সময় নিন। হুট করেই কোনো কিছু করবেন না। কথায় আছে, যে দড়ি গড়তে সময় লাগে না সে দড়ি ছিঁড়তেও সময় লাগে না। তাই আগে মানুষটার সঙ্গে সময় কাটান, কথা বলুন, চিনুন, বোঝার চেষ্টা করুন। এতে যদি বুঝতে পারেন আপনি তার সঙ্গে মন খুলে কোনো কিছু বলতে পারছেন না, তাহলে তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। এমন কাউকে বন্ধু হিসেবে নির্বাচন করুন যার সঙ্গে আপনি মন খুলে মিশতে পারবেন বা তিনি আপনার সঙ্গে মিশতে পারবেন।

Header Ad

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে কলকাতায় গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে অশান্তির জেরে কেউ পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় চাইলে তাকে ফেরাবে না রাজ্য সরকার।

মমতার এমন মন্তব্যে আপত্তিও জানিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পৌঁছে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবহিত। আমি সাতবারের সাংসদ ছিলাম, দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি আমি অন্যদের থেকে ভালো জানি। আমাকে শেখানোর দরকার নেই। বরং সঠিক নিয়মগুলো ওরাই শিখে নিক।

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখটায় তাহলে আমি তাদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেবো। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, উদ্বাস্তু হলে তাকে পাশের এলাকা সম্মান জানাবে। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনা, উত্তেজনাতে না যাই। ছাত্রছাত্রীদের তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে, তার প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আপত্তি জানায়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই ধরনের মন্তব্যে বিভ্রান্তি বাড়বে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল জানিয়ে দেন, অন্য কোনও রাষ্ট্র সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন।

‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এমন সহিংসতা চালানো হয়েছে ।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর বিচার দেশবাসীর কাছে চাই। আন্দোলনের নামে এতোগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো এর দায়িত্ব্য কার? আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে সরকার।’

বিস্তারিত আসছে......

দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী দিমিত্রি বুলগাকভকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)। রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

দিমিত্রি বুলকাভ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রসদ বিভাগের প্রধান ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পদচ্যুত করা হয় তাকে। তারপর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইন্টারফ্যাক্সকে জানিয়েছেন এফএসবির এক কর্মকর্তা।

বস্তুত, দিমিত্রি বুলগাকভের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারিগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল রুশ প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী তিমুর ইভানভের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে পদচ্যুত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিমুর ইভানভ সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

তারপর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫ জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সর্বশেষ গ্রেপ্তার হলেন বুলগাকভ। তার গ্রেপ্তারের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও সামরিক খাতকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

৬৯ বছর বয়সী বুলগাকভ রুশ সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের একজন ছিলেন। সেনাবাহিনীতে তার বেশ প্রভাব ছিল। সামরিক খাতে অবদানের জন্য বেশ কিছু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘হিরো অব রাশিয়া’-ও পেয়েছেন তিনি।

 

সর্বশেষ সংবাদ

'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'
‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগেই প্যারিসে উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী