মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

যেভাবে শুরু করতে পারেন নতুন বছর

ছবি সংগৃহীত

আরও একটি বছর শেষ হয়ে যাচ্ছে ক্যালেন্ডার থেকে। বিগত সময়ে ভালো-মন্দ মিলিয়ে যেভাবেই কাটুক না কেন, নতুন বছরের প্রতিটি দিন কিন্তু ভালোভাবে কাটানো চাই। নতুন ভোরের সাথে জীবনে আসুক নতুন সম্ভাবনা। শুরু হোক নতুন জয়যাত্রা।

চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন বছরে নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে-

একটু গুছিয়ে নিন:

ভালো না লাগলেও কেমন করে যেন জমে যায় বহু জঞ্জাল, মনে কিংবা ঘরের কোণে। দুই জঞ্জালই যথাসাধ্য পরিষ্কার করে ফেলাটা হতে পারে নতুন বছরের জন্য ভালো শুরু। অগোছালো ঘর, কাজের জায়গা গুছিয়ে নিন। নতুন কোনো সাজসজ্জা যোগ করুন। দেয়ালে ঝোলাতে পারেন সুন্দর কোনো ছবি বা জানালার কোণে ঝুলিয়ে দিতে পারেন এক টুকরো সবুজ গাছ। আর এই গুছিয়ে নেওয়ার সময়টাতে অনেক অদরকারি জিনিসকেই কিন্তু বিদায় বলতে হবে।

অনেকদিন ধরেই জমিয়ে রেখেছেন কিন্তু কখনো কোনো দরকারে লাগেনি এমন জিনিসপাতির জন্য ৩টি উপায় রয়েছে। সম্ভব হলে আবারও বিক্রি করে দিয়ে কিছু অর্থকড়ি যোগাড় করুন, আর নয় প্রয়োজন রয়েছে এমন কাউকে উপহার দিয়ে দিন। আর যদি একেবারেই বাতিল কিছু হয়, তবে জঞ্জালের মায়া ত্যাগ করে ডাস্টবিনে ফেলে দিন! কিছু কিছু পুরনো জিনিস থেকে রেহাই না পেলে নতুনকে জায়গা করে দেবেন কীভাবে?

সৃজনশীল কিছু করুন:

জীবনের গৎবাঁধা কাজের বাইরে যদি আপনার সৃজনশীল কাজের অভ্যাস থাকে, তাহলে অবশ্যই প্রথম দিনই হবে আপনার জন্য স্মরণীয়। কারণ বছরের প্রথম দিন আপনি নতুন কিছু করেছেন। তাই সৃষ্টিশীল কোনও কাজ করতে পারেন এইদিনে।

শিক্ষা জীবনে আমি কিভাবে সৃজনশীল হব? - Quora

নতুন কোনো দক্ষতায় হাতেখড়ি:

আমরা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছি। আর এই বেড়ে চলার, নতুন করে আরেকটু বড় হবার এই যাত্রায়– আধুনিক বিশ্বের নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখতে চাইলে নতুন দক্ষতায় নিজেকে শাণিয়ে নেবার তুলনা হয় না। তাই বছরের শুরু থেকেই কোনো সফট বা হার্ড স্কিল কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। অথবা নিজে থেকেই চর্চা শুরু করে দেওয়া যায়।

এখন তো অনলাইন ভিডিও দেখে, নিজে অনুশীলনের মাধ্যমেই অনেক বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিকস ডিজাইনিং, কপিরাইটিং, ইলাস্ট্রেশন ইত্যাদি যে বিষয়েই আগ্রহ আছে সে বিষয়ে নিজেকে আরেকটু দক্ষ করে তুলতে তো ক্ষতি নেই! চাইলে যেকোনো সময়েই এই শুরুটা করা যায়, কিন্তু বছরের শুরুটাকে উপলক্ষ করলে নিজের মধ্যে উৎসাহের পরিমাণ বেশি থাকে, কাজে সফল হবার সম্ভাবনাও বেশি। কারণ মানুষ সবসময়ই নতুন একটা সুযোগ চায়, আর প্রতিটি নতুন বছর আমাদেরকে সেই সুযোগ হাতে তুলে দেয়।

হোক বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা:

এ কথা সত্য যে প্রতি বছরই হয়তো ব্যক্তিগতভাবে কিছু 'নিউ ইয়ার রেজল্যুশন' তৈরি করা হয়, আর বছর শেষে ঠিকঠাক টিক মার্ক দেয়ার মতো কাজ হয় না বললেই চলে। তাই এ বছরের লক্ষ্যগুলো আরেকটু বাস্তবিক উপায়ে নির্ধারণ করুন। এমন কিছু লক্ষ্য, যার জন্য ভালোভাবে কাজ করলে পূরণ করা সম্ভব। হতে পারে বছরশেষে দূরে কোথাও ভ্রমণে যাবেন, সেজন্য সারা বছর ধরে টাকা জমালেন। ব্যক্তিগত বা দলগত কোনো ক্যাম্পেইনের চিন্তা থাকলে সেটি থাকতে পারে নতুন বছরের ইচ্ছে তালিকায়।

ইচ্ছা আর লক্ষ্য দুটোর সমন্বয়েই হতে পারে আপনার নতুন বছরের হালখাতা। নতুন একটি কাজ বা যাত্রা শুরু করার জন্য আদতে প্রতিটি দিনই ভালো, তবে চেষ্টা থাকতে হবে, যাতে বাকির হিসেবে কিছু না পড়ে যায়! বছরের শুরুটা সুন্দর হোক, আর সেই সৌন্দর্যের গন্ধে ভরপুর থাকুক আগামীর দিনগুলো।

সেচ্ছাবসেবী কাজ করুন:

যেকোনো মানবিক কাজ ভালো মানুষকে অন্যরকম এক প্রশান্তি এনে দেয়। এখন শীতকাল। আমাদের দেশে দরিদ্র মানুষেরও অভাব নেই। তাই শীতবস্ত্র বিলিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বছরের প্রথম দিনটি বিশেষ করে রাখতে পারেন। অথবা এটি ছাড়াও আপনার সাধ্যমতো যেকোনো সেচ্ছাসেবীমূলক কাজে অংশ নিতে পারেন।

Header Ad

সিনেমায় আসছেন সোহেল চৌধুরী–দিতির কন্যা লামিয়া

সোহেল চৌধুরী–দিতির কন্যা লামিয়া। ছবি: সংগৃহীত

মা পারভীন সুলতানা দিতিকে হারানোর কষ্ট এখনও তাড়া করে বেড়ায় লামিয়া চৌধুরীকে। তবে এই মনোকষ্ট নিয়েই মিডিয়ায় আসতে চান তিনি। প্রয়াত সোহেল চৌধুরী ও দিতির কন্যা এরই মধ্যে শুরু করেছেন একটি সিনেমা তৈরির কাজ।

দেড় দশক আগে মাকে জানালেও সেই সময় দিতি চাননি মেয়ে মিডিয়ায় আসুক। পরে লামিয়া চলে যান অর্থনীতি নিয়ে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে। কিন্তু পড়াশোনায় মন বসে না। সিনেমা তাকে বেশি টানে। এরপর ইকোনমিকস পড়া বাদ দিয়ে চলে যাই লন্ডন ফিল্ম স্কুলে ফিল্ম প্রডাকশনের ওপর ডিপ্লোমা করা শুরু করেন। সেখানে থেকে নির্মাণ, চিত্রনাট্য লেখা, স্টোরি টেলিং, সম্পাদনাসহ সিনেমার সব বিষয়ে শিখতে থাকেন।

মায়ের সঙ্গে লামিয়া। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম নারীদের নিয়ে গল্প লেখেন লামিয়া। চিত্রনাট্য করে দেন অনম বিশ্বাস। টেলিছবির পরিকল্পনা ছিল। সবকিছু অনেকটাই গুছিয়ে আনছিলেন। এমন সময় তার মা মারা যান।

দিতিকন্যা লামিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমি দেশে এসেছিলাম মায়ের সঙ্গে পরিচালনার জন্য। এটাই ছিল আমার জীবনের স্বপ্ন। আমার গল্প ছিল নারীদের নিয়ে। গল্প–ভাবনা নিয়ে মা খুশি হয়েছিলেন। যতই আমি স্বপ্নের পথে এগোতে থাকি, ততই মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মা যাওয়ার পরে একেবারে একা হয়ে পড়ি। একে আমি দেশে নতুন। অনেক কিছুই চিনি না, জানি না। আমাকে গাইড করার মতো কেউ নেই। যেন অথই এক সাগরে পড়ে যাই। পরিবারের সবকিছু ছোট বয়সেই দেখার ভার আমার ওপরে পড়ে। তখন আমি আর সিনেমা নিয়ে কাজ করতে পারিনি।’

 

২০১৬ সালে দিতি প্রয়াত হওয়ার কয়েক বছর নানাভাবে চেষ্টা করেছেন কাজটি করার। কিন্তু বারবার হতাশ হতে হয়েছে। তত দিনে চারপাশে দেখা গল্পের চরিত্রগুলো বড় হতে থাকে। গত বছরের শুরু থেকে সিনেমাটি নিয়ে নতুন করে ভাবতে থাকেন। পাঁচ মাস ধরে সিনেমাটি নিয়ে টানা কাজ করছেন। ১০ বছর আগের সেই গল্প এখন পুরোপুরি পরিবর্তন করতে হয়েছে। নিজেই চিত্রনাট্য করেছেন।

লামিয়া বলেন, ‘আমার এই স্বপ্নের সঙ্গে শুরু থেকে মা জড়িত। আমি বারবার চেয়েছিলাম নির্মাণ করতে। কিন্তু আমাকে সাপোর্ট করতে পারে এমন লোক পাইনি। কয়েকবার প্রজেক্টটি নিয়ে এগিয়ে গিয়েও আবার পিছপা হতে হয়েছে। সহযোগিতা পাইনি। কিন্তু আমার মনে সব সময় একটা স্বপ্ন ছিল, এই গল্পটা আমার জন্য স্পেশাল। আমাকে বানাতেই হবে। আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আমি সিনেমা বানাব। মাকে ছাড়া সিনেমাটির কাজ করাটা অনেক কঠিন হবে।’

লামিয়ার নির্মিতব্য এই সিনেমার নাম ‘মেয়েদের গল্প’। এই প্রজন্মের ১৮ থেকে ২৫ বছরের মেয়েদের মায়েদের সঙ্গে সম্পর্ক, প্রত্যাশা, বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া নিয়েই এগিয়ে যাবে তিন মেয়ে ও তিন মায়ের গল্প। ইতিমধ্যে অভিনয়শিল্পী নির্বাচন, লোকেশন বাছাই, কস্টিউম ডিজাইনের কাজ শুরু করেছেন। বর্ষা মৌসুমের পরে সিনেমার শুটিংয়ে যেতে চান। ইচ্ছা রয়েছে সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি দেওয়ার।

৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু : মন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ছয় মাসের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি ব্যবহারের উপযোগি হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এদিন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী।

গত বছরের ৭ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের ‘সফট ওপেনিং’ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর টার্মিনাল ব্যবহার করে বিমান চলাচল শুরু হলেও এর পুরোপুরি ব্যবহার সম্ভব হয়নি।

থার্ড টার্মিনাল কবে নাগাদ সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগে জাপানি প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। তারা বলেছে যে, তাদের আরও কয়টা দিন সময় লাগবে। আপনারা জানেন কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ- এসব কারণে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বে সব প্রজেক্ট কিছুটা স্লো হয়েছে। আমাদেরকে এজন্য কিছুটা স্লো হতে হচ্ছে। তবে কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা এটাকে পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবো।’

কতদিনের মধ্যে সেটা পারবেন- এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট সময় বলা ঠিক হবে না। তবে ওরা কিছুদিন সময় চেয়েছে তো। আমরা মনে হয় অ্যাট লিস্ট ছয় মাস তো লাগবেই।’

বিমানবন্দরে ই-গেটগুলো পড়ে আছে। কাজে লাগেনি- এ বিষয়ে বিমান মন্ত্রী বলেন, ‘ই-পাসপোর্টের জন্য ই-গেটগুলো চালু হয়নি। একটার সঙ্গে আরেকটার লিংক আছে। আমরা ই-গেট করে ফেলেছি, কিন্তু ই-পাসপোর্ট এখনও করতে পারিনি। আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে, ইনশাআল্লাহ এগুলো সব একে একে এগোচ্ছে।’

বিদেশিদের সব দেওয়া আছে। প্রশিক্ষণের কোনো উদ্যোগ আছে কি না- এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ‘অলরেডি রিক্রুটমেন্ট চলছে। এক এক ব্যাচ করে ট্রেনিং শুরু হয়ে গেছে। এমন নয় যে হঠাৎ করে দেখা যাবে কেউ নেই। ট্রেনিংয়ের কাজও চলছে।’

বেবিচকের ৩৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সাতজন পালিয়েও গেছেন-এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন,‘এটা খুবই আনফরচুনেট যে এ ধরনের কোনো একটা ঘটনা ঘটেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শক্ত সাজার ব্যবস্থা করেছি। এমনকি যারা কানাডায় পালিয়ে গেছেন সেখানকার পুলিশের মাধ্যমে তাদের ধরার ব্যবস্থা আমরা করছি। সুতরাং কেউ যদি আইনের বিরুদ্ধে কাজ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

টানা পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

টানা পঞ্চমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আসনে বসে অনন্য রেকর্ড গড়লেন ভ্লাদিমির পুতিন। এর ফলে আরও ছয় বছরের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের সুযোগ পাচ্ছেন পুতিন। তবে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারের মেয়াদে বেশি ক্ষমতাধর হবেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন তিনি। এর আগে গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭.২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এই নেতা। সরকারি-বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে।

বিলাসবহুল মোটর শোভাযাত্রায় গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্রাসাদে আসেন পুতিন। এরপর প্রাসাদের করিডোর দিয়ে লালা গালিচা বিছানো পথ দিয়ে হেঁটে সেন্ট অ্যান্ড্রু হলে যান তিনি। সেখানেই সংবিধানে হাত রেখে আরও ছয় বছর মেয়াদে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার জন্য শপথ নেন পুতিন। এরপর সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন তিনি।

এ সময় রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের ফাদারের কাছ থেকে আশীর্বাদও নেন পুতিন। এদিকে পুতিনের শপথ অনুষ্ঠানে দূত পাঠায়নি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশ। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, রাশিয়ার নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বিবেচনা করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তাই পুতিনের শপথ অনুষ্ঠানে কেউ যাচ্ছেন না।

যুক্তরাজ্য ও কানাডা জানিয়েছে, তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কাউকে পাঠাবে না। জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারাও এতে অংশ নেবে না।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক মুখপাত্র বলেছেন, ২০ টি ইইউ সদস্য রাষ্ট্র এই অনুষ্ঠান বয়কট করবে। তবে ফ্রান্স, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়াসহ ৭টি ইইউভুক্ত দেশ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

১৯৯৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ভ্লাদিমির পুতিন । পরে তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিনের বদন্যতায় ১৯৯৯ সালে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ওই বছর পুতিনের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ইয়েলেৎসিন।

পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন পুতিন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাশিয়ার সংবিধানেও কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকার অনুমতি ছিল না। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিজের বিশ্বস্ত অনুসারী দিমিত্রি মেদভেদেভকে তিনি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান এবং নিজে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হন। সেই নির্বাচনে মেদভেদেভ এবং পুতিন— উভয়ই জয়ী হয়েছিলেন।

কিন্তু ২০১২ সালের নির্বাচনে ফের জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল ৪ বছর থেকে ৬ বছরে উন্নীত করেন এবং দুই বারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীতা না করার যে বাধ্যবাধকতা ছিল— তা বাতিল করেন। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি।

রাশিয়ায় এ পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রেসিডেন্টের পদে থাকার রেকর্ডের মালিক সাবেক সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন। টানা ২৮ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। শপথগ্রহণের পর এবারের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারলে স্ট্যালিনকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হবেন পুতিন।

সর্বশেষ সংবাদ

সিনেমায় আসছেন সোহেল চৌধুরী–দিতির কন্যা লামিয়া
৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু : মন্ত্রী
টানা পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন
ডামি ও প্রতারণার উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই : রিজভী
কারওয়ান বাজারে হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে লাগবে ডোপ টেস্ট
ম্যাডোনার কনসার্টে হাজির ১৬ লাখ দর্শক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেল যেসব সংবাদমাধ্যম
৩ দিনেই স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেওয়া হল 'ডেডবডি'
গরমে আনারস খাওয়ার উপকারিতা
দেশে যানবাহনের নতুন স্পিড লিমিট, মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার
১৪১ উপজেলায় বুধবার সাধারণ ছুটি
খাবারের প্যাকেটে সাংবাদিকদের টাকা দিল ন্যাশনাল ব্যাংক
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ১০ মে
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার বড় সমস্যা না : সিইসি
যেভাবে জানা যাবে এসএসসি ও সমমানের ফল
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কভার্ডভ্যান-ট্রাক সংঘর্ষে একজন নিহত, যান চলাচল স্বাভাবিক
স্বাভাবিক রুটিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু
উপজেলা নির্বাচনে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন