শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২   

ভোর বেলা আমাদের মরুযাত্রার কথা। যে দেশের পঁচানব্বই শতাংশ এলাকাই মরুভূমি সেই দেশে ঘুরতে এসে প্রকৃত মরু অঞ্চল সফর না করে ফিরে যাওয়া মানে মিশর ভ্রমণ অসম্পূর্ণ রেখে যাওয়া। আমাদের গন্তব্য আল ফাইয়ুম। কায়রো থেকে আশি মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে মরুদ্যান নগরী ফাইয়ুম একই নামের এই প্রশাসনিক এলাকার রাজধানী।

মরু অঞ্চল হলেও আল ফাইয়ুমের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে হ্রদ-নদী-খাল, এমন কি জলপ্রপাতসহ নানা ধরনের জলাধার। ফলে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই আল ফাইয়ুম তুলা, গম, ভুট্টা, আখসহ ফুল, ফসল আর উট, দুম্বা, ভেড়া জাতীয় প্রাণিজ সম্পদের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। আমরা মরুদ্যানে গড়ে ওঠা শহরে নয়, যেতে চাই প্রকৃত মরুভূমিতে।

         বালি ও পাথরের ওপারের হ্রদ

আমাদের পথপ্রদর্শক হিসাবে মোহামেদ সাদেক বাহন এবং চালকসহ সাত সকালে এসে হাজির।     
রানা ভাই গাড়িতে উঠেই বললেন টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার মরুভূমিতে চলাচলের জন্য যথোপোযুক্ত বাহন। এ ছাড়াও ফোর হুইল, হর্স পাওয়ার এবং ইঞ্জিন সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য দিয়েছিলেন রানা ভাই, গাড়ি সম্পর্কে আমার জানাশোনা একেবারেই মূর্খের পর্যায়ে বলে কিছুই আমার মনে নেই। শুধু বাহন নয়, মোহামেদ সাদেক বাহনের চালক বাসুনির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়, ‘হি ইজ আ ডেজার্ট ডেভিল!’ সুদর্শন শশ্রুমণ্ডিড দীর্ঘদেহী তরুণ গাড়িচালক বাসুনি কোনো ধরনের শয়তান, সে পরিচয় পেয়েছিলাম দিকচিহ্নহীন ধুসর মরুভূমির একেবারে ভেতরে ঢুকে পড়ার পরে। তবে তখন শুধুই দাঁতে দাঁত চেপে ইস্ট নাম জপতে জপতে বালিয়াড়ির মধ্যে টিলা টপকে আবার বালির সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে পড়া ছাড়া কোনো গত্যান্তর ছিল না।  

         সাদেক, বাসুনি, রানাভাই ও হেনা

শহর থেকে বেরোতে ট্রাফিক জ্যামের কারণে আমাদের বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হলো। তবে আমাদের উল্টো দিকে শহরের প্রবেশ পথের দিকে গাড়িগুলো সারি সারি পিঁপড়ার মতো ধীর গতিতে এগুচ্ছে দেখে সান্তনা পেলাম, আমরা ওদের চেয়ে দ্রুত এগুচ্ছি। দু পাশের অসংখ্য নতুন স্থাপনার কাজ চলছে। হাজার হাজার রংচটা অসমাপ্ত অর্ধসমাপ্ত বাড়ি আর ধূলি মলিন ভবনের দৃশ্য দেখতে দেখতে তিন চার কিলোমিটার পথ এগোবার পরে যানজট কমে এলো। আমরা ততোক্ষণে গিজার কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।

         আল ফাইয়ুমের জনপদ   

গিজার দুটো পিরামিড হাতের বামে রেখে শহর থেকে বেরিয়ে যাবার পরপরই সাদেক গাড়ির সিডি প্লেয়ারে আরবি গান চালিয়ে দিল। রানা ভাই বললেন এটা তো মনে হচ্ছে উম্মে কুলসুমের কণ্ঠ নয়। আরব বিশ্বের সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী মিশরের উম্মে কুলথুম, যাকে আমরা উম্মে কুলসুম নামেই জানি, তিনি চার দশকের বেশি সময় তাঁর গানে মাতিয়ে রেখেছিলেন সমগ্র আরব দুনিয়া। আমরা ভাষা না জেনেও তাঁর গানের সঙ্গে, অসাধারণ কণ্ঠের সুর মূর্ছনার সঙ্গে পরিচিত। তাই প্রথমেই যে নামটি মনে আসে সেটি উম্মে কুলথুম। মোহামেদ সাদেক জানালো, ‘ইনি ফাইরুজ! লেবাননের সবচেয়ে জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ফিরুজ ফাইরুজ। তবে শুধু লেবানন নয়, সারা আরব দুনিয়া তাঁর কণ্ঠের গানে মাতোয়ারা।’ ফাইরুজ জন্মেছেন উন্মে কুলথুমের চল্লিশ বছর পরে,স্বাভাভিক ভাবেই আধুনিক যন্ত্র অনুসঙ্গ এবং প্রকৌশলগত উৎকর্ষ তাঁর গানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ফাইরুজের কণ্ঠের সুর মাধুর্যে দ্রুত গতিতে ছুটতে থাকা আমাদের বাহন যেনো প্রতি মুহূর্তে ছন্দের দোলায় দুলতে থাকে। ফাইরুজের কণ্ঠ ছাড়াও আরবি গানের বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রেখে ইন্টরল্যুডে সুর ছড়ায় নে নামের বাঁশি কিংবা ওউদ নামের গিটার। অনেকটা সময় ধরে আমরা ফ্ইারুজের গানে মগ্ন থাকি।  

        কারুন পেরিয়ে চেকপোস্ট

ঘণ্টাখানেক পরে সেনাবাহিনির একটি গ্যাস স্টেশনে প্রথম যাত্রা বিরতি। মরু প্রান্তরে পেট্রোল পাম্পের সঙ্গে গোলাপি টালিতে ছাওয়া একটি ছোট্ট রিসোর্ট তৈরি করে নিয়েছেন সেনাকর্তারা। যে দেশের প্রেসিডেন্ট সেনাবাহিনির সাবেক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি সে দেশে মরুভূমিতে সেনা কর্মকর্তাদের বিশ্রামে জন্য একটা রিসোর্ট তো থাকতেই পারে। তবে সদাশয় সেনাবাহিনি সাধারণ মানুষের জন্য গাড়ির জ্বালানি নেওয়ার পাশাপাশি চা পানির ব্যবস্থাও রেখেছে। আমরা গাড়ি থেকে নেমে চা কফি কেক বিস্কিটের কিয়স্ক ‘স্মাইল মার্কেট’এ ঢুকে পড়ি। জলযোগ না হলেও জল বিয়োগের জন্যে এখানে থামাটা দরকার ছিল। ‘স্মাইল মার্কেট’এর টয়লেটে ঢুকে এর করুণ দশা দেখে অবশ্য মনে হলো, প্রক্ষালণ কক্ষের উপর সেনাবাহিনির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। নাক চেপে প্রক্ষালণ শেষে আমরা কফির কাপ হাতে একটু বাইরে ঘুরে এলাম। গ্যাস স্টেশনের ভেতরে এবং আশেপাশে কিছু গাছ লাগিয়ে সেগুলো বাঁচিয়ে রাখার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চলছে এখানে। মরুভূমিতে একটু সবুজের ছোঁয়া দেখে ভালো লাগলো। আমাদের চারপাশে এতো সবুজ, আমরা তাই গাছপালা সংরক্ষণের ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারি না। 

       কারুন লেকের এক প্রান্ত

দুপাশে ছোট ছোট বালির পাহাড় এবং মাঝখানে সরু এক চিলতে পথ দিয়ে ল্যান্ডক্রুজার এগোতে শুরু করলে বুঝলাম ক্রমেই আমরা গভীর মরুভূমির ভেতরে ঢুকে পড়ছি। ছোট বালির পাহাড়গুলো মাঝে মাঝেই বড় হয়ে যায়, বিশাল বালির স্তুপ কখনো কাছে এগিয়ে আসে আবার কখনো দূরে সরে যায়। যতো দূরে চোখ যায় সারি সারি হলদে বাদামি রঙের বালির টিলা চোখে পড়ে। কোথাও কোথাও এইসব বালির সমুদ্রে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে সবুজ ঝোপঝাড়, লতাগুল্ম। তবে এই বিশাল বালুর পৃথিবীতে সবুজের দেখা নেই বললেই চলে, বরং মাঝে মাঝে ধূসর পাথরের ঢিপি কিংবা নুড়ি পাথরের মতো স্তূপ অনেকটা সময় ধরে আমাদের সাথে সাথে চলতে থাকে। সাদেকের ভাষ্যমতে এইসব পাথর প্রধানত লাইম স্টোন। পথের পাশের সারি সারি বালির ঢিপি এবং দূরের বালির পাহাড় হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলে দিগন্ত বিস্তৃত বালির সমুদ্রের ওপারে নীল জলের আভাস পাওয়া যায়। আমার মনে হয়েছিল একি মরিচিকা! রানা ভাই বললেন, ‘এখানে লেক কারুনসহ আরও অনেকগুলো লেক আমাদের পথে পড়বে। কাজেই দূরে যা দেখা যাচ্ছে সেটি সত্যি কোনো একটি জলাধার। মোহামেদ সাদেক জানালো, ’এই পুরো আল ফ্ইায়ুম এলাকাটাই এক সময় কোনো সাগর বা মহাসাগরের অংশ ছিল। তার প্রমাণ তোমরা নিজের চোখেই দেখতে পাবে।’

বালিতে নুড়ি পাথর ছড়ানো যে পথ ধরে এতোক্ষণ চলছিলাম সেটি প্রচলিত ধারণার পাকা রাস্তা না হলেও যথেষ্ট মসৃণ। হঠাৎ করে বাসুনি জোরে স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে তার গাড়ি রাস্তা থেকে ডান দিকে বালির সমুদ্রে তুলে নিয়ে এলো। উঁচু নিচু বালুর তরঙ্গমালায় ঢেউ তুলে এবং এই সাথে আমাদের সারা শরীরে খানিকটা ঝাঁকুনি ছড়িয়ে একটু পরেই থেমে গেল ল্যান্ডক্রুজার। পা রাখলাম মরুময় বালির চত্বরে। জনমানবহীন এই বিশাল প্রান্তরে প্রবহমান বাতাসের মৃদু সির সির শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না। আমরা নিচে নেমে পাথরের টুকরো ছড়ানো হলদে বাদামি বালির সমুদ্র থেকে মুঠো ভরে বালি তুলে নিয়ে অবাক হয়ে দেখি বালির ভেতরে ঝিনুক বা শামুকের খোলের ছোট ছোট ভঙুর অংশ। সাদেক দুই একটি শক্ত পাথরের টুকরো আমাদের হাতে দিয়ে বলে, ‘এই যে দেখো, এটা হয়তো কোনো সামুদ্রিক প্রাণির দাঁত!’ আমাদের অবিশ্বাসের চোখে তাকাতে দেখে সে আবার বলে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক তিমির কঙ্কাল দেখাতে নিয়ে যাবো। ঘণ্টা খানেকের পথ।’

           কারুন হ্রদ

আমরা ল্যান্ডকুজারকে পেছনে রেখে স্তরে স্তরে সাজানো একটি লাইমস্টোনের স্তূপ পার হয়ে সামনে এগিয়ে দেখতে পাই মরুভূমির প্রান্তে বিস্তৃত নীল জলের এক বিশাল হ্রদ। জলাধারের কাছাকাছি দুই একটি সবুজ ঝোপ ঝাড় দেখা গেলেও মনে হয় হ্রদের ওপারে রীতিমতো সবুজের সমারোহ। ফসলের মাঠ নাকি বনভূমি, হয়তো আমাদের দৃষ্টি বিভ্রমও হতে পারে। তবে খুব বেশি সময় এ হলদে বালিয়াড়ি ও নীল জলের সৌন্দর্য উপভোগের সময় ছিল না। আমরা গাড়ির কাছে ফিরে এসে মরুভ্রমণ স্মরণীয় করে রাখতে কয়েকটি ছবি তুলে সামনের দিকে যাত্রা শুরু করি।
কুড়ি পঁচিশ মিনিট চলার পরে হাতের বাঁ দিকে পথের পাশের ছোট বড় পাহাড় উধাও হয়ে গেল। এখানে বালির স্তর ধীরে ধীরে ঢালু হয়ে সমুদ্রের তটরেখোর মতো একটি বিশাল লেকের পানিতে মিশে গেছে। মোহামেদ সাদেক বলে উঠলো, ‘এই হচ্ছে লেক কারুন!’  কারুনের ধন বলে কথিত গল্পে যে অবিশ্বাসীর ধন সম্পদ এক সময় বিশাল হ্রদে তলিয়ে গিয়েছিল এই সেই কারুন হ্রদ! স্মরণাতীত কাল থেকেই মিশরের ইতিহাস, বিশ্বাস ও গল্পগাথার সাথে লেক কারুনের নামটি জড়িয়ে আছে। ধারণা করা হয়, অতীতে আল ফাইয়ুম প্রদেশের পুরো এলাকা জুড়েই ছিল মিঠা পানির জলাধার কারুন হ্রদ। বর্তমানে কম করে হলেও তিপান্ন হাজার একর জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে লেক কারুন, তবে এখন আর সুপেয় নয় এই হ্রদ, বেশির ভাগই লবনাক্ত পানির আধার। তবে মাছসহ জলজ প্রাণির বসবাসও আছে এখানে। 

কোরানে বর্ণিত কাহিনি অনুসারে মুসা আলাইহেসালামের সমসাময়িক কারুন নামের এক সম্পদশালী ব্যক্তির পাপের শাস্তি স্বরূপ তার প্রাসাদ এবং ধন সম্পদ প্লাবিত হয়ে এই বিশাল হ্রদে তলিয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় মৎসজীবী এবং লেকের আশেপাশের মানুষের অনেকেই বিশ্বাস করে কারুনের ধন এখনো মৎস কন্যাদের পাহারায় হ্রদের তলায় গচ্ছিত আছে। গত কয়েকশ বছরে অগণিত লোভী লুটেরা মানুষ কারুনের গভীর জলে সোনা দানা হাতড়ে ফিরেছে, কিন্তু কেউই যে শেষ পর্যন্ত কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি সে কথা সবারই জানা। বছর কুড়ি আগে একবার রটে গিয়েছিল, কারুনের বিপুল ধন সম্পদ গভীর জলের তলদেশ থেকে তুলে আনতে হলে হ্রদের তীরে একশ শিশু কোরবানি দিতে হবে। উদ্বিগ্ন বাবা মায়েরা ছেলে মেয়েদের অনেকদিন স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়ে ঘরের ভেতরে আটকে রেখেছেন। এই গুজব বন্ধ করতে সরকারকে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাতে হয়েছিল। শুধু বাংলাদেশে নয়, অন্ধবিশ্বাসী মূর্খদের বসবাস এখনো সারা পৃথিবী জুড়েই আছে।   

     মরুভূমিতে গ্যাস স্টেশন

দীর্ঘ বিস্তৃত কারুন লেকের পাড়ে কোখাও জন্মেছে জলজ উদ্ভিদ, আবার ভেতরেও কোথাও কোথাও জেগে উঠেছে দ্বীপভূমি। এ সব ছোট্ট দ্বীপেও গাছপালা জন্মে। মরুভূমির ভেতরেও বালুময় ধু ধু প্রান্তর, পাথর, পানি ও প্রকৃতির এই রূপ বৈচিত্র্য আল ফাইয়ুমে না এলে কখনোই জানা হতো না। আমরা হ্রদের পাড়ে দাঁড়িয়ে কারুন হ্রদ্র নিয়ে পবিত্র গ্রন্থের বয়ান আর প্রচলিত বিশ্বাসের গল্প শুনে কিছুটা সময় কাটিয়ে আবার গাড়িতে উঠে পড়ি। আমাদের সামনের প্রকৃতি হলদে বাদামি এবং ধূসর থেকে রং বদলে সবুজ হতে থাকে। পথের দুপাশে খেজুর গাছের সারি ছাড়াও দেখা দেয় ফসলের ক্ষেত। একটি দুটি মাটির তৈরি মরু আবাস পেরিয়ে চোখে পড়ে এক সারি তাঁবু। কিছুক্ষণের মধ্যেই  একটা চেকপোস্টে এসে বাসুনি গাড়ি থামিয়ে দেয়। সেনাবাহিনির সশস্ত্র পোশাকধারীরে সাথে মোহামেদ সাদেকের কথপোকথন বুঝতে পারি না, তবে জনপ্রতি পাঁচ ঈজিপ্টশিয়ান পাউন্ড দিয়ে প্রবেশপত্র সংগ্রহের ব্যাপারটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। 

চেকপোস্ট পার হয়ে যাবার পর থেকেই পথের দুপাশে ফসলের মাঠ, সবুজ গাছপালা এবং বাড়িঘরের সংখ্যা বেড়ে যায়। আমরা মরুভূমির ভেতরেই একটি নাগরিক জনপদের দিকে এগোতে থাকি। নুড়ি পাথর ছড়ানো পথের পরিবর্তে মসৃণ পিচঢালা পথে উঠে ছুটতে থাকে ল্যান্ডক্রুজার। কিছু পরে সবুজ বেস্টনীর ওপারে আধুনিক বসতবাড়ির ফাঁকে উঁকি দেয় একটি মসজিদের মিনার। 

চলবে...  

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

আরএ/

Header Ad

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিরাপত্তা বেষ্টুনীবিহীন একটি ভবনে কাজ গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া বাবু (৫৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মাইজবাড়ী এলাকার গুটু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ভূঞাপুর পৌর শহরের ফসলআন্দি এলাকায় সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুলের তিন তলা ভবনের নিচের একটি ড্রেনে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহেদুজ্জামান পলাশ জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাসায় কাজ করছিলেন ওই নির্মাণ শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা ফসকে ভবনের চার তলা ছাদ থেকে নিচের একটি ড্রেনে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন এই ভবনের কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। নির্মাণ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছিলেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় এর আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, থানা পুলিশকে না জানিয়ে কৌশলে ভবনের মালিক জুয়েল হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিয়ে যায়।

ভবন মালিক জুয়েল বলেন, নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সাথে সমঝোতা হয়েছে। পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুণ্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের থাকা দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এর আগে, সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে হাকিমপুর - বিরামপুর উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড় এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের ধীরাজ কুমার ছেলে ধীমান কুমার ঘোষ (৩০) ও একই উপজেলার দাউদপুর এলাকার আনারুলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)।

হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে হাকিমপুর থেকে দুই বন্ধু বিরামপুর যাবার পথে হাকিমপুর উপজেলার শেষ সীমানায় গরু বোঝাই ভটভটির সাথে মোটরসাইকেল ধাক্কা খেয়ে পাকা রাস্তায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।

নিহত ধীমান কুমার ঘোষ এর মামা হাকিমপুর হিলি পৌরসভার বাসিন্দা স্বপন কুমার বলেন, আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মোবাইল ফোনে আমাকে ভাগিনা ধীমান কুমার বলেন, মামা আমি জরুরি কাজে হিলি আসছিলাম তাই আপনার সাথে দেখা করতে পারলাম না। এর কিছুক্ষণ পরে দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই এবং হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগিনা মারা গেছে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. দুলাল হোসেন জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গরুবাহী ভটভটি জব্দ করে থানায় এবং নিহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ভটভটি চালক পলাতক রয়েছে।

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর -ঢাকা মহাসড়কের ঘোড়াঘাট টিএনটি মিশন মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ট্রাকচালক গোলাম রাব্বি (৪৫)। সে জয়পুরহাট জেলা সদরের আমদই এলাকার মমতাজের ছেলে। তার সহযোগী রেজোয়ান ইসলাম (২৮) একই এলাকার চৌমুহনীর বাসিন্দা।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-২০৬৬৪৯) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই ট্রাকের (ঝিনাইদহ-ট-১১১৬৪৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা সকালে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ২ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সা-আদ আস সামস বলেন, ‘সকালে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২ জন রোগীকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উপজেলার টিএনটি মোড় এলাকায় ভুট্টা ও সারবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকটিকে দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়। ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত