বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭  

কায়রোতে এসে নামার পরদিন থেকে গিজার পিরামিড, সাক্কারার ধ্বংসাবশেষ, ফিলাই দ্বীপ ও আবু সিম্বেলের স্থানান্তরিত প্রত্ম নিদর্শন এবং এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই কোমওম্বো, এদফু, কর্নাক, লুক্সর ও ভ্যালি অফ কিংস অ্যান্ড কুইন্সে হাজার তিনেক বছর আগের ফারাওদের রাজ্যে বিস্তর ঘোরাঘুরি ঘরে সকলেই বোধহয় একটু ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই রামসেস-নেফারতারি কিংবা ক্লিওপেট্রা- তুতেনখামেন-নেফারতিতির প্রস্তর মূর্তি, পিলার ও দেয়াল, পিরামিড-স্ফিংস এবং অন্ধকার কবরের দেয়ালে হায়রোগ্লিফিক লিপিতে লেখা ইতিহাসের বাইরে বেরোবার জন্যে হাঁসফাঁস করছিলেন। সেই কারণে দেখা গেল ভ্যালি অফ কুইন্স থেকে লুক্সর ফেরার পথে কলোসি অফ মেমননে কিছু সময়ের জন্যেও কেউ দাঁড়াতে রাজি নয়। অবশ্য কনভেয়ার বেল্ট টুরিস্টদের যেমন করে ট্যুর গাইডেরা কুতুব মিনার দেখিয়ে দেয় তেমনি করে চলতে থাকা গাড়িতে বসেই মোস্তফা আমাদের কলোসি অফ মেমনন দেখিয়ে দিল।
 ফারাও তৃতীয় আমেনহোটপের দুটি বিশাল প্রস্তর মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন থিবস নগরীর সবচেয়ে বড় সমাধি মন্দিরের সামনে। তবে সমাধি মন্দির বলতে এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। খ্রিস্টপূর্ব ১৩৫০ অব্দ অর্থাৎ এখন থেকে তিন হাজার তিনশ বাহাত্তর বছর আগের নির্মিত মহামহিম যে প্রস্তরীভূত হয়ে এখনো সশরীরে দণ্ডায়মান থেকে পর্যটকদের কৌতূহল মিটিয়ে মিশরের সরকারকে রাজস্বের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন সে জন্যেই তৃতীয় আমেনহোটপ এবং তাঁর সময়ের ভাস্কর্য শিল্পীদের ধন্যবাদ দেয়া যায়। অন্য সব বিবেচনা বাদ দিলেও এর বিশালত্বই রীতিমতো বিস্ময় জাগায়। 

কলোসি অফ মেমনন

কলোসি অফ মেমনন থেকে লুক্সর পৌঁছাতে চল্লিশ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা নয়। সম্ভবত সেই কারণে মোস্তফা তার সর্বশেষ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে আর দেরি করেনি। দুটি সাদা খামের একটিতে তার নিজের এবং অন্যটিতে গাড়িচালকের নাম লিখে পেছনের দিকে পাঠিয়ে দিয়ে বললো, ‘তোমাদের যার যেমন ইচ্ছে টিপস-এই খামের ভেতরে ভরে দিতে পারো।’ রানা ভাই বললেন, ‘ইচ্ছে না করলে না দিলেও চলবে?’  মোস্তফার উত্তর, ‘আমার সার্ভিস যদি যথেষ্ট ভালো মনে না হয়ে থাকে বা টুরিস্ট গাইড হিসাবে আমার যদি কোনো সমস্যা থাকে তুমি বলতে পারো এবং কোনো টিপস নাও দিতে পারো।’ রানা ভাই শুরু থেকেই মোস্তফার উপরে খুব একাট খুশি ছিলেন না, তারপরেও অবাক হয়ে দেখলাম অংকের শিক্ষক কাম গাইড ওসামাকে বাদ দিলে তিনি মোস্তফাকেই টিপস দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি। 

লুক্সরের পথে ফলের দোকান

ফেরার পথে রাস্তার ডান পাশে ধীরে ধীরে ধূসর পাহাড় এবং উঁচু নিচু হলদে বালুময় ঊসর মাটি সবুজে রূপান্তরিত হতে থাকে। কিন্তু এবারে খেজুর গাছের সারি, আখখেত এবং অন্যান্য ফসলের সবুজ ক্ষেত ছাড়াও মাইলের পর মাইল ফুটে আছে লাল গোলাপি হলদে সাদা নানা রঙের ফুল। অবশ্য একটা প্রায় পরিত্যক্ত ভাঙাচোরা রেল লাইন পেরিয়ে শহরের ঢুকবার পরেই ফলের সমারোহ উধাও হয়ে গেল, তার পরিবর্তে দেখা দিল রাস্তার পাশে সাজানো ফলের দোকান, মসজিদ এবং কোথাও কোথাও বসত বাড়ি। লুক্সরে নীল নদের জাহাজ ঘাট এগিয়ে আসতে থাকলে আমাদের প্রথম চিন্তা হলো টুইয়া থেকে লটবহর নামিয়ে নিয়ে শহরের পান্থ নিবাসে যাবার ব্যবস্থা। মোস্তফাকে বলতেই সে সানন্দে বলে উঠলো, ‘তোমাদের কোনো চিন্তা নাই। আমরাই পৌঁছে দেবো।’ 

 লুক্সর আদালত ভবন

সৌরভের দেয়া নির্দেশনার পাতা উল্টিয়ে দেখলাম ঘাট থেকে হোটেল একশ থেকে দেড়শ ঈজিপ্টশিয়ান পাউন্ড। মোস্তফা শুরুতেই একশ পাউন্ড বলে ফেলায় আর দর কষাকষির ঝামেলায় যেতে হলো না। এই বাড়তি একশ পাউন্ড যে ড্রাইভার এবং গাইডের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গাড়ির মালিকের হাতে এক পেনিও পৌছোব না তা নিশ্চিত করে বলা যায়। যাই হোক আমাদের গন্তব্যে পৌঁছানোটাই আসল কথা। সাথে বাড়তি সুবিধা হলো গাড়ি থেকে নামতে হলো না। আমাদের তিনজনের বোঝা দুজনে বয়ে নিয়ে গাড়িতে তুলে দিলে চারদিন তিনরাতে টুইয়া জাহাজকে বিদায় জানিয়ে চললাম লুক্সর শহরের পথে। 

রিসর্টের সীমানার পরে নীল নদ

সাত তোরণের থিবস নগরী যে আসলেই আধুনিক শহরে পরিণত হয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। নিশ্চিত করেই বলা যায়, আমার দেখা কায়রো, আসোয়ান, আলেক্সান্দ্রিয়া এবং ছোট ছোট আরো দুই একটি শহরের মধ্যে লুক্সরই সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন, সাজানো গোছানো। বিশাল বড় এলাকা নিয়ে বস্তি, ভাঙাচোরা দালান কোঠা ও ধূলি ধূসর কায়রো কিংবা পলেস্তারা খসা পুরোনো বসত বাড়িতে পরিপূর্ণ আসোয়ান এবং পরিচ্ছন্ন কিন্তু অপরিসর সমুদ্র শহর আলেক্সান্দ্রিয়ার সাথে তুলনা করলে নীলে তীরে গড়ে ওঠা লুক্সর অতীতের মতো এখনো তিলোত্তমা। বিশেষ করে আলোকোজ্জ্বল এবং জাকজমকে ভরা রাতের লুক্সর পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় শহর। এই শহরের মূল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যটন কেন্দ্রীক হলেও হোটেল রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি বেড়েছে ব্যাংক-বীমা, কিছু শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। চলার পথেই আমাদের চোখে পড়ে আদালত ভবন, লুক্সর  বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ আর্টস ভবনসহ বেশ কিছু আধুনিক স্থাপনা।        

 লুক্সরের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দপ্তর

সৌরভ আমাদের জন্য লুক্সর শহরের প্রান্তে ঠিক নীল নদের উপরে যে হোটেল বুক করে রেখেছিল সেখানে ঢুকে পড়ার পরেই মনে হলো গাছপালায় ঘেরা নির্জন এলাকায় যেখানে আমরা রাত্রি যাপন করতে যাচ্ছি সেটি শহরের ব্যস্ত এলাকায় প্রচলিত ধারণার কোনো হোটেল নয়। সাদামাটা বড় তোরণে লেখা নাম ফলক ‘স্টিগেন বার্গার রিসর্ট’। চত্বরে বিশাল উদ্যান, সুইমিংপুল, স্পা-জিম-ফিটনেস সেন্টার মিলিয়ে পাঁচতারা মর্যাদা সম্পন্ন একটি রিসর্টে রাত কাটাবার ব্যয় এতো কম কেন! ভাবলাম কোনো ভুল হচ্ছে না তো! চেক-ইন করার পরে ক্রেডিট কার্ড থেকে বাড়তি কত টাকা কেটে নেয় সেই আশঙ্কায় ছিলাম। কিন্তু লবিতে বসে ওয়েলকাম ড্রিংক শেষ হতে না হতেই চেক-ইন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়ে গেল। হতে পারে করোনো মহামারি থেকে উত্তরণের পরে পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে সকলেই একটু ছাড় দিচ্ছে। লিফটে তিনতলায় নিজেদের ঘরে পৌঁছে জানালার পর্দা টেনে দিতেই চোখে পড়ে রিসর্টের সীমানার ওপারে বয়ে যাচ্ছে নীল। অবশ্য এই নদী  এতোটাই শান্ত যে দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবহমান কোনো স্রোতধারা চোখেই পড়ে না, ফলে নদী আসলে বয়ে চলেছে বলে মনে হয় না । দুই একটা ফেলুকা পাল তুলে প্রায় গতিহীন ভেসে যাচ্ছে। ওপারে সবুজ গাছপালা এবং আধুনিক বাড়ির ওপারে রিসর্টের সীমানার ঠিক নিচেই ফেলুকা ছাড়াও গোটা কয়েক সাজানো গোছানো ছোট ছোট নৌযান অপেক্ষায় আছে, পর্যটক পেলেই ভেসে যাবে নীলের নীল জলে।  

 

ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বেশিক্ষণ বাইরের দৃশ্য দেখার উপায় ছিল না। পেটে টান পড়লে বুঝতে বাকি থাকে না বেলা তিনটা বেজে পার। রানা ভাই খাদ্য অনুসন্ধানে আগেই নিচে নেমে গেছেন। আমরা এলে জানালেন এখানে লাঞ্চ আওয়ার শেষ, তবে রিসর্টের অঙ্গনেই একটাে রেস্তোঁরা আছে সেখানে কিছু পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু কপাল খারাপ হলে যা হয়। স্ন্যাকস জাতীয় খাবার থাকলেও সেখানেও শেফ নেই। অতএব বাইরে কোনো স্ট্রিটফুড বা পাড়ার ছোটখাট রেস্টুরেন্ট পাওয়া যায় কিনা দেখতে বের হলাম। গেট পেরিয়ে রিসর্টের বাইরে বেরোতেই হাতের ডান দিকে একটা কোক ফান্টা বিস্কিট চানাচুরের দোকানের মতো গ্রোসারিশপ পাওয়া গেল। ব্রেড বাটার থাকলে এখানেই যাত্রা বিরতি দিয়ে কিছু কিনে ঘরে ফেরা যেতো। কিন্তু হা হোতস্মি! এ দোকানের ব্রেডও শেষ গেছে আমরা আসার আগেই। তবে তিনজন ক্ষুধার্ত ভিনদেশিকে দেখে দোকানী আমাদেরকে গলিপথ ধরে সামনে কিছুটা এগিয়ে যেতে বললেন। ঝকঝকে পাঁচতারা হোটেলের বাইরেই অপরিসর নোংরা গলিপথ ধরে খানিক দূর এগোতে সত্যিই একটা রেস্টুরেন্ট চোখে পড়লো। আমাদের হাতিরপুল বাজার বা সেন্ট্রাল রোডের মাথায় যেমন রেস্টুরেন্ট দেখা যায় তেমনি এক রেস্টুরেন্টের বাইরে হাড়ি পাতিল মাজা ধোয়ার কাজ চলছে। বিদেশি দেখে রেস্তোাঁর এক তরুণ কর্মী উৎসাহের সাথে এগিয়ে আসায় বেশ ভরসা পেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কথা শুনে সে দুঃখ প্রকাশ করে বললো, ‘নাইট কাম, গিভ গুড ফুড!’ বুঝলাম সে নৈশ্যভোজে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে পারবে, তবে আপাতত কিছু করার নেই। এভাবে প্রতিবেলার খাবার শেষ করে বসে থাকলে এরা ব্যবসা চালাবে কেমন করে! আমাদের রেস্টুরেন্টে নাকি যতো দিনের দোকান ততোদিনের ডাল পাওয়া যায়! 

 নীল নদের ওপারে সূর্যাস্ত

কয়েকদিন জাহাজে সময় মতো বুফে ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ-ডিনারে চর্ব চোষ্য লেহ্য পেয়, কোনো কিছুরই সদ্ব্যবহার করতে ছাড়িনি। জলযান থেকে বাস্তুচ্যুত হবার প্রথম দিনেই খাদ্য পানীয়ের অভাবে প্রাণ প্রায় ওঠাগত। আর সামনে এগোবার শক্তি সাহস কোনোটাই ছিল না বলে আবার আমাদের আস্তানায় ফিরে এলাম। বেলা চারটে বেজে যাওয়ায় রেস্তোঁরার কাজ শুরু হবার পরে তিনজনের জন্য স্যান্ডুইচের অর্ডার দেয়া হলো। রানা ভাই জিজ্ঞেস করলেন, ‘কতোক্ষণ লাগবে?’ উত্তর এলো, ‘টেন টু ফিফটিন মিনিটস স্যার।’ এই ফিফটিন মিনিটস যখন থার্টি মিনিটসে দাঁড়ালো তখন রানা ভাই রাগ করে বললেন, ‘এবারে চলেন ঘরে চলে যাই, শুয়ে থাকি। ডিনারের সময় হলে নেমে আসা যাবে।’ রানা ভাইয়ের উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আমি ইচ্ছে করেই একটা গল্প শুরু করলাম। গল্প হলেও গল্পটা অনেক বছর আগের এক ঘটনা।


একটা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে কেরালায় এসেছি। ত্রিবান্দ্রম তখনও নাম বদলে দুঃসাধ্য উচ্চারণের নতুন নগরীতে পরিণত হয়নি। উৎসবের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক সন্ধ্যায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে খেতে গেছি। সঙ্গে এফডিসির পরিচালক সাজ্জাদ জহির এবং ভারতীয় বন্ধু চলচ্চিত্র পরিচালক সুরজিৎ ধর। যতোদূর মনে পড়ে চিকেন ফ্রাইড রাইস এবং একটা ভেজিটেবল ছাড়াও বিফের একটা আইটেম ছিল। যাঁরা জানেন না, তাঁদের  জন্য বলে রাখা ভালো, কেরালার সকল নন-ভেজ রেস্তোঁরায় সে সময় বিফ সহজলভ্য ছিল। পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় সেই কেরালা এখন কোন পথে হাঁটছে জানি না। আমরা খাবারের অর্ডার দিয়ে বসে আছি তা আছিই। পনের কুড়ি পঁচিশ মিনিটেও খাবার আসে না। দুবার তিনবার জিজ্ঞেস করা হয়ে গেছে। প্রতিবারই উত্তর আসে ফাইভ মিনিটস স্যার! পঁয়তাল্লিশ মিনিটের সময় সুরজিৎ সিদ্ধান্ত দিয়ে দিল, ‘যে মুহূর্তে কিচেনের দরজা দিয়ে খাবারের ট্রে হাতে পরিবেশক ভেতরে আসবে সেই মুহূর্তে আমরা সামনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবো।’ আরো দশ মিনিট অর্থাৎ পঞ্চান্ন মিনিট পরে যখন সত্যিই খাবারের দেখা মিলল ঠিক সেই সময় আমরা সামনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। পেছন থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম, ‘ইওর ফুড ইজ অন দ্য টেবল স্যার!’  


পঁয়ত্রিশ মিনিটের সময় আমার গল্প শেষ হতে না হতেই তিনটি বিশাল আকৃতির স্যান্ডুইচ এসে হাজির হলো। আমরা এবারে সত্যিই নিজেদের ঘরে চলে গেলাম, তবে যাবার সময় স্যান্ডুইচগুলো সঙ্গে নিতে ভুলিনি। প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত হলেও দুজনের দুটি স্যান্ডুইচ শেষ করা সম্ভব হলো না। প্রচণ্ড ক্লান্তির কারণে কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম ভাঙলে ব্যলকনিতে দাঁড়িয়ে মোহিত হয়ে দেখলাম নীল নদের ওপারে অসাধারণ সূর্যাস্ত!  

 

 

চলবে...

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

   

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

হিট অ্যালার্ট জারি। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে চলমান তাপমাত্রার পারদে উঠতি গতার খুব একটা হেরফের না হওয়ায় এখনও অস্বস্তি কমেনি। মাথার ওপর গনগনে সূর্যকে সঙ্গী করেই প্রচণ্ড দাবদাহে নাজেহাল পরিস্থিতি পার করছে মানুষ। যদিও কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বাতাসের উপস্থিতি থাকলেও পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারাদেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আপাতত দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়

ডকুফিল্ম ‘মুচাচোস’ এর পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। সৌদি আরবের কাছে হেরে অঘটন দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল আলবিসেলেস্তারা। তবে শেষমেশ লিওনেল মেসির হাতেই ওঠে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি, এমন বিশ্ব আসরকে সেরা বলতে বাধ্য যে কেউ।

অবিস্মরণীয় এই বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ নিয়ে এরইমধ্যে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু ডকুফিল্ম। যার মধ্যে আলোচিত একটি স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত ডকুফিল্ম ‘মুচাচোস’।

স্প্যানিশ পরিচালক জেসাস ব্র্যাসেরাস নির্মাণ করেছেন ১০০ মিনিটের এই ডকুফিল্ম। গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনায় মুক্তি পাওয়া ‘মুচাচোস’ সেখানকার দর্শকদের মধ্যে দারুণ সাড়া তুলেছিল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্টার সিনেপ্লেক্স জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার ‘মুচাচোস’ মুক্তি পাবে এই মাল্টিপ্লেক্সের সবগুলো শাখায়।

বাংলাদেশে ডকুফিল্মটি মুক্তি নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার বিপুলসংখ্যক সমর্থক রয়েছে। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার খেলা উপভোগ করেছে কোটি মানুষ। বিশ্বকাপ জয়ের পর ঢাকাসহ সারাদেশ উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের সমর্থকদের উন্মাদনা দেখে রীতিমত অবাক হয়েছেন আর্জেন্টিনার মানুষও।

“লিওনেল মেসির হাত ধরে বিশ্বকাপ জয়ের এই মুহূর্ত নিয়ে ভক্তদের উৎসাহ ফুরাবে না সহজে। এই ভক্ত-সমর্থকদের জন্যই ‘মুচাচোস’ নিয়ে এসেছি আমরা। আশা করি এই ছবি দেখাটা চমৎকার একটা ব্যাপার হবে দর্শকদের জন্য।’’

‘মুচাচোস’এ অভিনয় করেছেন জেসুস ব্র্যাসেরাস, বসসি অগাস্টিন বসি, হার্নান ক্যাসশিয়ারি, ম্যাক্সিমিলিয়ানো লাসানস্কিসহ আরও অনেকে।

শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫

হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার প্রতিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে দফায় দফায় উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের সারেংকান্দি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

আহতরা হলেন- শাহাবুদ্দিন সারেং (৩০), মো. আরশাদুল (১১), সৈকত সরদার (১৯), হাজেরা বেগম (৭৫) ও আকাশ হাওলাদার (২৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী এবং তার নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত ২৭ মার্চ দুপক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সেই ঘটনার সূত্র ধরে আজ আবারও দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এসময় তারা সারেংকান্দি এলাকায় ফসলি জমিতে নেমে একে–অপরকে লক্ষ্য করে হাতবোমা (ককটেল) ছুঁড়তে থাকে। ককটেলের মুহুর্মুহু শব্দে ভারী হয়ে উঠে আশপাশ। এই ঘটনায় শাহাবুদ্দিন, আরশাদুল, সৈকত, আকাশ ও হাজেরা নামে ৫ জন গুরুতর আহত হয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহাবুদ্দিন, আরশাদুল, সৈকত ও আকাশকে ঢাকায় পাঠান। এছাড়া দুপক্ষের বেশকিছু বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবর অভিযোগ করে বলেন, ‘কুদ্দুস বেপারীর লোকজন গতকাল মঙ্গলবার আমাকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে বলেন, ‘‘বাবার জন্মে হয়ে থাকলে সবার সামনে গিয়ে মারামারি করিস। পোলাপান সামনে দিয়ে মারামারি করিস না। আগামীকাল সকালে শুরু হবে।’’ এ বিষয়ে আমি পুলিশকে জানিয়েছি। পরে আজ কুদ্দুস বেপারীর লোকজন আমার লোকজনের বাড়িঘর ভাংচুর করে ও আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।’

তবে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, ‘জলিল মাদবর মারামারি করার জন্য কয়েক গ্রাম থেকে লোকজন এনে আমার লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আমার একজন লোক মুমূর্ষু অবস্থায় আছে।’

এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, কয়েক বছর যাবত বিলাসপুর ইউনিয়নে দুইটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব, হামলা-মামলা চলছে। তারই জেরে আজ দুই পক্ষ সংঘর্ষে জরায়। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা পৌঁছানোর আগেই দুপক্ষের অন্তত চারজন লোক আহত হয়। তারা বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। যারা এসব ঘটিয়েছে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়
শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫
মুক্তি পেল ইমতু রাতিশ ও অলংকার এর 'বরিশাইল্লা সং'
জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা দিলো ছাত্রলীগ
সাহিত্য চর্চার আড়ালে শিশু পর্নোগ্রাফি বানাতেন টিপু কিবরিয়া
সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬
ধাওয়া খেয়ে গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর, গাড়িতে আগুন দিল জনতা
আর্জেন্টাইন ফুটবলার কার্লোস তেভেজ হাসপাতালে ভর্তি
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন
রাজবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে স্কু‌লশিক্ষকের মৃত্যু
প্রসূতির পেটে গজ ও ফুল রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
তাপদাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎ সচিব
ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে ছবি-ভিডিও পাঠাবেন যেভাবে
ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি নারী বক্সার জিন্নাত ফেরদৌস
নিজে না মেরেও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াজ
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল
ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
কালশী উড়ালসেতুর নাম বদলে হলো শেখ তামিম মহাসড়ক
ক্যান্সারে না ফেরার দেশে পেপার রাইম ব্যান্ডের সাদ