বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব- ৮

যারা যুদ্ধ করেছিল

 

সাকিব বলে, ‘আমি তোমার নিরাপত্তার কথাটা বেশি ভেবেছি। যে সমস্ত মেয়েদের পাকিস্তানিরা তুলে নিয়ে যায় তাদের উপর সবাই মিলে পাশবিক অত্যাচার করে। এর চেয়ে নরকখানা অনেক ভালো। সে দৃশ্য দেখলে সহ্য হয় না। শুনেছি ক্যাম্পে মেয়েদের উলঙ্গ করে রাখে। কেন রাখে জান?’ সাথী জবাব দিতে পারে না। রমিছা ও করিম মিয়া হা মুখে তাকিয়ে থাকে। সাকিব বলে, ‘মেয়েরা নিরুপায় হয়ে নিজের পরনের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তাই পাকিস্তানি সৈন্যরা মেয়েদের উলঙ্গ করে রাখে। যাতে মেয়েরা আত্মহত্যা করতে না পারে। ব্যাপারটা ভাব, কী জঘন্য কারবার।’
সাথী বুঝতে পারে তাকে ভয় দেখাতেই কথাগুলো বলছে সাকিব। তবে সে মিথ্যে বলেনি। এ কথা সে আরও অনেকের মুখে শুনেছে।
সাকিব বলে, ‘আমার মায়ের শরীরটা ভালো না। তুমি আমার মায়ের পাশে থাকলে সে একজন কথা বলার লোক পাবে। পাশাপাশি তোমার নিরাপত্তাও বজায় থাকবে। তুমি আমাদের বাড়িতে থাকলে কোনো রাজাকার এমন কী মিলিটারিও তোমাকে স্পর্শ করার সাহস পাবে না। এখন তুমি ভেবে দেখ। যদি মন চায় কাল কাপড় চোপড় নিয়ে তুমি আমাদের বাড়ি যেও। আর যদি মন না চায় তাহলে বড় বিপদের জন্য তৈরি থেক।’
রমিছা বলে, ‘কাল কেন, আজই যাক না।’
সাকিব বলে, ‘না। রাত করে যাওয়ার দরকার নেই। মানুষ নানা কথা বলবে। দিনের বেলা সবার সামনে সাথী আমাদের বাড়ি যাবে। আমার অসুস্থ মা সাথীকে বরণ করে নেবে।’
রমিছা বলে, ‘না। সাথী আজকেই যাক।’
সাকিব কায়দা করে হাসি মুখে বলে, ‘আপনি বললে তো হবে না চাচি। ব্যাপারটা সাথীর একান্ত নিজস্ব। সাথীকে বলতে হবে।’
সাথী পড়ে উভয় সংকটে। কোন পথে যাবে। মনে মনে ঠিক করে পাকিস্তান আর্মির কাছে ধরা পড়ার চেয়ে সাকিবের কাছে ধরা পড়া অনেক ভালো। সে মিন-মিন করে বলে, ‘আমি দিনের বেলা যেতে চাই না। রাতেই যেতে চাই।’
‘সে তো আরও ভালো কথা।’ সাকিব উঠে দাঁড়ায়। বলে, ‘আমি মাকে সব বলে রেখেছি। তোমার কোনো অমর্যাদা হবে না।’
সাথী জানে সবই কথার কথা। কিন্তু সে নিরুপায়। না গেলে আবার রাজাকাররা আসবে। এবার শুধু বাবাকে ধরতে আসবে না। তাকেও তুলে নিয়ে যাবে। তার চেয়ে সাকিবের কাছে স্বেচ্ছায় যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
সাকিবের সঙ্গে সাকিবদের বাড়িতে এল সাথী। সাকিবের মায়ের সঙ্গে তার দেখা হলো না। সাকিবের রুমে তার থাকার ব্যবস্থা হলো। শুরু হলো সাথীর নতুন জীবন। যাকে যুদ্ধ জীবনও বলা যায়।

৬.
হেমন্তের হিম হিম বাতাস চারদিকে। রাতে কুয়াশায় সাদা চাদর বিছিয়ে দেয় প্রকৃতি। রাস্তাঘাটে চলাচল কঠিন হয়। দিনের বেলা পরিবেশ থাকে ভারি সুন্দর। মমিন রুমে বসে ফুলতুরু দিয়ে অস্ত্র পরিষ্কার করছিল। এখানে অস্ত্র পরিষ্কার করার জন্য গানওয়েল পাওয়া যায় না। নারকেলের তেল ও কেরোসিন মিশিয়ে নিজেরা গানওয়েল বানিয়ে অস্ত্র পরিষ্কার করে।
কাছেই বসে মজনু তার রাইফেল পরিষ্কার করছিল। মজনুর স্বভাব হলো সে কথা না বলে থাকতে পারে না। অস্ত্র পরিষ্কার করতে করতে মজনু হঠাৎ প্রশ্ন করে, ‘ওস্তাদ, একটা কথা কমু?’
‘ক কী কবি।’ মমিন বলে। মমিন এই সরল প্রকৃতির ছেলেটিকে ভীষণ স্নেহ করে।
মজনু বলে, ‘যুদ্ধতো নাগাড় কইরা যাইতাছি। কবে দেশ স্বাধীন হবে, আপনি জানেন কিছু?’
‘যুদ্ধ কোনোদিন শেষ হবে না। সারা জীবন যুদ্ধ করে যেতে হবে।’
মজনু চমকে ওঠে। বিস্মিত কণ্ঠে বলে, ‘কন কী ওস্তাদ, সারা জীবন যুদ্ধ করতে হবে? সারা জীবন কি যুদ্ধ করা সম্ভব?’
মমিন আরও মজার ঢংয়ে বলে, ‘কেন সম্ভব না? জঙ্গলে যে প্রাণীরা বাস করে তারা তো সারা জীবন যুদ্ধ করে।’
‘কঠিন কথা বলছেন ওস্তাদ। জঙ্গলের প্রাণীরা কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে?’
মমিন হাসি দমিয়ে সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলে, ‘কেন, হরিণ বাঘের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ছোট সাপ বড় সাপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। মহিষ সিংহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।’
‘আমি সে যুদ্ধের কথা বলছি না। আমি আমাদের যুদ্ধের কথা বলছি। আমরা আর কতদিন যুদ্ধ করব?’
মমিন বলে, ‘আজীবন।’
‘ওস্তাদ ঠাট্টা করতাছেন?’
‘তোমার সঙ্গে ঠাট্টা করব কেন? যা সত্য তাই বলছি।’
‘সারা জীবন যুদ্ধ কীভাবে সম্ভব?’
‘তাহলে কি তুমি যুদ্ধ থেকে বাড়ি ফিরে যেতে চাও?’
‘সেটাও সম্ভব না ওস্তাদ।’
‘কেন?’
‘রাজাকাররা জানে আমি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিছি। আমি বাড়ি গেলে ব্যাটারা আমাকে ধরে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারবে।’
‘আচ্ছা মজনু, তুমি তো লেখাপড়া জান না। রাজনীতি কর না। তুমি যুদ্ধে এলে কেন?’
মজনু কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে, ‘ক্যান যে যুদ্ধে আইলাম সেইটা তো ভালো মতো কইতে পারমু না ওস্তাদ। খবর পাইলাম, মিলিটারিরা যুবক পোলাপানদের ধইরা ধইরা গুলি কইরা মারে। আমি ভাবলাম এমনি-এমনি মরার চেয়ে যুদ্ধ কইরা মরি। কামডা ঠিক করছি না ওস্তাদ?’
‘অবশ্যই ঠিক করেছ। দেশের প্রতিটি যুবকের দায়িত্ব স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা। প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করা।’ এসএলআরের ব্যারেল পরিষ্কার করতে করতে মমিন কথাগুলো বলে। মজনু সুযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠে, ‘ওস্তাদ আপনি যুদ্ধে আইলেন ক্যা?’
মমিন বলে, ‘সে মেলা কথা। আরেকদিন শুইনো।’
‘আজকাই কন না।’
মমিন কিছু না বলে লম্বা করে শ্বাস ফেলে। মমিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। কোনোদিন মিছিল মিটিংয়েও যায়নি। দুই বেলা টিউশুনি আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নিয়ে সে ব্যস্ত ছিল। লেখাপড়া শেষ করে একটা ভালো চাকরি পেলে বাবা-মায়ের কষ্ট দূর হবে। এই সামান্য চাওয়া মমিনের। কিন্তু সময়টা তখন ভীষণ উত্তাল।

১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে একচেটিয়া ও পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ জয় পায়। এই নির্বাচন ছিল শেখ মুজিবের নেতৃত্বে এবং ছয় দফা কর্মসূচির প্রতি জনগণের ম্যান্ডেট। পাকিস্তান সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে কালক্ষেপণ ও গড়িমসি করায় পূর্ব পাকিস্তান ফুঁসে ওঠে। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুর থেকে পূর্ব পাকিস্তান শব্দটি আর এ দেশে উচ্চারিত হয়নি। তখন থেকেই এটি বাংলাদেশ। ভাষার দাবিতে যে আন্দোলন ২৩ বছর আগে শুরু হয়েছিল, তা স্বাধীনতার দাবিতে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে। তখন সব ছাপিয়ে একটি স্লোগানই সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে। ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’

এদিকে জাতীয় অধিবেশন বসার তারিখ ৩ মার্চ। ১ মার্চ আওয়ামী লীগের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের মিটিং বসে হোটেল পূর্বাণীতে। পূর্বাণী হোটেলে বৈঠক চলাকালে খবর আসে, সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সংসদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে। মূলত এটা ছিল পাকিস্তানে গণতন্ত্রের মাথায় কঠিন বজ্রাঘাত। মুহূর্তে ঢাকা শহর মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সবার মুখে একই স্লোগান, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’ এর আগে দেশের নাম বাংলাদেশ হবে সে কথা ঘোষণা করেছিলেন শেখ মুজিব। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, ’আমাদের স্বাধীন দেশটির নাম হবে বাংলাদেশ।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ। রুমে শুয়ে ছিল মমিন। বাইরে থেকে সাকিব ঢুকে খেদোক্তি করে বলল, ‘অবস্থা খুব খারাপ। দেশে গোলমাল লাগবে।’
মমিন প্রশ্ন করে, ‘গোলমাল লাগবে কেন?’
‘বাঙালির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা পূর্বপাকিস্তানের স্বাধীনতা চাচ্ছে।’
‘পাকিস্তানিরা আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিচ্ছে না কেন?’ মমিন বেশ জোরালো ভাবেই প্রশ্নটা ছুঁড়ল।
সাকিব কথা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলল, ‘পাকিস্তানি নেতারা ঘাস খায় না। তারাও কম ঘাগু না। তারা ইন্ডিয়ার চালাকি ধইরা ফালাইছে। তাই আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিচ্ছে না।’
‘এটা তো অন্যায়। ক্ষমতা দিলে সমস্যা কী?’ মমিন এবারও জোর দিয়ে বলে উঠল।
সাকিব বলল, ‘তুই রাজনীতি বুঝিস না। তোর মাথায় এসব ঢুকবে না।’
‘কেন ঢুকবে না?’
‘আরে ব্যাটা, আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিলে তারা ইন্ডিয়ার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগ দেবে।’
‘এসব ফালতু কথা। আমি রাজনীতি বুঝি না এটা ঠিক। তাই বলে তোর এই কথা আমি মেনে নিতে পারছি না। আওয়ামী লীগ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগ দিলে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে পিষে মেরে ফেলবে। কী আবোল তাবোল বলছিস তুই?’
‘আবোল তাবোল নারে মমিন। রাজনীতির ঘোর প্যাঁচ বোঝা বড় কঠিন। তুই ইয়াহিয়া খানের বক্তৃতা শুনেছিস?’
‘না।’
ইয়াহিয়া খানও বক্তৃতায় এাই কথাগুলোই বলেছে। তারাতো ঘাস খায় না। তাদের মগজ আমাদের চেয়ে আরও উন্নত।’
মমিন বলে, ‘আমি বুঝেছি। পাকিস্তানিরাই দেশে গোলমালের সূত্রপাত করল।’
‘কীভাবে?’
‘তারা আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিলেই ল্যাঠা চুকে যেত। তাহলে আর এই ঝামেলা হতো না।’
‘তোর এই ভাইতা বুদ্ধি নিয়া ওরা দেশ চালায় না। লাটাইয়ের সুতা ছাইড়া দিয়া পরে কি মাথা থাপড়াবে?’
মমিন আর কথা বাড়ায় না। সে বিষয়টি ভাবতে থাকে।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন

Header Ad

বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়

টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

প্রচণ্ড দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ধানসহ বিভিন্ন ফসল। নেমে গেছে সেচ পাম্পের পানির স্তর। তাই বৃষ্টির আশায় ও প্রশান্তির জন্য টাঙ্গাইলে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইস্তিস্কার) আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের উদ্যোগে নামাজের আয়োজন করা হয়। প্রায় ৫ শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

বিশেষ এই নামাজে ইমামতি করেন- টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের খতিব, জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ইস্তিস্কার নামাজে অংশ নেয়া মাদরাসা শিক্ষক মাহবুব আলম বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ ও মোনাজাতে অংশ নিয়েছি। গরমের কারণে মানুষ ও প্রাণিকুল নাকাল হয়ে পড়েছে। সবার খুবই কষ্ট হচ্ছে। জমির আধাপাকা ধানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হচ্ছে।

টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

তিনি আরও বলেন, এ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে মোনাজাত করছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেবেন।

মুসল্লি কাদের মিয়া জানান, টানা ক‌য়েক‌দি‌ন ধরে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রখর রো‌দের কার‌ণে জী‌বিকা নির্বাহের জন্য বাইরে বের হ‌তে পার‌ছেন না শ্রমজী‌বী মানু‌ষ। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া করা হয়।

জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ হাহাকার করছে। মহান আল্লাহ কোনো কারণে আমাদের ওপরে নারাজ হয়েছেন। এ কারণে বৃষ্টিবর্ষণ বন্ধ রেখেছেন। আজকে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বর্ষণের জন্য মুসল্লিদের নিয়ে নামাজ আদায় করা। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করেছি।

এদিকে, টাঙ্গাইল ছাড়াও জেলার মধুপুর, গোপালপুর, ঘাটাইল ও সখীপুরে বৃষ্টি ও শান্তি কামনায় বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়।

মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা তুলে ধরে প্রতি মাসে স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা। প্রতিষ্ঠানটির সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অন্যদিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটে ১৬তম অবস্থানে রয়েছে। এই ইন্টারনেট সেবায় মিয়ানমার, জিম্বাবুয়ে, ইরাক ও নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো বাংলাদেশের ওপরে অবস্থান করছে।

সূচক অনুসারে, মার্চে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। পাশপাশি আপলোডের স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এছাড়া ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ডাউনলোডের গড় গতি ১০৫.৮৫ এমবিপিএস।

এদিকে, মোবাইল ইন্টারনেট গতি সূচকে শীর্ষে অবস্থান করছে মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ। ৩১৩.৩০ এমবিপিএস গতি নিয়ে কাতার ১ নম্বরে, ২৯৬ এমবিপিএস গতি নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২ নম্বরে এবং ২২৮.৬৪ এমবিপিএস গতি নিয়ে কুয়েত তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নিজেদের স্পিডটেস্ট অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া লাখ লাখ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা দেয়।

বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ফাইল ছবি

গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। দেশে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই এবার বৃষ্টির সম্ভ্যব্য সময় জানাল আবহাওয়া অফিস। বলা হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার শেষের দিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেওয়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়া বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, তিন দিনের হিট অ্যালার্ট শেষে সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী দুই দিন সিলেট অঞ্চল ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে এ সময়ে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

সর্বশেষ সংবাদ

বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়
বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে চিঠি দুদকের
ভূমি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নেবে ২৩৮ জন
জয়কে আজীবন বয়কট, ২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার
বৃষ্টির আশায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে’
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি