বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব- ৭

যারা যুদ্ধ করেছিল

আশ্রিত গাঁয়ের নাম নিশ্চিন্তপুর। বগুড়া-সিরাজগঞ্জের বর্ডারে। গ্রামের নামের সঙ্গে যথেষ্ট মিল আছে এই গ্রামে। এখানে যারা বাস করছে তারা সত্যি নিশ্চিন্তে আছে। চর এলাকা। এখানে পাকিস্তানি মিলিটারি আসে না। তারা মিলিটারিও দেখেনি মুক্তিযোদ্ধাও দেখেনি। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের দেখার জন্য পুরো গ্রাম ভেঙে পড়ল। তাদের ভয় দেখিয়েও সরানো গেল না।
মজনু বলল, ‘ওস্তাদ, গাঁয়ের নামটি আমার খুব পছন্দ হইছে। নিশ্চিন্তপুর। আমরাও এখন যথেষ্ট নিশ্চিন্ত। মনে হচ্ছে পুরো যুদ্ধের সময়টা এখানেই থাইকা যাই।’
‘মনে হচ্ছে তুমি যুদ্ধ করতে আস নাই। বেড়াইবার আইছ।’
‘রাগ হইয়েন না ওস্তাদ। এমনি এমনি কইছি।’
মমিন রাগ মুখে বলল, ‘বারেক কখনো এমন কথা কইবা না। আজ আমাদের মন ভালো নাই। যুদ্ধে আমরা হাইরা গেছি। আমাদের কয়েকজন দুর্ধর্ষ যোদ্ধা যুদ্ধে শহীদ হয়েছে। এইসময় তোমার রসিকতা পোড়া শরীরে মরিচ বাঁটা লাগানোর মতো জ্বলছে। দ্বিতীয়বার এই কথা বললে তোমার কপালে খারাপই আছে।’
‘আর বলব না ওস্তাদ। আমার ভুল হয়া গেছে।’
দুপুরে খাওয়ার আয়োজন হলো। মমিনের খেতে হচ্ছে করছে না। সতীর্থদের পীড়াপীড়িতে খেতে বসল। হাত ধুতে দরজার কাছে গেল পানি ভর্তি গ্লাস নিয়ে। হাত ধুতে ধুতে খেয়াল করল একটি কিশোরী মেয়ে খাওয়া এগিয়ে নিয়ে এসে দিচ্ছে। ঘরে থাকা পরিবেশনকারি লোকটি সেই খাওয়া নিয়ে পাতে পাতে পরিবেশন করছে। মেয়েটিকে দেখে চমকে উঠল মমিন। মেয়েটি অবিকল মমিনের ছোট বোন সাথীর মতো দেখতে। তেমনই নাক তেমনই চোখ। মাথায় একরাশ কোকড়া চুল। হাসিতেও অদ্ভুত মিল। মমিনের মনটা আরও খারাপ হয়ে গেল। বার বার শুধু সাথীর মুখ মনে পড়তে লাগল। কিছুই খেতে পারল না। এক সময় খাওয়া রেখে সে উঠে পড়ল। সবাই বলাবলি করতে লাগল যুদ্ধে হেরে আজ ওস্তাদের মনে খারাপ। তারা কেউ মমিনের মনের কথা বুঝতে পারল না।

শেষ পর্যন্ত করিম মিয়া সবাইকে নিয়া শশুর বাড়ি যেতে রাজি হয়। কথা হয় সন্ধ্যার পর তারা রওনা হবে। সারাদিন তারা গোজগাছ করে। গোজগাছ করারও তেমন কিছু নেই। পুরোনো কিছু কাপড়চোপড় আর কিছু গহনাপত্র। সাথী তার বইগুলো বাঁধাসাধা করে। রাতের খাওয়ার পরই তারা রওনা হবে। সেই মতো তারা প্রস্তুতি নিতে থাকে।
দিনের বেলায় যাওয়ার সাহস নেই। যদি সাকিবের চোখে ধরা পড়ে। তখন কোনো জবাব দেওয়ার মুখ থাকবে না। গোপনে পালিয়ে গেলে তারপর যা হওয়ার তাই হবে। মাইল পাঁচেক পর তাদের একটি আত্মীয় বাড়ি আছে। সেখানে রাত্রিযাপন করে সকালে নানার বাড়ির উদ্দেশ্যে তারা রওনা হবে। রমিছা বিবি কাজ করছে আর মনে মনে দোয়া-দরুদ পড়ছে। যাতে সহি সালামতে গ্রাম থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।
রাতে খেতে বসেছে করিম মিয়া। সাথী খাওয়া এগিয়ে দিচ্ছে। সাথীকেও খেতে বলছিল করিম মিয়া। সাথী বলেছে তার খিদে নেই। খাবে না। সাথী এখান থেকে চলে যেতে পারলে যেন বাঁচে। এখানে থাকলে সাকিব তাকে নিয়ে রঙ্গ তামাশা করবে। খারাপ প্রস্তাব দেবে। এর আগে একবার সে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। সাথী ভয় দেখিয়ে বলেছিল, ভাইয়াকে সে বলে দেবে। সাকিব আর কথা বাড়ায়নি। শুধু বলেছিল, ‘সেটা বল না। আমি আর তোমাকে এমন কথা বলব না।’ সাথী নিশ্চিত তাকে বাড়িতে নিয়ে সে এই ঘটনার প্রতিশোধ নেবে। করিম মিয়ার খাওয়া শেষ। হাত ধুতে গ্লাস হাতে ঘরের বাইরে এসে দেখে টর্চ চালিয়ে বাড়িতে ঢুকছে কে যেন। একজন নয় জনাচারেক। কাঁধে রাইফেল। এসেই করিম মিয়াকে ডাকে। ‘করিম মিয়া বাড়ি আছ?’ সেই ডাক শুনে করিম মিয়ার আত্তা শুকিয়ে যায়। সাথী গিয়ে চৌকির নিচে পালায়। তার বুকের কাঁপুনি ঝড়ের বেগে বাড়তে থাকে।
আলিম রাজাকার গম্ভীর গলায় প্রশ্ন করে, ‘করিম চাচা, তোমার ছেলে মমিন কোথায় গেছে?’
‘কোথায় গেছে আমি জানি না বাবা।’
‘মিছা কথা কওয়ার জায়গা পাও না। মনে করছ আমরা কিছু জানি না। তোমার ছেলে ইন্ডিয়া গেছে পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্র করতে। সে দুস্কৃতির খাতায় নাম লেখাইছে। চলো, তোমাকে আমাদের সঙ্গে যাইতে হবে।’
‘কোথায়?’ ভয়ার্ত কণ্ঠে বলে করিম মিয়া।
‘ক্যাম্পে।’
ঘর থেকে দৌড়ে বাইরে আসে রমিছা বিবি। এসে আলিমের পা জড়িয়ে ধরে। বলে, ‘বাবা আলিম, আমরা সত্যি জানি না মমিন কই গেছে। ও কিছুতেই যুদ্ধে যাবে না। ও ভীষণ ভীতু। তোমরা মমিনের বাপকে নিও না। মিলিটারি তারে মাইরা ফেলবে। আমি তার জান ভিক্ষা চাই।’
আলিম গর্জে উঠে অন্য রাজাকারদের বলে, ‘তোদের কী বলতাছি শুনতে পাস নাই? তোরা এই বুইড়া হালারে বান। এই হালার বুদ্ধিতেই ওর পোলা আমাগো বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য ইন্ডিয়া গেছে। ব্যাটা আমাগোরে শত্রু পাকিস্তানের শত্রু মালাউনগো দেশে গেছে দুস্কৃতির খাতায় নাম লেখাইতে। সাহস দেইখা বাঁচি না। এহনো খাড়াইয়া আছোস ক্যা? বান হালাকে।’
দুজন রাজাকার ছুটে এসে করিম মিয়াকে পিঠমোড়া করে বাঁধে। রমিছা বেগম আলিমের দুপা জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। কয়েকজন প্রতিবেশি আড়াল থেকে দেখে তারা আড়ালেই মিলিয়ে যায়। কেউ সামনে আসে না। তখন কারো সামনে আসার মতো অবস্থা ছিল না। সবাই ‘চাচা আপন জান বাঁচা’ অবস্থা। সাথী চৌকির তলা থেকে বের হয়ে কী করবে ভাবতে থাকে। একবার ভাবে বাইরে গিয়ে আলিম ভাইকে অনুরোধ করবে বাবাকে ছেড়ে দিতে। আবার ভাবে, ওরা যদি আমাকে ধরে নিয়ে যায়, তখন?
এইসময় সাকিবের কণ্ঠ শোনা যায়। টর্চ লাইটের আলো ফেলে সাকিব উঠোনে এসে দাঁড়ায়। বলে, ‘কী হইছে? এত হলাচিল্লা কিসের?’

করিম মিয়া বলে, দেখতো বাবা, ওরা আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তুমিতো সবই জান, মমিনের খবর আমরা কীভাবে জানব?’
সাকিব গর্জে ওঠে, ‘আলিম, তোকে না বলেছিলাম করিম চাচার ব্যাপারে তোদের কিছু করতে হবে না। যা করার আব্বার সঙ্গে কথা বলে আমরাই করব। ছেড়ে দে তাকে। রমিছা গিয়ে সাকিবের পা জড়িয়ে ধরে। বলে, ‘আমগো বিপদের সময় আল্লাহ তোমাকে পাঠাইছে বাবা। তুমি না আইলে আজ কপালে কী যে দুর্ভোগ অইত তা আল্লাই জানে।’
সাকিব বলে, ‘আমি তো আসতাম না। জরুরি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। বাড়ির কামলা ইউনুস গিয়ে বলল, করিম চাচাকে রাজাকাররা ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাই শুনে আর দেরি করতে পারলাম না। হাজার হোক আপনারা আমার আপনজন। বন্ধুর পিতা-মাতা। মমিন আমার জানের জান দোস্ত। আমি থাকতে তার বাবা-মায়ের কিছু হবে সেটা আমি কীভাবে মেনে নেব? তার চেয়ে আমার মরে যাওয়া ভালো।’
ঘর থেকে সাথী লম্বা করে শ্বাস ফেলে। সাকিবের কথাগুলো তার ভালো লাগে। এর মধ্যে অন্য কোনো তত্ত্ব আছে কি না সাথী সেটাও ভাবে।
সাকিব এবার রাজাকারদের ধমকে বলে, ‘তোরা দাঁড়িয়ে আছিস কেন? যা বলছি।’ রাজাকাররা তবু দাঁড়িয়ে থাকে। সাকিব নিজে থেকে বলে, বুঝতে পারছি। তোরা কিছু দক্ষিণা চাস। চাচি, ঘরে সোনাদানা কিছু আছে?
‘সোনাদানা কই পামু বাবা। আমার একটা বিয়ার নাকফুল আছে।’
সাকিব বলে, ‘তাই দেন। ওরা এত কষ্ট করে এতদূর এসেছে। ওদের যাতায়াত ভাড়াটাতো দেওয়া দরকার। জানের চেয়ে তো সোনার মূল্য বেশি না।’
রমিছা ঘরে গিয়ে পুটলিতে বাঁধা নাকফুলটা এনে সাকিবের হাতে দেয়। সাকিব লাইট জ্বালিয়ে নাকফুলটা দেখে। হেসে বলে, নে। জিনিসটা খারাপ না। ভালো দাম পাবি। এখন এটা নিয়ে কেটে পড়। আর কোনোদিন এ বাড়িতে আসবি না।’ সাকিব এগিয়ে গিয়ে নিচু গলায় কী যেন বলে। ওরা তারপর নাকফুলটা নিয়ে চলে যায়।
রমিছা বলে, ‘বাবা ঘরে আইসা বস। তোমার জন্য এতবড় বিপদ থাইকা আল্লাহ আমগো রক্ষা করল। একটু বস।’ রমিছা টুল আগাইয়া দেয়।
‘সাথীকে দেখছি না। কোথায় সে?’
রমিছা বলে, ‘ঘরেই আছে। রাজাকার দেইখা ভয় পাইছে।’
‘ভয় পাওয়ারই কথা। ওরাতো মানুষ না। এক একটা জানোয়ার। সুযোগ পাইলে লুটপাট করে। গোয়াল থেকে গরু পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। ওদের ব্যাপক ক্ষমতা দিছে সরকার।’
রমিছা সাথীকে নিয়ে আসে সাকিবের সামনে। সাকিব একঝলক দেখে হেসে ফেলে। তার হাসির কারণ বুঝতে পারে না সাথী। সাকিব বলে, ‘তুমি মমিনের বোন। মানে আমারও বোন। আমাদের বাড়িতে থাকতে তোমার এত আপত্তি কেন?’
কথাটা এমনভাবে বলে যেন সাকিব নিশ্চিত সাথী ইচ্ছে করে সাকিবদের বাড়িতে যাচ্ছে না। সাথী জবাব খুঁজে পায় না। সে মাথা নামিয়ে থাকে।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন 

 

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে বাস, পুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল ট্রেনের যাত্রীরা

রেললাইনে উঠে পড়া দুর্ঘটনা কবলিত আরপি এক্সপ্রেস বাস এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক টিটু চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনে উঠে পড়ে বাস। এ ঘটনায় বাস ও ট্রাকের চালকসহ ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে এমন ঘটনায় ডিউটিরত পুলিশ সদস্যের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ঢাকা ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারো যাত্রী।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ২ টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার হাতিয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কিছু সময়ের জন্য ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মঙ্গলবার রাত ২ টার দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় ঢাকাগামী আরপি এক্সপ্রেস নামে একটি বাস ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনের উপরে উঠে যায়।

রেললাইনে উঠে পড়া দুর্ঘটনা কবলিত আরপি এক্সপ্রেস বাস ও ট্রাক। ছবি: সংগৃহীত

এ সময় মধ্যরাতে মহাসড়কে ঘটনাস্থলে ডিউটিরত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরীসহ আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তারা জানতে পারেন টাঙ্গাইল থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের দিকে ছেড়েছে।

একপর্যায়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট জায়গায় ফোন করে ট্রেনটি থামানোর জন্য অনুরোধ জানান এসআই টিটু। পরে ট্রেনটি ঘটনাস্থলে এসে দাঁড়ালে বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। এরপর দ্রুত বাসটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ট্রেনে থাকা যাত্রী সবুজ আহমেদ ও হৃদয় ইসলামসহ অনেকেই জানান, হঠাৎ করে ট্রেনটি হাতিয়া নামক এলাকায় থেমে যায়। পরে জানতে পারি এখাকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে উঠে পড়ে। ঘটনাস্থলে দ্রুত ট্রেনটি দাঁড় না করালে যেকোন বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আগেই অবগত হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী।

এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী জানান, গত মঙ্গলবার রাত ২ টা ১০ মিনিটের দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষ বাসটি রেললাইন উঠে যায়। পরে দ্রুত পুলিশ কন্টোলরুম বা রেলওয়ের সাথে যোগাযোগ করে টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চমগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে দাঁড় করানো হয়। এতে করে ট্রেনের হাজারো যাত্রী রক্ষা পায়।

এসআই টিটু চৌধুরী আরও জানান, এ ঘটনায় বাসের ৪ জন যাত্রী ও ট্রাকের চালকসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাকটি সেতু পূর্ব থানায় রাখা হয়েছে।

ইনশাল্লাহ স্পিন বিভাগে পার্থক্য গড়ব : বাংলাদেশের নতুন কোচ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ক্রিকেটার মুশতাক আহমেদ। দায়িত্ব পাওয়ার পর গত সপ্তাহে ঢাকায় এসেছেন তিনি। এবং গতকাল মঙ্গলবার প্রথমবারের মত বিসিবিতে প্রবেশ করেন এই টাইগার কোচ। প্রথমদিনেই জানিয়েছেন নিজের পরিকল্পনা এবং লক্ষ্যের কথা।

মুশতাক বলেন, ‘প্রথমত, আমি বিশ্বাস করি যে, কোচ হিসেবে আমাকে বিশ্বাস রাখতে হবে। আমি এখানে এসেছি পার্থক্য গড়তে। ইনশাল্লাহ পার্থক্য গড়ব স্পিন বিভাগে। আমার যে অভিজ্ঞতা আছে এত বছরের, তা ভাগাভাগি করতে পারব তরুণ ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে। আশা করি, আমরা পার্থক্য গড়তে পারব।’

‘আমি বিশ্বাস করি, যাদেরকে কোচিং করানো সম্ভব, তাদেরকেই কেবল কোচিং করানো যায়। এখানকার তরুণরা দারুণ প্রতিভাবান। আমাদের অভিজ্ঞতা আমরা তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারি। আমি বিশ্বাস করি, দলটা দারুণ প্রতিভাবান ও সব দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’-যোগ করেন তিনি।

মুশতাক চান লেগ স্পিনার খুঁজে বের করতে, ‘এশিয়ায় ক্লাব ক্রিকেটে, নেট অনুশীলনে সবসময়ই লেগ স্পিনার, রহস্য স্পিনার, চায়নাম্যান বোলার দেখতে পাওয়া যায়। আশা করি, আমার অভিজ্ঞতা সেখানে কাজে লাগবে এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারব অনেক।’

মুশতাক আরও বলেন ‘ক্লাব ক্রিকেট ও প্রথম শ্রেণির কোচদের সঙ্গে দেখা করতে পারি এবং চেষ্টা করতে পারি ভালো লেগ স্পিনার বা চায়নাম্যান বোলার বের করে আনতে। কারণ এখন সাদা বলের ক্রিকেটে মাঝের ওভারগুলোয় উইকেট শিকারি স্পিনার লাগেই। রহস্য স্পিনারদের বের করে আনা গুরুত্বপূর্ণ এবং আশা করি, আমরা পারব।’

ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি রওনা হন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব গুলশাহানা ঊর্মি ও স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম।

মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের কথা।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার গঠনের পর এটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। ব্যাংককে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন। বিমানবন্দরে বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ওইদিন থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে দুই প্রধানমন্ত্রীর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছয়দিনের এ সফর উপলক্ষে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সেখানে তিনি বলেন, এই সফর উভয় পক্ষের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের (বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড) মধ্যে সহযোগিতার নতুন জানালা উন্মোচিত হবে।

সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে বাস, পুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল ট্রেনের যাত্রীরা
ইনশাল্লাহ স্পিন বিভাগে পার্থক্য গড়ব : বাংলাদেশের নতুন কোচ
ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
এফডিসিতে সাংবাদিক-শিল্পীদের মারামারি, কী ঘটেছিল?
তীব্র গরমের মধ্যে ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়াল লোডশেডিং
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার
যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ
ছয় দিনের সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর
পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
ভাড়া বাড়াইনি, শুধু ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছি: রেলমন্ত্রী
নবাবগঞ্জে জাল দলিলে জমি দখলের চেষ্টা, সাবেক ও বতর্মান চেয়ারম্যান জেলহাজতে
ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির, গেলেন নেপাল
নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি
ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে দুঃসংবাদ, এক মাস চলতে পারে ভোগান্তি
উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত
'রূপান্তর' বিতর্ক: জোভান-মাহিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা