শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

কিশোরীদের দেখা একাত্তরের ভয়াবহ স্মৃতি

মধুবন্তী ডায়েসের গল্প

[৩] একদিন বিকেলে, আমরা প্রায় ২০/২৫ জন ছেলেমেয়ে খেলা করছি একটা মাঠে। সেই মাঠটা বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে। আমরা খেলা করে দল বেঁধে বাড়ি ফিরছি, সন্ধ্যাতো নেমে এসেছে। একটু একটু অন্ধকারও, এমন সময় দেখি দুইজন মিলিটারি আমাদের সামনে দাঁড়ানো। কখন কোন দিক দিয়ে যে এসেছে তা আমরা কেউ দেখিনি। আমরা তো দেখে ভয়ে পিছনের দিকে দৌড়ে যাচ্ছি। তখন তারা পিছন থেকে আমাদেরকে ডাকছে। আমাদের মাঝ থেকে দুই তিনজন ছেলে দাঁড়িয়েছে। আর আমরা সবাই যার যার বাড়িতে চলে যাই । পরে শুনেছি, এমনি কথাবার্তা বলেছে। তোমাদের নাম কি, কি কর। আমরা তো বাড়ি এসে বলেছি মিলিটারিদের কথা। এখন দাদা আমাদেরকে মানে আমি পারুল, নার্গিস, রেনুকা, কম বয়সি যারা তাদেরকে ডেকে বলেছে, পাকিস্তানি মিলিটারিরা শুধু যুদ্ধই করে না, তারা সব লুটপাট করেও নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাটে যখন যেখানে যাকে পাচ্ছে তাদেরকে বিনা কারণে গুলি করে হত্যা করছে। আর মেয়েদেরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের ইজ্জত নিচ্ছে। তোমরা বড় হয়েছ, তোমাদের যার যার মান ইজ্জত রক্ষা করার দায়িত্ব তোমাদের। মনে রাখবে নারীর মান ইজ্জত এমন একটা জিনিস, যা একবার চলে গেলে আর ফিরিয়ে আনা যায় না। ইজ্জত হারা নারী পৃথিবীতে বেঁচে থাকার চেয়ে না থাকাই ভাল। নারীর একটা বড় সম্বল তা হল মান ইজ্জত। এসব কথা বলেছেন অনেকক্ষণ যাবৎ।

ঐদিনের পর ১০/১২ দিন আর কেউ কোথাও মিলিটারি দেখেনি। তার মানে ঐ দিনই তারা গ্রামে প্রথম এসেছিল এবং ঘুরে ঘুরে দেখেছে যে, কোথায় তাদের থাকার ব্যবস্থা করা যায়, তারা তো তাদের সুবিধাজনক জায়গা বেছে বেছে থাকার ব্যবস্থা করেছে। কয়েকদিন পর এক বিকেলে দাদা আবার আমাদেরকে ডেকে নিয়ে সাবধান করে দিয়েছে। আমরাও সেইভাবে সাবধানে থাকার চেস্টা করছি। এরই মধ্যে একদিন খুব ভোরে দেখি মানুষের ডাকা ডাকি, অনেক মানুষের কথাবার্তা হচ্ছে। আমরা ঘর থেকে জানালা দিয়ে বাহিরে দেখার চেস্টা করছি। কিন্তু কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তখন আমরা ঘর থেকে বাহির হলাম, দেখি বাড়ির পিছনে অনেক লোক। সেখানে আমাদের বাড়ির সব পুরুষ, কিছু বলাবলি করছে। কিন্তু কোন কথাই বুঝতে পারছি না। এত লোক এক সঙ্গে কথা বললে কিছু বুঝা যায়? কৌতুহল থেকে আস্তে আস্তে আগাতে আগাতে এক সময় সেইখানে চলেই গেলাম। দেখি ঐখানে দুইজন মহিলার লাশ পড়ে আছে। তাদের শরীরে কোন কাপড় ছিল না। এখানে কেউ হয়ত তাদের উপরে কাপড় দিয়েছে। তাদের চোখ হাত বাঁধা। সারা শরীর আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হয়ে আছে। এক নজর দেখে পরে আর দেখতে পারিনি।  ভয়ে লজ্জায় খুব দ্রুত চলে আসি ওখান থেকে। পরে বুঝতে পারি এ বিষয় নিয়ে কথা বলছে লোকজন। সেই লাশ দেখে ভেতরটা কেমন যেন অন্যরকম হয়ে গিয়েছে যেমন, ভয় করছে কি যেন জিজ্ঞাসা করবে। সেই দিনের পর থেকে হাসি-আনন্দ, ভাল লাগা সব হারিয়ে গিয়েছে। শুধু আমার না আমাদের বাড়ির, গ্রামের সবারই। বুঝতে পারলাম, আমাদেরকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।

আমার দাদার বাড়ি এমন একটা জায়গায়, জোয়ারের সময়, জোয়ারের পানি বাড়ির একেবারে খুব কাছাকাছি চলে আসে। বাড়ির দুই পাশ-দক্ষিণ আর পশ্চিম পাশ পানিতে ভরে থাকে। একদিন বিকেল প্রায় চারটা বাজে, এমন সময় আমি হাঁটতে হাঁটতে পানির কাছে যাই এবং পানিতে নেমে এমনিতেই হাঁটছি। ছোট ছোট ঢেউ পায়ে আছড়ে পড়ছে, ভাল লাগছে। ঢেউগুলো কিন্তু সমান তালে আসছে। নিজের অজান্তে হাঁটতে হাঁটতে আনেকটা দূরে চলে যাই। পানি কিন্তু একই পরিমানে আছে। চার দিকটা দেখতে কেমন সুন্দর লাগছে। হঠাৎ একটু দূরে দেখি, কিছু একটা দেখা যাচ্ছে। আমি একটু দ্রুত ঐ দিকে যাই। একটু যেতেই দেখি একটা মানুষ, আরও কাছে গিয়ে দেখি, মেয়ে মানুষ। তার হাতে শাঁখা, পলা, গলায় চেইন, কানে বড় দোল টানা দিয়ে আটকানো। তার শরীরে কাপড় নেই। তার গোপন অঙ্গে ছুরি মতন কিছু একটা ঢুকানো, স্তন দুইটা কাটা। কি যে বিভৎস দৃশ্য তা বলে বুঝাতে পারবো না। দেখে আমি ভয়ে চিৎকারও দিতে পারছি না। মনে হচ্ছে মাটির সঙ্গে লেগে গিয়েছে। ঐ লাশটা বুঝি আমার দিকে এগিয়ে আসছে। সে যেন চিৎকার করে বলছে, আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও। সেই চিৎকার আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি। আমি এ অবস্থায় কি করবো বুঝতে পারছি না। তারপর কি হয়েছিল আর বলতে পারি না। যখন আমার হুঁশ এল, দেখি, আমি বাড়িতে।

তার পরদিনই শুনি মানুষ কানাকানি করছে, মিলিটারিরা নাকি গ্রামে ক্যাম্প করে। ঐ দিন দুপুরে আমরা সবাই খেতে বসেছি, এমন সময় শুনি মিলিটারি আসছে। তখন সবাই খাবার ফেলে দৌড়ে পালাচ্ছি। ঘর থেকে বাহির হতেই দেখি, মিলিটারিরা দল বেঁধে জুতার শব্দ করে আসছে। তখন কে যেন আমাকে বলছে, মিলিটারিরা খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। আমরা বেশি দূর যেতে পারবো না। চল, পুকুরে নেমে যাই। জান মান বাাঁচাতে চাইলে, পুকুরে গিয়ে ডুব দিয়ে থাকি। তখন তো আমাদের সবার বাড়ির চার পাশে ছোট ছোট পুকুর ছিল। পুকুরের পানিতেই সব কিছু হতো। তার কথা শুনে আমি পাশের পুকুরে ঝাঁপ দিলাম। পুকুরে বেশি পানি ছিল না। আমার কোমর পর্যন্ত পানি। সেই পানিতেই আমি বসে পড়ি। গলা পর্যন্ত পানির নীচে ডুবিয়ে রাখি। আর পাতা-টাতা দিয়ে মাথাটা ঢেকে রাখি। পুকুর থেকেই শুনতে পাচ্ছি চিৎকার, চেঁচামেচি, বাঁচাও বাঁচাও এ ধরনের। আর এ দিক দিয়ে মাছ আমার সারা শরীরে ঠোকর দিচ্ছে। মাছ হয়ত ভেবেছিল, আজ এত বড় খাবার পেয়েছি, মজা করে খেয়ে নিব। আর আমার চোখের সামনে দিয়ে ছোট দুইটা সাপ ঘোরাফেরা করছে। যদিও তারা আমাকে কিছুই করেনি। কিন্তু ভয়ে তো আমি পাথর হয়ে গিয়েছি। আমি বুঝতে পারছি, বিষাক্ত সাপ আমাকে মারবে না। মারবে আমার মতন মানুষ রুপি জানোয়ার। বিষাক্ত সাপও বুঝতে পেরেছিল যে, আমি তাদের কাছে আশ্রয় নিয়েছি। তাই তারা সেইদিন আমাকে পাহাড়া দিয়েছিল। পরিস্থিতিটা এমন ছিল।

 

লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক

 

Header Ad
Header Ad

দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ

ছবি: সংগৃহীত

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ। সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা।

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে আনন্দমুখর পরিবেশে ৯ দিনব্যাপী শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ৫ জুলাই বিকেল ৩টায় উল্টো রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এই উৎসব শেষ হবে। এ বছর ঢাকাসহ সারা দেশে ইসকনের ১২৮টি মন্দির ও আশ্রমে এদিন রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এই বিশ্বাস থেকেই রথের উপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

শুভ রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ঢাকায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) আয়োজিত ৯ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালায় রয়েছে, হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামানায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ, ধর্মীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও ধর্মীয় নাটক মঞ্চায়ন।

ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী জানান, ইসকন স্বামীবাগ আশ্রমে শুক্রবার সকাল ৮টায় বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুভ রথযাত্রা মহোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে দুপুর দেড়টায় আলোচনা সভা শেষে বিকেল ৩টায় রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হবে।

ঢাকায় রথযাত্রার রুট উল্লেখ করে তিনি জানান, স্বামীবাগ আশ্রম থেকে রথযাত্রা শুরু হয়ে জয়কালী মন্দির, ইত্তেফাক মোড়, শাপলা চত্বর, দৈনিক বাংলা মোড়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট, পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, কদম ফোয়ারা, হাইকোর্ট মাজার, দোয়েল চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হল, পলাশী মোড় হয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে গিয়ে পৌঁছবে। পরে আগামী ৫ জুলাই বিকেল ৩টায় উল্টোরথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা একই পথে বিপরীত দিক থেকে অর্থাৎ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে স্বামীবাগ আশ্রমে আনা হবে।

এছাড়া পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের জগন্নাথ জিউ ঠাকুর মন্দির, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির এবং শাঁখারীবাজার একনাম কমিটিসহ রাজধানীর অন্যান্য মন্দির ও দেশের বিভিন্ন মন্দিরেও রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সঙ্গে সমঝোতায় গোপনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা এবং মার্কিনদের কথামতো চালাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন নানাভাবে চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে চারটি সূত্র সিএনএনকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র মতে, ট্রাম্প প্রশাসন ইরানকে বেসামরিক-শক্তি উৎপাদনকারী পারমাণবিক কর্মসূচি গড়ে তুলতে সহায়তা করার জন্য ৩০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অর্থ প্রদান, নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা এবং বিশ্বব্যাপী ইরানের ফ্রিজ হওয়া তহবিলের বিলিয়ন ডলার মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা করেছে। আর এ সবই করা হচ্ছে অত্যন্ত গোপনে।

যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের মূল খেলোয়াড়রা গত দুই সপ্তাহে ইরান ও ইসরায়েলে সামরিক হামলার মধ্যেও পর্দার আড়ালে ইরানিদের সঙ্গে কথা বলেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর এই সপ্তাহেও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। এগুলো প্রাথমিক ও ক্রমবর্ধমান। তবে একটি অ-আলোচনাযোগ্য শর্ত বহাল রয়েছে। তা হলো, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শূন্য হতে হবে। যদিও ইরান ধারাবাহিকভাবে বলেছে, তাদের প্রয়োজনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করা হচ্ছে তবুও চাপ প্রয়োগকারীরা এ শর্তে ছাড় দিতে নারাজ। দুটি সূত্র সিএনএনকে অন্তত একটি প্রাথমিক খসড়া প্রস্তাব সরবরাহ করেছে। এতে ইরানের জন্য বেশ কয়েকটি প্রণোদনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং উপসাগরীয় অংশীদারদের মধ্যে একটি গোপন বৈঠকে কিছু বিবরণ চূড়ান্ত করা হয়েছে। মার্কিন সামরিক হামলার আগের দিন ছিল কয়েক ঘণ্টার সেই বৈঠক সম্পর্কে জানা দুটি সূত্র সিএনএনকে এসব নিশ্চিত করেছে।

আলোচিত শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইরানের একটি নতুন অ-সমৃদ্ধকরণ পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য আনুমানিক ২০-৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। এ কেন্দ্র বেসামরিক শক্তি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং প্রস্তাব সম্পর্কে জানা সূত্রগুলো সিএনএনকে জানিয়েছে, অর্থ সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসবে না; বরং আরব অংশীদাররা এই বিল পরিশোধ করার পথ খোঁজা হচ্ছে। ইরানের পারমাণবিক শক্তি সুবিধাগুলোতে বিনিয়োগের বিষয়টি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পারমাণবিক আলোচনার পূর্ববর্তী রাউন্ডগুলোতেও আলোচিত হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনাগুলোর নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক। পারমাণবিক কর্মসূচি গড়ে তুলতে কারও না কারও অর্থ প্রদান করতে হবে। তবে আমরা সেই প্রতিশ্রুতি দেব না।

অন্যান্য প্রণোদনার মধ্যে রয়েছে ইরানের ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা অপসারণের সম্ভাবনা এবং ইরানকে ৬ বিলিয়ন ডলার ফ্রিজ সম্পদ ব্যবহার করতে দেওয়া, যা বর্তমানে বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে এবং তারা বহু বছর তা অবাধে ব্যবহার করতে পারছে না।

সূত্র সিএনএনকে বলেছে, বিভিন্ন মানুষের দ্বারা অনেক ধারণা উত্থাপিত হচ্ছে এবং তাদের অনেকেই সৃজনশীল হওয়ার চেষ্টা করছে। এখানে কী ঘটবে, তা সম্পূর্ণরূপে অনিশ্চিত। ইসরায়েলি ও মার্কিন হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে প্রথম পাঁচ রাউন্ডের আলোচনা সম্পর্কে জানা একটি পৃথক সূত্রও একই তথ্য দিয়েছে।

উইটকফ বুধবার সিএনবিসিকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি শান্তি চুক্তি চায়। সব প্রস্তাব ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র প্রাপ্তি থেকে বিরত রাখার জন্য নকশা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে , ইরান শান্তিপূর্ণ বেসামরিক উদ্দেশ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি চালু রাখতে পারে। তবে সেই কর্মসূচির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না। পরিবর্তে ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম স্বল্প মাত্রায় আমদানি করতে পারবে। কতটুকু খরচ হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষকদের নিয়মিত জানাতে হবে।

উইটকফ বলেন, এখন ইরানের সঙ্গে আলোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা কীভাবে ইরানকে উন্নত বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি চালু রাখার সুযোগ দেব, সেটিই মুখ্য।

 

Header Ad
Header Ad

প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান

ছবি: সংগৃহীত

‘প্রত্যেকটা জেলায় শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য যেমন হাসপাতাল আছে তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সিনেমা হল থাকা দরকার। সুস্থ বিনোদন থাকলে মানুষ নেশা, হানাহানি ও মব জাস্টিস থেকে দূরে থাকবে। আমাদের যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান দরকার তেমনি বিনোদনের জন্য সিনেমা হল দরকার।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘উৎসব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী শেষে কথাগুলো বলছিলেন নন্দিত অভিনেতা জাহিদ হাসান।

‘উৎসব’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। শুটিংয়ের বহুদিন পেরিয়ে গেলেও জাহাঙ্গীর চরিত্রের মধ্যে থেকে এখনো বের হতে পারেননি বলেন জানালেন এই অভিনেতা।

 

ছবি: সংগৃহীত

জাহিদ হাসান বলেন, ‘এখনো আমি এই চরিত্রটার মধ্যে ডুবে আছি। সিনেমার আমার চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে জাহাঙ্গীর লুকিয়ে আছে। কারণ, আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের মাঝে হিরোইজম আছে, ভিলেন আছে। আছে উপলব্ধি করার ক্ষমতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের সেই রিয়েলাইজেশনের সময়টা আছে। কখন মৃত্যু হয় আমরা জানি না। এই রিয়েলাইজ যদি আমাদের মধ্যে থাকে তাহলে আজ আমরা যারা জাহাঙ্গীরের মত আছি, কাল আমরা ভালো হয়ে যাবো।’

ঈদের সিনেমা মানেই এখন যেন অ্যাকশন অথবা থ্রিলার। গত কয়েক বছরে ঈদে বাজিমাত করা সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে এমনটাই মনে হতে পারে। সেসব থেকে বেরিয়ে হাস্যরস পরিবার এবং সম্পর্কের গল্পে এবার ঈদে বাজিমাত করেছে ‘উৎসব’। এই সফলতার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করলেন প্রত্যেক শিল্পীর সততাকে।

জাহিদ হাসানের কথায়, ‘প্রডাক্টশন বয় থেকে শুরু করে এই সিনেমার সঙ্গে আমরা যারা যুক্ত ছিলাম তারা প্রত্যেকেই অনেক সৎ ছিলাম। অভিনয় নিয়ে কোনো অসৎ অবস্থার মধ্যে আমরা যাইনি। এটাই মনে হয় আমাদের সফলতার বড় বিষয়। এই সিনেমার প্রত্যেকটি দৃশ্যের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে।’

করোনা মহামারির পর অভিনয়ে খুব একটা দেখা যায়নি জাহিদ হাসানকে। নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে খুব একটা কথা হয়নি তার। কারোনার পর ‘উৎসব’-ই তার প্রথম সিনেমা। তার ভাষ্য, ‘করোনার পর খুব একটা অভিনয় করা হয়নি। আমাকে অভিনয়ে নেওয়া বা না নেওয়াটা নির্মাতাদের দায়িত্ব। বলতে গেলে গত কয়েকবছর সেভাবে সুযোগও আসেনি। ‘উৎসব’ সিনেমার মধ্যে সেই সুযোগটা এলো। অভিনয় করলাম। দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝেছি অন্তত ফেল করিনি।’

 

ছবি: সংগৃহীত

সিনেমার হলের সংখ্যা কম হওয়ায় দেশের সিনেমা সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছচ্ছে না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন জাহিদ হাসান। সেইসঙ্গে জেলা প্রশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।

জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জ। আমার বোন ফোন করে বললেন এখানে তো সিনেমা হলে নেই। তাই আমরা সিনেমা দেখতে পারছি না। এই কথা শুনে কষ্ট পেয়েছি। এটা সত্য সিরাজগঞ্জের মত দেশের অনেক বড় শহরে সিনেমা হল নেই। জেলা প্রশাসকসহ দায়িত্বশীল পর্যায়ে যারা আছে তাদের সবাইকে অনুরোধ করবো তারা যেন প্রত্যেকটি জেলায় সিনেমা হলের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়ে তার বাস্তবায়ন করেন।’

তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ সিনেমায়ি জাহিদ হাসান ছাড়াও অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে (ভিডিও)
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার