মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা পরিষদ এবং প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ে পর্যালোচনা

স্থানীয় সরকার, টেকসই উন্নয়ন এবং তৃণমূল রাজনীতি সংশ্লিষ্ট গবেষক হিসেবে ৬১টি জেলা পরিষদ ভেঙে দেওয়া এবং অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা হিসেবে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করছিলাম। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, যথাসময়ে নির্বাচন না হওয়ায় জেলা পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশের ৬১টি জেলায় প্রথমবারের জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি শপথ নেন। সেই বছরের জানুয়ারিতে জেলা পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরিষদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়। তবে সংসদে পাস হওয়া সদ্য সংশোধিত আইন অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ করার কথা।

জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন-২০২২’ গত ৬ এপ্রিল সংসদে পাস হয়েছে। জেলা পর্যায়ের স্থানীয় সরকার সংস্থার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হলে প্রশাসক নিয়োগের বিধান অন্তর্ভুক্ত করে বিলে বলা হয়েছে, কোনো অজুহাতে পাঁচ বছরের মেয়াদের পর কোনো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্য পদে থাকবেন না। সরকার পরবর্তী কাউন্সিল গঠন না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সংস্থা পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করবে যা আইনে বলা হয়েছে। জেলা পরিষদ আইন ২০০০ একটি নির্বাচিত কাউন্সিল গঠন না হওয়া পর্যন্ত জেলা পরিষদে একজন প্রশাসক নিয়োগের অনুমতি দেয়, তবে পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে প্রশাসক নিয়োগের কোন বিধান নেই। প্রশাসকের সময়কাল ১৮০ দিনের বেশি হবে না এবং কেউ একবারের বেশি প্রশাসক হতে পারবেন না, বিলে বলা হয়েছে।

আমি ২০২২ সালে সংশোধিত জেলা পরিষদ আইন নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিতর্ক শুনছিলাম। বিলের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা বিলটিকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে বলেছেন যে এটি সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী যা 'সর্বস্তরে প্রশাসনে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া একদিনও জেলা পরিষদ রাখা ঠিক হবে না। সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া কোনো কর আরোপ করা যাবে না। তাহলে ভোট না দিয়ে প্রশাসক থাকবেন কেন, প্রশ্ন করেন জাতীয় পার্টির একজন সংসদ সদস্য। বিএনপির সংসদ সদস্য বলেছে, জেলা পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়োগের জন্য বিলে এই বিধান রাখা হয়েছে। সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের সমালোচনার জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, অনেক জনপ্রতিনিধির ফাইল মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আদালতে যায় এবং আদালতের আদেশ পেয়েও ২০ বছর পদে বহাল থাকে। মন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের প্রবণতা ঠেকাতে সরকার প্রশাসক নিয়োগের পদক্ষেপ নিয়েছে।

সত্যি বলতে, সংসদে এমপি-মন্ত্রীর বিতর্ক আমাকে এ বিষয়ে আমার পর্যবেক্ষণ লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রসঙ্গক্রমে, আমি সংবিধানের ৫৯(১) অনুচ্ছেদ সম্পর্কে কথা বলি যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ‘প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি প্রশাসনিক ইউনিটে স্থানীয় সরকার আইন অনুসারে নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত সংস্থার কাছে ন্যস্ত করা হবে’। নিশ্চয়ই জেলা পরিষদে প্রশাসক রাখা একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা। এটি একটি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য চলতে পারে না যা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। 'জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২' অনুযায়ী, সরকার পরবর্তী পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সংস্থার কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা একজন সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেবে। পরবর্তী জেলা পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক দায়িত্বে থাকবেন। যাইহোক, প্রশাসকের মেয়াদ ১৮০ দিনের বেশি হবে না এবং কেউ একবারের বেশি প্রশাসক হতে পারবে না।

এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৬১টি জেলা পরিষদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন কমিশন এখন নির্বাচন করতে প্রস্তুত নয়। ইসি সূত্রে জানা গেছে, বাকি ২০০টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন শেষ হলেই ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করবে কমিশন। আইন অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন থেকে ইউপি পর্যন্ত সব স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জেলা পরিষদের ভোটার। ফলে ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন না হলে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন সম্ভব হবে না। যেহেতু একজন প্রশাসক ১৮০ দিনের বেশি জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, কাজেই নির্বাচন কমিশন কে এখন থেকে অন্তত পরবর্তী চার মাসের মধ্যে বাকি ২০০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য সক্রিয় হতে হবে বলে আমি মনে করি। সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সব জেলা পরিষদ নির্বাচন এই বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

আমি মনে করি, জেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জোরদার করতে জেলা পরিষদের প্রশাসকদের আরও ক্ষমতা দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে স্থায়ী কমিটিগুলোকে সক্রিয় করার মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে, ঢাকাপ্রকাশ-এ গত মাসে প্রকাশিত আমার একটি লেখায় আমি জেলা পরিষদের কার্যকারিতার ওপর জোর দিয়েছিলাম। মানুষের মতামত শোনা এবং তাদের অংশগ্রহণের অধিকারকে সম্মান করার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা যায়। স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী না করলে এবং তাদেরকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে না দিলে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে না। দারিদ্র্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গঠন অপরিহার্য। ফলস্বরূপ, স্থানীয় সরকারে সামগ্রিক সংস্কার আনা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি।

নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে প্রশাসককে তা নিশ্চিত করতে হবে, জনসেবার পরিমাণগত ও গুণগত উন্নতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে কোনও বিড়ম্বনা ছাড়াই সেসব সেবা-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কর্মদক্ষতা দেখানো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানদণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। স্থানীয় সরকার অবশ্যই তার নাগরিকের প্রতি দায়বদ্ধ। তাদেরকে সততার সাথে জনস্বার্থ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত। আবারও আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, গণমানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে জেলা পরিষদকে কার্যকার করা ছাড়া নতুন সংশোধিত আইন বা নতুন কোনো বিধান জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজে আসবে না ।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)।

 

ই-মেইল: t.islam@juniv.edu

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন