মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কবি ও কাক সমাচার

 

কাক। কালো কুচকুচে, কুৎচিত। পাখিদের মধ্যে বোধ হয় সবচেয়ে অজনপ্রিয়। কাকের কা কা কর্কশ শব্দ কারো পছন্দ নয়। কাককে দেখতে হয় না। কাকই সবসময় চোখের সামনে চলে আসে। শহরে ময়লা আবর্জনা সহজলভ্য হওয়ায় অলিতে গলিতে কাকের পোয়াবারো। তো, এই হেন কাকের সঙ্গে কবিদের তুলনা? বলা হয়, ‘বাংলাদেশে কাক ও কবির সংখ্যা সমান’। কবে, কখন, কে, কোন পরিস্থিতে এই কথাটি উচ্চারণ করেছিল, তা হন্যে হয়ে খুঁজেও জানা যায়নি। অনুমান করা যায়, কাকের বিরক্তিকর অধিক উপস্থিতির কারণে শ্লেষাত্মকভাবে কবিদের জুড়ে দেওয়া হয়েছে! এ প্রসঙ্গে একটি গল্প মনে পড়ল।

‘একদিন আকবর ও বীরবল বসে গল্প করছিলেন। হঠাৎ আকবর প্রশ্ন করলেন, ‘দিল্লি শহরে কত কাক আছে বলতে পার বীরবল?’ অদ্ভূত প্রশ্নটি শুনে বীরবল বললেন, ‘জাঁহাপনা, বর্তমান শহরে ৯ লাখ ৯ হাজার ৯৯৯টি কাক আছে। আপনার যদি সন্দেহ হয় তাহলে নিজে অথবা অন্য লোক দিয়ে গুণে দেখতে পারেন। যদি দেখেন, এই সংখ্যা থেকে কিছু কম কাক আছে তাহলে বুঝবেন দিল্লির আশপাশে বন্ধুদের সঙ্গে তারা বেড়াতে গেছে। আবার যদি দেখেন ওই সংখ্যা থেকে বেশি কাক আছে, তাহলে বুঝবেন তাদের বন্ধুরা বা আত্মীয়রা অন্য এলাকা থেকে বেড়াতে এসেছে!’

ঢাকা বা বাংলাদেশে কাকের সংখ্যাইবা কতো—জানা থাকলে কবির জনসংখ্যা বোঝা যেত! তবে কবি তারাপদ রায় লিখেছেন,
‘ঢাকা খুব পুরোনো শহর।
সেখানে অনেক কবি, কবিতে কবিতে অন্ধকার ঢাকা।
ছোট কবি, বড় কবি, তত-বড়-নয় কবি
হলেও -বা-হতে পারতো কবি
আগে-পিছে, ডাইনে-বায়ে সেখানে কেবল
কবি আর কবি।
সেখানে কবি ছাড়া আরো যে দু’চারজন আছে
তাদের মধ্যে আবার অধিকাংশই কবির বন্ধু
কিংবা কবির শ্যালক।’

এই চিত্র শুধু ঢাকার নয়, সারা বাংলাদেশের। সব জায়গায় কবিদের নানা গোষ্ঠী, উপগোষ্ঠীও। কে বড় কবি, কে ছোট কবি, কে কবি নয় তা নিয়ে ঝগড়া ফ্যাসাদও আছে। আচ্ছা, কেন কবি হওয়ার সাধ জাগে? কবিতা লেখা কি খুব সহজ? এলোমেলো কিছু লিখে দিলেই কি কবিতা বলে চালিয়ে দেওয়া যায়? প্রকরণগত সুবিধার জন্যই কি কবিতার লেখক বেশি? যেখানে গল্প, উপন্যাস বা অন্য কিছু লিখতে যথেষ্ট ধৈর্য ও সময় লাগে।

আরও একটা কথা বলা হয়, বাঙালি হচ্ছে আবেগপ্রবণ জাতি। তাই প্রায় প্রতিটি বাঙালিই জীবনের কোনো এক সময় কবিতা লেখার চেষ্টা করে। আবার অনেকে বলেন, কবির সংখ্যা বেশি হলে বা সবাই কবিতা লিখলেই বা ক্ষতি কি? তারাতো আর দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি বা অস্থিরতা তৈরি করছে না। স্রেফ কবিতা লিখে নিজের আত্মসুখ বা প্রচারসুখ বা খ্যাতি অনুভব করার চেষ্টা করছে বা শখ পূরণ করছে।

সেজন্যই সারাদেশে একুশে ফেব্রুয়ারিতে সবচে’ বেশি ছাপা হয় কবিতার বই। আর সবচে’ বেশি অবিক্রিত থাকে কবিতার বই-ই। বাংলা একাডেমির বই মেলায়ও অনেক কবিতার বই প্রকাশ পায়। এর মধ্যে বেশিরভাগ কবিতার বই জন্ম নেয় স্বউদ্যোগে বা স্বখরচে। প্রবাসীদের অনেকেও এভাবে কবিতার বই প্রকাশ করে নামিদামি প্রকাশনী থেকে। আর মেলায় এইসব কবিরা প্রতিদিন উপস্থিত থেকে চেষ্টা করে পরিচিতজনদের গছিয়ে দিতে! সেজন্য অনেকে ভয়ে আর মেলামুখোও হন না।

এর বাইরে, কবিতা লিখে প্রাপ্তিযোগেরও সুযোগ আছে। রাষ্ট্রীয়সহ নানা পুরস্কার জুটাতে পারলে সমাজে মান সম্মানের উন্নতি হয়। তাইতো অনেকে এর অপব্যবহার করতেও পিছপা হন না। ২০২২ সালে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার জন্য উপ সচিব মো. আছাদুজ্জামান তার বাবা আমির হামজাকে বিশিষ্ট ‘কবি’ হিসেবে অভিহিত করে প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছিলেন। তবে অখ্যাত এই ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়। এর আগে ২০২০ সালে সাহিত্যে স্বাধীনতা পদকের জন্য জনৈক রইজ উদ্দিনকে মনোনীত করা হলেও পরে সমালোচনার মুখে প্রত্যাহার করা হয়।

সেনা শাসক এরশাদেরও কবি হওয়ার সাধ জেগেছিল। ক্ষমতায় থাকাকালে তল্পিবাহকদের নিয়ে কবিতাকে প্রায় কুক্ষিগত করে রাখে। সেনা কবির সঙ্গীসাথীদের রাজকীয় কবির অভিধাও জুটেছিল। সেজন্যই কিনা কবি মোহাম্মদ রফিক লিখেছেন,
‘সব শালা কবি হবে;
পিঁপড়ে গোঁ ধরেছে, উড়বেই;
বন থেকে দাঁতাল শুয়োর
রাজাসনে বসবেই;’
(খোলা কবিতা)

গ্রিক দার্শনিক প্লেটো তার আর্দশ রাষ্ট্র বা কল্পিত রাষ্ট্রে কবি-কবিতাকে বাদ দিয়েছিলেন। এ নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা আছে। তবে এখন তা চিন্তাই করা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেকে ২২ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণী কবি আমান্ডা গোরম্যান ‘দ্য হিল উই ক্লাইম্ব’ কবিতা পড়ে শুনিয়েছেন। এতেই বুঝা যায় আধুনিক যুগে কবি ও কবিতার গুরুত্ব। আন্দোলন, সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, প্রেম-ভালোবাসায় কবিতা হয়ে উঠে অন্যতম শক্তি ও প্রেরণার উৎস— এটি আর নতুন করে বলার কিছু নেই।

এক্ষেত্রে কবি ও কাকের সমতুল্যের বিষয়টির কি হবে? তবে কাকের মধ্যে সৌন্দর্য ও ইতিবাচক দিকও আছে। ময়লা আবর্জনা সাবাড় করে কাক মানুষের উপকারই করে। কাকের স্বভাব ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আছে ১৯টির বেশি বাগধারা। কয়েকটি যেমন, কাকচক্ষ—পরিষ্কার স্বচ্ছ জল, তীর্থের কাক— কোনো কিছু প্রাপ্তির আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা, কাকের ভূষণ্ডি—দীর্ঘজীবী ব্যক্তি, কাকনিদ্রা— অগভীর নিদ্রা। আর কোনো পাখি নিয়ে এত বাগধারা আছে কিনা জানা নেই।

হুমায়ুন আজাদ বলেছেন, ‘কাক বেশ চমৎকার পাখি এবং আমার বেশ পছন্দ। অন্য পাখির দিকে তাকালে মনে হয় ওরা নিজেদের ছাড়া আর কিছু বোঝে না, ওরা মনে করে পৃথিবীটা ওদের জন্যই বানানো হয়েছে। কিন্তু কাককে দেখলে তা মনে হয় না। কাকই একমাত্র পাখি যেটি মানুষের সঙ্গে সক্রিয় সম্পর্কে জড়িত। কাক জানে পৃথিবীটা মানুষের অধিকারে। আর কোনো পাখি এসে দরজায় দাঁড়ায়, মানুষের সঙ্গে একটু খাবার ভাগাভাগি করে নিতে চায়?’ জীবনানন্দ দাশ ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থে লিখেছেন,
‘সুন্দর করুন পাখা পড়ে আছে— দেখি আমি; চুপে থেমে থাকি
আকাশে কমলা রঙ উঠে সন্ধ্যায় কাকগুলো নীল মনে হয়’ (একদিন পৃথিবীর পথে)

প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘কাক ডাকে’ কবিতায় আছে কর্কশ স্বরের স্নিগ্ধ রূপ:

‘কোথায় কাদের ছাদে সমস্ত দুপুর
কাক ডাকে শুনি।
বোঝা আর বোঝাবার
প্রাণান্ত ক্লান্তির শেষে
অকস্মাৎ খুলে যায় আশ্চর্য কবাট।
কাক ডাকে, আর
সে শব্দের ধু ধু করা অপার বিস্তার
হৃদয়ে ছড়ায় সব শব্দের অতীত
ধ্যান-গাঢ় প্রশান্তির মত’

মনে হয় বাংলাদেশে কবি ও কাকের প্রসঙ্গটি কখনো মুছে যাবে না। মান সম্পন্ন কবিতার বই প্রকাশই এর একমাত্র সমাধান হতে পারে। এখন কবিরা নিজ খরচে যেভাবে কবিতার বই গণহারে প্রকাশ করে, তাতে শুধু প্রকাশকরাই লাভবান হয়। তবে এই অগণিত কবি কবিতার মধ্যে প্রকৃত কবি ও কবিতার বিষয়ে বহু আগেই জীবনান্দ দাশ রক্ষাকবচ দিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি’। অর্থাৎ কবিতা লিখলেই কেউ কবি হয়ে যায় না!

লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক

এসএন/আরএ/

 

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন