মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৬ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নারী পুনর্বাসনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। চারিদিকে বিজয়ের আনন্দ। কিন্তু সেই আনন্দ বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের মনে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি করতে পারেনি। জনসংখ্যার একটি বড় অংশ তখন মানসিকভাবে বিব্রত ও বিপর্যস্ত। যুদ্ধের সময় মানুষ কোনো রকম প্রাণে বেঁচে থাকাটাকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছে।

কিন্তু যুদ্ধ শেষে দেখা গেল প্রায় সাড়ে চার লাখ নারীর বেচেঁ থাকাটাই হয়ে উঠেছে লজ্জা আর অপমানের। শুধু ধর্ষণের শিকার নারীরাই নন, তার পরিবার, আত্মীয়স্বজনের পরিবারও তাদের নিয়ে বিব্রত ছিল। এই পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচতে অনেকে আত্মহত্যা করেছে, অনেকে আত্মপরিচয় গোপন করেছে, অনেকে দেশ ত্যাগ করেছে। বাঙালির ঐতিহ্য বা প্রথা অনুসারে সমাজে ধর্ষিতার কোনো স্থান নেই। সে অপবিত্র, হেয় ও নিন্দার পাত্র। এই রকম প্রতিকূল পরিস্থিতে নির্যাতিতা নারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। মুস্তফা চৌধুরী তার’ ৭১- এর যুদ্ধশিশু অবিদিত ইতিহাস গ্রন্থের ৮ পৃষ্ঠায় বলেন—
‘১৯৭২- এর জানুয়ারি এবং এপ্রিল মাসের মধ্যে আত্মহত্যার বিষয়ে যে দালিলিক প্রমাণ গেছে, তাতে ২০০ জন নারীর আত্মহত্যার উল্লেখ রয়েছে। ডা. ডেভিস ও তার সহকর্মীদের কাছে ২০০ আত্মহত্যার হিসেবটি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। তাদের মতে, যুদ্ধের পর পরিবারের ভালোর জন্য তারা মনে করেন আত্মহত্যার বিষয় সবাই একটু রক্ষণশীলতার সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন।’

এ বিষয়ে ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ দৈনিক বাংলায় একটি সম্পাদকীয় ছাপা হয়। সম্পাদকীয়টির শিরোনামই ছিল— ‘অবলাদের আত্মহত্যা’।

‘একটি শঙ্কিত হবার মত সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি সপ্তাহে গড়ে দুশো থেকে তিনশো নির্যাতিতা বীরাঙ্গনা আত্মহত্যা করছেন। কর্তৃপক্ষীয় সূত্র থেকে এ সংবাদটি পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে। সময়মতো সত্যিকার সাহায্য সহযোগিতা লাভে ব্যর্থ হয়েই এইসব নির্যাতিতা বীরাঙ্গনারা নিজেদের মর্যাদা রক্ষা করার জন্য এই পথ বেছে নিয়েছেন।’

১০ জানুয়ারি ১৯৭২- এ বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি আগেই জানতেন। কাজেই তিনি দেশে ফিরেই বদরুন্নেসা আহমেদ ও নূরজাহান মুর্শিদকে দায়িত্ব দেন একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য। সেই পরিকল্পনায় শুধু বীরাঙ্গনারাই নয়, থাকবে পরিত্যক্ত, আশ্রয়হীন বিধবা ও অসহায় নারীর পুনর্বাসনের প্রসঙ্গেও।
পরিকল্পনানুযায়ী ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু গঠন করেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় নারীপুনর্বাসন বোর্ড’। বোর্ডকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হলেও এটি ছিল স্বায়ত্তশাসিত বোর্ড। বোর্ডের চেয়্যারম্যান ছিলেন বিচারপতি জনাব কে এম সোবহান। এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ছিলেন মিস্টার আবদুল আউয়াল। এ ছাড়া সদস্য ছিলেন ১১ জন। এরা হলেন— বেগম বদরুন্নেসা এম সিএ, বেগম নূরজাহান মোরশেদ এম সিএ, বেগম সাজেদা চৌধুরী এম সি এ, বেগম মমতাজ বেগম এম সি এ, মিস রাফিয়া আখতার ডলি এম সিএ, ডক্টর নীলিমা ইব্রাহীম, কবি বেগম সুফিয়া কামাল, ডাক্তার মিসেস জাহানারা রাবিব, মিসেস মুনির চৌধুরী, মিসেস জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ও মিসেস মোসফেকা মাহমুদ। ৯ ফেব্রুয়ারি বোর্ড সারা বাংলাদেশের নির্যাতিতা নারীদের বিষয়ে একটি কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিকে ২৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাবনা জেলার নগরবাড়ির উত্তরে বসন্তপুর গ্রামে যান। সেখানে বাঁধ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করবেন তিনি। চারদিকে লোকে লোকারণ্য। বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা দেওয়ার জন্য মঞ্চে উঠবেন। এমন সময় বঙ্গবন্ধুর কাছে কয়েকজন নারী আসতে চাচ্ছেন। কিন্তু তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বিষয়টি লক্ষ করলেন এবং নির্দেশ দিলেন তাদের আসতে দিতে। তারা ছুটে এসে বঙ্গবন্ধুর সামনে তার পায়ে লুটিয়ে পড়লেন। একজন জানালেন, হানাদার বাহিনী তাকে লাঞ্ছিত করেছে। তাই তার স্বামী তাকে সংসারে নিতে চাচ্ছে না। সমাজের মানুষও তাদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করছেন না। বঙ্গবন্ধু সব শুনলেন। মঞ্চে উঠে বক্তৃতা দিলেন। বললেন, ‘আজ থেকে পাকিস্তান বাহিনীর নির্যাতিত মহিলারা সাধারণ মহিলা নয়। তারা এখন থেকে ‘বীরাঙ্গনা’ খেতাবে ভূষিত। কেননা দেশের জন্য তারা ইজ্জত দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে তাদের অবদান কম নয়। বরং কয়েক ধাপ উপরে, যা আপনারা সবাই জানেন, বুঝিয়ে বলতে হবে না। তাই তাদের বীরাঙ্গনা মর্যাদা দিতে হবে এবং যথারীতি সম্মান দেখাতে হবে আর সেই স্বামী পিতাদের উদ্দেশে আমি বলছি যে আপনারাও ধন্য। কেননা এ ধরনের ত্যাগী ও মহৎ স্ত্রীর স্বামী বা মেয়ের পিতা হয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু তাদের কেবল বীরঙ্গনা খেতাব ভূষিত করে চুপ করে বসে থাকেননি। তাদের পারিপারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল ছিলেন। বীরাঙ্গনারা সবচেয়ে বড় লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন স্বাধীন দেশের নিজ সামজে। তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ধর্ষিতা মেয়ে বাবার নামের জায়গায় আমার নাম লিখে দাও শেখ মুজিবুর রহমান। আর ঠিকানা লিখে দাও ধানমন্ডি বত্রিশ। মুক্তিযুদ্ধে আমার মেয়েরা যা দিয়েছে তার ঋণ আমি কীভাবে শোধ করবো।’ বলেই বঙ্গবন্ধু ডুকরে কেঁদে উঠেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাদের দহন যন্ত্রণা হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন সর্বজনীন পিতা, অসহায় মানুষের নিরাপদ আশ্রয়, নির্ভরযোগ্য এক মহিরুহ। শুধু বঙ্গবন্ধু নন, বেগম মুজিবও এই সময় যোগ্যমায়ের ভূমিকা পালন করতে এগিয়ে আসেন। ঢাকার দুটি ক্লিনিক পরিদর্শনে যান বেগম মুজিব। সেই সময় তিনি বলেন, ‘এই বীরাঙ্গনা রমণীদের জন্য জাতি গর্বিত। তাদের লজ্জা ও গ্লানিবোধের কোনো কারণ নেই।’

মার কাছে সন্তদানের কোনো লজ্জা ও গ্লানিবোধ নেই। সব লজ্জা ও গ্লানি তুচ্ছ করে তারা বেগম মুজিবকে মাতৃত্বের অধিকারে গ্রহণ করতে পারেন। তারা জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছেন সত্য, কিন্তু সব হারাননি। এই সামান্য সান্তনাই তাদের এই দুঃখ ভারাক্রান্ত পৃথিবীতে বাঁচার প্রেরণা দেবে।

নির্যাতনের শিকার নারীদের পুনর্বাসন একটি দীর্ঘমেয়াদি জটিল প্রক্রিয়া। একটি সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে এই কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা খুবই কষ্টসাধ্য। তবুও বঙ্গবন্ধু তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছেন এবং দেশি-বিদেশি সকল প্রতিষ্ঠানের সাহায্য কামনা করেছেন। এইসব নারীদের আঘাতের ক্ষত মুছে তাদের খাবার, আশ্রয় ও কাজ দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের হৃদয়ের যন্ত্রণা আন্তরিকতার সাথে অনুভব করতে পারতেন। আর তাই তিনি হয়ে উঠেছিলেন জাতির পিতা। তার উদার বক্ষের আশ্রয় থেকে কেউ বঞ্চিত হোক এমনটা তিনি কখনোই ভাবেননি। তাই নিজের পৃষ্ঠপোষকতায় নারীপুনর্বাসনের মতো একটি জটিল প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। নারীর দৈনিক জীবন যাত্রার নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা দিয়ে তার জীবনে গুনগত পরিবর্তন আনা সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে খুবই কঠিন কাজ ছিল। তবু বঙ্গবন্ধু দুহাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, ন্যায় ও মূল্যবোধের পক্ষে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষুধার হাত থেকে লাঞ্ছিতা মহিলা ও এতিম শিশুদের বাঁচতে। দেশের সত্যিকার নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন বোর্ডকে।

সেই মোতাবেক বোর্ড মহিলাদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। বোর্ড মহিলাদের ক্যারিয়ার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খোলে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ছিল বাংলাদেশে প্রথম। বেইলি রোডে তাহেরুন্নেসা আবদুল্লাহর পরিচালনায় কাজ শুরু হয়। তাহেরুন্নেসা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন—আমি ডিরেক্টর ট্রেনিং হিসেবে সেখানে যোগ দিই। আমাদের মেইন অফিস ছিল মোহাম্মদপুরে। ওখানে একটি ট্রেনিং সেন্টারও ছিল। আর বেইলি রোডে ‘ফেডারেশন অব ইউনিভাসির্টি ওমনে’- এর বিল্ডিং-এ ‘উইমেন্স ক্যারিয়ার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ চালু করা হয়।” এ ছাড়া বোর্ড সেক্রেটারিয়াল কোর্স চালু করে হ্যান্ডিক্রাফটের কাজ শুরু হয়। মোহাম্মদপুর সেলাই ও কারুশিল্প প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সাভারে খোলা হয় পোল্ট্রি ফার্ম।

নারীপুনর্বাসনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিল প্রেগন্যান্সি। নির্যাতনের শিকার, কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া নারীদের মধ্যে একটা বড় অংশই গর্ভবতী হয়ে পড়েন। ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্ট জানিয়েছিল-
‘জানা যায় পাকিস্তানি সৈন্যরা ব্যাপক ধর্ষণ চালিয়েছে প্রাপ্তবয়ষ্ক নারী ও কমবয়সি মেয়েদের ওপর। অসংখ্য সূত্র থেকে ঘটনা সম্পর্কে স্বীকারোক্তি পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছে যে, ৭০,০০০- এর বেশি নারী এ সব ধর্ষনের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে।’

এ থেকে স্পষ্টই প্রমাণিত হয় যে, বিবাহিতা ও অবিবাহিতা নারীর এই অবঞ্ছিত গর্ভধারনের জন্য সমাজ কোনোভাবেই প্রস্তুত ছিল না। এর ফলে ধর্মীয় অনুশাসন, সামাজিক ঐতিহ্য ও প্রথার ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হয় যা দূর করার জন্য বঙ্গবন্ধু এগিয়ে আসেন। তিনি বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ধর্ষণের শিকার নারীদের গর্ভপাতের জন্য ঢাকায় পৌঁছায় ব্রিটিশ, আমেরিকান এবং অস্ট্রেলিয়ান ডাক্তাররা। এছাড়া ভারত ও ডেনমার্ক থেকেও আসেন। তারা বাংলাদেশে পৌঁছার পরেই স্থাপন করা হয় গর্ভপাত কেন্দ্র। এই কেন্দ্রগুলো মূলত সেবা সদন নামেই পরিচিত পায়।
সেই সময় নির্যাতিতা নারীদের জন্য সরকারে পুর্নবাসন বোর্ড বাংলাদেশে ৫০টি সেবা সদন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় যার মধ্যে চারটি ঢাকায় এবং অপর ৪৬টি দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা পর্যায়।

৩ মার্চ ১৯৭২- এ নারীপুর্নবাসন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি কে এম সোবহান সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি জানান এ যাবৎ সংস্থার সেবা সদনে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের মধ্যে চৌদ্দ বছরের কম মেয়ের সংখ্যাই বেশি এবং এদের মধ্যে শতকরা প্রায় সত্তর ভাগই হচ্ছেন স্কুলের ছাত্রী।

বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসনের একটি প্রক্রিয়া ছিল তাদের বিয়ে। বঙ্গবন্ধু বাঙালি সমাজের প্রথা ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতেন। তিনি জানতেন কাজটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই দুরূহ ও জটিল্ তবু তিনি ট্যাবু ভাঙলেন। যুবকদের আহ্বান জানালেন। বঙ্গবন্ধু তার বক্তৃতার দেশের তরুণ সমাজের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করেন। তিনি নির্যাতনের শিকার নারীদের সমাজে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তরুণদের বৈবাহিক সম্পর্কে স্থাপনে উৎসাহিত করেন। এ কারণে দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন অনেকেই বীরাঙ্গনাদের জীবন সঙ্গিনী করতে আগ্রহী হয়েছিল। এতে সাড়া দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চত থেকে যুবকেরা বীরাঙ্গনাদের বিয়ে করার জন্য চিঠি পাঠাতে লাগলেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশও হচ্ছিল পত্রিকায়। বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই বাংলার বাণীসহ অন্যান্য পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করেছিল যাতে সমাজে বিদ্যমান ট্যাবু ভেঙে যায়। যাতে বীরাঙ্গনাদের দোষী ও অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার প্রবণতা কমে যায়।

এদিকে বঙ্গবন্ধু নির্দেশে মফস্বলেও যে নারীপুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল তার মধ্যে সিরাজগঞ্জ ছিল এগিয়ে। তৎকালীন এমপি, সৈয়দ হায়দার আলী, এমএনএ মোতাহার হোসেন ও মহকুমা আওয়ামী লীগ-এর সাংগঠনিক সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী এ বিষয়ে মিটিং করেন এবং সিরাজগঞ্জে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যেগ নেন। ১৯৭২ সালের ১৩ মার্চ গঠিত হয় দশ সদস্য বিশিষ্ট এক কমিটি। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন সখিনা হোসেন তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ মিসেস ফজিলাতুননেসা (স্বামী হাফিজুর রহমান), সাংগঠনিক সম্পাদক সাফিনা লোহানী, সদস্য আমিনা বেগম মিনা (স্বামী আজিজুল হক বকুল, মুক্তিযোদ্ধা), মিসেস শাহানা আবেদিন (স্বামী জয়নাল আবেদীন), মিসেস ইসাবেলা হোসেন (স্বামী সিরাজ খলিফা), জসিম ডাক্তারের স্ত্রী ও সাহেব আলী ডাক্তারের স্ত্রী। এই সময়ে এসডিও মহকুমা প্রশাসক এস এ মালিক নারীপুনর্বসানের জন্য ভিক্টোরিয়া স্কুল রোডে পরিত্যক্ত টিনশেডের একটি বাড়ি অনুদান হিসেবে বরাদ্দ দেন। সেই সময় সাফিনা লোহানীর উদ্যোগে নারী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়িয়েছেন পরিত্যক্তা ও বীরাঙ্গনাদের খোঁজে। এই কেন্দ্রে শুরুতে খুব কম সংখ্যক নারী এলেও পরে প্রায় ১০০ জন বীরাঙ্গনা সেখানে আশ্রয় পেয়েছিলেন। স্থানীয়রা ছাড়াও সেখানে দূর-দূরান্ত থেকেও নারীরা এসেছিলেন এবং চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে গেছেন। সেই সময় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের ডা. রেজাউল করিম নির্যাতনের শিকার মা-বোনের চিকিৎসা সেবা দিতেন।

১৯৭২ সালেই বঙ্গবন্ধু ‘সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশায়িত প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে শতকরা ১০টি শূন্যপদে নির্যাতিতা মহিলা বা মুক্তিযুদ্ধে যাহাদের আত্মীয় স্বজন মারা গেছে এমন সব মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখার আদেশ দেন।’
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বীরাঙ্গনাদের প্রসঙ্গটা একেবারেই অন্ধকারে তলিয়ে যায়। বীরাঙ্গনা প্রশ্নে সামাজিক ‘কলঙ্ক’ ইস্যুটি ক্রমেই একটি নীরবতার সংস্কৃতি তৈরি করেছিল। একাত্তরের পর বিষয়টি বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান হলেও বঙ্গবন্ধু সেই ট্যাবু ভেঙে দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু ৭৫- এর পরে বিষয়টি একেবারেই নীরবতার অন্ধকারে তলিয়ে যায়।

এখন জানা প্রায় অসম্ভব-পুনর্বাসন কেন্দ্রে ঠিক কতজন বীরাঙ্গনা কবে, কোথায়, কীভাবে, আশ্রয় পেয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে দুর্বিষহ নির্যাতনের শিকার নারীদের আর্তনাদ, হাহাকার ইতিহাস গৌণ বিষয় হিসেবেই চাপা পড়ে গেল। ১৯৯০-এর দিকে পিপলস ট্রাইব্যুনাল বা গণ-আদালত প্রতিষ্ঠা হলেও তা বীরাঙ্গনাদের ক্ষেত্রে কার্যত কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি। অথচ বঙ্গবন্ধু এইসব নারীদের অবস্থানকে চিহ্নিত করেছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধার অবস্থানের সমকক্ষ হিসেবেই। এজন্যই তিনি তাদের মা বলে ডেকেছিলেন। আর তিনিও হয়ে উঠেছিলেন তাদের সত্যিকারের পিতা।

ড. মাহবুবা রহমান: সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা,

আরএ/

Header Ad

হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ৩০ বাস আটকেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ভিআইপি পরিবহনের বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা ৩০টি বাস আটক করেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী সাবিত, যিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের ছাত্র, অভিযোগ করেছেন যে তিনি বাসে উঠার পর হাফ ভাড়া নিয়ে বাসের হেল্পারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বাস থেকে নামার সময় হেল্পার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, ফলে তার দুই পা কেটে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিতে হয়।

আহত সাবিত জানান, "আমি আজিমপুর থেকে কলেজে আসার জন্য ভিআইপি বাসে উঠি। নামার সময় হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় তারা আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, যার ফলে আমি পা ও হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হই।"

অপরদিকে, আটক বাস চালকরা জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী কোনো ঘটনার কারণে এসব বাস আটক করা হয়েছে। লিটন নামের এক চালক বলেন, "কোন বাসের সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি জানি না। তবে, শুনেছি কলেজের এক ছাত্রকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে হেল্পার। তাই আমাদের বাসগুলো আটক করেছে।"

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "আমরা বিষয়টি জেনেছি এবং নিউমার্কেট থানাকে জানিয়েছি। থানার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি দেখছে। তবে শিক্ষার্থীদের নিজেদের হাতে বিচার তুলে নেওয়া উচিত নয়।"

বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে স্থানীয় নিউমার্কেট থানার পুলিশ ও কলেজ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় আটক বাসগুলো নিয়ে যায় মালিকপক্ষ। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।

Header Ad

ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে, ঘোষণা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘকাল ধরে চলমান ভারত ও চীনের সীমান্ত সমস্যা অবশেষে মিটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষও ঘটেছে, কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নতির পথে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভারতের গণমাধ্যম দ্য হিন্দু এবং আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এএফপির রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) সংক্রান্ত এলাকায় 'টহল বন্দোবস্ত' এবং সেনা মোতায়েনের বিষয়ে যে অচলাবস্থা ছিল, তা সমাধান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। তাঁর এই সফরের প্রেক্ষিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি বলেন, "গত কয়েক সপ্তাহে ভারত ও চীনের কূটনীতিক এবং সামরিক মধ্যস্থতাকারীরা বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনার ফলস্বরূপ, সীমান্তে বিরোধের বিষয়গুলো সমাধান হয়েছে।"

তিনি আরও জানান, দুই দেশ এখন 'পরবর্তী উদ্যোগ' নিতে শুরু করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এই চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, "২০২০ সালের আগে সীমান্তে যে ধরনের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হত, তা আবারও শুরু হবে।"

যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই চুক্তির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি, তবে জয়শঙ্কর বলেছেন, "২০২০ সালের পরিস্থিতিতে ফিরে গেছি, যার মাধ্যমে আমি বলতে পারি যে চীনের সঙ্গে সীমান্তে বিরোধের অবসান ঘটেছে।"

অতীতে, ভারত সরকার জানিয়েছিল যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি তখনই ফিরে আসবে, যখন চীন তাদের সেনা সরিয়ে নেবে। চীনের সেনা মোতায়েনের জবাবে ভারতও ওই এলাকায় সেনা মোতায়েন করে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রিকস সম্মেলন শুরুর এক দিন আগে এই ঘোষণায় মোদি ও শি জিনপিংয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মোদি ও শি'র দেখা হয়েছে ১৪ বার, কিন্তু ২০২২ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর মাত্র দুইবার তারা সাক্ষাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লি জিয়ান জানিয়েছেন, "ভারত-চীন সীমান্তের বিরোধিতাপূর্ণ বিষয়গুলো সমাধানে দুই দেশ একমত হয়েছে।"

Header Ad

টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গেটে তালা দিল গ্রাহকরা

ছবি: সংগৃহীত

টাকা না পাওয়ায় চাঁদপুরের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) শাখায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত ব্যাংকটিতে টাকা উত্তোলনের জন্য গ্রাহকরা জড়ো হন। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধ রাখলে উত্তেজিত গ্রাহকরা প্রবেশদ্বারে তালা লাগিয়ে দেন।

পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া উপস্থিত হয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

চাঁদপুর জেলা শাখায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ২২ হাজার গ্রাহক রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে ১০০ জন গ্রাহকেরও টাকা দিতে পারছে না ব্যাংক। জেলার অন্যান্য শাখাগুলোর পরিস্থিতিও একই রকম। ব্যাংকের টাকা সংকটের কারণে গ্রাহকরা চাহিদা অনুযায়ী সেবা পাচ্ছেন না, যা তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

সরকার পতনের পর থেকেই ব্যাংকটির লেনদেনে জটিলতা শুরু হয় এবং তা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বর্তমানে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে টাকার সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ঠিকমতো সেবা দিতে পারছে না।

অনেক গ্রাহক জানান, দুই সপ্তাহ ধরে টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে এসে ব্যর্থ হচ্ছেন। প্রতিবারই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের পরবর্তী সপ্তাহে আসার পরামর্শ দেন, কিন্তু টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা হয় না। আজকের দিনেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাংকের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

ব্যাংকের ম্যানেজার মো. মাহবুব আলম জানান, রোববার ও সোমবার সীমিত আকারে লেনদেন চলছিল, তবে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। আজ সম্পূর্ণ লেনদেন বন্ধ থাকায় গ্রাহকরা তালা মেরেছেন। তিনি আরও জানান, প্রধান কার্যালয় থেকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে, যা দিয়ে আপাতত গ্রাহকদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া সম্ভব হবে।

ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, "ব্যাংকে ভিড় জমেছে এবং গ্রাহকরা তাদের টাকা পাচ্ছেন না, এমন খবর পেয়ে আমরা টহল পার্টি পাঠাই। পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে আমি নিজে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে কিছু টাকার ব্যবস্থা করি। আশা করছি, আপাতত গ্রাহকদের শান্ত করা যাবে।"

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ৩০ বাস আটকেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা
ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে, ঘোষণা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গেটে তালা দিল গ্রাহকরা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম
আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলো
বিরামপুরে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
১৭ প্রতিষ্ঠানসহ সালমান পরিবারের নথি তলবে ৭০ সংস্থায় চিঠি
আন্ডারপাসের দাবিতে ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহনের দীর্ঘলাইন
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুলল
এসআই অব্যাহতির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষমা চেয়ে আদালতে ব্যারিস্টার সুমন বললেন, ‘আমি খুব সরি স্যার’
ফেসবুক লাইভে মিথ্যা আতঙ্ক ছড়ালেন সাদিয়া আয়মান
পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছেন শাজাহান খান
নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৫৭ বাংলাদেশি
সারদায় পুলিশের ২৫০ ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গনজমায়েতের ডাক
৩৬৯ দিন পর অবশেষে মাঠে ফিরলেন নেইমার