মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নারী পুনর্বাসনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। চারিদিকে বিজয়ের আনন্দ। কিন্তু সেই আনন্দ বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের মনে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি করতে পারেনি। জনসংখ্যার একটি বড় অংশ তখন মানসিকভাবে বিব্রত ও বিপর্যস্ত। যুদ্ধের সময় মানুষ কোনো রকম প্রাণে বেঁচে থাকাটাকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছে।

কিন্তু যুদ্ধ শেষে দেখা গেল প্রায় সাড়ে চার লাখ নারীর বেচেঁ থাকাটাই হয়ে উঠেছে লজ্জা আর অপমানের। শুধু ধর্ষণের শিকার নারীরাই নন, তার পরিবার, আত্মীয়স্বজনের পরিবারও তাদের নিয়ে বিব্রত ছিল। এই পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচতে অনেকে আত্মহত্যা করেছে, অনেকে আত্মপরিচয় গোপন করেছে, অনেকে দেশ ত্যাগ করেছে। বাঙালির ঐতিহ্য বা প্রথা অনুসারে সমাজে ধর্ষিতার কোনো স্থান নেই। সে অপবিত্র, হেয় ও নিন্দার পাত্র। এই রকম প্রতিকূল পরিস্থিতে নির্যাতিতা নারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। মুস্তফা চৌধুরী তার’ ৭১- এর যুদ্ধশিশু অবিদিত ইতিহাস গ্রন্থের ৮ পৃষ্ঠায় বলেন—
‘১৯৭২- এর জানুয়ারি এবং এপ্রিল মাসের মধ্যে আত্মহত্যার বিষয়ে যে দালিলিক প্রমাণ গেছে, তাতে ২০০ জন নারীর আত্মহত্যার উল্লেখ রয়েছে। ডা. ডেভিস ও তার সহকর্মীদের কাছে ২০০ আত্মহত্যার হিসেবটি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। তাদের মতে, যুদ্ধের পর পরিবারের ভালোর জন্য তারা মনে করেন আত্মহত্যার বিষয় সবাই একটু রক্ষণশীলতার সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন।’

এ বিষয়ে ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ দৈনিক বাংলায় একটি সম্পাদকীয় ছাপা হয়। সম্পাদকীয়টির শিরোনামই ছিল— ‘অবলাদের আত্মহত্যা’।

‘একটি শঙ্কিত হবার মত সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি সপ্তাহে গড়ে দুশো থেকে তিনশো নির্যাতিতা বীরাঙ্গনা আত্মহত্যা করছেন। কর্তৃপক্ষীয় সূত্র থেকে এ সংবাদটি পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে। সময়মতো সত্যিকার সাহায্য সহযোগিতা লাভে ব্যর্থ হয়েই এইসব নির্যাতিতা বীরাঙ্গনারা নিজেদের মর্যাদা রক্ষা করার জন্য এই পথ বেছে নিয়েছেন।’

১০ জানুয়ারি ১৯৭২- এ বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি আগেই জানতেন। কাজেই তিনি দেশে ফিরেই বদরুন্নেসা আহমেদ ও নূরজাহান মুর্শিদকে দায়িত্ব দেন একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য। সেই পরিকল্পনায় শুধু বীরাঙ্গনারাই নয়, থাকবে পরিত্যক্ত, আশ্রয়হীন বিধবা ও অসহায় নারীর পুনর্বাসনের প্রসঙ্গেও।
পরিকল্পনানুযায়ী ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু গঠন করেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় নারীপুনর্বাসন বোর্ড’। বোর্ডকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হলেও এটি ছিল স্বায়ত্তশাসিত বোর্ড। বোর্ডের চেয়্যারম্যান ছিলেন বিচারপতি জনাব কে এম সোবহান। এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ছিলেন মিস্টার আবদুল আউয়াল। এ ছাড়া সদস্য ছিলেন ১১ জন। এরা হলেন— বেগম বদরুন্নেসা এম সিএ, বেগম নূরজাহান মোরশেদ এম সিএ, বেগম সাজেদা চৌধুরী এম সি এ, বেগম মমতাজ বেগম এম সি এ, মিস রাফিয়া আখতার ডলি এম সিএ, ডক্টর নীলিমা ইব্রাহীম, কবি বেগম সুফিয়া কামাল, ডাক্তার মিসেস জাহানারা রাবিব, মিসেস মুনির চৌধুরী, মিসেস জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ও মিসেস মোসফেকা মাহমুদ। ৯ ফেব্রুয়ারি বোর্ড সারা বাংলাদেশের নির্যাতিতা নারীদের বিষয়ে একটি কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিকে ২৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাবনা জেলার নগরবাড়ির উত্তরে বসন্তপুর গ্রামে যান। সেখানে বাঁধ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করবেন তিনি। চারদিকে লোকে লোকারণ্য। বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা দেওয়ার জন্য মঞ্চে উঠবেন। এমন সময় বঙ্গবন্ধুর কাছে কয়েকজন নারী আসতে চাচ্ছেন। কিন্তু তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বিষয়টি লক্ষ করলেন এবং নির্দেশ দিলেন তাদের আসতে দিতে। তারা ছুটে এসে বঙ্গবন্ধুর সামনে তার পায়ে লুটিয়ে পড়লেন। একজন জানালেন, হানাদার বাহিনী তাকে লাঞ্ছিত করেছে। তাই তার স্বামী তাকে সংসারে নিতে চাচ্ছে না। সমাজের মানুষও তাদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করছেন না। বঙ্গবন্ধু সব শুনলেন। মঞ্চে উঠে বক্তৃতা দিলেন। বললেন, ‘আজ থেকে পাকিস্তান বাহিনীর নির্যাতিত মহিলারা সাধারণ মহিলা নয়। তারা এখন থেকে ‘বীরাঙ্গনা’ খেতাবে ভূষিত। কেননা দেশের জন্য তারা ইজ্জত দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে তাদের অবদান কম নয়। বরং কয়েক ধাপ উপরে, যা আপনারা সবাই জানেন, বুঝিয়ে বলতে হবে না। তাই তাদের বীরাঙ্গনা মর্যাদা দিতে হবে এবং যথারীতি সম্মান দেখাতে হবে আর সেই স্বামী পিতাদের উদ্দেশে আমি বলছি যে আপনারাও ধন্য। কেননা এ ধরনের ত্যাগী ও মহৎ স্ত্রীর স্বামী বা মেয়ের পিতা হয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু তাদের কেবল বীরঙ্গনা খেতাব ভূষিত করে চুপ করে বসে থাকেননি। তাদের পারিপারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল ছিলেন। বীরাঙ্গনারা সবচেয়ে বড় লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন স্বাধীন দেশের নিজ সামজে। তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ধর্ষিতা মেয়ে বাবার নামের জায়গায় আমার নাম লিখে দাও শেখ মুজিবুর রহমান। আর ঠিকানা লিখে দাও ধানমন্ডি বত্রিশ। মুক্তিযুদ্ধে আমার মেয়েরা যা দিয়েছে তার ঋণ আমি কীভাবে শোধ করবো।’ বলেই বঙ্গবন্ধু ডুকরে কেঁদে উঠেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাদের দহন যন্ত্রণা হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন সর্বজনীন পিতা, অসহায় মানুষের নিরাপদ আশ্রয়, নির্ভরযোগ্য এক মহিরুহ। শুধু বঙ্গবন্ধু নন, বেগম মুজিবও এই সময় যোগ্যমায়ের ভূমিকা পালন করতে এগিয়ে আসেন। ঢাকার দুটি ক্লিনিক পরিদর্শনে যান বেগম মুজিব। সেই সময় তিনি বলেন, ‘এই বীরাঙ্গনা রমণীদের জন্য জাতি গর্বিত। তাদের লজ্জা ও গ্লানিবোধের কোনো কারণ নেই।’

মার কাছে সন্তদানের কোনো লজ্জা ও গ্লানিবোধ নেই। সব লজ্জা ও গ্লানি তুচ্ছ করে তারা বেগম মুজিবকে মাতৃত্বের অধিকারে গ্রহণ করতে পারেন। তারা জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছেন সত্য, কিন্তু সব হারাননি। এই সামান্য সান্তনাই তাদের এই দুঃখ ভারাক্রান্ত পৃথিবীতে বাঁচার প্রেরণা দেবে।

নির্যাতনের শিকার নারীদের পুনর্বাসন একটি দীর্ঘমেয়াদি জটিল প্রক্রিয়া। একটি সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে এই কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা খুবই কষ্টসাধ্য। তবুও বঙ্গবন্ধু তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছেন এবং দেশি-বিদেশি সকল প্রতিষ্ঠানের সাহায্য কামনা করেছেন। এইসব নারীদের আঘাতের ক্ষত মুছে তাদের খাবার, আশ্রয় ও কাজ দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের হৃদয়ের যন্ত্রণা আন্তরিকতার সাথে অনুভব করতে পারতেন। আর তাই তিনি হয়ে উঠেছিলেন জাতির পিতা। তার উদার বক্ষের আশ্রয় থেকে কেউ বঞ্চিত হোক এমনটা তিনি কখনোই ভাবেননি। তাই নিজের পৃষ্ঠপোষকতায় নারীপুনর্বাসনের মতো একটি জটিল প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। নারীর দৈনিক জীবন যাত্রার নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা দিয়ে তার জীবনে গুনগত পরিবর্তন আনা সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে খুবই কঠিন কাজ ছিল। তবু বঙ্গবন্ধু দুহাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, ন্যায় ও মূল্যবোধের পক্ষে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষুধার হাত থেকে লাঞ্ছিতা মহিলা ও এতিম শিশুদের বাঁচতে। দেশের সত্যিকার নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন বোর্ডকে।

সেই মোতাবেক বোর্ড মহিলাদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। বোর্ড মহিলাদের ক্যারিয়ার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খোলে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ছিল বাংলাদেশে প্রথম। বেইলি রোডে তাহেরুন্নেসা আবদুল্লাহর পরিচালনায় কাজ শুরু হয়। তাহেরুন্নেসা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন—আমি ডিরেক্টর ট্রেনিং হিসেবে সেখানে যোগ দিই। আমাদের মেইন অফিস ছিল মোহাম্মদপুরে। ওখানে একটি ট্রেনিং সেন্টারও ছিল। আর বেইলি রোডে ‘ফেডারেশন অব ইউনিভাসির্টি ওমনে’- এর বিল্ডিং-এ ‘উইমেন্স ক্যারিয়ার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ চালু করা হয়।” এ ছাড়া বোর্ড সেক্রেটারিয়াল কোর্স চালু করে হ্যান্ডিক্রাফটের কাজ শুরু হয়। মোহাম্মদপুর সেলাই ও কারুশিল্প প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সাভারে খোলা হয় পোল্ট্রি ফার্ম।

নারীপুনর্বাসনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিল প্রেগন্যান্সি। নির্যাতনের শিকার, কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া নারীদের মধ্যে একটা বড় অংশই গর্ভবতী হয়ে পড়েন। ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্ট জানিয়েছিল-
‘জানা যায় পাকিস্তানি সৈন্যরা ব্যাপক ধর্ষণ চালিয়েছে প্রাপ্তবয়ষ্ক নারী ও কমবয়সি মেয়েদের ওপর। অসংখ্য সূত্র থেকে ঘটনা সম্পর্কে স্বীকারোক্তি পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছে যে, ৭০,০০০- এর বেশি নারী এ সব ধর্ষনের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে।’

এ থেকে স্পষ্টই প্রমাণিত হয় যে, বিবাহিতা ও অবিবাহিতা নারীর এই অবঞ্ছিত গর্ভধারনের জন্য সমাজ কোনোভাবেই প্রস্তুত ছিল না। এর ফলে ধর্মীয় অনুশাসন, সামাজিক ঐতিহ্য ও প্রথার ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হয় যা দূর করার জন্য বঙ্গবন্ধু এগিয়ে আসেন। তিনি বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ধর্ষণের শিকার নারীদের গর্ভপাতের জন্য ঢাকায় পৌঁছায় ব্রিটিশ, আমেরিকান এবং অস্ট্রেলিয়ান ডাক্তাররা। এছাড়া ভারত ও ডেনমার্ক থেকেও আসেন। তারা বাংলাদেশে পৌঁছার পরেই স্থাপন করা হয় গর্ভপাত কেন্দ্র। এই কেন্দ্রগুলো মূলত সেবা সদন নামেই পরিচিত পায়।
সেই সময় নির্যাতিতা নারীদের জন্য সরকারে পুর্নবাসন বোর্ড বাংলাদেশে ৫০টি সেবা সদন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় যার মধ্যে চারটি ঢাকায় এবং অপর ৪৬টি দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা পর্যায়।

৩ মার্চ ১৯৭২- এ নারীপুর্নবাসন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি কে এম সোবহান সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি জানান এ যাবৎ সংস্থার সেবা সদনে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের মধ্যে চৌদ্দ বছরের কম মেয়ের সংখ্যাই বেশি এবং এদের মধ্যে শতকরা প্রায় সত্তর ভাগই হচ্ছেন স্কুলের ছাত্রী।

বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসনের একটি প্রক্রিয়া ছিল তাদের বিয়ে। বঙ্গবন্ধু বাঙালি সমাজের প্রথা ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতেন। তিনি জানতেন কাজটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই দুরূহ ও জটিল্ তবু তিনি ট্যাবু ভাঙলেন। যুবকদের আহ্বান জানালেন। বঙ্গবন্ধু তার বক্তৃতার দেশের তরুণ সমাজের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করেন। তিনি নির্যাতনের শিকার নারীদের সমাজে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তরুণদের বৈবাহিক সম্পর্কে স্থাপনে উৎসাহিত করেন। এ কারণে দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন অনেকেই বীরাঙ্গনাদের জীবন সঙ্গিনী করতে আগ্রহী হয়েছিল। এতে সাড়া দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চত থেকে যুবকেরা বীরাঙ্গনাদের বিয়ে করার জন্য চিঠি পাঠাতে লাগলেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশও হচ্ছিল পত্রিকায়। বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই বাংলার বাণীসহ অন্যান্য পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করেছিল যাতে সমাজে বিদ্যমান ট্যাবু ভেঙে যায়। যাতে বীরাঙ্গনাদের দোষী ও অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার প্রবণতা কমে যায়।

এদিকে বঙ্গবন্ধু নির্দেশে মফস্বলেও যে নারীপুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল তার মধ্যে সিরাজগঞ্জ ছিল এগিয়ে। তৎকালীন এমপি, সৈয়দ হায়দার আলী, এমএনএ মোতাহার হোসেন ও মহকুমা আওয়ামী লীগ-এর সাংগঠনিক সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী এ বিষয়ে মিটিং করেন এবং সিরাজগঞ্জে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যেগ নেন। ১৯৭২ সালের ১৩ মার্চ গঠিত হয় দশ সদস্য বিশিষ্ট এক কমিটি। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন সখিনা হোসেন তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ মিসেস ফজিলাতুননেসা (স্বামী হাফিজুর রহমান), সাংগঠনিক সম্পাদক সাফিনা লোহানী, সদস্য আমিনা বেগম মিনা (স্বামী আজিজুল হক বকুল, মুক্তিযোদ্ধা), মিসেস শাহানা আবেদিন (স্বামী জয়নাল আবেদীন), মিসেস ইসাবেলা হোসেন (স্বামী সিরাজ খলিফা), জসিম ডাক্তারের স্ত্রী ও সাহেব আলী ডাক্তারের স্ত্রী। এই সময়ে এসডিও মহকুমা প্রশাসক এস এ মালিক নারীপুনর্বসানের জন্য ভিক্টোরিয়া স্কুল রোডে পরিত্যক্ত টিনশেডের একটি বাড়ি অনুদান হিসেবে বরাদ্দ দেন। সেই সময় সাফিনা লোহানীর উদ্যোগে নারী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়িয়েছেন পরিত্যক্তা ও বীরাঙ্গনাদের খোঁজে। এই কেন্দ্রে শুরুতে খুব কম সংখ্যক নারী এলেও পরে প্রায় ১০০ জন বীরাঙ্গনা সেখানে আশ্রয় পেয়েছিলেন। স্থানীয়রা ছাড়াও সেখানে দূর-দূরান্ত থেকেও নারীরা এসেছিলেন এবং চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে গেছেন। সেই সময় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের ডা. রেজাউল করিম নির্যাতনের শিকার মা-বোনের চিকিৎসা সেবা দিতেন।

১৯৭২ সালেই বঙ্গবন্ধু ‘সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশায়িত প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে শতকরা ১০টি শূন্যপদে নির্যাতিতা মহিলা বা মুক্তিযুদ্ধে যাহাদের আত্মীয় স্বজন মারা গেছে এমন সব মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখার আদেশ দেন।’
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বীরাঙ্গনাদের প্রসঙ্গটা একেবারেই অন্ধকারে তলিয়ে যায়। বীরাঙ্গনা প্রশ্নে সামাজিক ‘কলঙ্ক’ ইস্যুটি ক্রমেই একটি নীরবতার সংস্কৃতি তৈরি করেছিল। একাত্তরের পর বিষয়টি বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান হলেও বঙ্গবন্ধু সেই ট্যাবু ভেঙে দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু ৭৫- এর পরে বিষয়টি একেবারেই নীরবতার অন্ধকারে তলিয়ে যায়।

এখন জানা প্রায় অসম্ভব-পুনর্বাসন কেন্দ্রে ঠিক কতজন বীরাঙ্গনা কবে, কোথায়, কীভাবে, আশ্রয় পেয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে দুর্বিষহ নির্যাতনের শিকার নারীদের আর্তনাদ, হাহাকার ইতিহাস গৌণ বিষয় হিসেবেই চাপা পড়ে গেল। ১৯৯০-এর দিকে পিপলস ট্রাইব্যুনাল বা গণ-আদালত প্রতিষ্ঠা হলেও তা বীরাঙ্গনাদের ক্ষেত্রে কার্যত কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি। অথচ বঙ্গবন্ধু এইসব নারীদের অবস্থানকে চিহ্নিত করেছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধার অবস্থানের সমকক্ষ হিসেবেই। এজন্যই তিনি তাদের মা বলে ডেকেছিলেন। আর তিনিও হয়ে উঠেছিলেন তাদের সত্যিকারের পিতা।

ড. মাহবুবা রহমান: সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা,

আরএ/

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন