মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
Dhaka Prokash

উন্নয়নের গেরিলা

উন্নয়নের মহাসড়কে উন্নয়ন এখন প্রজাপতি রঙের মতোই অপ্রতিরোধ্য। এ শতাব্দীর সবচেয়ে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিশাল এক কর্মযজ্ঞের নাম। আগামী দুই যুগ চলবে স্মার্ট বাংলাদেশের নির্মাণ কাজ। কাউকে পিছিয়ে ফেলে নয়- উন্নয়নের গেরিলা দুর্গম গতিতে চলছে। অতীতের থেকে বর্তমান বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। করোনা মহামারী পরবর্তী বিশ্ব এক নাজুক পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। এরপরও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার প্রয়াসে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ রয়েছে।

যুগোপযোগী শিক্ষা ও প্রযুক্তি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম অধিকতর স্মার্ট হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব করমর্দন করতে প্রস্তুত। এজন্য এ প্রজন্মের তরুণেরা শামিল হবে স্মার্ট বাংলাদেশের প্লাটফর্মে। আগামী তরুণ প্রজন্মের মেধা বৃদ্ধি ও জ্ঞানের বিকাশকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। তরুণ প্রজন্ম স্বপ্ন দেখছে এক সুখ স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট সোসাইটির তরুণেরা একটি সুখী সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ পাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন একটি বাস্তবতা। স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার প্রধান হাতিয়ার বা মূল চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল সংযোগ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের জন্যে ডিজিটাল সংযোগ মূলভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যপূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। সরকারি বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল বাস্তবতা, উদ্দীপিত বাস্তবতা, রোবোটিকস অ্যান্ড বিগ-ডাটা সমন্বিত ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে চায়।

২০২১ থেকে ৪১ পর্যন্ত সময়ে কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে, তার একটি কাঠামো পরিকল্পনা বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই প্রণয়ন করে ফেলেছে, যা জনগণের জন্য আশীর্বাদ। ২১০০ সালে বঙ্গীয় বদ্বীপ যেন জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষাপায়, দেশ উন্নত হয়, দেশের মানুষ যাতে সুন্দর, সুস্থ ও স্মার্টলি বাঁচতে পারে, সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান চলছে। যেসব দেশ প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে তারাই নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থায় অবস্থান করে নিতে পারবে। ই-পাসপোর্ট এর গ্রহণযোগ্যতা যেমন বেড়েছে এনআইডির গ্রহণযোগ্যতা দৃশ্যমান দেশ ও দেশের বাইরে। স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একটি যুগোপযোগী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গ্রাম, শহর, অফিস, সবাই স্মার্ট হবে। স্মার্ট সিটি, স্মার্ট ভিলেজ এবং স্মার্ট অফিস বাস্তবায়নে এটুআই প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করেছে। এটুআই প্রকল্পের আওতায় দেশি-বিদেশি অংশিজনের সহায়তার ‘স্মার্ট ভিলেজ’ কনসেপ্টের পাইলটিং করা হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ ও নাটোর জেলার সিংড়ায় উপজেলায়। দরিদ্র অসহায় জনগোষ্ঠীসহ সবশ্রেণির মানুষ যাতে স্মার্ট বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করতে পারে সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ রাখাটা জরুরি।

উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি! এর ফলে সবকিছুর মধ্যেই একশ্রেণির মধ্যসত্ত্বভোগী বা দালালদের খর্ব পদচারণা চোখে পড়ছে। বিশেষ করে সরকারি প্রকল্পগুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল হবার কারণে প্রকল্পের মালামাল ক্রয় থেকে শুরু করে প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যন্ত একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর আস্ফালন দিনে দিনে বাড়ছে। পল্লি উন্নয়ন এর ক্ষেত্রে যে সমস্ত সরকারি প্রকল্পগুলো চলমান রয়েছে তার সুফল যাতে তৃণমূল জনগণ ভোগ করতে পারে সেজন্য প্রকল্পের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থা প্রকল্পের সফলতাকে গ্রাস করছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নৈতিক অবক্ষয় ঠেকাতে মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন ভীষণভাবে দরকার। আমরা সেই সমাজের আমন্ত্রিত অতিথি যেখানে সমাজটাকে ঢেলে সাজাতে হবে বিচক্ষণতার সূত্র দিয়ে।

প্রায়ক্ষেত্রেই সরকারি প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে তদবির বাণিজ্য আলোচনায় আসে- এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তাদের সামনে আনতে হবে, দায়িত্ব দিতে হবে সরকারি প্রকল্পগুলোতে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নাম পত্র-পত্রিকায় আসে। তদন্ত কমিটি হয় তারপর আস্তে আস্তে তা অন্ধকারে হারিয়ে যায়। রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি হাডুডু খেলছে। স্মার্ট বাংলাদেশ যেমন আমাদের কাম্য তেমনি স্মার্ট দুনিয়াই শান্তির ঘুম ঘুমানোর জন্য নীতি নৈতিকতার অবক্ষয় ঠেকানোও বেশি কাম্য।

চোখের সামনেই আজ অনেকেই আঙুল ফুলে হচ্ছে কলাগাছ, কেউ কেউ আবার কলাগাছকে ছাড়িয়ে বটগাছে রূপান্তর হচ্ছে। উন্নয়নে হায়েনার উপদ্রব সমাজের নিঃশ্বাসকে চেপে ধরছে। ‘আজকের তরুণ আগামীর ভবিষ্যৎ’ তাদের স্মার্ট দুনিয়ায় স্বাগত জানাচ্ছে অভিনব প্রযুক্তি। কিন্তু এই প্রযুক্তি তাদের কতটা শান্তিতে রাখছে, সেটাও ভাববার বিষয়। তরুণ প্রজন্ম এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করছে না কি প্রযুক্তির ভয়াবহ অন্ধকার দিক খুঁজে নিচ্ছে তা ভাববার বিষয় প্রত্যেক অভিভাবকের। আইস নামক ভয়ঙ্কর মাদকের থাবা শিক্ষিত তরুণ সমাজকে বিকলাঙ্গ করে দিচ্ছে। গাঁজার কেক সেটাও অনলাইনে, কীসের মধ্যে কী! কখন আমাদের সন্তানেরা কোন কৃষ্ণগহবরে পরে হাবুডুবু খাবে কে জানে! বিশ্বায়নের যুগে প্রযুক্তি আশীর্বাদের বদলে অভিশাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে না তো? এমনি হাজারো প্রশ্ন এখন সচেতন মহলের সবার। করোনাকালীন অনলাইন ক্লাস যেমন সুফল এনেছিল, পাশাপাশি বাচ্চাদের অনলাইন গেম এর আসক্তিতেও ফেলেছে। উন্নয়নের মশাল জ্বালিয়ে সমস্ত বাধা দূর করে একজন অভিযাত্রী হয়ে আমাদের তরুণ সমাজকে শতদলের মতো বিকশিত হবার সুযোগ করে দিতে হবে। উন্নয়নের পালকে মেলেছে অভিনব প্রযুক্তির সমারোহ। মেট্রোরেল এক বিস্ময় আমাদের কাছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ ভাবনার স্ফটিক প্রতিফলন স্মার্ট বাংলাদেশকে আমরা স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। উন্নয়নের গেরিলা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাক সেই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

ড. সারিয়া সুলতানা: পল্লিউন্নয়ন গবেষক ও সহকারী সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ

এসএন 

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন