শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

একদিন আগেই ইজতেমার মাঠে মুসল্লিদের ঢল

ছবি: সংগৃহীত

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)। তবে এর একদিন আগেই ভরে গেছে ইজতেমার মাঠ। সারাদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঢল নেমেছে তুরাগ তীরে।

বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসছেন তারা। নিজ নিজ আমিরের তত্ত্বাবধানে অবস্থান নিয়েছেন ইজতেমা ময়দানের নির্ধারিত খিত্তায়। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মুসল্লিরা গতকাল থেকেই আসতে শুরু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সড়ক, মহাসড়কে দেখা গেছে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের ঢল।

১০৫টি খিত্তায় বিভক্ত ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিরা তাদের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। মুসল্লিদের সুযোগ-সুবিধায় পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টয়লেট ও পয়ঃনিষ্কাশনসহ সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ছাড়াও মুসল্লিদের চিকিৎসায় টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বাড়তি উদ্যোগ।

মুসল্লিরা বলছেন, ইজতেমার সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। মহান আল্লাহকে রাজি-খুশি করে পরকালে যেন শান্তি পেতে পারেন এই নিয়তে তারা ইজতেমায় এসেছেন।

শীতের প্রকোপের মধ্যে গতকাল রাতে এক পসলা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বেড়েছে ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের। বিশেষ করে ময়দানের পূর্ব পাশে ও মহাসড়কে পাশে অবস্থান নেওয়া মুসল্লিরা বেশি বিপাকে পড়েন।

মুসল্লিরা বলছেন, গতকাল রাতে প্রায় আধ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতে তাদের অনেকের জামা কাপড় ভিজে গেছে। পরে পলিথিন টাঙিয়ে বৃষ্টি থেকে তাদের মালপত্র রক্ষা করেন।

এদিকে মূল ময়দানে জায়গা না পেয়ে ইজতে মাঠের প্রবেশপথের দুই পাশে অবস্থান নিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ কামারপাড়া সড়কে অবস্থান করছেন।

 

Header Ad
Header Ad

পাঞ্জাবে কৃষকদের আন্দোলন দমনে ইন্টারনেট বন্ধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতে ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে পাঞ্জাব রাজ্য থেকে দিল্লি অভিমুখে কৃষকদের পদযাত্রা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ কৃষকদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ও পিপার স্প্রে ব্যবহার করে।

এ অবস্থায় আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কিছু জায়গায় মোবাইল ইন্টারনেটসহ টেক্সট বার্তা পরিষেবা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) 'দিল্লি চলো' পদযাত্রা পুনরায় শুরুর চেষ্টা করছিলেন কৃষকরা। পরে রাজধানী থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার উত্তরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কৃষকরা পুলিশের লোহার ব্যারিকেডের একটি স্তর ভেঙে ফেলেন। ভিড় নিয়ন্ত্রণে বাধার মুখে পরে সুরক্ষা বাহিনী পিছুও হটে। তবে পরে কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই কৃষকরা ফসলের জন্য রাষ্ট্রীয় সহায়তার আইনি গ্যারান্টি এবং ঋণ মওকুফের দাবি করছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ 'দিল্লি চলো' পদযাত্রা বন্ধ করে দেয়। প্রতিবেশী হরিয়ানা রাজ্যের কৃষকরাও পাঞ্জাবের কৃষকদের এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে।

এদিকে, নতুন করে পদযাত্রার সময় হরিয়ানা সরকার আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কিছু জায়গায় মোবাইল ইন্টারনেটসহ টেক্সট বার্তা পরিষেবা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ বলছে, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদীর সরকার শুক্রবারের বিক্ষোভ নিয়ে যদিও এখনো কোনো মন্তব্য করেনি, তবে হরিয়ানার বিজেপি দলীয় মন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন, কৃষকরা যদি দিল্লি যেতে চান তবে অনুমতি নিতে হবে।

এর আগে ২০২১ সালে কৃষকরা কয়েক মাস ধরে দিল্লির বাইরে শিবির স্থাপন করে অবস্থান করার মোদি সরকার কিছু কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল।

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা কৃষকদের দাবিকে পূর্ণ সমর্থন করেন।

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ড: চন্দন ও রিপনের রিমান্ড মঞ্জুর

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং এটি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর গভীর আলো ফেলেছে। প্রধান আসামি চন্দন দাস এবং সহযোগী রিপন দাসের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া প্রক্রিয়াটি এই মামলার তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আদালতের নির্দেশে যথাক্রমে ৭ দিন এবং ৫ দিনের রিমান্ডে থাকাকালে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভিডিও ফুটেজ এবং সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের সনাক্ত এবং গ্রেফতার করা হয়েছে, যা পুলিশের দক্ষতার একটি উদাহরণ। তবে এই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ এবং তা নিষিদ্ধ করার দাবির বিষয়টি বেশ বিতর্কিত। এটি একটি সাম্প্রদায়িক আঙ্গিকে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে, যা প্রশাসনের জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

এ ঘটনাটি শুধু হত্যার বিচারের জন্য নয়, বরং সমাজে শান্তি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের উচিত ঘটনার প্রতিটি দিক সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা যাতে সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকা।

আপনার যদি আরও তথ্য প্রয়োজন হয় বা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে চান, তবে জানাবেন।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ডিভাইস নেই; ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত গৃহবধূর মৃত্যু

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় ডেঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার ( ৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। নিহত গৃহবধূ মুক্তা খাতুন (৩২) চুয়াডাঙ্গা শহরের শেকড়াতলা মাঝের পাড়ার মাসুদ রানা রিন্টুর স্ত্রী। তার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

নিহত মুক্তা খাতুনের ভাই মনিরুল জানান, ১২ দিন আগে বোনটার জ্বর হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করি। সেখানে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। চারদিন আগে জ্বর ভয়াবহ হলে কুষ্টিয়া মেডিকেলে নিই। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক ৪ ডিসেম্বর রাত্রে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করেন। ঢাকা মেডিকেলে দু'দিন ভর্তি ছিল। এরপর আজ শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, রোগীর ডেঙ্গু পজিটিভ হওয়ার পর আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমরা মুক্তা খাতুন কে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠায়। তবে ডেঙ্গু জ্বরে তার লিভার ড্যামেজ হয়ে গিয়েছিল। এজন্য তিনি মারা গেছেন।

মহল্লাবাসীর অভিযোগ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে মশক নিধন অভিযান নেই। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের কোন সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনাও নেই। সদর হাসপাতালে ঠিকমতো চিকিৎসা পায়না রোগীরা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ আমজাদুল ইসলাম জানান, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কেউ হাসপাতালে আসলে তাকে প্রাথমিকভাবে এনএস ওয়ান পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত কিনা তা ধরা পড়ে। এরপর জ্বর ১ থেক ৩ দিন সর্বোচ্চ ৫ দিন পর্যন্ত হলে আইজিজি এবং আইজিএম পরীক্ষা না করলে ডেঙ্গু পজিটিভ কিনা ধরা পড়ে না। গত ১৫ দিন হলো সদর হাসপাতালে আইজিজি, আইজিএম ডিভাইস শেষ হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ৩ বার চাহিদা দিয়েও পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত ১ মাসে ২৫৬ জন রোগী পরীক্ষা করানো হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ জন ডেঙ্গু পজিটিভ হয়েছে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসকে বার বার ফোন করে সরকারী নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, হাসপাতালের কোন বিষয় আমি জানি না। হাসপাতালের ওষুধ, পরীক্ষার ডিভাইস, রোগীর চিকিৎসা এটি তত্ত্বাবধায়কের দ্বায়িত্ব।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বর্তমানে ৯ জন ডেঙ্গু পজিটিভ রোগী ভর্তি রয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাঞ্জাবে কৃষকদের আন্দোলন দমনে ইন্টারনেট বন্ধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ড: চন্দন ও রিপনের রিমান্ড মঞ্জুর
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ডিভাইস নেই; ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত গৃহবধূর মৃত্যু
ভারতের কোনো প্রতিবেশী তাদের সঙ্গে নেই : রিজভী
অ-১৯ এশিয়া কাপ: পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
ট্রান্সকম শেয়ার জালিয়াতি: সিমিন রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন
শিগগিরই চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট
রাজবাড়ী‌তে পুলিশকে গুলি করে পালালো আসামি
সংস্কারে গতি বাড়ান, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিন: ডা. শফিকুর রহমান
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার আবু জাফর মারা গেছেন
পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
অটোরিকশার পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, কলেজছাত্র নিহত
লাহোরকে হারিয়ে গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে রংপুর
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত নতুন সম্পর্কের সেতু গড়তে পারত: উপদেষ্টা ফারুকী
দিনাজপুরে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪
আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলার আরেক আসামি রিপন দাস গ্রেপ্তার
কুবিতে আজ 'ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও খিচুড়ি ভোজ'
মেঘনায় নৌকাডুবি: ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ২
পুষ্পা টু’র প্রিমিয়ারে ভক্তের মৃত্যু, মামলার জালে ফাঁসলেন আল্লু অর্জুন
বিরল ঘটনা: শনিবার একই সরলরেখায় থাকবে পৃথিবী, সূর্য ও বৃহস্পতি