শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মি’রাজ মহানবী (স.) এর ঊর্ধ্বজগত ভ্রমণ

মি’রাজ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। পরিভাষায় মিরাজ হলো, মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক সশরীরে সজ্ঞানে জাগ্রত অবস্থায় হজরত জিবরাঈল (আ.) ও হযরত মীকাঈল (আ.) সমবিব্যাহারে বুরাক বাহন মাধ্যমে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা হয়ে, প্রথম আসমান থেকে একে একে সপ্তম আসমান এবং সিদরাতুল মুন্তাহা পর্যন্ত এবং সেখান থেকে একাকী রফরফ বাহনে আরশে আযীম পর্যন্ত ভ্রমণ; মহান রব্বুল আলামীনের সাথে দীদার লাভ ও জান্নাত জাহান্নাম পরিদর্শন করে ফিরে আসা। 

মি’রাজের একটা অংশ হলো ইসরা। ইসরা অর্থ রাত্রিকালীন ভ্রমণ। যেহেতু নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মি’রাজ রাত্রিকালে হয়েছিলো তাই এটিকে ইসরা বলা হয়। বিশেষত বাইতুল্লাহ শরীফ থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত সফরকে ইসরা বলা হয়ে থাকে। কোরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা বলেন: “তিনি পবিত্র (আল্লাহ) যিনি তাঁর বান্দাকে রাত্রভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত। যার আসপাশ আমি বরকতময় করেছি। যাতে আমি তাকে আমার নিদর্শনসমূহ দেখাতে পারি। নিশ্চয় তিনিই সর্বস্রোতা সর্বদ্রষ্টা।” (সূরা-১৭ ইসরা- বনী ইসরাঈল, আয়াত: ১)। 

মি’রাজ সংঘটিত হয়েছিলো নবুওয়াতের এগারোতম বছর সাতাইশ রজব। তখন নবীজির বয়স একান্ন বছর। এবছর নবীজির চাচা আবুতালিব মৃত্যু বরণ করেন এবং আবু তালিবের মৃত্যুর একসপ্তাহের মধ্যে নবীজির সহধর্মিনী হযরত খাদীজাতুল কুবরা (রা.) এর ওফাত হয়। ঘরে বাইরে এদু’জন নবীজির অতি প্রিয় ও জীবনের বড় অবলম্বন ছিলেন। একই বছর প্রধান দুই প্রিয়ভাজন ও অবলম্বন হারিয়ে নবীজি খুবই বিচলিত হন। তাই এবছরকে আমুল হুযন বা দুশ্চিন্তার বছর বলা হয়। প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে শান্তনা দেওয়ার জন্য ও স্বীয় রহস্যলোক দেখানোর জন্য আল্লাহ তাআলা স্বীয় হাবীবকে মি’রাজে নিয়ে যান। 

মি’রাজ হয়েছিলো সশরীরে জাগ্রত অবস্থায়। এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ হলো কাফের, মুশরিক ও মুনাফিকদের অস্বীকৃতি ও অবিশ্বাস। যদি আধ্যাত্মিক বা রূহানীভাবে অথবা স্বপ যোগে হওয়া কথা বলা হতো, তাহলে তাদের অবিশ্বাস করার কোনো কারণ ছিলো না। মি’রাজের বিবরণ কোরআন কারীমে সূরা নাজমে সূরা ইসরায় বিবৃত হয়েছে। হাদীস শরীফে বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ও সিহাহ সিত্তাসহ অন্যান্য কিতাবে এই ইসরা ও মি’রাজের বিষয়টি নির্ভরযোগ্য বিশুদ্ধ সূত্রে সবিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। 

আল্লাহ তাআলা বলেন: “শপথ নক্ষত্রের যখন তা বিলীন হয়। তোমাদের সাথী (মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিপথগামী হননি এবং বিভ্রান্ত হননি। আর তিনি মনখোদ কথা লেন না। (বরং তিনি যা বলেন) তা প্রদত্ত ওহী (ভিন্ন অন্য কিছু) নয়। তাকে শিখিয়েছেন মহাশক্তিধর (জিবরাঈল আ.)। সে (জিবরাঈল আ.) পাখাবিশিষ্ট, সে স্থিত হয়েছে দূর উর্ধে। অতপর নিকটবর্তী হলো, পরে নির্দেশ করলো। তারপর হলো দুই ধনুকের প্রান্তবর্তী বা আরো নিকট। পুনরায় তিনি ওহী করলেন তাঁর বান্দার প্রতি যা তিনি ওহী করেছেন। ভুল করেনি অন্তর যা দেখেছে। তোমরা কি সন্দেহ করছো তাকে, যা তিনি দেখেছেন সে বিষয়ে। আর অবশ্যই দেখেছেন তিনি তাকে দ্বিতীয় অবতরণ স্থলে; ছিদরাতুল মুন্তাহার কাছে; তার নিকটেই জান্নাতুল মাওয়া। যখন ঢেকেগেলো ছিদরা যা ঢেকেছে; না দৃষ্টিভ্রম হয়েছে আর না তিনি বিভ্রান্ত হয়েছেন; অবশ্যই তিনি দেখেছেন তাঁর রবের বড় বড় নিদর্শনসমূহ।” (সূরা-৫৩ নাজম, আয়াত: ১-১৮)। 

মি’রাজ সফরে যাঁদের সাথে দেখা হলো: 

প্রথম আসমানে হজরত আদম (আ.), দ্বিতীয় আসমানে হজরত ইয়াহইয়া (আ.) ও হজরত ঈসা (আ.), তৃতীয় আসমানে হজরত ইউসুফ (আ.), চতুর্থ আসমানে হজরত ইদরীস (আ.), পঞ্চম আসমানে হজরত হারূন (আ.), ষষ্ঠ আসমানে হজরত মূসা (আ.), সপ্তম আসমানে হজরত ইব্রাহীম (আ.)। প্রত্যেকের সাথে সালাম কালাম ও কুশল বিনিময় হয়েছে। তিনি বাইতুল মামুর গেলেন, যেখানে প্রতিদিন সত্তর হাজার ফেরেশতা আসেন ও প্রস্থান করেন; তারা দ্বিতীয়বার আসার সুযোগ পান না। অতঃপর সিদরাতুল মুন্তাহার নিকটে গেলেন। সেখানে চারটি নদী দেখলেন; দুটি প্রকাশ্য ও দুটি অপ্রকাশ্য। অপ্রকাশ্য দুটি নদী জান্নাতের আর প্রকাশ্য নদী দুটি হলো নীল ও ফোরাত। তারপর বাইতুল মামুরে পৌঁছলে এক পেয়ালা শরাব, এক পেয়ালা দুধ ও এক পেয়ালা মধু পেশ করা হলো। তিনি (স.) দুধ পান করলেন, এটাই স¦ভাব সুলভ (ইসলাম)। (বুখারী শরীফ: ৩৬৭৪, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৫৪৮-৫৫০)। 

মি’রাজের সিদ্ধান্তাবলী: 

মি’রা রজনীতে হাবীব ও মাহবূবের এ একান্ত সাক্ষাতে চৌদ্দটি বিষয় ঘোষণা হয়েছে। যথা: (১) আল্লাহকে তাঁকে ছাড়া কারো ইবাদাত করবে না, (২) পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যাবহার করবে, (৩) নিকট স্বজনদের তাদের অধিকার দাও; (৪) মিসকীনদের ও পথসন্তানদের (তাদের অধিকার দাও); (৫) অপচয় করো না, অপচয়কারী শয়তানের ভাই, (৬) কৃপণতা করো না, (৭) সন্তানদের হত্যা করবে না, (৮) ব্যভিচারের নিকটেও যেয়ো না, (৯) মানব হত্যা করো না, (১০) এতিমের সম্পদের কাছেও যেয়ো না, (১১) প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করো, (১২) মাপে পূর্ণ দাও, (১৩) অবস্থান করো না যাতে তোমার জ্ঞান নেই, (১৪) পৃথিবীতে গর্বভরে চলো না। এসবই মন্দ, তোমার রবের কাছে অপছন্দ। (সূরা-১৭ ইসরা- বনী ইসরাঈল, আয়াত: ২২-৪৪,)। নবীজি (স.) জান্নাত জাহান্নামও পরিদর্শন করেছেন। 


কি পাপে, কি শাস্তি? 

বেনামাজীর শাস্তি দেখলেন, বড় পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হচ্ছে, আঘাতে মাথা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে, পুনরায় ভালো হয়ে যাচ্ছে, আবার আঘাত করা হচ্ছে। 

জাকাত না দেওয়ার শাস্তি দেখলেন। তাদের সমুখে ও পশ্চাতে পাওণাদারেরা থাকবে। তারা পশুবৎ চরবে এবং নোংরা আর্জনা ময়লা ও পুঁজ এবং কাঁটাযুক্ত আঠালো বিষাক্ত ফল, জাহান্নামের উত্তপ্ত পাথর ভক্ষণ করবে। 

এই উম্মতের চোগলখোরের শাস্তি দেখলেন, তাদের পাশ্বদেশ হতে গোস্ত কেটে তাদের খাওয়ানো হচ্ছে; আর বলা হচ্ছে, যেভাবে তোমার ভাইয়ের গোস্ত খেতে সেভাবে এটা ভক্ষণ করো। অনুরূপ দেখলেন গীবতকারীদের শাস্তি। তাদের অগ্নময় লোহার নখর দিয়ে তারা তাদের চেহারা ও বক্ষ বিদীর্ণ করছে। বললেন, হে জিবরীল! (আ.) এরা কারা? তিনি বললেন, এরা হলো সেসব লোক যারা পশ্চাতে মানুষের গোস্ত খেতো (আড়ালে সমালোচনা করতো)। 

দেখলেন সুদখোরদের বড় বড় পেট, যার কারণে তারা তাদের অবস্থান থেকে নড়াচড়া করতে পারছে না। তাদের সাথে রয়েছে ফেরাউন সম্প্রদায়, তাদেরকে অগ্নিতে প্রবিষ্ট করানো হচ্ছে। 

জেনাকার বদকার নারী, যারা ব্যভিচার করেছে এবং ভ্রুণ ও সন্তান হত্যা করেছে, তাদের দেখলেন স্তনদ্বয়ে আংটা লাগিয়ে কাউকে পায়ে আংটা লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে; তারা অর্তচিৎকার করছে।  

ব্যভিচারী জেনাকার পুরুষের শাস্তি দেখলেন। এক সম্প্রদায় তাদের সামনে একটি উত্তম পাত্রে উপাদেয় তাজা ভূনা গোস্ত এবং অন্য নোংরা একটি পাত্রে পঁচা মাংস। তারা উত্তম পাত্রের উন্নত তাজা সুস্বাদু গোস্ত রেখে নোংরা পাত্রের পঁচা মাংস ভক্ষণ করছে। বললেন, হে জিবরীল! (আ.) এরা কারা? তিনি বললেন, এরা হলো ঐসব পুরুষ যারা স্বীয় বৈধ স্ত্রী রেখে অন্য নারী গমন করেছে এবং ঐসব নারী যারা স্বীয় বৈধ স্বামী রেখে পর পুরুষ গামিনী হয়েছে। 


দেখলেন এক লোক বিশাল লাকড়ির বোঝা একত্র করেছে, যা সে উঠাতে পারছে না; কিন্তু আরো লাকড়ি তাতে বৃদ্ধি করছে। বললেন, হে জিবরীল! (আ.) এটা কি? তিনি বললেন, এ হলো আপনাপর উম্মতের সে ব্যক্তি যে মানুষের আমানত আদায় করেনি; বরং আরো অধিক গ্রহণ করেছে। 

দেখলেন অশ্লীল বাক্য ব্যবহারকারী ফেতনা সৃষ্টিকারীদের শাস্তি। তাদের জিহবা ও ঠোঁট লোহার কাঁচি দ্বারা কর্তন করা হচ্ছে, পুনরায় তা পূর্বানুরূপ হয়ে যাচ্ছে এবং আবার কাটা হচ্ছে; এভাবেই চলছে। 

দেখলেন ছোট্ট একটি পাথর হতে বিশাল এক ষাঁড় বের হলো; পুনরায় ঐ ষাঁড় সে পাথরের ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিলো; কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছিলো না। বললেন, হে জিবরীল! (আ.) এটা কি? তিনি বললেন, এটা হলো সেসব লোকের দৃষ্টান্ত যারা বড় বড় দাম্ভিকতাপূর্ণ কথা বলে লজ্জিত হয়, পরে আর তা ফিরিয়ে নিতে পারে না।  এতিমের সম্পদ আত্মসাতকারীদের দেখলেন। তাদের ওষ্ঠ অধর যেনো উঠের ঠোঁটের মতো। তাদের মুখে আগুনের জ্বলন্ত কয়লা প্রবিষ্ট করানো হচ্ছে এবং তা তাদের পায়ূপথ দিয়ে বের হয়ে আসছে।  

মদ মাদক ও নেশা গ্রহণকারীদের শাস্তি দেখলেন। তারা জাহান্নামীদের শরীর থেকে নির্গত বিষাক্ত নোংরা পুঁজ পান করছে। অনুরূপ তিনি দেখলেন ফেরাউন কন্যা মাশতা এর সমাধি। সেখানে পেলেন সুবাতাস। বললেন, হে জিবরীল! (আ.) এ সুঘ্রাণ কিসের? বললেন, এহলো ফেরাউন কন্যা মাশতা ও তার সন্তানদের সুঘ্রাণ।

নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মালিক নামে জাহান্নামের রক্ষী ফেরেশতাকে দেখলেন। সে মলিন মুখ, হাঁসি নেই, বলা হলো জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে সে কখনো হাঁসে না। (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)। 

 

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: শেখ ছাদী (র.) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ 

E-Mail: smusmangonee@gmail.com, usmangonee9@gmail.com

 

Header Ad
Header Ad

‘জমি পাওয়ার জন্য ড. ইউনূস স্যারকেও বাবা ডাকতে রাজি আছি’

অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। ছবি: সংগৃহীত

মা সবসময় সন্তানের চাহিদা পূরণে চেষ্টা করেন এবং সাধারণত সন্তানকে নিরাশ করেন না। ঠিক তেমনই, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তাঁর মমতাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিকে মনে রেখে আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় একবার নিজেকে তাঁর সুযোগ্য সন্তান হিসেবে দাবি করে একটি আবদার জানিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনার কাছে রাজধানীর নিকটস্থ পূর্বাচলে একটি প্লটের আবেদন করেছিলেন অভিনেতা জয়। সেই আবেদনপত্রের একটি ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, যা এর আগেও কয়েক দফায় ভাইরাল হয়েছিল ফেসবুকে।

২০১৪ সালে পূর্বাচলে জায়গা পাওয়ার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিনেতা, যা ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ভাইরাল হয়। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলের পর সেই আবেদনপত্রটি ফের ভাইরাল হয়।

এদিকে দীর্ঘদিন পর রাজনৈতিক স্যাটায়ার বানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা ও অন্তবর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দেশের রাজনীতিবিদদের নিয়ে তৈরি গল্পে ‘৮৪০’ ওয়েব সিনেমা বানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। এর আগেই বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘৮৪০’-এর বিশেষ প্রিমিয়ার শো।

‘৮৪০’ শিরোনামের ওয়েব সিনেমাটিতে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। সিনেমটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমি চাওয়া প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে শাহরিয়ার নাজিম জয় গণমাধ্যমকে বলেন, আমার জমির প্রয়োজন আছে। তাই ড. ইউনুস স্যারকে বাবা ডাকতে হলেও ডাকবো। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মা বলে জমি চাওয়াতে আমি মোটেও অনুতপ্ত না। একটা জিনিস পাওয়ার জন্য বাবা, দাদা, মা ডাকা যায়। আর আমি আমার কাজের জন্য ভবিষ্যতেও ডাকবো। তবে হ্যাঁ আমি তখনও বলেছি বিগত সরকার যেভাবে স্বৈরাচার হয়ে উঠেছিল আর তাদের পতনের জন্য যত লোক প্রাণ দিয়েছে তা অনেক সেন্সেটিভ ইস্যু হয়ে গিয়েছে। আর ওই সকাররের প্রধানকে আমি মা বলেছি সেটার জন্য আমি অনুতপ্ত।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোল বন্দরে এলো আমদানিকৃত ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু

বেনাপোল বন্দরে এলো আমদানিকৃত ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের উর্ধ্বমুখী আলু বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। এই আলুগুলো মালবাহী ট্রেনে করে ভারতের মেসার্স আতিফ এক্সপোর্ট সুজাপুর কালিয়াচক মালদা শহর থেকে আমদানি হয়ে বেনাপোল রেল স্টেশনে পৌঁছেছে।

রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স টাটা ট্রেডার্স নামক একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই আলু আমদানি করেছেন। আগামীকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পণ্য চালানটি বেনাপোল বন্দর অথবা নওয়াপাড়া থেকে খালাস করা হবে।

সি এন্ড এফ এজেন্ট আলম এন্ড সন্সের প্রতিনিধি নাজমুল আরেফিন জনি বলেন, ভারত থেকে ট্রেনের একটি রেক-এ ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। পণ্য চালানটি ছাড় করানোর জন্য আগামীকাল শনিবার বেনাপোল কাস্টম হাউজে কাগজপত্র সাবমিট করা হবে। কাস্টমস ও রেলস্টেশনের কার্যক্রম সম্পন্নের পর বেনাপোল বন্দর অথবা নওয়াপাড়ায় আনলোড করা হবে। নওয়াপাড়া থেকে আলুগুলো ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।

বেনাপোল স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের টাটা ট্রেডার্স নামক এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই আলু আমদানি করেন। ভারতের মালদার আতিপ এক্সপোর্ট নামক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আলুর চালানটি রপ্তানি করেছেন। একটি ট্রেনের রেক-এ ৯৪৬০ ব্যাগ আলু আমদানি হয়েছে। যার ওজন ৪৬৮০০০ কেজি। পণ্য চালানটির আমদানি মূল্য ১০৭৬৪০ মার্কিন ডলার।

Header Ad
Header Ad

কারচুপিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দাবাড়ু, অভিযোগ রাশিয়ার

ভারতীয় দাবাড়ু ডি গুকেশ। ছবি: সংগৃহীত

চীনা দাবাড়ু ডিং লিরেনকে হারিয়ে দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন ভারতীয় দাবাড়ু ডি গুকেশ। এর মধ্য দিয়ে প্রথম ভারতীয় এবং সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড গড়লেন তিনি। ১৮ বছর বয়সী গুকেশ ৭.৫-৬.৫ স্কোরে জিতেছেন।

কিন্তু গুকেশের অভাবনীয় এ অর্জনের উল্লাসে পানি ঢেলে দিল রাশিয়ান দাবা ফেডারেশন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক দিন না যেতেই বিতর্ক উঠেছে ডিং লিরেনের বিপক্ষে হওয়া গুকেশের ম্যাচটি নিয়ে।

রাশিয়ার দাবা সংস্থার প্রধান আন্দ্রে ফিলাতভের অভিযোগ, ডিং লিরেন ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচ হেরেছেন। যে কারণে ফিডেকে তদন্ত শুরু করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। এক সংবাদ সংস্থা এমনটা জানিয়েছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গুকেশ হারিয়ে দেন লিরেনকে। ১৪তম ক্লাসিকাল ম্যাচটি জেতেন ভারতীয় দাবাড়ু। ১৩তম ম্যাচ শেষে দু’জনের পয়েন্ট সমান ছিল। শেষ ম্যাচ জিততেই সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন গুকেশ।

কিন্তু সেই জয় নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। ফিলাতভের অভিযোগ, ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ম্যাচ সকলকে অবাক করে দিয়েছে। চীনের দাবাড়ু যেভাবে হেরেছেন তা সন্দেহজনক। এটা নিয়ে ফিডের তদন্ত করা উচিত। লিরেন ম্যাচটা যে জায়গা থেকে হেরেছে, তা একজন প্রথম শ্রেণীর দাবাড়ুর পক্ষেও হারা কঠিন। চীনের দাবাড়ুর এই হার ইচ্ছাকৃত বলে মনে হচ্ছে।’’

 

এবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ ম্যাচেই আক্রমণাত্মক খেলেছেন গুকেশ। অন্যদিকে লিরেন বরাবরই রক্ষণাত্মক খেলছিলেন। শেষ ম্যাচেও সেটাই দেখা গেল। সময়ের চাপে সমস্যায় পড়েন লিরেন। প্রথম ৪০ চালের পর শেষ দিকে সময় কমছিল লিরেনের। তখন বোর্ডে গুকেশের রাজা ও দু’টি বোড়ে পড়ে ছিল। অন্য দিকে লিরেনের ছিল রাজা ও একটি বোড়ে। দেখে মনে হচ্ছিল, খেলা ড্র হবে। সেখানেই ভুল করে বসেন চীনা দাবাড়ু।

এদিকে, ম্যাচ শেষে লিরেন বলেছেন, ‘চাপের মধ্যে একটা চালে ভুল করে ফেলি। তারপরই গুকেশের মুখ দেখে বুঝতে পারছিলাম, ও কতটা আনন্দ পেয়েছে। তখন আর আমার কিছু করার ছিল না।’ গুকেশ বলেন, ‘আমি বুঝতে পারিনি যে লিরেন এত বড় ভুল করেছে। কয়েক সেকেন্ড পরে বুঝতে পারি। সেটা কাজে লাগাই।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘জমি পাওয়ার জন্য ড. ইউনূস স্যারকেও বাবা ডাকতে রাজি আছি’
বেনাপোল বন্দরে এলো আমদানিকৃত ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু
কারচুপিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দাবাড়ু, অভিযোগ রাশিয়ার
রাগের বশে ২ বছরের শিশু সন্তানকে হত্যা করে পুকুরে ফেলেন মা!
দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন
শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান: তারেক রহমান
যদি রাজনীতিবিদরাই সংস্কার করেন, তাহলে ৫৩ বছর তারা কী করেছেন: রিজওয়ানা
পদত্যাগ করলেন পাকিস্তান টেস্ট দলের প্রধান কোচ
অভিনেতা আল্লু অর্জুন গ্রেপ্তার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৮৫ বাংলাদেশি
তামিলনাড়ুতে হাসপাতালে আগুন, নারী-শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের নিন্দা ৫৩ নাগরিকের
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ইস্যুতে যা জানাল আমেরিকা
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, আজও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩০ ফিলিস্তিনি
গণমাধ্যমই দেশের ভালো-মন্দের অতন্দ্র প্রহরী: শাকিল উজ্জামান
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি
কুবির দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশের কাছে তুলে দিলো শিক্ষার্থীরা
তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট