সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মদ্যপান ও মাদক বহুমাত্রিক অপরাধের উৎস

ইসলামী শরিয়তের উদ্দেশ্য

ইসলামী বিধানের দর্শনকে ‘মাকাসিদে শরিয়া’ বা শরিয়তের উদ্দেশ্যাবলি নামে অভিহিত করা। শরিয়তের উদ্দেশ্য হলো পাঁচটি। যথা: জীবন রক্ষা, সম্পদ রক্ষা, জ্ঞান রক্ষা, বংশ রক্ষা, বিশ্বাস বা ধর্ম রক্ষা। হত্যার পরিবর্তে হত্যা জীবন সুরক্ষার জন্য। সেখানেও রয়েছে দিয়াত বা রক্তপণ দিয়ে নিহতের অলি ওয়ারিস বা অভিভাবকদের কাছ থেকে ক্ষমা নেওয়ার সুযোগ। চুরির দায়ে হাত কাটা সম্পদ সুরক্ষার জন্য। এখানেও রয়েছে অপেশাদার অভাবীদের জন্য রয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা ও ক্ষমার সুযোগ। সব ধরনের মাদক বা নেশা দ্রব্য হারাম বা নিষিদ্ধ, এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান জ্ঞান বা বুদ্ধি বিবেক সুরক্ষার জন্য। কারণ মানুষের ‘আকল’ বা সুষ্ঠু স্বাভাবিক জ্ঞান সুরক্ষিত না হলে, সে নিজের, পরিবারের, দেশ জাতি ও রাষ্ট্রের সবার ক্ষতি করবে। নারী-পুরুষের বৈবাহিক সূত্রে পবিত্র বন্ধন বংশগতি সুরক্ষার জন্য। তা না হলে, মানুষ আর ইতর প্রাণীর প্রভেদ থাকবে না। মানুষের মূল্যবোধ সংরক্ষিত থাকবে না। বিশ্বাস ও ধর্ম এটি ব্যক্তির নিজ জ্ঞানের বিষয়; তাই এর রক্ষা ব্যক্তির ব্যক্তিত্বেও সুরক্ষা। সুতরাং ইসলাম সকল ধর্ম বিশ্বাসীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এবং কারো বিশ্বাসে আঘাত দেওয়াকে এখতিয়ার বহির্ভুত গণ্য করে।

মাদক পাপের আকর

ইসলামের মৌলিক পাঁচটি নিষিদ্ধ কাজের অন্যতম হলো নেশা বা মাদক দ্রব্য। এর মধ্যে মাদক ছাড়া অন্য চারটি অপরাধ নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে; অর্থাৎ ইচ্ছা করলে তা ছাড়া যায়। কিন্তু মাদক গ্রহণ এমন এক অপরাধ যা নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না; বরং সে নিজেই মাদক বা নেশার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ফলে চাইলেই যখন তখন সেখান থেকে বের হয়ে আসা যায় না; অর্থাৎ সময়ে সে নেশাকে ছাড়তে চাইলেও নেশা তাকে সহজে ছাড়ে না বা ছাড়তে চায় না। মূল পঞ্চ নিষেধের চারটি অপরাধ পরিত্যাগ করে তওবা করে পবিত্র জীবন যাপন করা সম্ভব; কিন্তু নেশা বা মাদকাসক্ত ব্যক্তি তাওবা করারও সুযোগ পায় না এবং মাদক না ছেড়ে তাওবা করলেও তা কবুল হয় না। মৌল পাঁচটি নিষিদ্ধ কাজের চারটি হলো স্বতন্ত্র বা একক অপরাধ; কিন্তু মাদক হলো অপরাধের আকর। কুরআন কারীমে বর্ণিত হারূত ও মারূত এই মাদকের নেশায় মাতাল হয়েই যুহরার ইশারায় খুনখারাবিসহ নানান অপরাধে লিপ্ত হয়েছিলো। (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১০২; তাফসীরে আযীযী ও তাফসীরে মাআরিফুল কুরআন)।

সকল মাদক অপবিত্র ও হারাম

যে সকল বস্তু ব্যবহারে নেশার উদ্রেক হয়, মানুষের মস্তিষ্ক বিকল হয়, স্বাভাবিক জ্ঞান ঠিকভাবে কাজ করে না; সেসকল বস্তুই মাদক। মানবতার সুরক্ষার জন্য ইসলামে মাদক সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ অপবিত্র ও হারাম। হজরত আয়িশা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যে সকল পানীয় নেশা সৃষ্টি করে, তা হারাম।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, পবিত্রতা অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ১৬৯, হাদীস: ২৪১, পৃষ্ঠা: ১৪০)। নেশাকর ও উত্তেজক ড্রাগ, যথা: মদ, গাঁজা বা গাঞ্জা, ভাং, আফিম, হেরোইন, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, স্পিরিট, ঘুমের ঔষধ, সলুশন ইত্যাদি সেবনে বুদ্ধি নাশ ঘটায়, জ্ঞান লোপ পায়, মাতাল হয়ে পাগল প্রায় হয়ে যায়। মাদকাসক্ত ব্যক্তির আত্মমর্যাদা বোধ থাকে না এবং লজ্জাও থাকে না। হাদিস শরিফে আছে: ‘লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। যার লজ্জা নেই তার ঈমান নেই।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ঈমান অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ৩, হাদীস: ৮, পৃষ্ঠা: ১৭)।

আল কুরআনে মাদক নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ

মাদক নিষিদ্ধের বিষয়ে কুরআন কারীমে তিনটি পর্বে এসেছে। প্রথমে বলা হয়েছে: ‘লোকেরা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, উভয়ের মধ্যে আছে মহাপাপ এবং মানুষের জন্য উপকারও; কিন্তু এগুলোর পাপ উপকার অপেক্ষা অধিক।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ২১৯)।

দ্বিতীয় ধাপে বলা হলো: ‘হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্যনির্ণায়ক শর ঘৃণ্যবস্তু, শয়তানের কার্য। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সূরা-৫ মায়েদা, আয়াত: ৯০)।

চূড়ান্ত পর্যায়ে বললেন: ‘শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদিগকে আল্লাহর স্মরণে ও সলাতে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না?’ (সূরা-৫ মায়েদা, আয়াত: ৯১)।

মাদকের প্রসার কিয়ামত বা ধ্বংসের পূর্বলক্ষণ

হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘কিয়ামতের কিছু নিদর্শন হলো- ইলম লোপ পাবে, অজ্ঞানতার বিস্তার ঘটবে, মদ্যপান ও মাদকের প্রসার ব্যাপক হবে, ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইলম অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ৬২, হাদীস: ৮০, পৃষ্ঠা: ৬৪)।

ইসলামী শরিয়তে মাদকের ফিকহী বিধান

ইসলামী ফিকাহ বা ব্যবহারিক বিধান মতে, মাদক হারাম বা নিষিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি তা অপবিত্র। কোনো মুসলমান মাদক ব্যবহার করা যেমন হারাম, অনুরূপভাবে তা সংগ্রহ করা, সংরক্ষণ করা ও বিতরণ করা এবং ক্রয় ও বিক্রয় করা সর্বোতভাবে সম্পূর্ণরূপে হারাম অবৈধ নিষিদ্ধ তথা কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ। প্রাণীর মল-মূত্র হারাম এবং অপবিত্র হলেও তা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার এবং ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ বা বৈধ। এগুলো সম্পদ হিসেবেও বিবেচিত এবং এসবের ক্ষয়-ক্ষতিতেও ক্ষতিপূরণ প্রযোজ্য। তবে শূকর ও মাদক অমুসলিমদের জন্য সম্পদ হলেও মুসলমানের জন্য সম্পদই নয়; মুসলমানের কাছে সংরক্ষিত এ উভয় বস্তুর ক্ষতি সাধন করলে, এর জন্য বিচার বা প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ প্রযোজ্য নয়। সুতরাং সকল প্রকার মাদক সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণ এবং ক্রয় বিক্রয় ও এর সাথে যে কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা নাজায়েজ ও হারাম। (আল ফিকহুল ইসলামী)।

মদ ও মাদক হারামের সাথে সাথে মদের পাত্র পর্যন্ত অন্য কাজে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ও হারাম। হাদীস শরিফে রয়েছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রবীআহ গোত্রের প্রতিনিধিদের চারটি কাজের নির্দেশ দিলেন এবং চারটি কাজ বারণ করলেন। আল্লাহর উপর ঈমান আনা (এক আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং হজরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত রসূল), সলাত কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা এবং রমাদান মাসে সিয়াম পালন করা; গনীমাতের একপঞ্চমাংশ দান করা। নিষেধ করলেন: (মদপাত্র হিসেবে ব্যবহৃত) শুকনো লাউয়ের খোল, সবুজ কলস এবং আলকাতরার পলিশকৃত পাত্র ব্যবহার। (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইলম অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ৬৭, হাদীস: ৮৭, পৃষ্ঠা: ৬৭-৬৮)।

মাদক সেবনে পরকালে ভয়াবহ পরিণতি

মিরাজের রজনীতে মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তি দেখানো হলো। ‘তিনি মদ মাদক ও নেশাগ্রহণকারীদের শাস্তি দেখলেন। তারা জাহান্নামীদের শরীর থেকে নির্গত বিষাক্ত নোংরা পুঁজ পান করছে। নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মালিক নামে জাহান্নামের রক্ষী ফেরেশতাকে দেখলেন। সে মলিন মুখ, হাঁসি নেই, বলা হলো জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে সে কখনো হাঁসেনি। (বুখারী ও মুসলিম, মিরাজ অধ্যায়)।

মাদকসেবী শবে বরাতে এবং শবে কদরেও ক্ষমা পায় না ও দোয়া কবুল হয় না: হযরত আবূ সালাবা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যখন অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত) আসে তখন আল্লাহ তাআলা মাখলূকাতের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকান; মুমিনদিগকে ক্ষমা করে দেন, কাফিরদের ফিরে আসার সুযোগ দেন এবং মদ্যপায়ীদের মদ্যপান পরিত্যাগ ছাড়া ক্ষমা করেন না। (কিতাবুস সুন্নাহ, শুআবুল ঈমান, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৮২)।

রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে রয়েছে শবে কদর বা লাইলাতুল কদর। যে রাতে কুরআন নাজিল হয়েছে। যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। (সূরা-৯৭ কদর, আয়াত: ১-৫)। এ রাতে সন্ধ্যা লগ্নে মহান আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং বলতে থাকেন: কে আছো ক্ষমা প্রার্থী? আমি ক্ষমা করে দেবো। এভাবে সকাল পর্যন্ত ডেকে ডেকে ক্ষমা করতে থাকেন। কিন্তু এ পবিত্র ও মহিমান্বিত কদরের রাতেও আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত থেকে যে পাঁচ প্রকার লোক বঞ্চিত থাকবে তাদের মধ্যে প্রথম হলো মদ্যপায়ী ও মাদকসেবীরা। (নাঊযু বিল্লাহ)। ঐ পাঁচ প্রকার লোক হলো: মদ্যপায়ী বা মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী, মাতা পিতার অবাধ্য সন্তান, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, ইচ্ছাকৃত নামাজ তরককারী, বিনা কারণে অপর মুসলমান ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারী। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা; তাফসীরে কাশফুল আসরার, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৫৬৪)।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, শেখ ছাদী (র.) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

এসএ/

Header Ad
Header Ad

এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে ভারত!

ছবি: সংগৃহীত

ভারত  এবং পাকিস্তানের মধ্যেকার সামরিক উত্তেজনা শুরুর পর থেকেই এশিয়া কাপ নিয়ে শঙ্কা ছিল। ভারত আর কখনোই পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে চায় না ক্রিকেটে, সে কথাও চাউর হয়েছিল।

যদিও কথার সঙ্গে কাজের মিল এতটা দ্রুত এসে যাবে, সেটাও হয়ত ভাবনাতে রাখেননি অনেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত এটাই ঘটতে যাচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর বলছে, আসন্ন এশিয়া কাপ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছে ভারত।

ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের সূত্রে খবরটি প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সেখানে বলা হয়েছে, পুরুষদের এশিয়া কাপের পাশাপাশি নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকেও নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে ভারত।

ঠিক কেন এমন সিদ্ধান্ত, এর ব্যাখ্যাও এসেছে ভারতের গণমাধ্যমে। ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, ভারত দল এমন এক টুর্নামেন্টে খেলতে পারে না যার আয়োজক এসিসি এবং এর প্রধানের পদে আছেন একজন পাকিস্তানি মন্ত্রী। এটা পুরো দেশের আবেগ। আমরা এসিসির সঙ্গে মৌখিকভাবে যোগাযোগ করেছি আসন্ন নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকে আমাদের নাম প্রত্যাহারের বিষয়ে। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে তাদের (এসিসি) ইভেন্টে আমাদের অংশগ্রহণ স্থগিত রাখতে। আমরা সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।'

সূত্র জানিয়েছে যে বিসিসিআই জানে যে ভারত ছাড়া এশিয়া কাপ একটি সম্ভাব্য বিকল্প নয় কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্টের বেশিরভাগ স্পনসর ভারতের। তাছাড়া, অর্থ-কাটা ভারত-পাকিস্তান প্রতিযোগিতা ছাড়া এশিয়া কাপ সম্প্রচারকদের আগ্রহী করবে না। ২০২৪ সালে এশিয়া কাপের স্বত্ব পরবর্তী আট বছরের জন্য সনি পিকচার্স নেটওয়ার্কস ইন্ডিয়া ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে কিনে নেয়। যদি টুর্নামেন্টের এই সংস্করণটি না হয়, তাহলে চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে এসিসি'র প্রধানের পদে আছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি। তিনি একইসঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানের পদে আছেন। যে কারণে ভারত এই টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে।

আপাতত নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহারের বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হলেও আগামীতে পুরুষদের এশিয়া কাপ থেকেও নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে ভারত- এমনই জানিয়েছে ভারতের আরও বেশ কিছু গণমাধ্যম। তাদের ভাষ্য মতে, চলমান সংকটের মাঝে মহসিন নাকভি প্রধানে থাকলে এশিয়া কাপেও যাচ্ছে না ভারত।

এদিকে ভারত এশিয়া কাপ থেকে সরে যাওয়ার অর্থ, ২০২৫ সালের আসরকে নিয়ে সঙ্কট তৈরি হওয়া। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ভারতই ছিল আয়োজক দেশ। আসর থেকে তারা নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়ে, নতুন কোনো ভেন্যু খুঁজতে হবে এসিসিকে।

 

Header Ad
Header Ad

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া কারাগারে

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য ২২ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।

এরআগে, রোববার (১৮ মে) থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আলোচিত অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয় ।

নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় রয়েছে।

মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে। তিনি ছাড়াও এ মামলায়, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আসনা হাবিব ভাবনা, চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন ও অজ্ঞাতনামা তিন-চারশ’ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেছেন এনামুল হক।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এসব আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য বিপুল অর্থ যোগান দিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

ইশরাক সমর্থকদের নগর ভবনে ব্লকেড আজ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আজ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবেন তার সমর্থকরা।

রোববার নগরভবনের সামনে চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিক্ষুব্ধ ঢাকাবাসীর পক্ষে এ ঘোষণা দেন সাবেক সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান।

ইশরাকের সমর্থরা জানান, আজ বেলা ১১টা থেকে নগরভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি শুরু হবে, চলবে বেলা ৩টা পর্যন্ত। রোববার সকাল ৯টা থেকে নগর ভবনের সামনে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসেন ইশরাকের সমর্থকরা। তারা নগরভবনের ফটকগুলোয় অবস্থান নেন। ভেতরের বিভিন্ন ফটকে ঝুলিয়ে দেন তালা।

এতে নগরীর স্বাভাবিক কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়ে। নগরভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি নগরভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে গোলাপ শাহ মাজার হয়ে গুলিস্তান, প্রেস ক্লাব, শিক্ষাভবন প্রদক্ষিণ করে আবার নগরভবনের সামনে আসে। নগরভবনের প্রধান ফটক ও সামনের সড়কে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে নিজেদের দাবির কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে-‘শপথ চাই শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘অবিলম্বে ইশরাক হোসেনের শপথ চাই, দিতে হবে’, ‘জনতার মেয়র ইশরাক ভাই, অন্য কোনো মেয়র নাই’ ইত্যাদি। পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধেও নানা স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইকশরাক সমর্থকদের কয়েকজন জানান, ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে টালবাহানা করছে সরকার। আর এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বুধবার থেকে কর্মসূচি পালন করে চলেছেন তার সমর্থকরা। সেদিন থেকেই ডিএসসিসি নগরভবন কার্যত অচল।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে ইশরাকের শপথ অনুষ্ঠান এখনো হয়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে ভারত!
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া কারাগারে
ইশরাক সমর্থকদের নগর ভবনে ব্লকেড আজ
আপাতত ইউজিসির তত্ত্বাবধানে চলবে সাত কলেজ
জাপার রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ
গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে ১৫১ ফিলিস্তিনি নিহত
শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করে ময়মনসিংহে কলেজছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে গণমিছিল
পুলিশের ১২ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি
মেঘনায় মিলল বিশাল আকৃতির বিগহেড, ওজন ২৯ কেজি!
গুলিস্তানে আ. লীগের ঝটিকা মিছিল, অভিযানে আটক ১১ জন
গাজায় ‘ব্যাপক’ স্থল হামলা শুরু করল ইসরায়েল
নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে, দেশও অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে: আমীর খসরু
ঢাকা ওয়াসার এমডির দায়িত্বেও দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া
টাঙ্গাইলে লেয়ার মুরগির খামারের এক কর্মচারীকে জবাই করে হত্যা
ডেথ ওভারে ডট বলের বিশ্বরেকর্ড করে ইতিহাস গড়লেন মোস্তাফিজ
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সোনা লুট, ঘটনায় জড়িত চার পুলিশ সদস্য
অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে উপস্থাপিকাকে লিগ্যাল নোটিশ
হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে প্রশাসক এজাজের জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন: ডিএনসিসি
সমকামিতা-ট্রান্সজেন্ডার প্রমোটে আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে হবে : সারজিস