
ত্রিরত্ন সিন্ডিকেটের কব্জায় সোহরাওয়ার্দীর কর্মচারী বদলি
১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:৪৭ এএম | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৪ পিএম

দেলোয়ার-জাকির-হান্নান। রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ত্রিরত্ন সিন্ডেকেট। তাদের কথা হাসপাতালের নার্স, স্টাফ-কর্মচারীদের মুখে মুখে। তাদের নির্দেশ ছাড়া হাসপাতালের কোনো কিছুই নড়চড় করে না। কাউকে অপছন্দ হলে কিংবা তাদের কথার বাইরে গেলেই বদলি করে দেন। কিংবা এমন মানসিক নির্যাতন করেন যেন ওই লোক চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। শুধু তাই নয়, তাদের নিয়ন্ত্রণে বাইরের লোকজন দিয়ে চলে হাসপাতালের ক্যানটিন। সেখান থেকে নিজেদের অংশ কড়ায়গণ্ডায় বুঝে নেন।
এই দেলোয়ার-জাকির-হান্নান সিন্ডেকেটের কব্জায় হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য ‘শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড।’ গত ১১ বছর ধরে সংগঠনের ব্যবস্থাপনা কমিটির পদ আঁকড়ে আছেন দেলোয়ার।
ঢাকাপ্রকাশ-এর সরজমিন অনুসন্ধানে দেলোয়ার-জাকির-হান্নান সিন্ডিকেটের নানা কীর্তিকলাপের তথ্য পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হাসপাতালের কোন নার্স কোথায় ডিউটি করবে, কোন স্টাফ কোথায় কাজ করবে, সেটা ঠিক করে দেয় এই সিন্ডিকেট! এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেও তার কপালে নেমে আসে খড়্গ। হয় বদলি, না হয় এমন কোথাও ডিউটি দেবে যেন চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
দেলোয়ার, হান্নান ও জাকির
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের প্রতিটি কর্মচারীর মুখে মুখে এখন আলোচনা হয় দেলোয়ার-জাকির-হান্নান সিন্ডিকেটের কথা। এদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন এখন স্টোর কিপার। ব্রাদার জাকির নামে পরিচিত যিনি তিনি হলেন ওয়ার্ড মাস্টার জাকির হোসেন উকিল। অন্যজন হলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স আব্দুল হান্নান মুন্সি।
হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সংগঠন ‘শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড’। কিন্তু এই সংগঠনের ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও গত ১১ বছরে নির্বাচন বা নতুন কমিটি গঠন হয়নি। জানা গেছে, ব্যবস্থাপনা কমিটি তাদের মেয়াদকালের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কমিটি পুনর্গঠনে সক্ষম না হওয়ায় সমবায় সমিতি আইন ২০০১ (সংশোধন-২০০২) এর ১৭ (৭) ধারা মতে সমিতির জন্য অন্তর্বতী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয় ২০১১ সালের ১৪ নভেম্বর। এই কমিটি দায়িত্ব ছিল ৯০ দিনের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন করার। কিন্তু সেই ৯০ দিন ১১ বছরেও শেষ হয়নি। নির্বাচন বা নতুন কমিটি দূরের কথা, সেটি না করে এখনো পদ আঁকড়ে আছেন দেলোয়ার হোসেন। তিনি এই কমিটির সভাপতি।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে একটি ক্যানটিন করা হয়েছিল হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কল্যাণে। ওই ক্যানটিনের শেয়ার ছাড়া হয়েছিল। অনেক কর্মচারী ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকার শেয়ার কিনেছিলেন। বাৎসরিক হিসেবে সেই শেয়ারের লভ্যাংশ যেত কর্মচারীদের কাছে। কিন্তু দেলোয়ার-জাকির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সেই টাকা আর পান না কর্মচারীরা। টাকা কোথায় যায় সেটাও কেউ বলতে পারেন না। এনিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
হাসপাতালের একাধিক স্টাফের সঙ্গে কথা বললে তারা তাদের ক্ষোভের কথা জানান ঢাকাপ্রকাশ-কে। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে এবং দেলোয়ার-জাকিরের ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলতে চান না।
তবে মুজিবুর নামে এক কর্মচারী বলেন, আমি এক হাজার টাকার শেয়ার কিনেছিলাম। সব লুটপাট করে খাচ্ছে দেলোয়ার আর জাকির। আমাদের গরিবের হক, সেই টাকাও মেরে দিচ্ছে তারা। ২০০৬ সাল থেকে এই ক্যানটিনের ভাড়া দেয় না। কে চালায় তাও কেউ বলতে পারে না।
সম্প্রতি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ঘুরে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাবুল নামে বহিরাগত এক ব্যক্তি ক্যান্টিন নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি কার কাছ থেকে কীভাবে, কত টাকায় ক্যানটিন ভাড়া নিয়েছেন? কিংবা টাকা কাকে দেন, সেটাও পরিষ্কার করে কেউ বলতে পারেননি।
অবশ্য ক্যানটিনের ম্যানেজার আব্দুল্লাহ জানান, কারে, কে কত টাকা ভাড়া দেয় সেটা হাবুল ভাই বলতে পারবেন। এই হাবুল ভাই কে? হাসাপাতালের কেউ বলতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বাইরের একজন দেলোয়ারকে ম্যানেজ করে এই ব্যবসা করছেন।
হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্যানটিনটি চলত মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাড়ায়। এই ভাড়া থেকে যে আয় হতো তা শেয়ার হোল্ডারদের মাঝে আনুপাতিক হারে ভাগ করে দেওয়া হতো। নিজেদের ন্যায্য পাওনার বিষয়ে কথা বলতে যাওয়ায় একজন সিনিয়র নার্সকে মাদারীপুরে বদলি করে দেন দেলোয়ার হোসেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে সেই নার্স বলেন, ওই হাসপাতালে ন্যায্য কথা বলা যায় না। যেই কথা বলবে তাকেই শাস্তি ভোগ করতে হবে। আসলে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে দেলোয়ার-জাকির-হান্নান সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না।
অবশ্যই এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন দেলোয়ার হোসেন। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘অভিযোগ আমার নামে হতেই পারে। চাকরি করি ৯-১০ বছর ধরে। সবার মন তো রক্ষা করা যায় না। তবে অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখেন সঠিক কি-না? আমার প্রতিপক্ষ বলতেই পারে। আমার নামে এই আছে সেই আছে। যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এগুলো সত্য না।
একই কথা বলেছেন সিনিয়র স্টাফ নার্স আব্দুল হান্নান মুন্সি। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ওই ক্যান্টিন আমাদের ছিল। কিন্তু অনেক দিন সেটার কোনো কার্যক্রম নেই। কে টাকা তোলে সেটা আমি জানি না। দেলোয়ার সাহেব যেহেতু সভাপতি তিনিই জানেন।
তবে ক্যানটিন নিয়ে এত কিছু ঘটে গেলেও সে বিষয়ে জানেন না হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ক্যানটিন কে চালায় সেটা জানতাম না। আমি সম্প্রতি অভিযানে গিয়েছি। তাদের বলেছি, কে চালায় আমাকে জানাতে হবে। এখন যেই চালাক টেন্ডারে আসতে হবে। যিনি টেন্ডারে পাবেন তিনিই চালাবেন। বাইরের কেউ এখানে এসে খাওয়ার সুযোগ নেই।
এনএইচবি/আরএ/

মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ এএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৫ এএম

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।
রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।
বিভাগ : জাতীয়
বিষয় : বিএনপি , মনোনয়নপত্র , অভিযোগ , সংবাদ-সম্মেলন , ভোটার-আইডি-হ্যাক , রুহুল-কবির-রিজভী , জাতীয়-পরিচয়পত্র , জাতীয়-নির্বাচন

খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ এএম

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।
যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।
তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"
বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।