শনিবার, ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রভাবশালীরা নিয়ম ভেঙেও পার পান, মামলা খান দুর্বলরা

রাজধানী ঢাকার সড়কে নিয়ম না মানায় যানবাহনের বিরুদ্ধে হরহামেশা মামলা করছে ট্রাফিক পুলিশ। এ সব মামলার বেশিরভাগই হচ্ছে নিরীহ ও দুর্বল গাড়ির চালক ও মালিকদের বিরুদ্ধে। যারা প্রভাবশালী, উল্টো পথে গাড়ি চালান তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয় না। সব আইন দুর্বলদের জন্য। এমন অভিযোগ মামলার শিকার যানবহানের চালক ও মালিকদের।

অবশ্য ট্রাফিক পুলিশ বলছে, ট্রাফিক পুলিশকে হেয় করার জন্য এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গাড়ির কাগজপত্র সঠিক না থাকলে, ট্রাফিক আইন না মানলেই পুলিশ মামলা দিচ্ছে।

রাজধানী ঢাকার প্রায় প্রতিটি সড়কে অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা, ভিআইপিদের উল্টো পথে চলা, গণপরিবহনের বিশৃঙ্খলার কারণে নগরবাসী অতিষ্ঠ। ট্রাফিক ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলার কারণে যানজট বৃদ্ধি পেলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাফিক পুলিশের আগ্রহ যেন মামলাতেই বেশি দেখা যাচ্ছে।

ট্রাফিক পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত আট মাসে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ছয় লাখ ৩৩ হাজার ৫৬২টি মামলা হয়েছে। আর ২০২১ সালে সর্বোচ্চ মামলা হয় ডিএমপিতে। মামলার সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৫৫ হাজার ৯১১টি। এ সব মামলায় জরিমানা আদায় হয় ৫০ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩০৩ টাকা। একই বছরে সারাদেশে মোটরযান আইনে মামলা হয়েছে মোট নয় লাখ ৫৫ হাজার ৯১২টি। এ সব মামলায় ২২১ কোটি সাত লাখ ৩১ হাজার ৪১৪ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

কিন্তু এত কিছুর পরও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরছে না। উল্টো ভোগান্তি আগের চেয়ে বেড়েছে— অভিযোগ নগরবাসীর।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মূল সড়কে বেড়েছে অবৈধ স্থাপনা। সঙ্গে আছে অবৈধ পার্কিং। যা মূল সড়কের অনেকটাই দখলে রেখেছে। যদিও সিগন্যালগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশদের। যানজট নিরসনে নয়, মামলা দিতেই ব্যস্ত থাকেন তারা।

ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীতে গাড়ির সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ফিটনেসবিহীন ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, যা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। অনভিজ্ঞ ও মেয়াদবিহীন লাইসেন্সের চালক— সবাই যেন নেমে পড়ে সড়কে। এ সব কারণে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণে চালকরা বলছে, এ সব হলো অতিরিক্ত মামলা।

শাহবাগ মোড়ে দেখা যায়, মোড়ের প্রায় সবক’টি রাস্তার মুখেই রাইড শেয়ারিং এর অসংখ্য মোটরবাইক দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীর অপেক্ষায়। কিন্তু রাস্তাগুলোতে যানবাহনের ব্যাপক চাপে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

রাস্তায় মোটরবাইকের চালকদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান,মোড়ে না দাঁড়িয়ে থাকলে যাত্রী পাওয়া যায় না। অনেক সময় অনলাইনের যাত্রীরা লোকেশন চেনেন না, এজন্য মূলত প্রতিটা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

ঢাকায় অনিয়মিত থাকেন রাইড শেয়ারিং চালক মাগুরার মুজিবুর রহমান। তিনি অভিযোগ করেন, ট্রাফিক পুলিশ আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে দেয় না। মাঝে মাঝে ধরে জোর করে মামলা দেয়। কিন্তু জীবিকার তাগিদে কিছু কিছু সময় আমরা আইন ভঙ্গ করি। তিনি বলেন, অনেক সময় আমরা ট্রাফিক কনস্টেবলদের ম্যানেজ করে মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী বহন করি।

বাংলামোটর মোড়ে কথা হয় পাঠাও চালক মো. রবিনের সঙ্গে। তিনি বলেন,কোথাও যাত্রী নিয়ে গেলে পুলিশ ৩/৪ বার রাস্তায় থামিয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখে। অনেক সময় ট্রাফিক জোর করে মামলা দিয়ে বলে ছোট একটি মামলা দিয়েছি। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে, ভিআইপিরা উল্টা রাস্তায় গেলেও ট্রাফিক পুলিশ তাদের দেখে না। তারা আমাদের মতো শ্রমিক, দিন মজুর এবং দুর্বলদের বেশি মামলা দিচ্ছে ।

তেজগাঁও এলাকায় নিয়ম মেনে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন পাঠাও চালক ও শিক্ষার্থী আরিক আকন। পুলিশ তাকে থামিয়ে কাগজপত্র হাতে নিয়ে জিজ্ঞেস করে আগের কোনো মামলা আছে কি না? জবাব দেওয়ার আগেই এক হাজার টাকার মামলা দেওয়ার কথা বলে দুই হাজার টাকার মামলা দেয়। এর পর আরিক আকন ওই ট্রাফিকের কাছে তার অপরাধ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তায় চললে মাঝে মাঝে এমন মামলা হয়। এ সময় আরিক আকন অভিযোগ করে বলেন, আপনার সামনে দিয়ে উল্টা পথে ভিআইপি একটি গাড়ি চলে গেল তাদের কেনো ধরলেন না, আমার অপরাধ কি? এ সময় পুলিশ বলে, আপনি ট্রাফিক অফিসে গিয়ে ছাত্র বললে ডিসি স্যার বিষয়টি দেখবেন এবং আপনার জরিমানা হয়ত কমিয়ে দেবেন।

আরিক আকন বলেন, ভিআইপিদের নয়, দুর্বলদের বেশি মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ।

ফার্মগেটে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. আরিফুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চালকরা অন্যায় বা অনিয়ম করলে আমরা মামলা দিয়ে থাকি।

ট্রাফিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ করলে তো ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি ধরবেই। নতুন আইনে মামলায় জরিমানার অঙ্ক অনেক বেড়েছে।

পলাশী মোড়ে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট খায়রুল আলম বলেন, রাস্তায় অনিয়ম করলে মামলা দেওয়া হয়। কোনো গাড়িকে টার্গেট করে মামলা দেওয়া হয় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম শামীম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশকে হেয় করার জন্য এই প্রচারণটা চলেই আসছে। পুলিশ ইচ্ছা করে মামলা দেয় না। চালকরা অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, ভিআইপিরাও অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ট্রাফিক পুলিশ সব সময় পাবলিক নিয়ে কাজ করে। আইনের চোখে সবাই সমান। তিনি বলেন, সড়কে আইন অমান্য করা চালকদের যানবাহনের নামে মামলা দেওয়া হয়। যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয় অনেক সময় তারা ট্রাফিক নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ট্রাফিক পুলিশ যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে মামলা বা বিভিন্ন ভোগান্তির মধ্যে ফেলে দেয়। এজন্য সাধারণ মানুষ পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে।

তিনি বলেন, ভিআইপিরা যখন উল্টোপথে চলাচল করে তখন ট্রাফিক পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। সাধারণ যানবাহনের চালকদের অনিয়ম বা অন্য বিষয় নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়। রাইড শেয়ার চালকদের আটক করে বিভিন্ন অজুহাতে মামলা দেয়। যার কারণে চালকরা ট্রাফিক পুলিশের প্রতি ক্ষুব্ধ। অনেক সময় দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশের মামলার আগ্রহ বেশি হওয়ায় সড়কে যানজট তৈরি হয়।

এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, ভিআইপিদের নয় দুর্বলদের বেশি মামলা দেয়, চালকদের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু চালকরাও যে ঠিকমতো ট্রাফিক আইন মানেন সেটাও নয়। অনেক চালক আছেন যারা নিয়ম ভঙ্গ করে রাস্তায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন সেক্ষেত্রে ট্রাফিকে দায়িত্বরতরা মামলা দিতে বাধ্য হন। তিনি মনে করেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।একই সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। চালকদেরও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

যমুনা ও সচিবালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল এবং শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‌‘সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১০ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টো রোড) যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’

এর আগেও দুইবার যমুনা ও সচিবালয়কে কেন্দ্র করে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছিল ডিএমপি।

Header Ad
Header Ad

বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী মারা গেছেন

ছবি: সংগৃহীত

বরেণ্য সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই। আজ শনিবার সকালে বনানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর মেয়ে শারমিনী আব্বাসী। মুস্তাফা জামানের বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা এবং বহু ভক্ত, অনুরাগী রেখে গেছেন।

মেয়ে শারমিনী আব্বাসী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী মুস্তাফা জামান আব্বাসী উপমহাদেশের খ্যাতনামা সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা আব্বাসউদ্দীন আহমেদ ছিলেন পল্লিগীতির অগ্রপথিক। এ দেশের পল্লিসংগীতকে তিনিই প্রথম বিশ্বের দেশে দেশে জনপ্রিয় করেছেন। চাচা আবদুল করিম ছিলেন পল্লিগীতি ও ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালির জনপ্রিয় শিল্পী। মুস্তাফা জামান আব্বাসীর বড় ভাই মোস্তফা কামাল ছিলেন প্রধান বিচারপতি। বোন ফেরদৌসী রহমান ও ভাতিজি নাশিদ কামালও সংগীতাঙ্গনে সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁর স্ত্রী আসমা আব্বাসী একজন প্রথিতযশা শিক্ষক ও লেখিকা। তিনি গত বছর মারা গেছেন।

১৯৩৬ সালের ৮ ডিসেম্বর ভারতের কোচবিহারের বলরামপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া আব্বাসী শৈশব কাটিয়েছেন কলকাতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ, এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর হার্ভার্ড গ্রুপ থেকে মার্কেটিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

লোকসংগীত গবেষণা ও সংগ্রহে তাঁর অবদান অনন্য। তিনি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ফোক মিউজিক রিসার্চ গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর সংগ্রহে আছে কয়েক হাজার লোকগান। তিনি ২৫টির বেশি দেশে ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, নজরুলগীতি পরিবেশন করে বাংলাদেশের সংগীতকে পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বদরবারে। তিনি ছিলেন ইউনেসকোর বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি অব মিউজিকের সভাপতি, নজরুল ও আব্বাসউদ্দীনের ইংরেজি জীবনী লেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত গবেষক। তাঁর উপস্থাপনায় বিটিভির ‘ভরা নদীর বাঁকে’, ‘আমার ঠিকানা’, ‘আপন ভুবন’ প্রভৃতি অনুষ্ঠান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর ‘ভরা নদীর বাঁকে’ অনুষ্ঠানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সমাজসেবায়ও তিনি ছিলেন সক্রিয়, রোটারি ক্লাবের গভর্নর হিসেবে বহু উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

মুস্তাফা জামান আব্বাসী রচিত অসংখ্য গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম ‘লোকসঙ্গীতের ইতিহাস’, ‘ভাটির দ্যাশের ভাটিয়ালি’, ‘রুমির অলৌকিক বাগান’, উপন্যাস ‘হরিণাক্ষি’, স্মৃতিকথা ‘স্বপ্নরা থাকে স্বপ্নের ওধারে’ এবং ইংরেজি জীবনী। বাংলা সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন।

Header Ad
Header Ad

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের দক্ষিন-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার (১০ মে) দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার কেন্দ্র এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

এরআগে, শুক্রবার (৯ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এ জেলায়। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ। রোদের তেজ আর গরমে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
প্রখর রোদের তাপদাহে তেঁতে উঠেছে প্রকৃতি। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো জেলা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত সুর্যের তীব্র তেঁজে পুড়ছে প্রকৃতি। দুপুরের রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। দুপুর ১২ টার রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। দিনে পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও বাড়ছে।

এর আগে চলতি গ্ৰীষ্ম মৌসুমে ২৩ ও ২৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যথাক্রমে ৩৬ দশমিক ৬ এবং ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান,  আগামী কয়েকদিন  এ জেলার তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে।   ১৪ মে'র পর বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। তারপর তাপমাত্রা কমতে পারে। 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যমুনা ও সচিবালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী মারা গেছেন
মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
সালিসে নারীর চুল কাটলেন ‘বিচারকরা’
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে অবরোধ
সৌদি পৌঁছেছেন ৩৭১১৫ হজযাত্রী, ৫ জনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেন উদ্ধারের পর কক্সবাজার এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত
পাপুলের স্ত্রী সাবেক এমপি সেলিনা ইসলাম গ্রেফতার
ভারতে বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করল পাকিস্তান
শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ‘ব্লকেড’ দিবেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
ছয়টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ভারত, পড়েছে নিজেদের রাজ্যেই
শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ
১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান
ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল
আটকের পরও যে ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয় আবদুল হামিদকে
নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ
বিএনপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে: সারজিস আলম