
প্রভাবশালীরা নিয়ম ভেঙেও পার পান, মামলা খান দুর্বলরা
০৪ অক্টোবর ২০২২, ০১:২৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ এএম

রাজধানী ঢাকার সড়কে নিয়ম না মানায় যানবাহনের বিরুদ্ধে হরহামেশা মামলা করছে ট্রাফিক পুলিশ। এ সব মামলার বেশিরভাগই হচ্ছে নিরীহ ও দুর্বল গাড়ির চালক ও মালিকদের বিরুদ্ধে। যারা প্রভাবশালী, উল্টো পথে গাড়ি চালান তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয় না। সব আইন দুর্বলদের জন্য। এমন অভিযোগ মামলার শিকার যানবহানের চালক ও মালিকদের।
অবশ্য ট্রাফিক পুলিশ বলছে, ট্রাফিক পুলিশকে হেয় করার জন্য এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গাড়ির কাগজপত্র সঠিক না থাকলে, ট্রাফিক আইন না মানলেই পুলিশ মামলা দিচ্ছে।
রাজধানী ঢাকার প্রায় প্রতিটি সড়কে অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা, ভিআইপিদের উল্টো পথে চলা, গণপরিবহনের বিশৃঙ্খলার কারণে নগরবাসী অতিষ্ঠ। ট্রাফিক ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলার কারণে যানজট বৃদ্ধি পেলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাফিক পুলিশের আগ্রহ যেন মামলাতেই বেশি দেখা যাচ্ছে।
ট্রাফিক পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত আট মাসে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ছয় লাখ ৩৩ হাজার ৫৬২টি মামলা হয়েছে। আর ২০২১ সালে সর্বোচ্চ মামলা হয় ডিএমপিতে। মামলার সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৫৫ হাজার ৯১১টি। এ সব মামলায় জরিমানা আদায় হয় ৫০ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩০৩ টাকা। একই বছরে সারাদেশে মোটরযান আইনে মামলা হয়েছে মোট নয় লাখ ৫৫ হাজার ৯১২টি। এ সব মামলায় ২২১ কোটি সাত লাখ ৩১ হাজার ৪১৪ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
কিন্তু এত কিছুর পরও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরছে না। উল্টো ভোগান্তি আগের চেয়ে বেড়েছে— অভিযোগ নগরবাসীর।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মূল সড়কে বেড়েছে অবৈধ স্থাপনা। সঙ্গে আছে অবৈধ পার্কিং। যা মূল সড়কের অনেকটাই দখলে রেখেছে। যদিও সিগন্যালগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশদের। যানজট নিরসনে নয়, মামলা দিতেই ব্যস্ত থাকেন তারা।
ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীতে গাড়ির সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ফিটনেসবিহীন ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, যা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। অনভিজ্ঞ ও মেয়াদবিহীন লাইসেন্সের চালক— সবাই যেন নেমে পড়ে সড়কে। এ সব কারণে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণে চালকরা বলছে, এ সব হলো অতিরিক্ত মামলা।
শাহবাগ মোড়ে দেখা যায়, মোড়ের প্রায় সবক’টি রাস্তার মুখেই রাইড শেয়ারিং এর অসংখ্য মোটরবাইক দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীর অপেক্ষায়। কিন্তু রাস্তাগুলোতে যানবাহনের ব্যাপক চাপে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
রাস্তায় মোটরবাইকের চালকদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান,মোড়ে না দাঁড়িয়ে থাকলে যাত্রী পাওয়া যায় না। অনেক সময় অনলাইনের যাত্রীরা লোকেশন চেনেন না, এজন্য মূলত প্রতিটা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
ঢাকায় অনিয়মিত থাকেন রাইড শেয়ারিং চালক মাগুরার মুজিবুর রহমান। তিনি অভিযোগ করেন, ট্রাফিক পুলিশ আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে দেয় না। মাঝে মাঝে ধরে জোর করে মামলা দেয়। কিন্তু জীবিকার তাগিদে কিছু কিছু সময় আমরা আইন ভঙ্গ করি। তিনি বলেন, অনেক সময় আমরা ট্রাফিক কনস্টেবলদের ম্যানেজ করে মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী বহন করি।
বাংলামোটর মোড়ে কথা হয় পাঠাও চালক মো. রবিনের সঙ্গে। তিনি বলেন,কোথাও যাত্রী নিয়ে গেলে পুলিশ ৩/৪ বার রাস্তায় থামিয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখে। অনেক সময় ট্রাফিক জোর করে মামলা দিয়ে বলে ছোট একটি মামলা দিয়েছি। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে, ভিআইপিরা উল্টা রাস্তায় গেলেও ট্রাফিক পুলিশ তাদের দেখে না। তারা আমাদের মতো শ্রমিক, দিন মজুর এবং দুর্বলদের বেশি মামলা দিচ্ছে ।
তেজগাঁও এলাকায় নিয়ম মেনে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন পাঠাও চালক ও শিক্ষার্থী আরিক আকন। পুলিশ তাকে থামিয়ে কাগজপত্র হাতে নিয়ে জিজ্ঞেস করে আগের কোনো মামলা আছে কি না? জবাব দেওয়ার আগেই এক হাজার টাকার মামলা দেওয়ার কথা বলে দুই হাজার টাকার মামলা দেয়। এর পর আরিক আকন ওই ট্রাফিকের কাছে তার অপরাধ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তায় চললে মাঝে মাঝে এমন মামলা হয়। এ সময় আরিক আকন অভিযোগ করে বলেন, আপনার সামনে দিয়ে উল্টা পথে ভিআইপি একটি গাড়ি চলে গেল তাদের কেনো ধরলেন না, আমার অপরাধ কি? এ সময় পুলিশ বলে, আপনি ট্রাফিক অফিসে গিয়ে ছাত্র বললে ডিসি স্যার বিষয়টি দেখবেন এবং আপনার জরিমানা হয়ত কমিয়ে দেবেন।
আরিক আকন বলেন, ভিআইপিদের নয়, দুর্বলদের বেশি মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ।
ফার্মগেটে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. আরিফুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চালকরা অন্যায় বা অনিয়ম করলে আমরা মামলা দিয়ে থাকি।
ট্রাফিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ করলে তো ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি ধরবেই। নতুন আইনে মামলায় জরিমানার অঙ্ক অনেক বেড়েছে।
পলাশী মোড়ে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট খায়রুল আলম বলেন, রাস্তায় অনিয়ম করলে মামলা দেওয়া হয়। কোনো গাড়িকে টার্গেট করে মামলা দেওয়া হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম শামীম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশকে হেয় করার জন্য এই প্রচারণটা চলেই আসছে। পুলিশ ইচ্ছা করে মামলা দেয় না। চালকরা অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, ভিআইপিরাও অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ট্রাফিক পুলিশ সব সময় পাবলিক নিয়ে কাজ করে। আইনের চোখে সবাই সমান। তিনি বলেন, সড়কে আইন অমান্য করা চালকদের যানবাহনের নামে মামলা দেওয়া হয়। যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয় অনেক সময় তারা ট্রাফিক নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ট্রাফিক পুলিশ যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে মামলা বা বিভিন্ন ভোগান্তির মধ্যে ফেলে দেয়। এজন্য সাধারণ মানুষ পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, ভিআইপিরা যখন উল্টোপথে চলাচল করে তখন ট্রাফিক পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। সাধারণ যানবাহনের চালকদের অনিয়ম বা অন্য বিষয় নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়। রাইড শেয়ার চালকদের আটক করে বিভিন্ন অজুহাতে মামলা দেয়। যার কারণে চালকরা ট্রাফিক পুলিশের প্রতি ক্ষুব্ধ। অনেক সময় দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশের মামলার আগ্রহ বেশি হওয়ায় সড়কে যানজট তৈরি হয়।
এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, ভিআইপিদের নয় দুর্বলদের বেশি মামলা দেয়, চালকদের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু চালকরাও যে ঠিকমতো ট্রাফিক আইন মানেন সেটাও নয়। অনেক চালক আছেন যারা নিয়ম ভঙ্গ করে রাস্তায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন সেক্ষেত্রে ট্রাফিকে দায়িত্বরতরা মামলা দিতে বাধ্য হন। তিনি মনে করেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।একই সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। চালকদেরও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।
এনএইচবি/আরএ/

মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ এএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৫ এএম

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।
রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।
বিভাগ : জাতীয়
বিষয় : বিএনপি , মনোনয়নপত্র , অভিযোগ , সংবাদ-সম্মেলন , ভোটার-আইডি-হ্যাক , রুহুল-কবির-রিজভী , জাতীয়-পরিচয়পত্র , জাতীয়-নির্বাচন

খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ এএম

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।
যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।
তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"
বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।