বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

দুর্ভিক্ষের শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা

চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সামনে কঠিন সংকটকাল আসছে। দুর্ভিক্ষের শঙ্কা মাথায় রেখে খোদ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত বলছেন, সংকট মোকাবিলায় উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

ইতিমধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে বলেছে, যে ২০২৩ সালে বিশ্বের ৪৫টি দেশে তীব্র খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাতে পুরো বিশ্বের ২০ কোটি মানুষের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্ভিক্ষের যে আগাম সতর্কবার্তা দিচ্ছেন তার যথেষ্ট কারণ আছে। বিশ্ব পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব পরিস্থিতিকে টালমাটাল করে দিয়েছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈরি আবহাওয়া। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে দেশে খাদ্য উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতি সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ করে দেশজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে সরকার যে নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে সেটাকে আরো বাড়াতে হবে। সঙ্গে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকেও খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কথা এখন থেকে চিন্তাভাবনা করতে।

চলতি বছরের জুন মাসে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টোনিও গুতেরেসও সতর্ক করে বলেছেন, ২০২২ সালে কয়েকটি দুর্ভিক্ষ ঘোষণার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং ২০২৩ সালে সেটি আরও খারাপ হতে পারে।

সারাবিশ্বেই একটা খাদ্যাভাব দেখা দিতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশও সংকটের বাইরে না। তাই আগ থেকে সতর্ক করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিভিন্ন সময় বলে আসছেন, সামনে দুর্ভিক্ষ আসতে পারে, তাই এখন থেকেই সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। চাষযোগ্য ভূমিতে যেখানে যা হয় তাই উৎপাদন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সরকার প্রধানের এমন সতর্ক বার্তায় সারাদেশের মানুষকে এক রকম ভাবনায় ফেলে দিয়েছে। আসলেই কি দুর্ভিক্ষ হচ্ছে? যদি চরম খাদ্যাভাব দেখা দেয় তাহলে সেটি মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে কি না? সামনের দিনগুলোতে কি হবে? তবে প্রধানমন্ত্রীর সতর্ক বার্তা অমূলক নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্বায়নের যুগে বর্তমানে কোনো দেশ এককভাবে চলতে পারে না। তাই এক দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে অন্য দেশেও তার আঁচ লাগে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নিষেধাজ্ঞা পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত পুরো বিশ্বের খাদ্য চেইন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় মূলত কোনও দেশে বা পুরো বিশ্বে যখন খাদ্যের সরবরাহ চেইন বাধাগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য অতি উচ্চ হারে বেড়ে যায়। তখন মানুষের ক্রয় করার মতো সামর্থ্য থাকে না। আবার অনেক সময় কেনার মতো মুদ্রা থাকলেও কাঙ্খিত পণ্যটি পাওয়া যায় না। এরমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দেয় তাহলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাটির যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য পণ্যের অধিকাংশ দেশেই উৎপাদন হয়। আমদানি নির্ভরতা কম।

তবে শুধু ধান বা সবজি উৎপাদন করে দেশের মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব না। দেশে উৎপাদিত গম দিয়েও দেশের মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব না। তাই আমদানি করতে হয়। অন্য দিকে ধান উৎপাদন করতে হলে সার ও জ্বালানি অপরিহার্য। এই দুটোই আমদানি নির্ভর। তাই বড় একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। বর্তমানে বিদ্যুতের যে পরিস্থিতি তাতে আগামী বোরো মৌসুমে বড় ধাক্কা আসতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।

খাদ্য ঘাটতি হতে পারে যেসব কারণে তার কতগুলো কারণ চিহ্নিত করে সম্প্রতি (গত সেপ্টেম্বরে) প্রকাশিত এফএও এবং ডব্লিউএফপির যৌথ রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের আশংকা প্রবল। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং সাউথ সুদান। এ ছাড়া, ইয়েমেন এবং আফগানিস্তানেরও একই দশা।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- প্রথমত, যুদ্ধ এবং নানাবিধ সংঘাত খাদ্য ঘাটতির জন্য একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়াবে। পৃথিবীতে যত মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে তার মধ্যে ৬০ শতাংশ বসবাস করে যুদ্ধ-বিগ্রহ কবলিত এলাকায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলতে থাকলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

দ্বিতীয়ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণ। পৃথিবীর অনেক দেশ হয়তো বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে, নয়তো খরায় ভুগছে। এর ফলেও খাদ্য উৎপাদন ব্যহত হবার আশঙ্কা রয়েছে।

তৃতীয়ত, করোনাভাইরাস মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে সেটি এখনো কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি।

চতুর্থত, জীবনযাত্রার ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টিও খাদ্য ঘাটতির কারণ হতে পারে। খাদ্যদ্রব্যের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে অনেকের জন্য খাদ্য কেনা কঠিন হয়ে যাবে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে ২০১৯ সালের তুলনায় এখন তাদের পরিচালনা ব্যয় যতটা বেড়েছে সেটি দিয়ে তারা প্রতিমাসে ৪০ লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারতো।

দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা কতোটা দেখছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। আমাদের এই মুহূর্তে ধান, চালের যে মজুত তাতে আগামী ধান ওঠা পর্যন্ত কোনো সমস্যা হবে না। তারপরও যদি দৈব দুর্বিপাকের কারণে ফসল উৎপাদন ব্যহত তখন তো কিছু করার থাকে না। তাই আগে থেকেই যেন প্রস্তুতি থাকে সেজন্য কাজ করা হচ্ছে।’

তবে প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কার সঙ্গে একমত বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শঙ্কার যথেষ্ট কারণ আছে। বিশ্বব্যাপী এ রকম একটা আশঙ্কার কথা অনেকেই বলছে। যেহেতু ইউক্রেন হচ্ছে গ্রেনারি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড। সারাবিশ্বে গমের সরবরাহের প্রায় ২০-২২ শতাংশ আসে ইউক্রেন থেকে। বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে উৎপাদন থাকলেও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার যুদ্ধের কারণে উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আবার বৈরি আবহাওয়ার কারণে ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তান ও ভারতে কিছু এলাকায় ধান এবং গমের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধ, বৈরি আবহাওয়া, সরবরাহে সমস্যার কারণে সারাবিশ্বে খাদ্য সংকটের ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যদি মন্দা হয় তাহলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে। এর ফলে একটা একটা দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি হতে পারে।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, দুর্ভিক্ষ হয় দুটো জিনিস যখন ঘটে। একটা হচ্ছে খাদ্যের যোগান যথেষ্ট না থাকা। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে যোগান থাকলেও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি থাকা। ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি দু কারণে হতে পারে একটা হচ্ছে খাদ্যের মূল্য অনেক উচ্চ পর্যায়ে থাকে মানুষ কিনতে পারছে না। অথবা আয় যদি না থাকে। দুটোই বাংলাদেশে বিদ্যমান বর্তমানে।

পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কিছু উপায় তুলে ধরে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সংকটময় পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার একটাই উপায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে জোর দিতে হবে বেশি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর নির্ভর করা যায় না।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের অভিজ্ঞতাটা অনেকটা একই ধরনের সমস্যা ছিল। প্রথমে বন্যা হলো আগস্টে, আবার বন্যা হলো সেপ্টেম্বরে। তারপর নভেম্বরে আসল সাইক্লোন ‘সিডর’ যার কারণে আমন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আন্তর্জাতিক বাজারে কেউ চাল বিক্রি করছিল না। সবাই চালের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তখন বোরোতে বাম্পার ফলন প্রথম অগ্রাধিকার ছিল।

সেন্টার ফর পলিসি ডাযালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এই মুহূর্তে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি না থাকলেও সরকার প্রধান একটা আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। যেন যারা উৎপাদক তারা উৎপান বাড়ায়। আর আয় থেকে ব্যয় কমিয়ে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিশ্বব্যাপী বর্তমান খাদ্য সরবরাহ এ রকম থাকলে, একটা সময় আসবে মানুষের কাছে টাকা থাকলেও দ্রব্যেমূল্যের উচ্চ হারের কারণে কিনতে পারবে না। তাই সরকারের উচিত খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়ানো। যে এক কোটি কার্ড দেওয়ার কথা বলছে সেটি আরও বাড়ানো। শুধু নিম্নবিত্ত না, মধ্যবিত্তদেরকেও এর আওতায় আনার পরিকল্পনা করা দরকার।’

এনএইচবি/এমএমএ/

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর

চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: পিআইডি

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। এসময় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে আজ মোট পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

চুক্তিগুলো হলো- কাতার এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্র পরিবহন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ, বাংলাদেশ সরকার এবং কাতার রাষ্ট্রের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং বাংলাদেশ-কাতার যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।

চুক্তি ছাড়াও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান (শ্রম), বন্দর (এমব্লিউএএনআই কাতার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ), বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতার স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।

এর আগে কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হন। পরে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় নায়েক ও কনস্টেবলদের 'দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স'-এর  উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ১৫তম ব্যাচে ৪২ জন পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণে সপ্তাহব্যাপী পদমর্যাদা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা  আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম'র সার্বিক নির্দেশনায় ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, কুষ্টিয়ার পরিচালনায় বাংলাদেশ পুলিশের সকল পদমর্যাদার সদস্যরা এ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিচ্ছেন।

পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান উদ্‌বোধনী ক্লাসে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে পোশাকের মর্যাদা, সৌজন্যতা ও মার্জিত আচরণ, সহকর্মী ও সেবা প্রত্যাশীদের সাথে পেশাগত আচরণ ও করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রিয়াজুল ইসলাম, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ); চুয়াডাঙ্গা; মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্); চুয়াডাঙ্গা; আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল); চুয়াডাঙ্গা; আবদুল আলীম, আরওআই, রিজার্ভ অফিস, চুয়াডাঙ্গা; আমিনুল ইসলাম, আরআই, পুলিশ লাইন্স, কুষ্টিয়া ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিনিধিসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

আব্দুল লতিফ প্রধান ও শাকিল আকন্দ বুলবুল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে যাচাই-বাছাই শেষে রিটানিং অফিসার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাচাই-বাছাই শেষে যাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয় তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আকন্দ বুলবুল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. মেসবাহ নাহিফুদ দৌলা, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো: আব্দুল মতিন মোল্লা, পাপন মিয়া, মাহাবুর রহমান ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তাজু। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন পাপিয়া রানী দাস, মমতা বেগম, আফরুজা খাতুন, সাকিলা বেগম, ফাতেমা বেগম, উম্মেজাহান, সাথী আক্তার।

উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে এই উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ৩০ এপ্রিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ও ২ মে সকল প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।

সর্বশেষ সংবাদ

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর
পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
ভাড়া বাড়াইনি, শুধু ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছি: রেলমন্ত্রী
নবাবগঞ্জে জাল দলিলে জমি দখলের চেষ্টা, সাবেক ও বতর্মান চেয়ারম্যান জেলহাজতে
ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির, গেলেন নেপাল
নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি
ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে দুঃসংবাদ, এক মাস চলতে পারে ভোগান্তি
উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত
'রূপান্তর' বিতর্ক: জোভান-মাহিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা
সাঘাটায় নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন টিটু
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, চরম উত্তেজনা
দিনাজপুরে বাঁশফুল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল, রান্না হচ্ছে ভাত-পোলাও-পায়েস
পদ্মায় নিখোঁজ তিন কিশোরের লাশ উদ্ধার
বাড়তে পারে তাপমাত্রা
আজ রাতেই দেখা মিলবে ‘গোলাপী’ চাঁদের
চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করলো ইসি
দুই মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ