বিকল্প কৌশলে নির্বাচনে যেতে মরিয়া জামায়াত!

০৮ নভেম্বর ২০২২, ১১:০১ এএম | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৩ পিএম


বিকল্প কৌশলে নির্বাচনে যেতে মরিয়া জামায়াত!

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মরিয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ জন্য নানা কৌশল খুঁজছে দলটি। দলের নিবন্ধন ফেরত পেতে আইনি লড়াইয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বও দেওয়া হচ্ছে। সম্ভব না হলে ভিন্ন নামে নিবন্ধনের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী দলটি। তবে নিবন্ধন পেতে ব্যর্থ হলে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে নিজেদের করে নিয়ে সেই দলের প্রার্থী হওয়ার বিষয়েও আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন জামায়াতের নেতারা। দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট নেতারা বলোন, নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতের সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক বজায় রেখেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে অন্যান্য দলকে পাশে টানছে বিএনপি। তবে আপাতত ২০ দলীয় জোটকে কিছুটা নিষ্ক্রিয় রাখা হচ্ছে সরকারবিরোধী অন্যান্য দলকে কাছে টানার লক্ষ্যে।

এদিকে, ভোটের মাঠে জামায়াত ইসলামীকে ফ্যাক্টর ধরে গোপনীয়তার সঙ্গেই বিএনপি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দলটির রাজনীতির কৌশল জানতে দৌড়ঝাঁপ করছেন।

জানতে চাইলে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, অধিকাংশ বিরোধী দল যুগপৎ ধারার আন্দোলনের পক্ষে। আমরাও যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করি। এ জন্য জনগণকে নিয়ে আমরাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছি।

তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের দলের নিবন্ধনের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। কাজেই আমরাও আইনি প্রক্রিয়াকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে অনেকেই বিভিন্ন সময়ে নতুন দল গঠন করছেন। কখনো বলছেন তারা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, আবার কখনো বলা হচ্ছে এটা জামায়াতের নিবন্ধন পাওয়ার বিকল্প কৌশল। আমাদের বক্তব্যে হচ্ছে, যারা নতুন সংগঠন বা দল করছেন তারা কি জামায়াতের রাজনীতি করেন? নাকি দল ছেড়ে নতুন দল গঠন করছেন, এই জবাব একমাত্র তারাই ভালো দিতে পারবেন। অপেক্ষা করুন, সময় হলে আপনারাও জানতে পারবেন।

হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়েকটি আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দলটির নেতারা।

এদিকে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বিকল্প পথে এগোচ্ছেন। এরই মধ্যে প্রক্রিয়াটি অনেক দূর এগিয়েছে। জানা গেছে, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (অলি আহমদ), বাংলাদেশ লেবার পার্টি (ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম) নেতৃত্বাধীন দলগুলোর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলছেন জামায়াতের নেতারা। যদিও জামায়াতের সঙ্গে নিজেদের সখ্যতাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, আমাদের দলে জামায়াতের পুনর্বাসনের কোন সুযোগ নেই। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের দায় বহন করব না।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধ দল নয়। দলের নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে করা মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। অনেকে না বুঝে নতুন দলটি জামায়াতের বলে উদ্দেশ্যমূলক প্রচার চালাচ্ছে। নতুন দলের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। নতুন দল গড়তে চাইলে ঘোষণা দিয়ে করত জামায়াতে ইসলামী।

এদিকে বিএনপি-জামায়াতের জোট বহাল থাকলেও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। বিজয়ী হয়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে। মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দলটির তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে অনেকটাই রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল জামায়াত। আর সংগঠন হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকায় হাইকোর্টের রায় মেনে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। যা এখন আদালতে বিচারাধীন।

তবে প্রকাশ্য কর্মসূচি খুব একটা না থাকলেও ভেতরে ভেতরে বেশ সুসংগঠিত বলে দাবি করছেন জামায়াত নেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নেওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রস্তাবনা বিবেচনার জন্য সংগঠনের মজলিসে শূরার সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়। এরপর শূরা সদস্যদের অভিমতের ভিত্তিতেই নতুন নামে দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। অবশ্য ওই কমিটি গঠনের তথ্য গোপন রাখার অভিযোগে ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন লন্ডনে অবস্থানরত ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার হন ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জু।

জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে ‘জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ও মুজিবুর রহমান মঞ্জু। পরে ২০২০ সালের মে মাসে তারা ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি' বা ‘এবি পার্টি' নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এ দলটিও এবার নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। কমিশনে আবেদন জমা দেওয়া জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নামে আরেকটি দলেও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন। সবশেষ নতুন করে জমা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) নেতারাও আগে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দায়িত্বশীল একজন জামায়াত নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াত ইস্যূতে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানামুখী তৎপরতা চলছে। সরকারবিরোধী আন্দোলন ও নির্বাচনে যেকোনো উপায়ে জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামী দলগুলোকে যেমন পাশে চায় বিএনপি; তেমনিভাবে ভিন্ন কৌশলে বিএনপির কাছ থেকে দূরে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন দল।

তিনি বলেন, সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক অবস্থান রয়েছে।

দেশে ধর্মভিত্তিক দল ও গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিল। বারবার সে সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে বিএনপি। ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট করে তারা ক্ষমতায় আসে। তবে এর পরই এই দুই দলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জামায়াতের সঙ্গে কৌশলগত ঐক্য গড়ে আওয়ামী লীগ। যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি সরকারের পতন ঘটায়।

এনএইচবি/এমএমএ/


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৮ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারই ছোটভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভুইঁয়ার নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

মনোনয়ন দাখিল শেষে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে দাখিল করেছি। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয় সেজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো। বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে আমাদের নেতার সুনাম জড়িয়ে আছে তাই তার আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। দলের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবো।

কাদের মির্জা আরও বলেন, নৌকাকে জয়যুক্ত করতে আমরা নিয়মিত মিটিং মিছিল করেছি। আগামী চার তারিখ থেকে কেন্দ্রভিত্তিক সভা করবো। এরপরে আমরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট ভিক্ষা করবো। আগামী সাত জানুয়ারিতে যেন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় সেইজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এর আগে দলীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দাখিল উপলক্ষ্যে বিশেষ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন এই দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসন থেকে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের এমপি। এ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকলেও জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলের প্রার্থী রয়েছেন।


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩  বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

 


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তর সালনা এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাসে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

 

অনুসরণ করুন