পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে

১৯ নভেম্বর ২০২২, ১২:২৫ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:২৫ পিএম


পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে

সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থায় ঘাটতি, পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব এবং সর্বোপরি ভারত সরকারকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরিসংখ্যান সরবরাহে অনীহা—সব মিলিয়ে ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গু পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে গেছে বললে অত্যুক্তি করা হয় না।

ডেঙ্গুতে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুর হার একই জায়গায় রয়েছে। সাম্প্রতিক সময় এমনই পর্যবেক্ষণ এই রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের। তাদেরই প্রশ্ন, তাহলে কি স্বাস্থ্য ভবনের জারি করা প্রটোকল মেনে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে? সেই সংশয় থেকেই সরকারি স্তরে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের কর্তাদের নিয়ে গত বৃহস্পতিবার অনলাইনে বৈঠক করেছে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর।

ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মসূচির বিষয়ে বিভিন্ন পৌরসভার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পৌরসভা ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে তার নির্দেশ, ওয়ার্ডের সাফাইকর্মীদের নিয়ে সপ্তাহে অন্তত একদিন এলাকা পরিদর্শন করবেন স্থানীয় কাউন্সিলার। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিও জোরদার করতে হবে। সমস্ত জলাশয় ও এলাকার সর্বত্র নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।

চিকিৎসকদের মত, ডেঙ্গু মোকাবিলায় কোথাও পরিকাঠামোগত ফাঁক থেকে যাচ্ছে। নাহলে নভেম্বর মাস শেষ হতে চলল, এখনো মশবাহিত রোগ কমার লক্ষণ দেখা যাবে না, তা হতে পারে না। এদিকে চলতি সপ্তাহেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পৌরসভার ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পৌরভবনের কাছে মেয়রের পদত্যাগের দাবিতে মশারি টাঙিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত, এই রাজ্যে এখনো পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা সরকারিভাবে ৮৪। আক্রান্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ।

ভারতে পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য, যারা ডেঙ্গু সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা পরিসংখ্যান দিল্লির সরকারকে (কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক) দিচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার। পশ্চিমবঙ্গের বুকে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু, প্রতিদিনই আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মাঝে ডেঙ্গু নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরোধ মাথা চাড়া দিয়েছে।

সম্প্রতি ডায়রিয়াজনিত রোগ ও পুষ্টি বিষয়ক ১৬তম এশিয়া সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় ভারতী প্রবীণ পাওয়ার বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যে পোর্টাল প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি সব রাজ্যের আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দেওয়া হয়েছে। বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও আক্রান্ত ও মৃতের কোনো পরিসংখ্যান পাঠায়নি রাজ্য সরকার। অবিলম্বে তাদের উচিত কেন্দ্রকে এই সংক্রান্ত সর্বশেষ রিপোর্ট বিশদে পাঠানো।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে একটি সতর্কবার্তা জারি করে তিনি বলেছেন, ডেঙ্গুর মতো একটি ভেক্টর বাহিত রোগ মোকাবিলা করার জন্য প্রতিটি রাজ্যকে সহায়তা করতে প্রস্তুত দিল্লির সরকার। কিন্তু তারপরেও যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ডেঙ্গুর তথ্য ও পরিসংখ্যান না পাঠায়, সেক্ষেত্রে দিল্লির পক্ষে আর এ ব্যাপারে সাহায্য করা সম্ভব হবে না।

এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংসদ বিষয়ক ও কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্র যদি তথ্য চায়, তাহলে আমরা তা অবশ্যই দেব। কিন্তু ডেঙ্গু সংক্রান্ত কোনও তথ্য বা পরিসংখ্যান কেন্দ্রের কাছে স্বেচ্ছায় পাঠাতে বাধ্য নয় রাজ্য সরকার।

অন্যদিকে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বারবার সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, সরকারি তথ্য অনুযায়ী কম করে ৫৫ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত। মারা গিয়েছেন অন্তত ৮৫ জন। কিন্তু কোভিডের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, এই রাজ্যের সরকার দায়িত্ব নিয়ে তথ্য গোপন করে থাকে। ফলে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ছে। এবার তড়িঘড়ি ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য দফতরের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলোতে ফিভার ক্লিনিক পুরোদমে চালু রাখতে হবে। যাঁরা জ্বর নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসবেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে। পরে যাতে তাদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায়। হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা ল্যাব পরিষেবা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। রোগীদের শারীরিক পরীক্ষার পর ওই দিনই রিপোর্ট দিতে হবে ল্যাব কর্তৃপক্ষকে। ডেঙ্গু আক্রান্ত বা ডেঙ্গু সন্দেহে যে কোনো রোগীকে পরীক্ষার দিনই রিপোর্ট দিতে হবে।

সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতরে বিশেষজ্ঞ দলের পর্যবেক্ষণ, অনেক হাসপাতালে রোগীকে অতিরিক্ত ফ্লুইড বা স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তাতে ক্ষতিই হচ্ছে। কয়েকটি মৃত্যুর নথি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, রোগী সুস্থ হতে শুরু করলেও তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণে ফের বোঝানো হয়, দিনে দু’বার পিসিভি (রক্তে প্যাকড সেল মাত্রা) পরীক্ষা করে স্যালাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। কখন প্লাটিলেট দিতে হবে, কোন পরিস্থিতিতে স্যালাইনের মাত্রা বাড়াতে-কমাতে হবে তাও নতুন করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

আরএ/


এবার দেশের সকল ইউএনওকে বদলির নির্দেশ

০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫১ এএম


এবার দেশের সকল ইউএনওকে বদলির নির্দেশ
ফাইল ছবি

দেশের সকল ওসিকে বদলির নির্দেশের পর এবার দেশের সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) বদলির নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এ নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

গতকাল ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশনাটি পাঠান।

চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্ত সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বর্তমান কর্মস্থলে ১ বছরের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।

এর আগে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদলি করতে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে এ নির্দেশনা দেয় সাংবিধানিক সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে।

চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায়/অন্যত্র বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।


ঢাকাপ্রকাশ-এর ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫২ এএম


ঢাকাপ্রকাশ-এর ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করছেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগান ধারণ করে ঢাকাপ্রকাশ-এর এবারের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) উদযাপিত হয়েছে। রাজধানীর ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার-এর নিজ কার্যালয়ে দিনটি উদযাপিত হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই ঢাকাপ্রকাশ-এর ভবনে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি উৎসবে আগতদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন।

বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেক

 

শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কেক কেটে ঢাকাপ্রকাশ-এর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শাহাদৎ জামান সাইফ। এ সময় অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাপ্রকাশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঢাকাপ্রকাশ-এর সাংবাদিক ও কলাকুশলীরা।

কেক কেটে ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

 

কেক কাটার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শাহাদৎ জামান সাইফ বলেন, ঢাকাপ্রকাশ তার দ্বিতীয় বছর অতিক্রম করল। দুইটি বছর গণমাধ্যমের জন্য বড় কিছু নয়। কিন্তু এই দুই বছরে বোঝা যায়; এই মাধ্যমটির সম্ভাবনা কতটুকু। এই অল্প সময়েই ঢাকাপ্রকাশকে পাঠকরা যতটা গ্রহণ করেছে তা সত্যি অভাবনীয়। ‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা আরও সামনে এগিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর। তারুণ্য নির্ভর এই গণমাধ্যম পাঠকদের ভালোবাসায় সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে ছড়িয়ে পড়বে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

এসময় ঢাকাপ্রকাশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, আজ ঢাকাপ্রকাশের জন্মদিন। সাফল্যের দুই বছর অতিক্রম করে ৩য় বর্ষে পা রাখল তারুণ্য নির্ভর এই গণমাধ্যমটি। মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টালটি বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পাঠকদের মাঝে ইতিধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। তারুণ্যের অদম্য শক্তিতে ঢাকাপ্রকাশ তার গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি আরও বলেন, দুই বছর সময়টি কম হলেও আমরা পাঠকদের কাছে এই অল্প সময়ের মধ্যে যে জায়গা করে নিয়েছি তা সত্যিই অনেক বড় অর্জন। আমাদের এই অর্জনের পেছনে পাঠকদের ভূমিকা সব থেকে বেশি। তাদের গ্রহণযোগ্যতাই আমাদের সব থেকে বড় সম্পদ। তারাই আমাদের শক্তি, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। পাঠকদের এই ভালোবাসাই ঢাকাপ্রকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে।

কর্ম ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা

 

বর্ষপূর্তিতে ঢাকাপ্রকাশের মফস্বল বিভাগের জাহিদুল ইসলাম তার অনুভতি ব্যক্ত করে জানান, নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। ঢাকাপ্রকাশ তরুণ নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে সাজানো হয়েছে এই পরিবার। ঢাকাপ্রকাশ অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় স্থান দখল করে নিয়েছে। এর জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ও কাঠামোগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

স্পোর্টস বিভাগের আশিক মোহাম্মদ রিয়াদ বলেন, সাফল্যের দুটি বছর শেষ করলাম আমরা। এবার সামনে এসেছে নতুন সম্ভাবনার দিন। ঢাকাপ্রকাশ পরিবার আরও সামনে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি। শুভ জন্মদিন ঢাকাপ্রকাশ।

জন্মদিনে নতুন রূপে সেজেছে ঢাকাপ্রকাশ

 

কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের ক্যাম্পাস বিভাগের একরামুজ্জামানের সাথে। তিনি বলেন, আজ ঢাকাপ্রকাশ তার ২ বছরের সাফল্যমাখা সময় অতিক্রম করে তৃতীয় বর্ষে পা রাখল। গণমাধ্যমে সত্যতা ও সচ্ছ্বতা বিদ্যমান রাখা সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ঢাকাপ্রকাশ সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগানকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছে তার নিজস্ব গতিতে। পাঠকদের ভালোবাসায় পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে চাই আমরা।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ঢাকাপ্রকাশের বিনোদন বিভাগের আরিফ হাসান বলেন, ঢাকা প্রকাশ এগিয়ে যাক অদম্য গতিতে। ছুটে চলুক সত্যের সন্ধানে। শুভ জন্মদিন ঢাকাপ্রকাশ।

পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা

 

ঢাকাপ্রকাশের ওয়েব ডেভেলপার পার্থদেব জানান, প্রতিদিনই আমরা পাঠকদের মন্তব্য বিশ্লেষণ করে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের ওয়েবসাইটকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাঠকদের বিভিন্ন মতামতের উপর ভিত্তি করে ঢাকাপ্রকাশকে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে।

এদিকে সারাদেশ থেকে প্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং শোবিজ অঙ্গণের অনেকের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা এসে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-কে।


ইসি’র শোকজের জবাব দিলেন সাকিব

০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫০ এএম


ইসি’র শোকজের জবাব দিলেন সাকিব
ছবি: সংগৃহীত

মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান তার বিরুদ্ধে করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা শোকজের জবাব দিয়েছেন । শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে শোকজের ব্যাখ্যা দেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

সাকিব আল হাসান বলেন, সব কিছু সব সময় ক্যামেরাতে বলা সম্ভব না। দেখুন আমি তো গতকালই বললাম প্রথমবার আমি ইলেকশনে অংশগ্রহণ করতেছি। স্বাভাবিকভাবেই ভুলত্রুটি আমার হতে পারে, আমার অজান্তে। সেগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। যখন আমি সব নিয়ম কানুন জানব, পড়ব, বুঝব, তারপর যদি হয় তখন আমার দোষ হতে পারে। কিন্তু এখন যেটা হয়েছে এটা নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত একটা বিষয়। নেক্সট টাইম যাতে এমন না হয় সে বিষয়ে আমি খেয়াল রাখব।

সাকিবের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম জানান, ২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। তখন কামারখালী এলাকায় লোকজন জমা হয়। সেখানে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না কিংবা দলীয় কাউকে তিনি রাখেননি। সুতরাং এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। ভবিষ্যতে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকব। আইন মেনে চলব।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মাগুরা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে তলব করেন। তাকে আজ শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

অনুসরণ করুন