নিয়ন্ত্রণহীন ওষুধের বাজার, দিশেহারা সাধারণ মানুষ

২৩ নভেম্বর ২০২২, ০৯:২৮ এএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম


নিয়ন্ত্রণহীন ওষুধের বাজার, দিশেহারা সাধারণ মানুষ

মগবাজারের আলবেরুনি মেডিকেল হলে বাচ্চার জন্য নাপা সিরাপ কিনতে গিয়েছেন দরিদ্র এক মা। নাপা সিরাপ নিয়ে ২০ টাকা পরিশোধ করতে গিয়েই বাধল বিপত্তি। দোকানি বললেন, ৩৫ টাকা দাম। কিন্তু ওই মায়ের কাছে ২০ টাকাই আছে। ফলে দোকানি ওষুধ না দিয়ে রেখে দিলেন।

ওই মা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সবকিছুর দাম এত বেড়েছে যে আমাদের মতো দরিদ্ররা ওষুধ কিনব কীভাবে? আরও ১৫ টাকা যোগাড় করে তারপর বাচ্চার নাপা সিরাপ কিনতে হবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেই গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে তুমুল প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সমালোচনার ঝড় উঠে। এক্ষেত্রে ওষুধ যেন ব্যতিক্রম। নীরবে ওষুধের দাম বাড়লে কোথাও তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। অথচ প্রয়োজনীয় সব ওষুধের দাম একটু একটু করে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নানা কারণ দেখিয়ে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে অন্তত ৫৩ ধরনের ওষুধের দাম বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু এই সুযোগে প্রায় সব ধরনের ওষুধের দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো।

২২ নভেম্বর ওষুধ কোম্পানি লিবরা ইনফিউসনের স্যালাইনসহ ২৪ ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। হাইকোর্টে রিট করে লিবরা তাদের এই ২৪ ধরনের ওষুধের দাম বাড়িয়ে নিয়েছে।

আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর গত রবিবার (২০ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি বৈঠক হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিতি ছিলেন।

সভা শেষে সংশ্লিষ্টরা জানান, কাঁচামালের দাম বাড়ায় ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। ডলার সংকট ও কাঁচামালের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

লিবরা ইনফিউশন লিমিটেডের ২৪ ধরনের ওষুধের দাম প্রকারভেদে ৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আশরাফ হোসেন বলেন, দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ চাপে পড়ে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় আমরা নামমাত্র দাম বাড়িয়েছি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর শুধু প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ১১৭ ধরনের জেনেরিক ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ও আমদানিকারকরা বাড়াতে-কমাতে পারেন। একারণেই ওষুধের দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে।

ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব মো. শফিউজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কাঁচামাল, প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল, পরিবহণ ও সরবরাহ ব্যয়, জ্বালানি তেলের দাম, ডলারের বিনিময় মূল্য এবং মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। এলসি খুলতে বেশি খরচ হচ্ছে। একারণে ওষুধের দাম কিছু বাড়াতে হয়েছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী সাবিহা সুলতানার ডায়াবেটিস আছে। সেই সঙ্গে থাইরয়েড সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। বর্ধিত দামে ওষুধ কিনতে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন।

সাবিহা সুলতানা বলেন, এসকেএফ ফামাসিউটিক্যাল কোম্পানির মিক্সটার্ড ৩০ ইনসুলিন আগে পাওয়া যেত ৩৬০ টাকায়। এখন কিনতে হয় ৪১৫ টাকা দিয়ে। থাইরক্স কেনা যেত প্রতি পাতা ৫৫ টাকায়। এখন কিনতে হয় ৭৫ টাকায়। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ওসারটিল-৫০ কেনা যেতো প্রতি পাতা ৮০ টাকা। এখন কিনতে হয় ১০০ টাকায়।

রাজধানীর কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন লাগে এমন ওষুধ যেমন এসিডিটি, রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো রোগের ওষুধের দাম সব কোম্পানিই বাড়িয়েছে। দাম ওষুধভেদে ১৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

মেট্রোনিডাজল ২০০ মিলিগ্রামের দাম ৪০ পয়সা বেড়ে এক টাকা হয়েছে। ২৪ টাকা ১০ পয়সার এমোক্সিলিন বিপি ৫০০ মিলিগ্রাম ইঞ্জেকশনের দাম বেড়ে ৫৫ টাকা হয়েছে। জাইলোমেট্রোজালিন, প্রকোলেপেরাজিন, ডায়াজেপাম, মিথাইলডোপা, ফেরোসের মতো জেনেরিকের দাম ৫০ থেকে শতভাগ বেড়েছে।

জ্বরের জন্য নাপা ৫০০ মিলিগ্রাম প্রতি পিস ট্যাবলেট ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে ১ টাকা ২০ পয়সা হয়েছে। প্রতি পিস নাপা এক্সটেন্ড দেড় টাকা থেকে ২ টাকা হয়েছে।

এনএইচবি/আরএ/


সেনাবাহিনীও নির্বাচনের মাঠে থাকবে: ইসি আলমগীর

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩০ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৫ পিএম


সেনাবাহিনীও নির্বাচনের মাঠে থাকবে: ইসি আলমগীর
মতবিনিময় সভা। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনকে প্রতিহত করতে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংস ঘটনা ঘটলেও তা ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেছেন, ভোটারদের ভালো উপস্থিতি থাকবে। নির্বাচনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে থাকবে সেনাবাহিনীও।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোহাম্মদ আলমগীর।

ইসি আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর বিদেশিদের চাপ একেবারেই নেই। তারা এসে আমাদের কাছে যেটা জানতে চান সেটা হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কী কী কাজ করেছি। আমাদের প্রস্তুতি ও নির্বাচনের পরিবেশ দেখে এখন পর্যন্ত বিদেশিরা সন্তুষ্ট। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সাজেশন দেওয়া হয়নি, চাপ তো নয়ই। বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনই সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছে।

নির্বাচনকে ঘিরে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নেই উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, যে কোনো কাজ করতে গেলেই চ্যালেঞ্জ থাকে। ছোটখাটো চ্যালেঞ্জ তো আছেই। তবে কর্মকর্তারা এমন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি যেটা আমাদের কাছে বড় ইস্যু হিসেবে দেখা দিয়েছে।

প্রশাসনে রদবদলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচনে অতীতেও জেলা প্রশাসন পর্যায়ে কখনো কখনো পরিবর্তন করা হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসার শর্ত হিসেবে যে দাবিগুলো তুলেছিল, এর মধ্যে একটা দাবি ছিল প্রশাসনের রদবদল করতে হবে। তার একটা অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।


শীত থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে?

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৪ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৫ পিএম


শীত থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে?
ছবি সংগৃহিত

পোশাক পরার ক্ষেত্রে অনেকে প্যান্ট, পায়জামা লুঙ্গি টাখনুর নিচে পরে থাকেন, যা ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েয। এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘লুঙ্গির যে অংশ টাখনুর নিচে থাকবে তা জাহান্নামে যাবে।’ (বুখারি, হাদিস, ৫৭৮৭) জাহান্নামে গেলে শরীরের কোনো অংশবিশেষ যাবে না; বরং সমগ্র দেহই যাবে।

টাখনুর নিচে কাপড় পরার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, “যে ব্যক্তি অহংকার বশে তার লুঙ্গি মাটির সাথে টেনে নিয়ে বেড়াবে, কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দৃষ্টি দিবেন না।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস, ৩৬৬৫)

আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা টাখনুর নিচে কাপড় পরলে ধর্মের কী অসুবিধা? তার সরল উত্তর হলো, অসুবিধা ধর্মের নয়, অসুবিধা আমাদের নিজেদের। কারণ দুনিয়াতেও টাখনুর নিচে কাপড় পরার অপকারিতা কম নয়। পুরুষের পায়ের টাখনুতে থাকে টেস্টোস্টেরন নামক যৌন হরমোন, যা সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের প্রয়োজন। টাখনুকে ঢেকে রাখলে টেস্টোস্টেরন হরমোন শুকিয়ে যায়। যার প্রভাবে শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। শুক্রাণু কমে যায়। ফলে সহজে বাচ্চা হয় না। এ সমস্যাটি আমাদের সমাজে মহামারি আকার ধারণ করছে। তা ছাড়া টেস্টোস্টেরনের অভাব মস্তিষ্ক ‘ঘোলাটে’ করে দেয়। এতে মনোযোগ নষ্ট হয়। স্মৃতিশক্তিও কমে আসে ধীরে ধীরে।

অনেকে ইসলামের বিধান মেনে টাখনুর নিচে কাপড় পড়া থেকে বিরত থাকেন। তবে শীতের সময় ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরতে চান। এবিষয়ে আলেমদের মতামত হলো- শীতের কারণেও টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে না। কারণ এর সমাধান জায়েজ পদ্ধতিতে করা সম্ভব। সেটি হল, মোটা মোজা বা চামড়ার মোজা পরিধান করা। যেহেতু ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার বিকল্প ব্যবস্থা আছে, সেখানে নিষিদ্ধ কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই।

তবে যদি কোথাও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকে, আর ঠান্ডার কারণে পা জমে যাওয়া বা মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, তাহলে টাখনুর নিচে জামা পরিধান জায়েজ হবে ইসলামি শরীয়তের এই মূলনীতির ভিত্তিতে, যেখানে বলা হয়েছ, তীব্র প্রয়োজন নিষিদ্ধ বস্তু হালাল করে দেয়। তবে যখনি তীব্র প্রয়োজন দূর হয়ে যাবে, সঙ্গেসঙ্গে আবার তা হারাম হয়ে যাবে এবং আবারও কাপড় টাখনুর ওপর উঠাতে হবে। (শরহু কাওয়ায়িদিল ফিক্বহিয়্যাহ লিজযারক্বা, কায়দা নং-২০)

 


নাসুমকে ডেকে কথা বলল বিসিবির তদন্ত কমিটি

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১২ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৪ পিএম


নাসুমকে ডেকে কথা বলল বিসিবির তদন্ত কমিটি
নাসুমকে ডেকে কথা বলল বিসিবির তদন্ত কমিটি। ছবি: সংগৃহীত

বড় রকমের প্রত্যাশা নিয়েই ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ৫০ ওভারের বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞে ৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটিতে জিতেছে লাল-সবুজেরা, এমনকি অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও পরাজয়ের মুখ দেখেছে টাইগাররা। শুধু আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পেরেছে সাকিব-শান্তরা। এরমধ্যে লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে।

এদিকে বিশ্বমঞ্চে এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচকদের কাঠগড়ায় অধিনায়ক, কোচ, নির্বাচকসহ দল সংশ্লিষ্ট সবাই। এমন ভরাডুবির পেছনের কারণ উৎঘাটনে গত বুধবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই মধ্যে জোরেশোরে কাজও শুরু করেছে সেই কমিটি।

ক্রিকেটারদেরও সেই কমিটির কাছে নিজেদের হতশ্রী পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ক্রিকেটার নাসুম আহমেদ। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি। এরপর বিসিএল খেলতে আবারও সেখানে ছুটেন তিনি। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, প্রধান কোচ নাকি এই স্পিনারকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও কেউই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়নি।

এর আগে, রোববার (৩ ডিসেম্বর) থেকে কাজ শুরু করেছে এই তদন্ত কমিটি। প্রথমদিন বিকেলে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিসিবি অফিসে শুরুতেই আসেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এরপর আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনকেও সেখানে দেখা যায়। তবে তাদের কেউই গণমাধ্যমে কথা বলেননি। তাদের দাবি, তদন্ত চলাকালে কথা বলা নিষেধ।

এই দুই নির্বাচকের পর সেখানে একে একে হাজির হতে থাকেন ক্রিকেটাররাও। কমিটির কাছে শুরুতে নিজের জবাব দেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। এদিন তদন্ত কমিটির সঙ্গে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজনও উপস্থিত ছিলেন।

এরপর সন্ধ্যার দিকে সেখানে আসেন ওপেনার লিটন দাস। তদন্ত কমিটির কাছে আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা করেন তারা। বের হওয়ার সময়ে এই দুই ক্রিকেটারও মুখে কুলুপ আঁটেন। এরপর ধাপে ধাপে কোচ, অধিনায়ক সবার কাছ থেকেই ব্যাখ্যা চাইবে তদন্ত কমিটি।

প্রসঙ্গত, ৩ সদস্যবিশিষ্ট বিশেষ এই কমিটিতে আছেন এনায়েত হোসেন সিরাজ, মাহবুব আনাম ও আকরাম খান। এর মধ্যে সিরাজকে আহ্বায়ক এবং মাহবুব ও আকরামকে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অনুসরণ করুন