শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ডিলার-পাইকারদের কাছে ‘নাই’ কিন্তু অনলাইনে মিলছে চিনি

ডি০লার ও পাইকারদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে বলছে 'চিনি নাই'। কিন্তু অনলাইনে ঠিকই বেশি দামে পাওয়া যাচ্ছে। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, অনলাইন থেকে বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

সরকার এক মাসেরও বেশি আগে চিনির দাম কমিয়ে ১০৯ টাকা কেজি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু তা মিলছে না বাজারে। ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা চিনির মুখ দেখতে পাচ্ছে না। খুচরা বিক্রেতারা তারা ঈদের আগে ১১৫ টাকা বিক্রি করলেও বর্তমানে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছে। এভাবেই সিন্ডিকেট করে ভোক্তাদের কাছে বেশি দামে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের মেসার্স আমিন জেনারেল স্টোরের বাবুল বলেন, চিনি আছে। তবে বেশি দাম। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো ডিলার বা পাইকারিতে পাওয়া যায় না। মোকাম ডটকম নামে এক প্রতিষ্ঠান থেকে মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ চিনি বেশি দামে ৬৩০০ টাকা বস্তা (১২৬ টাকা কেজি) কেনা হয়েছে। তাই ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

এভাবে বেশি দামে বিক্রি করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কি করব ব্যবসা তো করতে হবে। ডিলার বা পাইকারিতে পাওয়া যায় না। তাই যেখানে পাই সেখান থেকেই আসি। ক্রেতাদের ধরে রাখতে হবে।

তার কথা মোতাবেক মোকাম ডটকম এ যোগাযোগ করা হলেও সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গোড়া (মিল) থেকেই চিনির দাম বাড়ানো হচ্ছে। তারপরও পাওয়া যাচ্ছে না। মিল থেকে ডিলাররা না পেলে ভোক্তাদের কাছে কিভাবে বিক্রি করব। যে যেভাবে পারছে ভোক্তাদের পকেট থেকে বাড়তি টাকা তুলে নিচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামের ব্যাপারে একে অপরকে দোষারোপ করলেও কেউ দায় স্বীকার করছেন না।

রাজধানীর কারওয়ানবাজার, কৃষিমার্কেট, টাউনহল, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন বাজারে গেলে ঈদের পরে বিভিন্ন পণ্যের বাড়তি দামের এমনই চিত্র দেখা গেছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় সরকার গত ৮ এপ্রিল থেকে পরিশোধিত খোলা চিনির কেজিতে ৩ টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা এবং প্যাকেট চিনির দামও ৩ টাকা কমিয়ে ১০৯ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সরকার ঘোষণা করলেও বাস্তবে বাজারে তার উল্টো চিত্র।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো কম দামে চিনি পাইনি। বরং চিনির দাম বাড়িয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি খোলা চিনির কেজি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত ১১২ টাকা কেজি করা হয়েছিল। সেই দামেও পাওয়া যায় না। মিলমালিকরা রমজান মাসকে টার্গেট করে কারসাজি করে আটকে রাখে। তাই ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা কোনো চিনি পাচ্ছে না। ঈদের আগে ১১২ টাকা পেলেও বর্তমানে বাজারে সহজে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ অনলাইনে ঠিকই পাওয়া যাচ্ছে।

চিনি আছে কিনা জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মেঘনা গ্রুপের ডিলার মেসার্স জামান ট্রেডার্সের মো. জামাল হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ঈদের ৫ দিন আগে থেকে কোনো চিনির মুখ দেখিনি। ১১২ টাকা রেটে সর্বশেষ চিনি পেয়েছি। টাকা দেওয়া আছে। তারপরও কোনো রেটেই দিচ্ছে না। চিনিও পাচ্ছি না। কবে পাব মিল থেকে তাও জানাচ্ছে না।

জামাল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা কোনো ব্যবসা না। দোকান খুলে বসে আছি। টাকা দেওয়ার পরও মাল পাচ্ছি না। কিন্তু খরচ তো থেমে নেই। এভাবে লোকসান গুনে আর কতো দিন চলব? এমন কি হয়েছে, যে সরকারও এর সমাধান করছে না?

শুধু এই ডিলারই নয়, কারওয়ান বাজারের সিটি গ্রুপের ডিলার এটুআই এন্টারপ্রাইজের জসিমও বলেন, ১৫ রোজার পর থেকে চিনি নেই। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোড়ায় খোজ নেন। কেন দিচ্ছে না, তাদের বলেন। তারা দিলেই আমরা বিক্রি করতে পাবর। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বশেষ ১১০ টাকা কিনে ১১২ টাকা কেজি বিক্রি করা হয়েছে। এভাবে ব্যবসা হয় না।

শুধু এই পাইকারি ব্যবসায়ীদের নয়, কৃষিমার্কেট, টাইনহলের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যেও দেখা গেছে চরম ক্ষোভ। কৃষিমার্কেটের সিটি এন্টারপ্রাইজের আবু তাহেরসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী এবং টাউনহলের মনির জোনারেল স্টোরের আনোয়ারসহ অন্যান্য খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, চিনি নাই নাই বলতে বলতে মুখ ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। কোম্পানি থেকেই বেশি দাম নিচ্ছে। কিন্তু আমরা জরিমানার ভয়ে তা বিক্রি করছি না।

এ ব্যাপারে কারওয়ান বাজারের ইয়াসিন স্টোরের রফিক বলেন, চিনি নাই বলতে বলতে মুখের ফ্যানা উঠে গেছে। তারপরও পাচ্ছি না। কারণ বেশি দামে কিনে জরিমানা খেতে চাই না। ম্যাজিস্ট্রেট প্রায় ঘুরে দেখে। অনেককে জরিমানাও করেছে। শুধু এই দোকানই নয়, অন্যান্য ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এভাবে আর কতকাল চলবে। রমজান শেষ। তারপরও চিনি পাওয়া যায় না।

আসল তথ্য জানতে মেঘনা গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা শফিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় কোনো মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। পরে প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক মো. তসলিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

'যেহেতু মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ চিনিই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই আপনার মন্তব্য জানতে চাই।' এমন প্রশ্নের উত্তরে তসলিম উদ্দিন বলেন, কোথা থেকে এই চিনি বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছে আমি কিছুই জানি না। পারলে তাদের ধরিয়ে দিন। এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

তসলিম উদ্দিনের কথা মোতাবেক সংগঠনটির সভাপতি গোলাম মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।

সিটি গ্রুপের তীর চিনি কোনো বাজারে নির্ধারিত দামে পাওয়া যাচ্ছে না তা জানতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে ফোনে বার্তা দেওয়া হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

শুধু চিনির দামই বেশি না রমজান মাসে খেজুরের ব্যাপক চাহিদার কারণে যে বেশি দাম ঈদের পরও সেই দামে বিক্রি করা হচ্ছে, একটুও কমেনি বলে জানান সজিব এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার সজিব।

আরইউ/এএস

Header Ad

স্বর্ণের দাম আরও কমলো

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও কিছুটা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সবচেয়ে ভালোমানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম (প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম) ৬৩০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা।

শনিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা এ দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে ভালোমানের সোনা প্রতি ভরি (২২ ক্যারেট) বিক্রি হবে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকায়। ১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে এক লাখ ৮ হাজার ২৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯২ হাজার ৪০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভরি দুই হাজার ১০০ টাকা।

এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভরিতে ভরি স্বর্ণের দাম ৬৩০ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬০ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস । এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮ হাজার ৪০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ৯১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ৮০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

চলতি বছর এ নিয়ে ১৪ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস।

আজও দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

৪২.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। আজও বিকেল ৩ টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, দুপুর ৩ টা পর্যন্ত সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও জানান, বাতাসের আদ্রর্তা বেশি অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। এখন এ জেলায় অতি তাপদাহ চলছে। আরো ৪/৫ দিন এ অবস্থা থাকতে পারে। এরপর মে মাসের কালবৈশাখি ঝড় ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

তীব্র তাপপ্রবাহে অস্থির হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। দু’দিন পর আবারও এ জেলায় তাপমাত্রার তীব্রতা বেড়ে গেছে। দু’দিনে এ জেলায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে।

এরআগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় মওসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র থেকে এ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ। তীব্র রোদ আর রোদে আগুনের ফুলকির মতো তেজ যেন মরুভূমির তাপমাত্রা। অতি তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণীকুল।

তীব্র তাপপ্রবাহে অস্থির হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

তীব্র রোদের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অনাহারে দিন পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ড পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে  রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

এদিকে অতি তীব্র তাপদাহে রবিবার থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এ জেলার অভিভাবকরা। যেখানে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ চলতি তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুদের অতি উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে। সেখানে স্কুলগুলো চলমান তাপপ্রবাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য সরকারের অনুরোধ জানিয়েছে এ জেলার অভিভাবকরা।

মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের সিনেমা

মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের সিনেমা নির্বাণ। ছবি: সংগৃহীত

মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘নির্বাণ’।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) উৎসবের শেষ দিন মস্কোতে সিনেমাটির নির্মাতা আসিফ ইসলাম এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

আগেই জানা গেছে, বিশ্বের মর্যাদাসম্পন্ন এই উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘নির্বাণ’। উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে অংশ নিতে এবং প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকতে মস্কো চলে গিয়েছিলেন পরিচালক আসিফ ইসলাম ও অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি। পরবর্তীতে উৎসবের শেষের দুইদিন আগেই দেশে ফিরে আসেন অভিনেত্রী। তবে শেষ অবধি সব আয়োজনেই হাজির ছিলেন আসিফ।

পুরস্কার হাতে ‘নির্বাণ’ সিনেমাটির নির্মাতা আসিফ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আসরের এই অর্জন নিয়ে গণমাধ্যমকে আসিফ ইসলাম বলেন, এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার সিনেমার মধ্যে অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নিয়েছে মাত্র ১১টি সিনেমা। সেই সিনেমার মধ্যে আমাদের সিনেমাটি স্পেশাল জুরি পুরস্কার জিতেছে। আমাদের সিনেমার নাম ঘোষণার পর আমি চমকে উঠি। পুরস্কার হাতে নেওয়ার পরও একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। স্বপ্নের মতো লাগছে।

মস্কোর আসরে ‘নির্বাণ’ সিনেমাটির দুইটি শো হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে নির্মাতা জানান, শুরু থেকেই উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে থাকা সিনেমাগুলো নিয়ে মস্কোর দর্শক ও সমালোচকদের অন্যরকম আগ্রহ লক্ষ্য করেছি। আমার দুটি শো ছিলো হাউজফুল। সিনেমাটি দেখার পর সাধারণ দর্শক থেকে বোদ্ধা শ্রেণির এতো এতো প্রশংসা পেয়েছি, সেই অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব নয়।

মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে মস্কোতে নির্বাণের পুরস্কার পাওয়ার খবরে সিনেমাটির অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি বলেন, আমি ভীষণ আনন্দিত। নির্বাণের পেছনে আমরা যে শ্রম দিয়েছে সেটা সার্থক হলো। মস্কো উৎসবের প্রথম দিনেই লাল গালিচায় হেঁটেছেন নজর কেড়েছিলেন এই অভিনেত্রী।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৪১তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘শনিবার বিকাল’ ছবিটি। সেবার দুটি ইনডিপেনডেন্ট জুরি পুরস্কার পেয়েছে ‘শনিবার বিকাল’ ছবিটি; রাশান ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস জুরি পুরস্কার আর অন্যটি কমেরসান্ত পুরস্কার।

সর্বশেষ সংবাদ

স্বর্ণের দাম আরও কমলো
আজও দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের সিনেমা
বনানীতে সড়কের মাঝে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন
টাঙ্গাইলে ইসতিসকার নামাজ শেষে মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল তিন বিদেশি শক্তি: জিএম কাদের
উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে দেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা: রিজভী
চিফ হিট অফিসার একটি টাকাও বেতন নেন না: মেয়র আতিক
বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস
বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৩ জনের
সরকারি স্কুল খুলছে রোববার, শ্রেণি কার্যক্রম চলবে যেভাবে
শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় নওগাঁয় ইসতিসকার নামাজ
জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে তিন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ
ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করে এইডসে আক্রান্ত ৩ নারী
ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
কোটি টাকার মাদকসহ সংগীত শিল্পী এনামুল কবির গ্রেপ্তার
টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে কলকাতাকে হারাল পাঞ্জাব
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় ভ্যানের ৩ আরোহী নিহত
গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ, তাপপ্রবাহ ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা
গাজার ধ্বংসস্তূপ সরাতে ১৪ বছর লাগতে পারে: জাতিসংঘ