মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ডিলার-পাইকারদের কাছে ‘নাই’ কিন্তু অনলাইনে মিলছে চিনি

ডি০লার ও পাইকারদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে বলছে 'চিনি নাই'। কিন্তু অনলাইনে ঠিকই বেশি দামে পাওয়া যাচ্ছে। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, অনলাইন থেকে বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

সরকার এক মাসেরও বেশি আগে চিনির দাম কমিয়ে ১০৯ টাকা কেজি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু তা মিলছে না বাজারে। ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা চিনির মুখ দেখতে পাচ্ছে না। খুচরা বিক্রেতারা তারা ঈদের আগে ১১৫ টাকা বিক্রি করলেও বর্তমানে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছে। এভাবেই সিন্ডিকেট করে ভোক্তাদের কাছে বেশি দামে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের মেসার্স আমিন জেনারেল স্টোরের বাবুল বলেন, চিনি আছে। তবে বেশি দাম। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো ডিলার বা পাইকারিতে পাওয়া যায় না। মোকাম ডটকম নামে এক প্রতিষ্ঠান থেকে মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ চিনি বেশি দামে ৬৩০০ টাকা বস্তা (১২৬ টাকা কেজি) কেনা হয়েছে। তাই ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

এভাবে বেশি দামে বিক্রি করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কি করব ব্যবসা তো করতে হবে। ডিলার বা পাইকারিতে পাওয়া যায় না। তাই যেখানে পাই সেখান থেকেই আসি। ক্রেতাদের ধরে রাখতে হবে।

তার কথা মোতাবেক মোকাম ডটকম এ যোগাযোগ করা হলেও সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গোড়া (মিল) থেকেই চিনির দাম বাড়ানো হচ্ছে। তারপরও পাওয়া যাচ্ছে না। মিল থেকে ডিলাররা না পেলে ভোক্তাদের কাছে কিভাবে বিক্রি করব। যে যেভাবে পারছে ভোক্তাদের পকেট থেকে বাড়তি টাকা তুলে নিচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামের ব্যাপারে একে অপরকে দোষারোপ করলেও কেউ দায় স্বীকার করছেন না।

রাজধানীর কারওয়ানবাজার, কৃষিমার্কেট, টাউনহল, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন বাজারে গেলে ঈদের পরে বিভিন্ন পণ্যের বাড়তি দামের এমনই চিত্র দেখা গেছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় সরকার গত ৮ এপ্রিল থেকে পরিশোধিত খোলা চিনির কেজিতে ৩ টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা এবং প্যাকেট চিনির দামও ৩ টাকা কমিয়ে ১০৯ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সরকার ঘোষণা করলেও বাস্তবে বাজারে তার উল্টো চিত্র।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো কম দামে চিনি পাইনি। বরং চিনির দাম বাড়িয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি খোলা চিনির কেজি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত ১১২ টাকা কেজি করা হয়েছিল। সেই দামেও পাওয়া যায় না। মিলমালিকরা রমজান মাসকে টার্গেট করে কারসাজি করে আটকে রাখে। তাই ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা কোনো চিনি পাচ্ছে না। ঈদের আগে ১১২ টাকা পেলেও বর্তমানে বাজারে সহজে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ অনলাইনে ঠিকই পাওয়া যাচ্ছে।

চিনি আছে কিনা জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মেঘনা গ্রুপের ডিলার মেসার্স জামান ট্রেডার্সের মো. জামাল হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ঈদের ৫ দিন আগে থেকে কোনো চিনির মুখ দেখিনি। ১১২ টাকা রেটে সর্বশেষ চিনি পেয়েছি। টাকা দেওয়া আছে। তারপরও কোনো রেটেই দিচ্ছে না। চিনিও পাচ্ছি না। কবে পাব মিল থেকে তাও জানাচ্ছে না।

জামাল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা কোনো ব্যবসা না। দোকান খুলে বসে আছি। টাকা দেওয়ার পরও মাল পাচ্ছি না। কিন্তু খরচ তো থেমে নেই। এভাবে লোকসান গুনে আর কতো দিন চলব? এমন কি হয়েছে, যে সরকারও এর সমাধান করছে না?

শুধু এই ডিলারই নয়, কারওয়ান বাজারের সিটি গ্রুপের ডিলার এটুআই এন্টারপ্রাইজের জসিমও বলেন, ১৫ রোজার পর থেকে চিনি নেই। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোড়ায় খোজ নেন। কেন দিচ্ছে না, তাদের বলেন। তারা দিলেই আমরা বিক্রি করতে পাবর। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বশেষ ১১০ টাকা কিনে ১১২ টাকা কেজি বিক্রি করা হয়েছে। এভাবে ব্যবসা হয় না।

শুধু এই পাইকারি ব্যবসায়ীদের নয়, কৃষিমার্কেট, টাইনহলের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যেও দেখা গেছে চরম ক্ষোভ। কৃষিমার্কেটের সিটি এন্টারপ্রাইজের আবু তাহেরসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী এবং টাউনহলের মনির জোনারেল স্টোরের আনোয়ারসহ অন্যান্য খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, চিনি নাই নাই বলতে বলতে মুখ ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। কোম্পানি থেকেই বেশি দাম নিচ্ছে। কিন্তু আমরা জরিমানার ভয়ে তা বিক্রি করছি না।

এ ব্যাপারে কারওয়ান বাজারের ইয়াসিন স্টোরের রফিক বলেন, চিনি নাই বলতে বলতে মুখের ফ্যানা উঠে গেছে। তারপরও পাচ্ছি না। কারণ বেশি দামে কিনে জরিমানা খেতে চাই না। ম্যাজিস্ট্রেট প্রায় ঘুরে দেখে। অনেককে জরিমানাও করেছে। শুধু এই দোকানই নয়, অন্যান্য ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এভাবে আর কতকাল চলবে। রমজান শেষ। তারপরও চিনি পাওয়া যায় না।

আসল তথ্য জানতে মেঘনা গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা শফিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় কোনো মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। পরে প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক মো. তসলিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

'যেহেতু মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ চিনিই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই আপনার মন্তব্য জানতে চাই।' এমন প্রশ্নের উত্তরে তসলিম উদ্দিন বলেন, কোথা থেকে এই চিনি বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছে আমি কিছুই জানি না। পারলে তাদের ধরিয়ে দিন। এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

তসলিম উদ্দিনের কথা মোতাবেক সংগঠনটির সভাপতি গোলাম মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।

সিটি গ্রুপের তীর চিনি কোনো বাজারে নির্ধারিত দামে পাওয়া যাচ্ছে না তা জানতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে ফোনে বার্তা দেওয়া হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

শুধু চিনির দামই বেশি না রমজান মাসে খেজুরের ব্যাপক চাহিদার কারণে যে বেশি দাম ঈদের পরও সেই দামে বিক্রি করা হচ্ছে, একটুও কমেনি বলে জানান সজিব এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার সজিব।

আরইউ/এএস

Header Ad
Header Ad

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আট গাড়ির সংঘর্ষ, আহত ১৫

ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসসহ আটটি যানবাহনের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতলী থেকে আমিরাবাদ মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে। এরপর আরেকটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে একটি মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। একইভাবে অন্যান্য যানবাহনও একটির সঙ্গে আরেকটি ধাক্কা খায়।

দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনের মধ্যে চারটি বাস, দুটি ট্রাক, একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকার রয়েছে। এতে যাত্রীদের গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া না গেলেও যানবাহনগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আহতদের তাৎক্ষণিক পরিচয় পাওয়া যায়নি, তবে ১৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি নুরুল আফসার জানান, ঢাকামুখী লেনে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কুয়াশার কারণেই এসব দুর্ঘটনা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে সড়ক থেকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো সরানোর কাজ চলছে। যানজট না থাকলেও ধীরগতি রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘন কুয়াশার সময় গাড়িচালকদের আরও সতর্ক থাকা জরুরি। বিশেষ করে গতি কমিয়ে চালানো ও হেডলাইট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রামে হাসনাত আব্দুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামের সমন্বয়করা কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশ। তাদের অভিযোগ, প্রকৃত আন্দোলনকারীদের বাদ দিয়ে নারী হেনস্তায় অভিযুক্ত, কিশোর গ্যাং সদস্য ও ব্যবসায়ীদের কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘এই কমিটি বাতিল করতে হবে। যদি বাতিল না হয়, তাহলে হাসনাত আব্দুল্লাহ চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত হবেন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের একাংশের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী সিয়াম ইলাহি, জুবাইর মানিক ও আব্দুল বাছির নাঈম। তারা বলেন, ‘যারা আন্দোলনে মাঠে ছিল, তাদের বাদ দিয়ে সুবিধাভোগীদের নেতৃত্বে বসানো হয়েছে। আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। আমরা এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করছি এবং পদত্যাগ করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়করা অভিযোগ করেন, ‘নারী হেনস্তায় অভিযুক্ত ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। অথচ আমরা কেন্দ্রের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। তদন্তের আশ্বাস দিলেও এখনো তা করা হয়নি। উল্টো তাদেরই নেতৃত্বে বসানো হয়েছে।’

সিয়াম ইলাহি বলেন, ‘এই কমিটির মাধ্যমে আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে বেঈমানি করা হয়েছে। যারা রক্ত দিয়েছে, যারা আহত হয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে উড়ে এসে জুড়ে বসাদের কমিটিতে বসানো হয়েছে।’

জুবাইর মানিক বলেন, ‘আন্দোলনের সময় যারা পাশে ছিল না, তারাই এখন নেতা সেজেছে। অথচ আহতদের পাশে যারা ছিল, তারা মূল্যায়নই পায়নি। এটা শহীদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’

আব্দুল বাছির নাঈম বলেন, ‘বিচার ও আহতদের পাশে থাকা কর্মীদের মূল্যায়ন না করে যারা চাঁদাবাজি করেছে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে, তাদেরই কমিটিতে বসানো হয়েছে। এটি চট্টগ্রামের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না।’

তিন দফা দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ‘যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে চট্টগ্রামে কঠোর আন্দোলন হবে। এর দায়ভার হাসনাত আব্দুল্লাহকেই নিতে হবে।’

তাদের দাবিগুলো হলো— বিকেল ৩টার মধ্যে নতুন কমিটি বাতিল করে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করতে হবে। তিন দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। কমিটি গঠনের সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়করা আরও বলেন, ‘বীর চট্টলায় অন্যায় কমিটি টিকবে না। আন্দোলনকারীদের বঞ্চিত করলে আমরা রাজপথে নামবো।’

এর আগে, সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর ৩১৫, জেলা উত্তরে ১১২, জেলা দক্ষিণে ৩২৭ সহ মোট ৭৫৪ সদস্যবিশিষ্ট তিনটি কমিটির অনুমোদন দেয়। এরপর থেকেই নতুন কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

Header Ad
Header Ad

ক্ষমতার থাকার খায়েশ থাকলে পদ ছেড়ে নির্বাচনে আসুন: মির্জা ফখরুল

যশোর টাউন হল ময়দানে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন মির্জা ফখরুল। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপদেষ্টা পরিষদকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘ক্ষমতার খায়েস থাকলে পদত্যাগ করে দল করে নির্বাচন করুন।

আমাদের কোন‌কিছু লুকোছাপা নেই। জনগণ আমাদের সাথে আছে। এ দেশের মানুষ সংস্কার কি বুঝে না। তারা শান্তি ও সুশাসন চায়।’

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি‌ সহনীয় পর্যায়ে রাখা, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘জাতীয় সরকার নির্বাচনের আগে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিলে আওয়ামী লীগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। প্রবলেম শুরু হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’

সভায় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘সংস্কারের নাম করে মানুষের অধিকার পিছিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়ায় মানুষ অন্য কিছুর গন্ধ পায়। সংস্কার করবে জনগণ ও তাদের প্রতিনিধিরা। নির্বাচনের জন্য যেটুকু সংস্কার দরকার সেটা করে নির্বাচন দিন।’

তিনি ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি দায়িত্ব নেয়ায় আশ্বস্ত হয়েছিলাম। আমরা আশাবাদী আপনি দ্রুত নির্বাচন দেবেন। যত দ্রুত নির্বাচন দেবেন, তত দ্রুত দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যশোর খুলনা অঞ্চলে পাটকল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা বড় সমস্যা নিরসন করা হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এর স্থায়ী সমাধান করা হবে।’

সভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সাবেক দফতর সম্পাদক মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আট গাড়ির সংঘর্ষ, আহত ১৫
চট্টগ্রামে হাসনাত আব্দুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
ক্ষমতার থাকার খায়েশ থাকলে পদ ছেড়ে নির্বাচনে আসুন: মির্জা ফখরুল
পানিবণ্টন নিয়ে প্রতিবেশী দেশ অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করছে: তারেক রহমান
পরিবর্তন হচ্ছে র‍্যাবের নাম: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অতীতের মত এবারও যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন করা হবে : ফারুকী
পলকের স্ত্রীর ২৮ বিঘা জমি ক্রোক, ১৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সানীর অকাল মৃত্যুতে নাটকের সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন
প্রজ্ঞাপন জারি করে অবশেষে পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থী-ছাত্রদল সংঘর্ষ চলছে, আহত অন্তত ১০
আজহারুলের মুক্তি ও নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার দাবীতে নওগাঁয় জামায়াতের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে ৪ লাশ উদ্ধার, যা জানা গেল
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত: আসিফ মাহমুদ
ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে রিয়াদে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
ফেসবুকে হরতাল ডেকে কোথাও নেই আওয়ামী লীগ! (ভিডিও)
ইডেনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেত্রী বৈশাখি আটক
খালেদা জিয়া হবেন রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী: বিএনপি নেতা লালু
আইনি প্রক্রিয়া মেনেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা করা হয়েছিল: উপদেষ্টা
বিয়ে ছাড়াই ২৩ বছর বয়সে মা হয়েছেন শ্রীলীলা!
৭ মাসের সাজা থেকে বাঁচতে পালিয়ে ১০ বছর, অবশেষে গ্রেপ্তার