ইয়ামালের নৈপুণ্যে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

ছবি: সংগৃহীত
লা লিগার মঞ্চে ফের চ্যাম্পিয়নের মুকুট উঠল বার্সেলোনার মাথায়। আর সেই সাফল্যের নায়ক, কে আর-ই বা হতে পারেন—লামিন ইয়ামাল। তরুণ এই উইঙ্গারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিয়লকে ২-০ গোলে হারিয়ে মৌসুমের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ট্রফি ঘরে তুলল কাতালানরা।
ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ইয়ামাল দারুণ এক বাঁকানো শটে জালের দেখা পান। এরপর যোগ করা সময়ের (৯৫ মিনিট) এক আক্রমণে তার পাস থেকেই ফেরমিন লোপেজ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। প্রতিপক্ষের মাঠে এই জয়ে বার্সার পয়েন্ট দাঁড়ায় ৮৬, যা দ্বিতীয়স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৭ পয়েন্ট বেশি। হাতে আছে মাত্র দুই ম্যাচ—ফলে শিরোপা এখন নিশ্চিতভাবেই বার্সেলোনার।
বার্সার জন্য এ ছিল ঘরোয়া ট্রেবল নিশ্চিত করার ম্যাচ। জানুয়ারিতে সৌদি আরবে স্প্যানিশ সুপার কাপ, মে মাসের শুরুতে কোপা দেল রে—এবার লা লিগা। তবে ইউরোপ সেরার মঞ্চে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় অধরাই রয়ে গেল ফ্লিকের তরুণ বাহিনীর।
প্রতিপক্ষ এস্পানিয়লের মাঠে ঠিক এক বছর আগেও লিগ শিরোপা নিশ্চিত করেছিল বার্সা। তখন ক্ষুব্ধ এস্পানিয়ল সমর্থকরা মাঠে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল। এবারও কিছুটা উত্তেজনা দেখা গেল—ম্যাচ শেষে পানি ছুড়ে দেওয়া হলো বার্সা খেলোয়াড়দের দিকে, তবে তারা দ্রুত মাঠ ছাড়েন।
প্রথমার্ধে যদিও বার্সা বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। বরং এস্পানিয়লই বিপদজনক হয়ে উঠেছিল পাল্টা আক্রমণে, যেখানে তাদের একটি শট রুখে দেন গোলরক্ষক শেজনি।
শেষদিকে ম্যাচ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন ইয়ামালকে কনুই দিয়ে আঘাত করে লাল কার্ড দেখেন এস্পানিয়লের লিয়ান্দ্রো কাবরেরা। দশজনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা, কিন্তু তাতেও তারা লড়াই থামায়নি। তবে লোপেজের গোলেই তাদের প্রত্যাশার অবসান ঘটে।
এই শিরোপা গত ছয় বছরে বার্সার দ্বিতীয় লা লিগা জয়। এবারের সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে ক্লাবের তরুণ খেলোয়াড়েরা। বিশেষ করে ১৬ বছর বয়সী লামিন ইয়ামাল, যিনি মৌসুমজুড়েই বার্সার আক্রমণের প্রাণভোমরা হয়ে খেলেছেন। রিয়াল মাদ্রিদ ও আতলেতিকোর মতো বড় দলের বিপক্ষে গোল করার পর এবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি।
