শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

১২তম সন্তানের বাবা হলেন ইলন মাস্ক

ছবি: সংগৃহীত

আবারও বাবা হলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের অন্যতম স্পেসএক্স এবং টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। তবে বাবা হওয়ার এই খবরটি লুকিয়ে রাখছেন তিনি। ২০২২ সালের জুলাইয়ে জানা যায়, নিউরোলিঙ্কে তার সহকর্মী শিভন জিলিসের গর্ভে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মাস্ক। এবার ওই সহকর্মীর গর্ভেই আরও এক সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এই ধনকুবের।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে ইলন মাস্ক ও শিভন জিলিস দম্পতির তৃতীয় সন্তানের জন্ম হয়। এ নিয়ে ৫২ বছর বয়সি ইলনের মোট সন্তানের সংখ্যা দাঁড়াল ১২।

শিভন জিলিস নিউরালিংকের অপারেশন এবং বিশেষ প্রকল্পগুলোর পরিচালক। এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে তাদের ঘরে যমজ সন্তান স্ট্রাইডার ও অ্যাজুরের জন্ম হয়। এছাড়া, প্রথম ও প্রাক্তন স্ত্রী জাস্টিন উইলসনের সাথে ছয়টি সন্তান এবং প্রাক্তন প্রেমিকা গ্রিমসের (আসল নাম ক্লেয়ার বাউচার) সাথে তিনটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি।

মাস্ক এবং উইলসন ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিবাহিত ছিলেন। তাদের যমজ সন্তান ২০ বছর বয়সি ভিভিয়ান ও গ্রিফিন এবং ১৮ বছর বয়সি তিন সন্তান কাই, স্যাক্সন ও ড্যামিয়ান রয়েছে। মাস্কের প্রথম সন্তান নেভাডা আলেক্সান্ডারের জন্ম হয়েছিল ২০০২ সালে। তবে ১০ সপ্তাহ বয়সে সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিন্ড্রোমে (এসআইডিএস) তার মৃত্যু হয়।

২০১৮ সালে গ্রিমসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মাস্ক। ২০২১ সালের মে মাসে তাদের ছেলে এক্স এ-এক্সআইআই জন্মগ্রহণ করে। এক বছর পরে, সারোগেটের মাধ্যমে তাদের মেয়ে এক্সা ডার্ক সিডেরেল জন্মগ্রহণ করে। ইলনকে নিয়ে লেখা আইজ্যাকসনের বায়োগ্রাফি বই অনুসারে, মাস্ক এবং গ্রিমসের ২০২২ সালে সম্পর্কের ইতি ঘটলেও, তাদের টেকনো মেকানিকাস নামে আরও একটি ছেলে রয়েছে।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, গ্রিমস এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) লিখেছিলেন, তিনি চান যে তিনি যাতে দেখাতে পারেন তার ছোট্ট টেকনো কতটা সুন্দর, তবে তার অগ্রাধিকার এখন তার বাচ্চাদের জনসাধারণের দৃষ্টি থেকে দূরে রাখা। এ সময় তাদের গোপনীয়তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে ইলন মাস্ক বিয়ে করেছেন দুটি। তার সাবেক স্ত্রী কানাডার লেখিকা জাস্টিন উইলসন। এই দম্পতির রয়েছে পাঁচ সন্তান। আর দ্বিতীয় স্ত্রী কানাডার গায়িকা গ্রিমসের সঙ্গে দুটি সন্তান রয়েছে তার।

Header Ad
Header Ad

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা

উমামা ফাতেমা। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ থেকে সরে দাঁড়ালেন সংগঠনটির পরিচিত মুখ উমামা ফাতেমা। শনিবার (২৮ জুন) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

পাঠকদের জন্য উমামা ফাতেমার ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হয়েছে গত পরশু। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সাথে আমার আনুষ্ঠানিক যাত্রা এখানেই শেষ হলো। এনসিপি নামক রাজনৈতিক দলটি গঠনের পর আমি জুলাইয়ের অসমাপ্ত কাজগুলো করার দায়বদ্ধতা থেকে এই ব্যানার নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু দলীয় লেজুড় ও প্রেসক্রিপশনের বাইরে এই ব্যানারটি স্বাধীনভাবে কাজ করলে অনেকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ত। তাই আমার উপর অনলাইন, অফলাইনে ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করা হয় যাতে আমি এই ব্যানার নিয়ে কাজ না করি। আমি পুরা বিষয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই একটা Goodwill থেকে ব্যানারকে সচল করার চেষ্টা করেছিলাম। পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আমার আলাদা করে বলার কিছু নেই। যে মানুষগুলার সাথে আমি পাশে দাঁড়ায়ে মিটিং করছি, মিছিল করছি তারাই পরিকল্পিতভাবে জুনিয়রদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে Smear campaign চালায়।’

‘মানুষ বাইরে যত ভালো সাজার চেষ্টা করুক ভিতর থেকে কতটা ছোটলোক হতে পারে আমি হাড়ে হাড়ে টের পাই ঐ সময়গুলাতে। এই সো কল্ড সহযোদ্ধারা মানুষকে টিস্যু পেপারের মতো ব্যবহার করে, প্রযোজনা শেষ হলে ছুঁড়ে ফেলতে এক মুহূর্তও লাগে না। আমি মার্চ-এপ্রিল মাসে এই প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি পোকার মতো ভিতর থেকে প্ল্যাটফর্মকে সুবিধাবাদীরা খেয়ে ফেলেছে। হ্যাঁ, আমি বলব বিভিন্ন শাখা কমিটিতে অনেক Goodwill এর মানুষ ছিল, যারা পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে কমিটিতে আসছিল। চেষ্টা করছে কাজ করার। কিন্তু তারাও এই সুবিধাবাদীদের কাছে জায়গা করতে পারেনি। আমার সাথে অনেকের কথা হয় এখনো। ব্যক্তিগত জায়গা থেকে চেষ্টা করি সাজেশন দেয়ার, হেল্প করার। জুলাই অভ্যুত্থানের মতো এত বড় ইভেন্ট দেখার পর চোখের সামনে সবকিছু ভেঙে পড়তে দেখাটা অনেক অনেক কঠিন। পরবর্তীতে আমার বন্ধু, শুভানুধ্যায়ীদের সাথে পরামর্শ করে এই ব্যানার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। বৈষম্যবিরোধী ব্যানারের থেকে সরাসরি পদত্যাগ না করলেও এই ব্যানারের সাথে কার্যত সম্পর্কছিন্ন করি গত এপ্রিল-মে মাসে। প্ল্যাটফর্ম থেকে Empowering our Fighters নিয়ে কাজে মনোযোগ দিই। বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল, সেসবে মনোযোগ দিই। অনেকবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পদত্যাগ করব।একটা পদত্যাগপত্র লিখে আর জমা দিইনি। পারি নাই আসলে। রাজনৈতিকভাবে ভাবলে পদত্যাগ করে আসাটা সবথেকে সহজ। কিন্তু আমি তো মানুষ, অনেক কঠিন, অভ্যুত্থানের কারণে পারি নাই। আমি এই প্ল্যাটফর্মে তো দেশ সংস্কার করতে আসছিলাম। কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি করতে তো আসি নাই এখানে।’

‘জেলা, উপজেলার অনিয়মের খবর আসত শুধু, সাংবাদিকদের কল আসত। আমি পরিষ্কার করে বলেছি যারা এই কমিটিগুলো দিয়েছে তাদের আপনারা কেন জিজ্ঞেস করেন না? যাদের সাইনে কমিটি হচ্ছে তাদের মুখের সামনে মাইক ধরেন না কেন?! এই কমিটিগুলো করার সময় আমার কাছে কমপ্লেইন আসলে তো সরাসরি আমি অবজেকশনগুলো জানিয়েছি সাবেক আহ্বায়ক, সদস্য সচিবের কাছে। এনসিপি গঠনের আগে ঢালাওভাবে কমিটি ফর্ম হয়েছে। আমিসহ কয়েকজন এসব কমিটি নিয়ে অবজেকশন দিই। কোনো উত্তর আমাদের দেয়া হয়নি। মুখপাত্র হিসেবে বৈষম্যবিরোধীর পেইজের এক্সেস থাকার কথা আমার কাছে, আমার দায়িত্ব হওয়ার কথা মিডিয়া হ্যান্ডলিং। পেইজের এক্সেস দেয়া তো দূরের কথা এই পেইজ থেকে মার্চ মাসে আমার বিরুদ্ধে পর্যন্ত পোস্ট হয়েছে। আমি ব্যবস্থা নিতে চাইলে পেইজকে আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় আর নাইলে Silent treatment সহ্য করতে হয়। দিনের পর দিন হেন কোনো নোংরামি নাই যা এরা করেনি।’

‘জুলাই এর পরে এই পরিস্থিতিগুলো ডিল করতে গিয়ে মার্চ, এপ্রিল মাসে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাই। যাদের সাথে কাজ করতে চাচ্ছিলাম তারাও হেয়াররোডের আশায় তাকিয়ে থাকত। একদিকে আমার কথার সাথে তাল মেলাত, অন্যদিকে রাতেরবেলা হেয়ার রোডে গিয়ে পদ-পদবি নিয়ে বার্গেইনিং করত, সব খবর আমি পেতাম। আমি কনফ্রন্ট করলে আমাকেও বলা হত যাতে সুপ্রিম অথরিটি সাথে আমি পদ নিয়ে কথা বলে আসি। আমি সরাসরি বলি যে, আমি কেন ওদের কাছে পদ খুঁজতে যাব? ওরা আমাকে পদ দেয়ার কে? ও কোন হনু হয়ে গেছে যে আমাকে এসে তারা পদ দিবে? ওর কাছে গিয়ে পদ আনতে হলে প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করার আর মানে কি?! এসবের ভাই-ব্রাদার রাজনীতির যন্ত্রণায় বদ্ধ জলাশয়ের মতো প্ল্যাটফর্ম আটকে ছিল। আমি কাজ করতে চাইলে আমাকে করতে দিবে না। বরং পেছনে কথা ছড়ানো হতো আমি প্ল্যাটফর্মের কাউকে কাজ করতে দিচ্ছি না, কাউন্সিল আটকে রেখেছি। নেতারা তাদের জুনিয়রদের দিয়ে প্রোপাগান্ডা সার্কুলেট করে বিভিন্ন ফোরামে। পরবর্তীতে আমি সিদ্ধান্ত নিই এভাবে হয় না। নির্বাহীর যারা অবশিষ্ট ছিল তাদের জানিয়ে দিই। মুখপাত্র পরিচয়টা বাদ দিয়ে শিক্ষার্থী পরিচয়টাকে আপন করার শুরু করি। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার জানতে পারি আমি নাকি বৈষম্যের কাউন্সিল আটকে রেখেছি। অথচ সবাই জানে কাউন্সিল মন্ত্রীপাড়ায় আটকে আছে। আর আমি এই প্ল্যাটফর্মের সাথেই নাই। আমি চুপ করে ছিলাম সেটা নিয়েও একটা না একটা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছিল। আমার এত ক্ষমতা, আমি কমিটি আটকে রেখেছি। অথচ আমি শাখা কমিটি নিয়ে কোনো একশন নিতে পারিনি, ঢালাও ভাবে পেজ থেকে পোস্ট হওয়া উপজেলা কমিটিগুলোও আটকাতে পারিনি। অথচ যখন হেয়ার রোড থেকে আহ্বায়ক সিলেক্ট হলো তখন নির্বাচন হতে ২০ দিনও লাগেনি।’

সর্বশেষ আসে কাউন্সিলে ভোট দিতে যাওয়ার বিষয়টা। আমি শেষ দিন পর্যন্ত কাউন্সিলে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যারা কাজ করতে চায় তারা বেশিরভাগ এই কাউন্সিলে প্রার্থীই হওয়ারই সুযোগ পায়নি। ভোটার খুব লিমিটেড, যার মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের লোকজন সব। জুনিয়ররা ক্যাম্পাসে এসে আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে, যাতে ভোটটা দিতে যাই। স্বাভাবিকভাবেই আমি অপারগ ছিলাম। কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার ১ মিনিট আগে আমি ভোটটা দিয়ে আসি। এতটুকুই যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি চেষ্টা করছি এখান থেকে ভালো কিছু হোক। আমি ভিতর থেকে চাচ্ছিলাম এই প্ল্যাটফর্মটার অন্তত ভালো কিছু হোক। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম যেভাবে সাপের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে প্ল্যাটফর্মকে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে, এখান থেকে ভালো কিছু অসম্ভব। এই নির্বাচনে কিছু প্রার্থী ছিল যাদের কাজ করার সত্যিকার ইচ্ছা ছিল। আমি ঐ সাপোর্টটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে রাতের বেলা ফলাফলের পর দেখলাম নির্বাচনে অংশ না নেওয়া একজন এসে মেম্বার হয়ে গেছে কাউন্সিলের। এসব দেখে আমি অত্যন্ত লজ্জিত। সেই একই স্বেচ্ছাচারিতা, স্ট্যান্ডবাজি, ভাই-ব্রাদার কোরামের খেলা। এখন বোধ করি এই প্ল্যাটফর্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

অভ্যুত্থানের কথা চিন্তা করে আমি এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সকল ধরনের সমর্থন ও কাউন্সিলে প্রদত্ত ভোট প্রত্যাহার করলাম। আমি অত্যন্ত অশান্তিতে আছি। অভ্যুত্থান যেমন স্বপ্ন দেখিয়েছে, গোষ্ঠীস্বার্থে এই প্ল্যাটফর্ম একইভাবে বহু মানুষের স্বপ্ন ও সময় নষ্ট করেছে। আমি অভ্যুত্থানের স্বপ্নকে রক্ষার জন্য এই প্ল্যাটফর্মে গিয়েছিলাম। প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার আগে আমাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল আমি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারব। কিন্তু প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র হিসেবে যাওয়ার পরেই টের পাই সংস্কার, জুলাই, শহীদ, আহত এসব মুখের বুলিমাত্র। শুধু আমি না, অনেক ছাত্ররাই পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছিল। সবার সাথে শুধু ছলনা হয়েছে। যারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে, আমার সাথে নোংরামি করেছে এতগুলা মাস, অভ্যুত্থানকে বাজারদরে কেনা-বেচা করেছে তাদের আমি কখনো ক্ষমা করব না। আমি রুহের ভেতর থেকে বদদোয়া দিচ্ছি এই মোনাফেকদের। রাজনৈতিকভাবে চাইলে অনেক সুবিধা আমি নিতে পারতাম। কিন্তু পারি নাই। আসে নাই ভেতর থেকে। অনেক বেশি মানুষ মারা গেছে আসলে। এতগুলা সন্তান এতিম হয়েছে, মেয়েরা বিধবা হয়েছে, বাবা-মা সন্তানহারা হয়েছে। আমি পারি নাই এসবকে পলিটিক্যালি ক্যাশ করতে। আমি গত ৮-৯ মাসকে ঝেড়ে ফেলে সামনে আগাতে চাই। অনেক ভালো ছেলে-পেলেকে এই প্ল্যাটফর্মে আমি দেখেছি, Goodwill আছে যাদের। আমি পরামর্শ দিব আপনারা সবাই যাতে পড়ার টেবিলে মনোযোগ দেন, কাজে মনোযোগ দেন। আমিও ভেঙে পড়ছি না, গুছিয়ে আনছি সবকিছু। ফি আমানিল্লাহ।'

Header Ad
Header Ad

আল নাসরে রোনালদোর নতুন চুক্তি: ঘণ্টায় পাচ্ছেন ৬৫ লাখ টাকা, বছরে কত?

ছবি: সংগৃহীত

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সৌদি ক্লাব আল নাসরের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করলেন পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ইউরোপে ফেরার গুঞ্জনকে নস্যাৎ করে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত ক্লাবটিতে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করে আল নাসর।

ভিডিওটিতে সমুদ্রতটে হাঁটতে দেখা যায় রোনালদোকে। শেষ দৃশ্যে তার মুখে শোনা যায়—"আল নাসর ফরএভার।"

চুক্তির আর্থিক শর্তাবলি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা না হলেও, স্পেনের এএস এবং যুক্তরাজ্যের দ্য সান–এর বরাতে পাওয়া তথ্যে বোঝা যায়, এটি খেলাধুলার ইতিহাসে অন্যতম বিশাল চুক্তি।

এএস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোনালদোর নতুন বার্ষিক আয় হবে ৪৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার—যা টাকার অঙ্কে প্রায় ৫৭২০ কোটি টাকা! তার মাসিক আয় ৪৭৬ কোটি টাকারও বেশি, দৈনিক আয় প্রায় ১৫৭ কোটি টাকা। আর প্রতি ঘণ্টায় তার আয় দাঁড়ায় প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। প্রতি মিনিটে ১ লাখ ৯ হাজার ও প্রতি সেকেন্ডে রোনালদো আয় করছেন প্রায় ১,৮০০ টাকা!

দ্য সান-এর দাবি, রোনালদো আল নাসরের হয়ে গোল্ডেন বুট জিতলে পাবেন ৪০ লাখ পাউন্ড, আর ক্লাব যদি লিগ শিরোপা জেতে, মিলবে আরও ৮০ লাখ পাউন্ড বোনাস। প্রতিটি গোলেই থাকছে ৮০ হাজার পাউন্ড পুরস্কার, যা দ্বিতীয় বছরে ২০% বাড়বে।

এ ছাড়া চুক্তির আওতায় রোনালদো পেয়েছেন আল নাসরের ১৫% মালিকানা, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৩ মিলিয়ন পাউন্ড। শুধু চুক্তি সইয়ের জন্যও মিলেছে অতিরিক্ত ২৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড, যা দ্বিতীয় বছরে পৌঁছাবে ৩৮ মিলিয়নে।

সার্বক্ষণিক ১৬ জন স্টাফ—ড্রাইভার, রাঁধুনি, নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে হাউসকিপার পর্যন্ত—রাখা হয়েছে রোনালদোর জন্য। রয়েছে প্রাইভেট জেট ব্যবহারের খরচ (৪০ লাখ পাউন্ড), এবং ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের স্পনসরশিপ সুবিধাও।

এক সূত্র জানায়, “আল নাসর ও সৌদি কর্তৃপক্ষ জানে, রোনালদো শুধু একজন খেলোয়াড় নন, তিনি এই লিগের পোস্টার বয়। তাকে ধরে রাখতে হলে ‘সোনায় মোড়ানো’ প্রস্তাব দিতে হতো—আর সেটাই তারা করেছে।”

২০২২ সালের ডিসেম্বরে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর থেকে ক্লাবটির হয়ে ১০৫ ম্যাচে ৯৩ গোল করেছেন রোনালদো। গত মৌসুমে সৌদি প্রো লিগে সর্বোচ্চ ২৫ গোল করে জিতেছেন গোল্ডেন বুট।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে কাপড়, পাট ও সুতার নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে ভারত। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আর স্থলবন্দর ব্যবহার করে এসব পণ্য দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের ‘নাহভা শেভা’ সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে এসব পণ্য ভারতে আমদানি করা যাবে।

শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্তবর্তী কোনো স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য, একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়, একক শণ সুতা, ব্লিচ না করা পাটের কাপড়— এসব পণ্য আমদানি করা যাবে না। এর পরিবর্তে শুধুমাত্র নির্ধারিত সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রবেশের অনুমতি থাকবে।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির উদ্দেশ্যে ভারতের ওপর দিয়ে পরিবাহিত বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। যদিও ওইসব পণ্য ভারতে পুনরায় প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।

এর আগে গত ১৭ মে ভারত একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে। সে সময়ও বলা হয়, এসব পণ্য শুধু নাহভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়েই প্রবেশ করতে পারবে।

এছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর বিভিন্ন স্থলবন্দর এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ফল, কার্বনেটেড পানীয়, তুলার বর্জ্য, পিভিসি পণ্য, কাঠের আসবাবপত্রসহ বেশ কিছু পণ্যের আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও চূর্ণী পাথর এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা
আল নাসরে রোনালদোর নতুন চুক্তি: ঘণ্টায় পাচ্ছেন ৬৫ লাখ টাকা, বছরে কত?
বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা মারা গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন আজ
ই-অরেঞ্জ-এর সিইও ও যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ গ্রেপ্তার
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ৪
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে