শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

যেভাবে নির্মিত হল পদ্মা সেতু

দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার প্রায় চার কোটি মানুষের স্বপ্ন প্রমত্তা পদ্মার বুকে প্রথম ডানা মেলেছিল ১৯৯৮ সালে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে দেশের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে একীভূত করতে ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার অবহেলিত জনপদের মানুষের স্বপ্নের বীজ বুনে পদ্মায়।

ওই বছর দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতুর প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টায় পদ্মা নদীতে সেতুর বীজ বপন হয়। ১৯৯৯ সালের মে মাসে পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য প্রাক্-সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা (প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডি) শুরু হয়। বলা যায়, এটাই দালিলিকভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম সূত্রপাত। এ হিসাবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের যাত্রা শুরু হয় প্রায় দুই যুগ আগে।

রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কে পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ১৯৯৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তিন হাজার ৬৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছিল। ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৮ দশমিক ১০ মিটার চওড়া এই সেতুটিকে দেশের সম্ভাব্য দীর্ঘতম সেতু হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল তখন। ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে নির্মাণ কাজ শুরু করার এবং ২০০৪ সালের জুনে শেষ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রস্তাবিত অর্থের মধ্যে দুই হাজার ৬৯৩ কোটি ৫০ টাকা বিদেশি উৎস থেকে এবং সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৭৫০ কোটি টাকা জোগান দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০১ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নির্বাচনে পরাজিত হলে পদ্মা সেতু নির্মাণের সেই উদ্যোগে ভাটা পড়ে।

যদিও ২০০৩ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার জাপানের আন্তর্জাতিক সংস্থা জাইকার অর্থায়নে ২০০৩ সালের মে থেকে নতুন করে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষার কাজ শুরু করে। ওই সময়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয় মূলত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে। সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা শেষ হয়েছিল ২০০৫ সালে। পরের বছর ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশগত প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়। সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষার সময় জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোই সেতুর একটি প্রাথমিক নকশা তৈরি করে। তবে তারা জানিয়ে দেয় যে সেতু নির্মাণের আগে পূর্ণাঙ্গ নকশা প্রণয়ন করতে হবে।

কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেই উদ্যোগও আর আগায়নি। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রতি দেওয়া হয়েছিল নির্বাচিত হলে পদ্মায় সেতু নির্মাণ করা হবে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ও মহাজোট সরকার শুরুতেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে হাত দেয়।

২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ২২ দিনের মাথায় পদ্মা সেতুর পূর্ণাঙ্গ নকশা তৈরির জন্য নিউজিল্যান্ডভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মনসেল এইকমকে নিয়োগ দেওয়া হয়। শুরুতে সেতু প্রকল্পে রেল চলাচলের সুবিধা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেল সুবিধা যুক্ত করে চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নের নির্দেশনা দেন। এর মধ্যেই সরকার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়।

২০১০ সালের মধ্যে নকশা চূড়ান্ত হয়ে যায়। পরের বছর জানুয়ারিতে ডিপিপি সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে প্রথমবারের মতো প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।

শুরুতে মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছিল ৫ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার। পরে তা বৃদ্ধি করে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার করা হয়। প্রথম ডিপিপিতে সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে তিনটির নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা রেখে নকশা করা হয়েছিল। পরে ৩৭টি স্প্যানের নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলের সুযোগ রাখার বিষয়টি যুক্ত করা হয়।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা ও ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করে সরকার। কিন্তু নির্মাণকাজের তদারক করতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির কথিত অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণের প্রকল্প প্রস্তুতির শুরুতেই কথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতুর মত বৃহৎ প্রকল্প থেকে সড়ে দাঁড়ায় মূল ঋণদাতা বিশ্বব্যাংক। তার চুক্তি থেকে সড়ে যায়। এরপর অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগি ঋণ প্রদান থেকে সড়ে যায়।

বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগিদের পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সড়ে দাঁড়ানোর পর এই প্রকল্প নিয়ে অনেকটা অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এরমধ্যেই এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে আসে মালয়েশিয়ার সরকার। এ নিয়ে কিছুদিন আলোচনা চলার পর তা আর এগোয়নি।

২০১২ সালের ৯ জুলাই মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পদ্মা সেতুর জন্য অর্থ না নেওয়ার কথা জানিয়ে দেয় সরকার। এরমধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান এবং আত্মবিশ্বাসে পদ্মা সেতু নির্মাণে সব দূর হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন কোন রকম বিদেশী বা উন্নয়ন সহযোগিদের কাছ থেকে ঋণ না নিয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সেই দৃঢ় মনোবল, আত্মবিশ্বাস আর জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যোগফল হচ্ছে আজকের পদ্মা সেতু। এতোদিন যেটি স্বপ্ন ছিল, সেটি এখন বাস্তব। আজ (২৫জুন) থেকেই এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে।

পদ্মা সেতুর প্রকল্পের মূল সেতু নির্মাণের জন্য চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনকে নিযুক্ত করা হয়। পদ্মা দুই তীরে নদী শাসনের কাজ পায় আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেডকে দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণের চুক্তি দেওয়া হয়।

দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর অনিশ্চয়তাকে দুমড়ে-মুচড়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর ৬ নম্বর পিলারের পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান।

অবশ্য ২০১৪ সালে তদন্ত শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়ে দেয়, দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১৭ সালে কানাডার টরন্টোর এক আদালত জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত প্রমাণ পাননি তারা। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মত প্রমত্তা পদ্মার বুক জুড়ে এখন দৃষ্টিনন্দন ‘পদ্মা সেতু’ দেশের সক্ষমতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৪২ টি পিলারের উপর ৪১টি স্প্যানে । যে সেতু দেশের ২১ টি জেলার সকল বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির গতি বদলে যাওয়ার জানান দিচ্ছে।

 

এসএম/এনএইচবি/

প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে দেওয়া চিঠি। ছবি: সংগৃহীত

এবার কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে ২৭ বস্তা টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। এছাড়া রয়েছে মনোবাসনা পূর্ণ করতে বিভিন্ন চিরকুট। এবার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এমন একটি চিঠি পাওয়া গেছে, যেখানে একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে চিরকুট লিখেছেন।

এবার ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

দানবাক্সে জমা পড়া ওই চিরকুটে লেখা ছিলো, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি একটা মেয়েকে ভালবাসি কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালো বাসে না। আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে আল্লাহ্ তাকে যেন আমার জীবন সঙ্গী হিসাবে কবুল করেন। মেয়েটার নাম মোছাঃ সারভীন আক্তার আমার নাম সাইফুল ইসল্লাম আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে কবুল করেন।

প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে দেওয়া চিঠি। ছবি: সংগৃহীত

এমন আরেকটি চিরকুটে লেখা, আল্লাহ আমি যেন একটা মানসম্মত নাম্বার পাই একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিনতা দুর রে হয়ে যায় আল্লাহ আমার মা-বাবারে ভালো রাখে রেখ। আমি যেন রফিকুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হতে পারি।

পরীক্ষায় কাঙ্খিত নম্বর পেতে চিঠি। ছবি: সংগৃহতি

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর আজ শনিবার সকালে পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে মসজিদে দুতালা এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ পরে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি নেতা আউয়াল মিন্টু

আবদুল আউয়াল মিন্টু। ছবি: সংগৃহীত

বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে বাসায় ঘুমাতে যাওয়ার পর তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। তখন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে কি না এ সংক্রান্ত তিনটি পরীক্ষা করা হয়েছে তার। ইতোমধ্যে দুটির ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। বাকিটার রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে কী হয়েছে ৭৪ বছর বয়সী আবদুল আউয়াল মিন্টুর। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে।

দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু মাল্টিমোড গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। তার দ্রুত সুস্থতায় পরিবারের সদস্যরা সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

শ্যালক রুবেলকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক

শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে লুৎফুল হাবিব রুবেলকে টেলিফোন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন তিনি।

এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে প্রতিমন্ত্রী পলকের নির্দেশসহ একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ লুৎফুল হাবিব রুবেলকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শনিবার (২০ এপ্রিল) উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভার পর রুবেলকে প্রতিমন্ত্রী পলকের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ সংক্রান্ত লিখিতভাবে চূড়ান্ত নোটিশ রুবেলকে দেওয়া হবে। রুবেল দলীয় নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচন করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, প্রতিমন্ত্রী পলক নির্দেশ দিয়েছেন, যে ব্যক্তি তার আত্মীয় পরিচয় কাজে লাগাবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক কোনো মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়-স্বজন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না- এ কথার গুরুত্ব দিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক এই নির্দেশ দিয়েছেন লুৎফুল হাবিব রুবেলকে।

লুৎফুল হাবিব রুবেল প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক ও সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ করে মারধরের অভিযোগ ওঠায় লুৎফুল হাবীবকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া এ বিষয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলাও হয়েছে।

বিষয়টি জানতে লুৎফুল হাবিব রুবেলের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি নেতা আউয়াল মিন্টু
শ্যালক রুবেলকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক
তীব্র তাপপ্রবাহ: সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা
এক গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ ‘বংশমর্যাদা’
ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরেছে ৪০৭ প্রাণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কে কত ভোট পেলেন?
সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি
চাঁদপুরে চলন্ত লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ যাত্রীদের
গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করার নির্দেশ
ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় যা জানালেন বেনজীর আহমেদ
স্বামীর প্রশংসা করার দিন আজ
টাঙ্গাইলে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে বউ আনলেন ছাত্রলীগ নেতা
চিন্তাও করিনি মাত্র ১৬ ভোটে হারবো: নিপুণ
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে মিশা-ডিপজল
২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা