
ইভিএম মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে
২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:৫২ পিএম | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪০ পিএম

বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ একটি নতুন পদ্ধতি। বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হলেও এখনো জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়নি।
ইভেএম-এর বেশ কিছু দুর্বলতা আছে। যেমন নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক লোক ঢুকে কেউ যদি প্রতিটি কেন্দ্রে মেশিনে তাদের তৈরি করা এমন প্রোগ্রাম ইনস্টল করে দেন যে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট কোনো প্রতীকে অতিরিক্ত ভোট যুক্ত হবে তাহলে সহজেই নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়া সম্ভব।
মাইক্রোকন্ট্রোলারের প্রোগ্রাম পরিবর্তন করে কেন্দ্রের সকল প্রার্থী একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পাবার পর যেকোনো ব্যালট বাটনে চাপলেই অতিরিক্ত ভোট দখলকারী প্রার্থীর প্রতীকে যুক্ত হবে, এমন প্রোগ্রাম রাইট করেও ডিজিটাল ব্যালট ম্যানিপুলেট করা সম্ভব। নির্বাচন কর্মকর্তার স্মার্ট কার্ডের নকল করা সম্ভব হলে তা দিয়ে দলীয় প্রার্থী ইচ্ছেমত ভোট দিতে পারবে। প্রভাবশালীরা কেন্দ্র দখল করে সহজেই তাদের অগ্রিম ভোট দেওয়া ইভিএম ভোটকেন্দ্রে সরবরাহ করে কন্ট্রোল ইউনিট প্রতিস্থাপন করে ভোটসংখ্যার আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে। কোনো একটিমাত্র সংস্থার দ্বারা ভোটদান থেকে গণনা ও ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত প্রক্রিয়া যাচাই করা সম্ভব নয়। এ রকম নানবিধ দুর্বলতা আছে।
আমি বলব ইভিএম একটি যন্ত্র এবং নিম্নমানের একটি যন্ত্র, যেটি দিয়ে ভোট গণনা করা যেমন যায় তেমনি ভোট জালিয়াতিও করা যায়। ভোট কারচুপির মাধ্যমে এই জালিয়াতিটুকু করতে পারে নির্বাচন কমিশন এবং তার কর্মকর্তারা। আমি মনে করি, যদি সত্যিকার অর্থেই নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হয় তাহলে ইভিএম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এটি কোনো সমাধান হতে পারে না। আমাদের এই ভোট কারচুপির নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ইভিএম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এখানে আরও অনেক দুর্বল পয়েন্ট আছে, যার একটি হল আমাদের এখানে ওভার রাইট করা যায়।
তারমানে এখানে পোলিং অফিসার অথবা রিটার্নিং অফিসার চাপ দিয়ে অন্যের ভোট দিয়ে দিতে পারেন। তা ছাড়া, এখানে ভোট দান ডিজিটাল হলেও ভোট গণনাটি ম্যানুয়াল। কাজেই ডিজিটাল মেশিন থেকে তথ্য নিয়ে ম্যানুয়ালি গণনা করতে হয়।
কাজেই এখানে হেরফের হতে পারে, যেহেতু আমাদের সব লোকজন দলীয়। অতীতের দিকে তাকালে আমরা দেখব, গত জাতীয় নির্বাচনে ৩০ শতাংশ ভোটের হার কম ছিল। তার মানে মানুষ এভাবে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
ইভিএমকে ভোট কারচুপির যন্ত্র বলতে হবে। যারা পাহারাদার তারাই ভোট কারচুপি করতে পারে। নির্বাচন কমিশন ও তাদের কর্মকর্তারা, নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত যারা তারাই এই ভোট কারচুপি করতে পারে।
এই মেশিন কেনার জন্য প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এটি কোনভাবেই যৌক্তিক নয়। আমরা যেখানে ঋণ করে বিদেশ থেকে পয়সা কড়ি আনছি, আর সেখানে ভোট জালিয়াতিকে সহায়তা করবে, মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করবে এটি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি সম্পুর্ণ অযৌক্তিক। আমি বলব এটি দায়িত্বহীনতা ও দায়বদ্ধতার অভাবের ফল। কাজেই মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষায় ইভিএম কোনো প্রকৃত সমাধান নয় বলে আমি মনে করি।
লেখক: সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)

সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতিতে আহত ৬ অভিনয়শিল্পী হাসপাতালে
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১২ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫৭ পিএম

মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলমান সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে খেলতে নেমে দুই দলের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে। সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় ৬ জন শিল্পী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপঙ্কর দীপনের টিম। খেলা চলাকালীন মাঠের বাইরে থাকা দুই দলের সতীর্থদের মধ্যে উত্তেজনা ছাড়িয়ে পড়ে, যা মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
তবে ম্যাচ শেষে রাত সাড়ে ১১টার পর আবারও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। সেখানে নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ ও অভিনেতা শরিফুল রাজ গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ করেছেন নায়িকা রাজ রিপা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
দীপনের দলের খেলোয়াড়দের একজন অভিনেতা মনির হোসেন শিমুল অভিযোগ করে বলেন, তারা বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে আমাদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এটা কোন ধরনের সিসিএল খেলা? এখানে তো ক্রিকেট খেলছে না তারা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে।
একই দলের আরেক খেলোয়াড় চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী বলেন, রাজ ভাইয়ের টিম থেকে আমাদের দলের ওপর আক্রমণ শুরু করে। তারা বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসেছে। আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে একজনকে তুলে নিয়ে মারধর করতে শুরু করে। এর মধ্যে মৌসুমী হামিদ আহত হন।
ঘটনার বিষয়ে দীপঙ্কর দীপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অফিসিয়ালি বক্তব্য দেব। এখানে গোপন করার কিছু নেই। আমি মনে করি, ঢালাওভাবে শিল্পী সমাজের ওপর এর দায় চাপানো খুবই ভুল হবে। আমরা সবাই ব্যাপারটা নিয়ে খুবই মর্মাহত। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, শিল্পী নাম ধরে কিছু অশিল্পী মানুষ আমাদের মধ্যে ঢুকে গেছে, যারা আসলে পুরো অরাজকতা তৈরি করেছিল।
তবে এ ঘটনার পরপরই দল নিয়ে মাঠ থেকে বেড়িয়ে যান মোস্তফা কামাল রাজ। ফলে তার কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগে (সিসিএল) মোট আটটি দলে ভাগ হয়ে লড়ছেন শোবিজের তারকারাসহ কলাকুশলীরা। প্রতি দলে নারী-পুরুষ তারকারা অংশ নিচ্ছেন। এসব দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, দীপংকর দীপন, সকাল আহমেদ, মোস্তফা কামাল রাজ ও রায়হান রাফী।

জাতীয় স্কুল ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫৯ পিএম

'যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে,হবেই হবে দেখা দেখা হবে বিজয়ে'-গানটির এ লাইন আবারো প্রমান করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিটি ম্যাচে একের পর এক দুর্দান্ত জয় দিয়ে অবশেষে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
আজ (রোজ শনিবার) সকাল ৯ ঘটিকায় সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অঘোষিত ফাইনাল খেলায় চাপা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ ছিল
গোলাপ অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়। এ ম্যাচে পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়কে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। একটি করে গোল করে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিমন, শাওন ও শাকিল।
৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয় লীগ ভিত্তিক। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগে থেকেই লীগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল পর্যায়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আজকের ম্যাচে কমপক্ষে ড্র বা ১ পয়েন্ট দরকার ছিল।
অঘোষিত ফাইনাল খেলায় শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ দলের উপর একের পর এক আক্রমণে কুপোকাত করে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা। এর ফলও তারা পায় ম্যাচের মাত্র ৩৬ মিনিট। গৌরব কর্মকার লিমনের অসাধারণ গোলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড পায় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় খেলোয়াড়েরা। এবার জ্বলে ওঠে গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা স্ট্রাইকার শাওন। দুর্দান্ত এক গোল করে শাওন। ম্যাচের ঠিক শেষ দিকে আর একটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে শাকিল। আর সেই সাথে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয়।
ম্যাচে শেষের বাঁশি বাজার সাথে সাথেই মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও শিক্ষকরা আবেগে আপ্পলুত হয়ে পরে।
মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই অর্জন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় তথা পুরো গাইবান্ধা জেলার। তিনি আরও বলেন, তার স্কুলের ছেলেরা একদিন জাতীয়দলে খেলবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৯ এএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫৬ পিএম

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার। তিনি বলেন, বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। শনিবার রাত ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উকিল আব্দুল সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ভূঞা ও রহিমা খাতুনের সংসারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন দীর্ঘদিন। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাও ছিলেন।