শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাজারে অস্থিরতা ও সরকারের করণীয়

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির যুক্তিসংগত কোনো কারণ নেই বলে আমি মনে করি। আমরা জানি, চাহিদা বেড়ে গেলে সরবরাহ কম হয়। আমাদের চাহিদা বেড়ে গেছে যেকারণে সরবরাহজনিত সমস্যায় বর্তমানে দ্রব্যমূল্য লাগামহীন।

দেখা যাচ্ছে, অনেকে অতি লাভের আশায় খাবার গুদামজাত করে রেখেছেন রমজানে বেশি মুনাফার আশায়। জনগণের চাপে হোক আর স্বেচ্ছায় হোক, সরকার টিসিবির পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি শুরু করেছে। টিসিবির লাইন প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে। কেবল নিম্ন বা নিম্নমধ্যবিত্তই নয়, মধ্যবিত্তরাও আজ দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ টিসিবির পণ্য বাজারদামের চেয়ে কিছুটা সহনীয়। গ্যাস, বিদ্যুৎ,পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে সংসার খরচ বেড়ে গেছে। সেই তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। পরিবহন খরচ বেড়েছে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ বেড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে জীবনযাত্রার মান কমে গেছে।

মানুষ আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের তাল মেলাতে পারছে না। দেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষরা অনেকদিন ধরেই কষ্ট সহ্য করে আসছে। বিগত দুই বছরে করোনা মহামারির কারণে অসংখ্য মানুষ চাকরি হারিয়েছে। যে সকল জিনিসের দাম বেড়ে গেছে সেগুলো কিন্তু বাজারে আছে। সাপ্লাইয়ের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু বাজারজাতকরণের ব্যাপারে যথেষ্ট ঝামেলা দেখা যায়। এখন সমস্যা হচ্ছে খাবার দাবারের সঙ্গে ইন এ সাইকেল অন্যসব কিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গে ইলেক্টট্রিক টুলস এমনকি সেবার মূল্যও বেড়ে যাচ্ছে। একারণগুলোর জন্য যাদের স্বল্প আয় অর্থাৎ মার্জিনাল ইস্যু, প্রান্তিক জনগণ , তাদের যতটুকু সঞ্চয় আছে সেসবও খরচ হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে ডিপোজিটও কমে যাচ্ছে। কারণ লোকজনের যতটুকু সঞ্চয় তা সব নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়া অন্যকারণও আছে। সুদের হার কম। লোকজন সঞ্চয় রাখে না। এখন সবচেয়ে বড় দরকার সরকারের একটি কঠোর পদক্ষেপ। আমি মনে করি, কঠোর কয়েকটি পদক্ষেপ নিলে, যদি বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন ধমক দিয়ে দাম কমানো এগুলো কোনো কাজের কথা না। মানুষের মূল্যবোধ জাগ্রত হওয়া জরুরি। আন্তর্জাতিকভাবে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে তাই মূল্যস্ফীতি বাড়বে এটি ঠিক নয়। মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া জিনিসগুলো হয়ত আমদানি হয়েই আসেনি অথচ দাম বেড়ে গেছে। এ সব কাজগুলো হচ্ছে। এজন্যই আসল কথা হল, আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ম্যানুপুলেশনের কোনো শাস্তি নেই। কোনো এ অবস্থা থেকে বেড়িয়ে না এলে আমরা উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছে যাবো, এগুলো আমার কাছে মনে হয় অনেকটা ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছু নয়। জনগণের জীবন যাত্রার মান যদি উন্নত না হয়, তাহলে এ সব কথা অর্থহীন। আমাদের জীবনে নৈতিকতার বড় অভাব।

আমাদের এই বলয় থেকে বেড়িয়ে আসা উচিত। উপায় হচ্ছে, বাজারের উপর সচেতনভাবে নজরদারি বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত মজুদ থাকতে হবে। এখন সরবরাহ কিন্তু কম না, কিন্তু দাম বেড়ে যাচ্ছে। সরকার অনেক করবে, এই করবে, সেই করবে কথাগুলো অর্থহীন। ম্যানুপুলেশন দূর করতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ইম্পোরটেড প্রডাক্টের দাম কতটুকু বেড়েছে সেই অনুপাতে বাজারে দাম বেড়েছে কি না সেগুলো কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে যদি ৫ ডলার বাড়ে, বাংলাদেশের বাজারে বাড়বে ২০ ডলারের মতো। শুধু বাজার নিয়ন্ত্রণ করেও এর সমাধান সম্ভব নয়। প্রশাসনিকভাবে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া মূল্যস্ফীতি কমানোর কোনো বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি ।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ: সাবেক গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক

আরএ/

সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি

সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে (সিমিউই-৫) সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে কুয়াকাটায় স্থাপিত এই সাবমেরিন ক্যাবলে সমস্যার শুরু হয়েছে।

তবে শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলের পর জানা যাবে কবে নাগাদ এই অবস্থা স্বাভাবিক হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসিও (বিএসসিপিএলসি) এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল ‘ব্রেক’ করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়। এর পুরোটাই এখন বন্ধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি সিমিউই-৪ (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে। সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল ব্রেক করায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ শনিবার বিকালের মধ্যে জানা যাবে, এটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে।‘

দেশের মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয় এখন ৫ হাজার জিবিপিএস। দুই সাবমেরিন ক্যাবলের বাইরে প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) মাধ্যমে স্থল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই ৬ থেকে আরও ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ যুক্ত হবে।

চাঁদপুরে চলন্ত লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ যাত্রীদের

চাঁদপুরে চলন্ত লঞ্চে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে যাত্রীদের অনেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। এ সময় হুড়োহুড়িতে ৭ যাত্রী আহত হয়েছেন।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে চাঁদপুর নীলকমল চরের কাছাকাছি এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধারে কর্ণফুলী-১৪ লঞ্চ ছুটে যায়।

লঞ্চ ম্যানেজার মো. জসিম জানান, লঞ্চটি সকাল সাড়ে ৮টায় ৫শত যাত্রী নিয়ে ভোলার ইলিশাঘাট ছাড়ে। চাঁদপুর নীলকমল চরের কাছাকাছি লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীদের অনেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে চরে যাত্রীদের নামানো হয়।

জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও যাত্রী উদ্ধারে লঞ্চ স্টাফদের পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ কাজ শুরু করে। ওই রুটের অপর দুটি লঞ্চ এমভি সম্পদ ও এম়ভি কর্ণফুলী-১৪ যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করে। কোন প্রাণহানি ঘটেনি। তবে তাড়াহুড়োতে নামতে গিয়ে কিছু যাত্রী আহত হন।

গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করার নির্দেশ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে চলতে থাকা তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দুর্বিসহ হয়ে ওঠেছে জনজীবন। দেশব্যাপী তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) দেশজুড়ে খুলছে সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

তবে স্কুল খুললেও প্রচণ্ড গরম থেকে রক্ষা পেতে আপাতত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও সাতদিন বন্ধের দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। শিক্ষকরাও গরমে স্কুল বন্ধ রাখার পক্ষে। তবে এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি শিক্ষাপ্রশাসন।

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও কিছুদিন বন্ধ হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।

আর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানিয়েছেন, তারা এক দফা আলোচনা করেছেন। আবার বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্যদিকে লম্বা ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যে সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তখন দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা (হিট অ্যালার্ট) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী- শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খুলনা বিভাগের সবগুলো জেলাতেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে, অর্থাৎ তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সর্বশেষ সংবাদ

সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি
চাঁদপুরে চলন্ত লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ যাত্রীদের
গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করার নির্দেশ
ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় যা জানালেন বেনজীর আহমেদ
স্বামীর প্রশংসা করার দিন আজ
টাঙ্গাইলে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে বউ আনলেন ছাত্রলীগ নেতা
চিন্তাও করিনি মাত্র ১৬ ভোটে হারবো: নিপুণ
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে মিশা-ডিপজল
২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
শহরে কৃষক লীগের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না: ওবায়দুল কাদের
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০
পালিয়ে আসা ২৮৫ সেনা সদস্যকে ২২ এপ্রিল ফেরত নেবে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
বিমানবন্দরের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে পড়ল বাস, প্রকৌশলী নিহত