মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

শীতের কাপড়: নিম্নবিত্তের ভরসা ফুটপাত

করিম শেখ। বাড়ি গাইবান্ধায়। জীবিকার সন্ধানে ঢাকার সড়কে সড়কে রিকশা চালিয়ে জীবন চালান। যা আয় হয় তা দিয়ে ঢাকায় নিজের খরচ আর গ্রামে থাকা সংসার দুটোই চালাতে হয়।

এরই মধ্যে দেশের উত্তর জনপদে জেঁকে বসেছে শীত। এই সময়টাতেই অনেকদিন পর গ্রামে যাবেন করিম শেখ। তাই বাড়ি যাওয়ার আগে সন্তান আর পরিবারের জন্য শীতের নতুন জামা কিনতে হাজির হয়েছেন রাজধানী সুপার মার্কেটের সামনের ফুটপাতে। সেখান থেকেই ছেলের জন্যে কিনেছেন শীতের প্যান্ট ও জ্যাকেট। সুলভমূল্যে ফুটপাত থেকে এসব জিনিস কিনতে পেরে ভীষণ খুশি করিম।

শুধু করিম শেখ নয়,রাজধানীর ফুটপাতগুলোতে এখন নিম্মবিত্ত মানুষদের ভীড়। এমনকি মধ্যবিত্তরাও আছেন সেই ভীড়ে। শপিংমলের কাপড়ের দাম নাগালের বাইরে হওয়ায় নিম্নবিত্তরা বরাবরই ফুটপতাকে বেছে নেন।

রাজধানীর শপিংমলগুলোতে এমনিতেই কাপড়ের দাম বেশি। তার উপর আবার সাম্প্রতিক সময়ে সবধরণের নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাপড়ের দামও। ফলে সব ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি দামে। সঙ্গত কারণে নিম্ববিত্তের স্বাদ থাকলেও সাধ্য নেই শপিংমলের ভিতরে পা রাখার।

গত কয়েকদিন রাজধানীর গুলিস্তান, সদরঘাট, পল্টন, দৈনিকবাংলা, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে, শীতের পোশাকে সয়লাব। অন্যান্য সময় বিভিন্ন পসরা নিয়ে বসলেও এই সময়ে শুধুই শীতের পোশাক। সঙ্গত কারণেই ফুটপাতগুলোতে স্বল্প আয়ের ক্রেতাদের ভিড় লেগে আছে।

ফুটপাতের বাইরে ভ্যানে করেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যানগুলোতে ক্রেতার কমতি নেই।

সদরঘাটের ফুটপাতের ভ্যানে শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন নাজমুল করিমভ পেশায় লঞ্চ শ্রমিক নাজমুল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘একটা জ্যাকেট কিনলাম ৩০০ টাকায়, লঞ্চে প্রচুর শীত লাগে। এই জ্যাকেট মার্কেটে কিনলে ১৫০০-২০০০ টাকা লাগবে। এত টাকা কই পামু। যে কয় টাকা বেতন পাই বউ-পোলার পিছনেই খরচ হইয়া যায়।’

গুলিস্থানের ফুটপাতে মেয়ের জন্য কাপড় কিনতে এসেছেন কোহিনূর খাতুন। তিনি একটি এলাকায় রান্নার কাজ করেন। স্বল্পমূল্যে কাপড় কিনতে পেরে উচ্ছাসিত কোহিনূর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘প্রতি শীতেই আমি এইনে কাপড় কিনবার আহি। মাইয়ার লাইগা, নিজের লাইগা কাপড় নেই। মার্কেটের কাপড়ের যেই দাম দূর থেইক্ষা দেহা ছাড়া কিনবার সাধ্য নাই।

ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত শীতের মওসুম হওয়ায় শীতের কাপড়ের চাহিদা এখন সবচেয়ে বেশি। প্রতি বছর শীত মওসুম আসলেই এর চাহিদা বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আগামী দুই মাস তারা ভালো ব্যবসা করবেন। আর ক্রেতারা খুশি কম টাকায় নিজের পছন্দের জামা কিনতে পারায়।

ফুটপাতে দীর্ঘদিন কাপড় বিক্রি করেন রহমত মিয়া। তিনি বলেন, এখনো বিক্রি তেমন শুরু হয়নি, শীত বাড়লে বিক্রি বাড়বে। এখন আগের থেকে কাপড়ের কিছু দাম বেড়েছে, তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

এনএইচবি/এমএমএ/

"বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, আছে সন্তানও"

ছবি সংগৃহীত

আলোচনা সমালোচনার মধ্য দিয়ে বারবার শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। এবার সেই বুবলীকে নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি।

কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি বলেন, এখন শাকিব-অপু দু’জনই ভালো আছেন। আর তাদের মধ্যে বুবলী প্রবেশ করে সবকিছু নষ্ট করতে চাইছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বুবলী শাকিব খানের লেজ ধরে এই পর্যন্ত আসছে। তাকে ধরে ১০টি ছবিও করেছে। তাকে শাকিবই উপরে উঠাইছে। আর বুবলী কিন্তু আগে থেকেই বিবাহিত, এটা শাকিব জানতো না। তার আগের ঘরে একটি মেয়েও আছে। এটা পরে জানতে পেরে শাকিব তাকে এড়িয়ে চলেছে। কিন্তু বীরতো শাকিবের রক্তের তাই শাকিব বীরকে কখনওই ফেলে দেবে না।’

বুবলীকে নিয়ে সুরুজ আরও বলেন, ‘বুবলী চায় বীরকে দিয়ে শাকিবের সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে। যেখানে শাকিব-অপু এখন এক হয়ে গেছে তখন তার এর মধ্যে নাক গলানোর কি দরকার?

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে টেলিভিশন লাইভে ছেলেকে নিয়ে হাজির হন অপু বিশ্বাস, জানান বিয়ের কথা। এর পর ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি অপুর সঙ্গে শাকিবের বিচ্ছেদ কার্যকর হয়। পরে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বুবলীও হাজির হন এবং জানান ২০১৮ সালে জুলাইতে তাদের বিয়ে হয়েছে। এর পর শাকিব-বুবলী-অপুর নানা নাটকীয়তা চলছেই।

হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা

ফাইল ছবি

তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। চলমান এই গরম আরও বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান আছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহী রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

৩. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

৪. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

এর আগে, হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে এবং পুলিশ সদস্যদের সুস্থ থাকতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১১টি নির্দেশনা প্রদান করে। সেগুলো হলো- বাইরে দায়িত্ব পালনের সময় ছাতা, ক্যাপ এবং সানগ্লাস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ধীরে ধীরে পান করতে হবে এবং ঠান্ডা পানি (বরফসহ/ফ্রিজের পানি) পান পরিহার করতে হবে।

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পুলিশ মেস এবং ক্যান্টিনে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আধাঘণ্টা পর/দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর হাতমুখ ধৌত বা গোসল করতে হবে। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে।

স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানি পান করা যেতে পারে যদি তা অন্য কোনো কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অফিস ও আবাসন-ব্যারাকের দরজা-জানালা যথাসম্ভব খোলা রাখতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের তাপপ্রবাহ চলাকালে সুস্থ থাকার বিষয়টি তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকতে এবং হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত রোলকলে এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় পুলিশ সদস্যদের অবহিতকরণসহ সচেতন করতে হবে।

রাজধানীতে তীব্র গরমে এক পথচারীর মৃত্যু

রাজধানীর গুলিস্তান টোল প্লাজার পাশে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে গিয়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মো. আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, গুলিস্তান টোল প্লাজার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই মো. রবিউল আলম শিকদার বলেন, খবর পেয়ে ঢামেক হাসপাতাল এসে আমার ভাইকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। জানতে পারি অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমার ভাই যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় একটি প্রেসে চাকরি করতেন। আমরা যাত্রাবাড়ীর কাজলা পশ্চিম শিবির নয়ানগর এলাকার জমির শিকদারের সন্তান। আমার ভাই তিন ছেলে এক মেয়ের জনক ছিলেন।

এ ঘটনায় সরাসরি কোনো চিকিৎসকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মৃত্যু সনদে চিকিৎসক উল্লেখ করেছেন যে গরম জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

"বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, আছে সন্তানও"
হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
রাজধানীতে তীব্র গরমে এক পথচারীর মৃত্যু
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন সেই দেলোয়ার
দেশের বাজারে দাম কমলো স্বর্ণের
থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে
বৃষ্টির জন্য রাজধানীতে ইসতিসকার নামাজ আদায়
পদ্মায় গোসল করতে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার পেলেন ১৪ হাজার ৫৫০ জন কৃষক
কাতারের আমিরের নামে ঢাকায় সড়ক ও পার্কের নামকরণ
ইসলাম গ্রহণ করেছেন বিখ্যাত ডাচ অভিনেতা ডনি রোয়েলভিঙ্ক
আপাতত বিয়ের প্ল্যান নেই, এনজয় করছি : জয়া আহসান
চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
ছুটিতে বাড়ি গিয়ে হিটস্ট্রোকে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে ‘পদ্মশ্রী’ নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার
বুড়িচং সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
বোরকা পরে বালিকা মাদরাসায় ফাহিম, ধরা পড়ে খেলেন গণপিটুনি