
মেট্রোরেল লাইন-৫ এর ডিপো উন্নয়নে চুক্তি
২৩ মে ২০২৩, ০৩:৫৬ পিএম | আপডেট: ০১ জুন ২০২৩, ০৩:৪২ পিএম

মেট্রোরেলের নর্দার্ন রুটের (এমআরটি-৫) ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন কাজের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই প্রকল্পে ভূমি উন্নয়নে কাজ পেয়েছে জাপান ও বাংলাদেশের দুই কোম্পানি।
এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণ হবে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ঢাকার ভাটারা পর্যন্ত। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে ঢাকার পূর্ব-পশ্চিমে যোগাযোগ উন্নত ও সহজ হবে বলে সরকার আশা করছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ও জাপানের টিওএ কর্পোরেশনের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
লিড এজেন্সি হিসেবে টিওএ এর প্রতিনিধি এবং ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। উত্তরার দিয়াবাড়িতে ডিএমটিসিএল ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়।
চুক্তি অনুযায়ী জাপানের ঠিকাদারি কোম্পানি টিওএ কর্পোরেশন এবং দেশীয় কোম্পানি স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড যৌথভাবে এ কাজ করবে।
এমআরটি -৫ প্রকল্পটির ১০টি কন্টাক্ট প্যাকেজের (সিপি) মধ্যে সিপি-১ এর আওতায় হেমায়েতপুরে মেট্রোরেলের ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন হবে।
ডিএমটিসিএল এর এমডি এম এ এন ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক মো. আফতাব হোসেন খান জানান, মেট্রোরেলের এই লাইনের মাধ্যমে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে আংশিক পাতাল এবং আংশিক উড়াল পথে ভাটারা পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করা হবে। ২০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৩২ মিনিট।
তিনি জানান, আগামী জুলাই থেকে প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হবে। চালু হওয়ার পর মেট্রোরেলের এই পথে প্রতিদিন ১২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, মেট্রোরেলের এই পথে পাতাল রুটের দৈর্ঘ্য হবে ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। বাকি ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার হবে এলিভেটেড। সব মিলিয়ে স্টেশন হবে ১৪টি। এরমধ্যে পাতালে নয়টি এবং উড়ালে পাঁচটি।
মোট ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার এই প্রকল্পটির কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ প্রকল্পে জাইকার ঋণ সহায়তা হচ্ছে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। বাকি ১২ হাজার ১২১ কোটি টাকার যোগান দেওয়া হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।
এনএইচবি/আরএ/