সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধর্মগুরু ডিপু যেভাবে জড়ালেন মাদক চোরাচালানের সাথে

গ্রেফতার ধর্মগুরু ডিপু চাকমা । ছবি : সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার আদর্শ বৌদ্ধবিহারের প্রধান ভিক্ষু ডিপু চাকমা। ধর্মগুরু হয়েও জড়িয়ে পড়েন মাদক চোরাচালানের সাথে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ১৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ধরা পড়েন গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। ধর্মগুরু হয়েও ডিপু চাকমা যেভাবে মাদক চোড়াচালানের সাথে যুক্ত হলেন জিঙ্গাসাবাদের পর তাই জানালেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান।

পুলিশের এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ডিপু চাকমার বাবার স্বপ্ন ছিল তিনি একজন প্রথিতযশা বৌদ্ধ ভিক্ষু হিসেবে লোভ আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেবেন। আলোকিত মানুষ হিসেবে হিংসা-বিদ্বেষের অন্ধকারে ধৈর্য ও সহনশীলতার আলো ছড়াবেন সমাজে। সেই পথে অগ্রসরও হয়েছিলেন বহুদূর। পালি শাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্য তার।

দেশে এবং দেশের বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শাস্ত্রীয় জ্ঞানে নিয়েছেন তালিম। দেশের কয়েকটি বৌদ্ধবিহারের প্রধান ভিক্ষুর দায়িত্বও পালন করেছেন। হঠাৎই সবকিছুর ছন্দপতন।

মোবাইল ব্রাউজিং করতে করতে এক সময় পরিচিত হন অনলাইন জুয়ার সঙ্গে। সেখান থেকেই জুয়ায় আসক্ত হয়ে এরই মধ্যে হারিয়েছেন প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। এ টাকার মধ্যে ছিল নিজের বেতন, দান-দক্ষিণা, মৃত বাবার ভিটেমাটি বিক্রয়লব্ধ টাকা এবং মায়ের ধার করে নেয়া এনজিওর টাকা।

অনলাইন জুয়ায় সর্বস্বান্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন ইয়াবা পরিবহনের কাজে নিজেকে সঁপে দেয়ার। হার মানেন নগদ টাকার হাতছানির কাছে। তার ধর্মগুরু আপেল বড়ুয়ার হাত ধরে প্রবেশ করেন ইয়াবার জগতে। নিয়মিত কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা থেকে হাজার হাজার পিস ইয়াবা বহন করে ঢাকায় আনতেন। মঙ্গলবার রাতে ১৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ধরা পড়েন গোয়েন্দা জালে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান জানান, তার এই ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর চলন-বলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শুরুর দিকে সন্দেহ হয়নি। এই সুযোগে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে একের পর এক চালান নিয়ে এসেছেন ঢাকায়। একপর্যায়ে সব তথ্যপ্রমাণে নিশ্চিত হওয়ার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এখন ডিপু চাকমার সঙ্গে থাইল্যান্ড, মিয়ানমারসহ বাংলাদেশের কোন কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীর সম্পর্ক আছে তার খোঁজ নিচ্ছেন গোয়েন্দারা।

Header Ad
Header Ad

আপাতত ইউজিসির তত্ত্বাবধানে চলবে সাত কলেজ

ছবি: সংগৃহীত

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত ঢাকার সরকারি ৭ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তত্ত্বাবধানে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

এই অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ঢাকা কলেজের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম ইলিয়াসকে প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। ইউজিসি সদস্য মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, অধ্যাপক একেএম ইলিয়াস চুক্তিভিত্তিক এই দায়িত্ব পালন করবেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ অধ্যাপক ইলিয়াসকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।

অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন বলেন, ৭ কলেজের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের সদর দপ্তর ঢাকা কলেজে থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শিগগির এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।

ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ—এই ৭ প্রতিষ্ঠানকে ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।

সম্প্রতি সরকার এই ৭ কলেজকে একটি একক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি হাইব্রিড মডেলে পরিচালিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে এবং ৬০ শতাংশ শারীরিক উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে।

৭ কলেজের জন্য অনুষদ-ভিত্তিক ক্যাম্পাস চালু করা হতে পারে। যেমন, সরকারি তিতুমীর কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ থাকবে বলে জানা গেছে। অন্যান্য কলেজগুলোতে অন্যান্য অনুষদ হতে পারে।

তবে, প্রয়োজনীয় আইনি অনুমোদন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতির কারণে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সময় লাগবে।

ইউজিসি অস্থায়ীভাবে কলেজগুলোকে তত্ত্বাবধান করবে। এ অবস্থায় যেকোনো এক কলেজের অধ্যক্ষ ৭ কলেজের জন্য প্রশাসক নিযুক্ত হবেন।

গতকাল ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রস্তাবিত 'ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের' জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনিক সংস্থা গঠনের জন্য অবিলম্বে একটি গেজেট জারির দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়।

Header Ad
Header Ad

জাপার রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টিসহ বাকি দলগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনসহ সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে দলগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করাসহ তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ রবিবার লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী পরিচয় দেয়া হোসাইন মো. আনোয়ারের পক্ষে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগান এ নোটিশ পাঠান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।

১৪ দলীয় জোটের শরিকরা হলো- জাতীয় পার্টি (এরশাদ), ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, গণ আজাদী লীগ, বাসদ (রেজাউর), সাম্যবাদী দল (দিলীপ বড়ুয়া), ন্যাপ (মোজাফফর), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাসদ (ইনু), শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল, তরিকত ফেডারেশন ও কমিউনিস্ট কেন্দ্র।

এ বিষয়ে হোসাইন মো. আনোয়ার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দমন-নিপীড়ন একা একা চালায়নি। ১৪ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তেই তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও বাকিদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।তাই সেই সব দলগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ চেয়ে এ নোটিশ দেয়া হয়েছে।’

নোটিশে বলা হয়, ৭৫ বছর বয়সী আওয়ামী লীগ ৩৬ দিনের আন্দোলনে গত ৫ই আগস্ট পালিয়ে যায় এবং বর্তমানে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টের এই শাসনের সহযোগী ছিল ১৪ দল। যদি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয় তাহলে এই দলগুলোর কেন নয়? তাই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট করা হবে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে ১৫১ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। রোববার (১৮ মে) দিনভর অভিযান চালিয়ে উপত্যকাটিতে ১৫১ জন জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।

চিকিৎসা সূত্রের বরাতে সোমবার (১৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, রোববার গাজায় ১৫১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ জন উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলের এবং গাজা সিটির।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখ ২০ হাজার।

দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরাইল। কিন্তু দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের অভিযান শুরু করে দখলদার বাহিনী। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত প্রায় দুই মাসে নিহত হয়েছেন ৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ৮ হাজারেরও বেশি।

অন্যদিকে হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যার প্রেক্ষিতে গাজায় এখন আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে দখলদার বাহিনী।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করাই এ অভিযানের লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আপাতত ইউজিসির তত্ত্বাবধানে চলবে সাত কলেজ
জাপার রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ
গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে ১৫১ ফিলিস্তিনি নিহত
শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করে ময়মনসিংহে কলেজছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে গণমিছিল
পুলিশের ১২ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি
মেঘনায় মিলল বিশাল আকৃতির বিগহেড, ওজন ২৯ কেজি!
গুলিস্তানে আ. লীগের ঝটিকা মিছিল, অভিযানে আটক ১১ জন
গাজায় ‘ব্যাপক’ স্থল হামলা শুরু করল ইসরায়েল
নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে, দেশও অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে: আমীর খসরু
ঢাকা ওয়াসার এমডির দায়িত্বেও দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া
টাঙ্গাইলে লেয়ার মুরগির খামারের এক কর্মচারীকে জবাই করে হত্যা
ডেথ ওভারে ডট বলের বিশ্বরেকর্ড করে ইতিহাস গড়লেন মোস্তাফিজ
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সোনা লুট, ঘটনায় জড়িত চার পুলিশ সদস্য
অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে উপস্থাপিকাকে লিগ্যাল নোটিশ
হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে প্রশাসক এজাজের জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন: ডিএনসিসি
সমকামিতা-ট্রান্সজেন্ডার প্রমোটে আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে হবে : সারজিস
দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত
বাংলাদেশি পণ্যে ভারতের নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিক ক্ষতির শঙ্কায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
আমন্ত্রণ পেয়েও ফ্রান্স-স্পেন সফরে যাচ্ছেন না প্রধান উপদেষ্টা