শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

যে কৌশলে ইসলামী ব্যাংকের ৫০ হাজার কোটি টাকা এস আলমের পকেটে

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই ব্যাংকগুলোর যেন চিরচেনা রূপ পাল্টে যেতে শুরু করেছে। একের পর এক ব্যাংকের অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর সামনে আসতে শুরু করেছে। সম্প্রতি সময়ে সব থেকে বেশি আলোচনায় রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। যার মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয় আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ।

এবার বেরিয়ে এসেছে কীভাবে সাড়ে সাত বছরে নামে-বেনামে ব্যাংকটি থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট রাজশাহীর নাবিল গ্রুপ। এই অর্থ ব্যাংকটির মোট ঋণের এক–তৃতীয়াংশ। এই টাকা বের করতে মানা হয়নি কোনো নিয়মকানুন।

ঋণের যে তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে, ব্যাংক থেকে পাচার করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ তার চেয়ে বেশি বলেই মনে করেন কর্মকর্তারা। জানা গেছে, এই টাকা বের করা হয়েছে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, তার স্ত্রী, মেয়ের স্বামী, আত্মীয়সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে।

ঋণ হিসেবে অর্থ বের করতে তৈরি করা হয় নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান। আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যেভাবে টাকা বের করেছিলেন, অনেকটা একই কায়দায় ইসলামী ব্যাংক থেকেও অর্থ বের করা হয়। এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধের উপক্রম, আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না।

পি কে হালদার ছিলেন এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন আভিভা ফাইন্যান্স ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।

এদিকে ইসলামী ব্যাংক থেকে পাচার হওয়া টাকা এখন আদায় করা যাচ্ছে না, ফলে ব্যাংকটি তারল্যসংকটে ভুগছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকে চাহিদামতো তারল্য জমা রাখতে না পারায় প্রতিদিন জরিমানা দিচ্ছে। আবার একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদ্য সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার নিজের বিশেষ ক্ষমতাবলে ‘টাকা ছাপিয়ে’ দেড় বছর ধরে ব্যাংকটিকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু ব্যাংকটির খারাপ অবস্থার জন্য যারা দায়ী, তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এস আলম গ্রুপ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর ইসলামী ব্যাংকে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে। এসব কর্মকর্তার বেশির ভাগই সাইফুল আলমের নিজের এলাকা পটিয়া উপজেলার। ফলে ব্যাংকটির অর্ধেক কর্মকর্তাই এখন পটিয়ার। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরপরই ২০১৭ সালের আগে নিয়োগ পাওয়া পুরোনো কর্মকর্তারা আন্দোলন শুরু করেছেন ব্যাংকটিকে ‘এস আলম ও পটিয়ামুক্ত’ করতে। এর মধ্যে বিবদমান দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলি বর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।

বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হয়েছেন। এই পদে তার নিয়োগসংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার আগে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংকটি খেয়ে ফেলার জন্য এস আলম গ্রুপের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তারা সেই কাজই করেছে, ব্যাংকটি ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই ব্যাংকের টাকা ডলার হয়ে বিদেশে চলে গেছে। এখন এস আলম গ্রুপ ও যাদের নামে ঋণ বের হয়েছে, তাদের সব সম্পদ জব্দ করে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে এতে ঋণের এক-তৃতীয়াংশ টাকাও আদায় হবে কি না, সন্দেহ আছে বলেও জানান তিনি।

এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ধীরে ধীরে শেয়ার ছেড়ে দেয় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), দুবাই ইসলামী ব্যাংক, আল-রাজি গ্রুপ, কুয়েতের সরকারি ব্যাংক কুয়েত ফাইন্যান্স হাউস, সৌদি কোম্পানি আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিস্ট এজেন্সিসহ বেশির ভাগ উদ্যোক্তা ও সাধারণ শেয়ারধারী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া স্থানীয় জামায়াত–সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ইবনে সিনা, ইসলামিক সেন্টারসহ অনেককে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার ছেড়ে দিতে হয়।

আটকা পড়ে আছে যেসব ঋণ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার আগে বিদেশিদের শেয়ার ছিল ৫২ শতাংশের মতো, যা এখন ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ যখন ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়, তখন এটিতে এস আলমের তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ ছিল তিন হাজার ছয় কোটি টাকা। চট্টগ্রামে ব্যাংকটির খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক ছিলেন তিনি। তখন ব্যাংকের মোট ঋণ ছিল ৬১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা আর আমানত ছিল ৬৮ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। কর্মকর্তা ছিল ১০ হাজারের কম।

নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আমানত বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন নতুন শাখা খুলে পটিয়ার লোকদের নিয়োগ দেওয়া শুরু হয়। ফলে সারা দেশে ব্যাংকটির শাখা এখন ৩৯৫টি। এর বাইরে রয়েছে ২৫০টি উপশাখা। ২০২৩ সাল শেষে ইসলামী ব্যাংকে আমানত বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা ও ঋণ ১ লাখ ৬০ হাজার ২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ আমানতের চেয়ে বেশি টাকা ঋণ হিসেবে বের করে দিয়েছে ব্যাংকটি। বাড়তি এই টাকা এসেছে মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে।

ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণমূলক মূলধন ১০ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। ফলে একটি গ্রুপকে ইসলামী ব্যাংক সর্বোচ্চ ফান্ডেড ১ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা ও নন–ফান্ডেড ঋণ ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা ঋণ দিতে পারে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে একটি গ্রুপ ঋণ পেতে পারে ২ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাংকঋণের টাকা পাচার করতে তাই এস আলম গ্রুপ একাধিক গ্রুপ তৈরি করেছে, ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান খুলেছে।

প্রাপ্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এস আলম নাম যুক্ত আছে ইসলামী ব্যাংক থেকে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণই ১৪ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। আর সাইফুল আলমের মেয়ের স্বামী বেলাল আহমেদের ইউনিটেক্সের ঋণ ৪৫৪ কোটি টাকা। এর বাইরে এস আলম–সংশ্লিষ্ট ঋণের পরিমাণ ৩২ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। এসব ঋণ ছড়িয়ে আছে চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রাজধানীর বিভিন্ন শাখায়। এছাড়া রাজশাহীর নাবিল গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণ ৩ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা।

নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সৎভাবে ব্যবসা করি। অন্য ব্যাংকে আমার ঋণে কোনো সমস্যা নেই। ইসলামী ব্যাংকের ঋণে আমার কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তবে আমার নামে যেসব ঋণ আছে, আমি তা শোধ করে দেব। বছরে আমার ৩০ হাজার কোটি টাকার ভোগ্যপণ্য কেনাবেচা হয়। আমার গ্রুপে ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের ছেলে। ব্যাংকের সার্বিক বিষয়ে জানতে তাকে ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে ফোন করা হলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে ইসলামী ব্যাংকের একজন পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ গণমাধ্যমকে বলেন, এখন ব্যাংকের কেউ ফোন ধরছেন না। আমি কিছু জানতেও পারছি না। আমি অনলাইনে সভায় অংশ নিই। মতামত আমি দিয়ে থাকি। সব সময় তা গ্রহণ হয়নি। ঋণ কে কত টাকা নিয়েছে, এ নিয়ে আমি কিছুই জানি না।

গত সোমবার ইসলামী ব্যাংকের ‘বৈষম্যবিরোধী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষাকারী ব্যাংকার সমাজের’ সমন্বয়ক আবু ওয়ালিদ চৌধুরী বিবৃতিতে বলেন, ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। ১০ হাজারের বেশি জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের অনেকের যোগ্যতা নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যাংক থেকে এখনো নানাভাবে অর্থ বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছে এস আলম গ্রুপ। পাশাপাশি গ্রুপ-সংশ্লিষ্ট ঋণের নথিপত্র সরানো ও তথ্য-উপাত্ত মুছে ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিছু কর্মকর্তা। সে কারণে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ দ্রুত ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন এবং এস আলমকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান আবু ওয়ালিদ চৌধুরী।

আরো বলা হয়, পটিয়া এলাকার ব্যাংকারদের পাশাপাশি গতকালও ব্যাংকে যাননি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনিরুল মওলা, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ ও আলতাফ হুসাইন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকিজ উদ্দিন, মিফতাহ উদ্দিনসহ এস আলমপন্থী হিসেবে পরিচিত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। তাদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন অন্য কর্মকর্তারা।

ব্যাংকটির শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধানদের প্রায় সবাই চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আসা কিংবা চট্টগ্রামের বিভিন্ন শাখার দায়িত্বে ছিলেন। এমনকি সাইফুল আলম তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকেও ব্যাংকটির ডিএমডি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন সাতটি ব্যাংকের চলতি হিসাবে টাকা না থাকার পরও সেগুলো কীভাবে চলছে তা জানতে চাইলে গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সরাসরি কোনো জবাব দেননি। তিনি বলেন, এই সবকিছু এখন নির্ভর করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর। তারা যে নির্দেশনা দেবে, সেভাবেই চলবে।

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানি ঘোষণা, জেনে নিন কে কত পাবে

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরস্কার অর্থের ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২২ লক্ষ ৪০ হাজার), যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা।

রানার্স আপ দল পাবে ১১ লক্ষ ২০ হাজার মার্কিন ডলার (১৩ কোটি টাকারও বেশি)। সেমিফাইনালে ওঠা দুটি দলের জন্য থাকবে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার (৭ কোটি টাকার কাছাকাছি)।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানি ৫৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, ২০১৭ সালের আসরের তুলনায়। এবার মোট পুরস্কার ৬৯ লক্ষ মার্কিন ডলার। এছাড়া, প্রতিটি দলকে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় দেড় কোটি টাকা) যোগ্যতা অর্জনের জন্য দেওয়া হবে।

গ্রুপ পর্বে এক ম্যাচ জিতলেই দলের জন্য থাকবে ৩৪ হাজার ডলারের পুরস্কার (৪১ লাখ টাকার বেশি)। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থান অর্জনকারী দল পাবে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার (৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার মতো)। সপ্তম ও অষ্টম স্থান পেলে দলগুলো পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা)।

১৯৯৬ সালের পর প্রথমবার পাকিস্তানে আয়োজিত হতে যাচ্ছে আইসিসি টুর্নামেন্ট। ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। আটটি দল দুইটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে: গ্রুপ ‘এ’-তে পাকিস্তান (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন), ভারত, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ; গ্রুপ ‘বি’-তে অস্ট্রেলিয়া (বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন), দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হবে ২০ ফেব্রুয়ারি, ভারতের বিপক্ষে।

এই টুর্নামেন্টটি চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এশিয়া কাপের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ভারতের ম্যাচগুলো দুবাইয়ে হবে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মো. আব্দুর রাজ্জাক তরফদার (৬০) নামে আওয়ামী লীগের আরও এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আব্দুর রাজ্জাক তরফদারকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পশ্চিম ভূঞাপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আব্দুর রাজ্জাক তরফদার পৌরসভার পশ্চিম ভূঞাপুর ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর। তিনি একই এলাকার মৃত শমশের আলী তরফদারের ছেলে।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় নাশকতার মামলা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানায় সোপর্দ করলে টাঙ্গাইল থানা পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্র ফ্রন্টের পোস্টারিং, তুলে ফেলেছে প্রশাসন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) গত ০৮ আগস্ট ১০০তম সিন্ডিকেটে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। সিন্ডিকেটের সেই সিদ্ধান্তের উপেক্ষা কর বামপন্থী ছাত্রসংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সংগঠনটির চার দশক পূর্তিতে পোস্টারিং করেছে ক্যাম্পাসের ভেতরে। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের দ্বিতীয় তলায় উঠতেই দেয়ালে এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে।

পরবর্তীতে আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পাঁচটার দিকে প্রক্টোরিয়াল বডির উপস্থিতিতে সেই পোস্টারগুলো তুলে ফেলা হয়েছে।

জানা যায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদের) উদ্যোগে গত রাতে (১২ ফেব্রুয়ারি) এই পোস্টারিং করা হয়।

এ ব্যাপারে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান বলেন, 'জুলাই বিপ্লবে আমাদের অন্যতম দাবি ছিল লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে জায়গায় সকল রাজনৈতিক দলের ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ সে জায়গায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের পোস্টার শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন করে তুলবে বলে আমি মনে করছি। তাই কুবি প্রশাসনকে বলবো খুব দ্রুত এর সঠিক তদন্ত করে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে।'

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলার সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদের) সমন্বয়ক আবদুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ কিনা তা আমার জানা নেই, তবে ছাত্ররাই দেশ চালাচ্ছে। ছাত্ররা রাজনীতি না করলে কারা করবে? নিরক্ষররা? ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক। ছাত্রদেরই রাজনীতি করতে হবে। আমাদের দেশে ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাস চলেছে, কিন্তু সন্ত্রাসী আর ছাত্র রাজনীতি এক নয়। গত ৫৩ বছরে ছাত্রদের সন্ত্রাসী শেখানো হয়েছে। ছাত্ররাই আগামীতে দেশ চালাবে, তাই তাদের মধ্যে রাজনীতি থাকা জরুরি। প্রতিটি ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসমুক্ত অবাধ ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত।'

ভবিষ্যতে কুবিতে তাদের এই ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে কি-না জানতে চাইলে বলেন, 'দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অনেক ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে, যা আমরা অন্যায় মনে করি। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও আমরা এর প্রতিবাদ করব এবং সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাব।'

এ ব্যাপারে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. নাহিদা বেগম বলেন, 'ওরা পোস্টার লাগিয়েছে, আমরা এটা নিয়ে বসেছি। শহরে যিনি কেন্দ্রীয় দায়িত্বে রয়েছেন তাকে ফোন দেয়া হয়েছে। পোস্টার ওঠানোর জন্য সিকিউরিটি পাঠিয়ে দিয়েছি।'

সামনের দিনে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এমনিতেই তো ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, আমাদের জায়গা থেকে আমরা স্ট্রিক্ট থাকার চেষ্টা করব।'

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানি ঘোষণা, জেনে নিন কে কত পাবে
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্র ফ্রন্টের পোস্টারিং, তুলে ফেলেছে প্রশাসন
অবৈধ অভিবাসী তাড়াতে নতুন বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রে
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু শনিবার : আদিলুর রহমান
আমিরাত সফর শেষ করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ঈদের পর দেশে ফিরতে পারেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া
নতুন বাংলাদেশ গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
বিদেশিদের ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করবে অনলাইন অ্যাপ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে আটক ২ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ
নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন, যা বললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বাজেট দেওয়ার চিন্তা করা হয়েছে: টুকু
আজ শবে বরাত, গুনাহ মাফ ও ভাগ্য নির্ধারণের রজনী
ফ্যাসিবাদের অধীনে জনগণের পুলিশ হতে পারেনি: জিএমপি কমিশনার
বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর বিষয়ে ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনা
সাবেক এমপিসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
গাইবান্ধায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ
বিরামপুর পৌরসভা পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রিয়াজউদ্দিন
পদত্যাগ করলেন নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের পরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক মিরাজ